Last Updated on 3rd April 2024 by Mijanur Rahman
আমরা সবাই সুস্থ ও সুন্দর থাকতে চাই। এজন্য কত ধরনের চেষ্টাই তো করি । অনেকে বিভিন্ন কেমিক্যাল পন্য ব্যবহার করে,আবার অনেকেই প্রাকৃতিক ভেষজ উপাদান ব্যবহার করে নিজের ত্বকের যত্নের সাথে শরীরকেও সুস্থ ও ফিট রাখার চেষ্টা করে। আর প্রাকৃতিক উপাদান হিসেবে বহুল ব্যবহৃত উপাদানটি হচ্ছে ঘৃতকুমারী বা এলোভেরা ।
এটি সম্পর্কে জানে না এমন কেউ নেই। এলোভেরার উৎপত্তি ঘটে প্রায় ৬০০০ বছর আগে মিশরে। তখন থেকেই এর ব্যবহার ভেষজ চিকিৎসা শাস্ত্রে দেখা যায়। মূলত এর পাতাই বিভিন্ন কাজে ব্যবহৃত হয়। এর অসাধারণ গুনের কারণে এটি ত্বক পরিচর্যার জগতে একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব বিস্তার করেছে।
এলোভেরার উপকারিতার কথা বলে শেষ করা যাবে না। প্রাচীনকাল থেকে এটি রূপচর্চার পাশাপাশি শরীরকে সুস্থ রাখতে ও ব্যবহার করা হয়। প্রাচীন গ্রীস, মিশর, চায়না, ইন্ডিয়া, জাপানে ভেষজ ও রুপচর্চায় এলোভেরার ব্যাবহার লক্ষ করা যায়। মিশরের রাণী নেফেরতিতির ও ক্লিওপেট্রা রুপচর্চায় নিয়মিত এলোভেরা ব্যাবহার করতেন, এমনকি আলেকজান্ডার দ্য গ্রেট ও ক্রিস্টোফার কলম্বাস সৈন্যদের ক্ষত জায়গায় ভেষজ ওষুধ হিসাবে এলোভেরা ব্যাবহার করতেন।
তা যাই হোক, আজকে আমরা জানবো এলোভেরার উপকারিতা কি, এলোভেরার ব্যাবহার, রূপচর্চায় এলোভেরার উপকারিতা ইত্যাদি। তাহলে চলুন দেখে নেওয়া যাক।
এলোভেরা
এলোভেরা (Aloe vera) হচ্ছে একটি সরস উদ্ভিদ । অর্থাৎ এটি রসালো উদ্ভিদ প্রজাতির অন্তর্ভুক্ত। এটি করাতের মতো কাঁটাওয়ালা ও দেখতে ক্যাকটাস গাছের মতো। তবে এটি ক্যাকটাসের প্রজাতির নয়। এর বোটানিক্যাল নাম হচ্ছে Aloe barbadensis miller, এবং এটি Liliaceae পরিবারের অন্তর্ভুক্ত। এটি প্রধানত আফ্রিকার শুকনো অঞ্চলে বেশি পাওয়া যায়। ইউরোপ এশিয়া কিংবা ইন্ডিয়াতেও এলোভেরা জন্মে।
এলোভেরার উপকারিতা
এতোক্ষণ আমরা এলোভেরা সম্পর্কে জানলাম, তবে নিয়মিত এলোভেরার ব্যাবহারের ফলে আমরা অনেক ধরনের উপকারিতা পেতে পারি, এলোভেরার পাতায় রয়েছে ভিটামিন, মিনারেল, এনজাইম, সুগার, ফ্যাটি এসিড, অ্যানথ্রাকুইনোনস সহ নানা উপকারি উপাদান যা আমাদের প্রতিদিনের রুপচর্চা সহ নানা ভাবে উপকার করতে পারে, তো চলুন দেখে নেওয়া যাক এলোভেরার উপকারিতা কি কি।
এলোভেরা দিয়ে রূপচর্চা
- এলোভেরা মূলত রূপচর্চার কাজেই বেশি ব্যবহৃত হয়। ত্বকের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করতে এর অবদান অপরিসীম। রূপচর্চায় এর ব্যবহার বহুকাল ধরে হয়ে আসছে।
- এলোভেরার ভেতরে থাকা আঠালো রস বা জেল বিভিন্ন গুনে সমৃদ্ধ যা ত্বকের সব রকম সমস্যার সমাধান করতে সাহায্য করে।
- যেকোনো ধরনের ত্বকের জন্যই এটি উপকারী। যেকোনো বয়েসের মানুষ এটি ব্যবহার করতে পারেন। সুন্দর , দাগহীন,মসৃন ও কোমল ত্বক পেতে চাইলে এটি অবশ্যই দরকার। এটি নিয়মিত ব্যবহারে পাবেন দাগহীন নিখুঁত মসৃণ ত্বক। এর কারণে একে প্রাকৃতিক ক্লিনজারও বলা হয়।
- এটি ত্বককে ভিতর থেকে পরিষ্কার করে ও যাবতীয় মৃত কোষকে অপসারণ করে নতুন কোষ সৃষ্টিতে সহায়তা করে।
- নাইট ক্রিম হিসেবে এলোভেরা দারুন কাজে দেয়। রাতে এলোভেরা জেল মুখে লাগিয়ে রেখে পরের দিন সকালে উঠে মুখ ধুয়ে ফেলুন, দেখবেন কেমন পরিবর্তন আসে আপনার মুখে।
- সূর্যের যে বিকিরণ পৃথিবীতে আসে তার মধ্যে আল্ট্রাভায়োলেট ও গামা রশ্মি ত্বকের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর । এ রশ্মি ত্বকে ভাঁজ সৃষ্টি করে । এটি দূরীকরণে এলোভেরা জাদুর মতো কাজ করে।
- এলোভেরায় রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা ত্বকের ময়েশ্চার ধরে রাখতে সাহায্য করে। এর ব্যবহারে ত্বকের ইনফেকশন দূর হয়। সেই সাথে ত্বকের রোদে পোড়া ভাব, ডার্ক সার্কেল ও বলিরেখাও দূর করে। ত্বকের পোরস এর সমস্যা ও দূর করে এলোভেরার জেল।
- এছাড়াও এতে প্রায় ২০ টির মতো খনিজ পদার্থ বিদ্যমান যা ত্বকের কোষ সুস্থ রাখতে ও কোষের ক্ষয় প্রতিরোধে সহায়তা করে। এটি রক্তের শর্করার মাত্রা কমিয়ে দেয়।
- এছাড়াও এতে বিদ্যমান আছে ল্যাকটিন, মেনাস এবং পলিস্যাকারাইড । এ সকল কারণে এটি ত্বকের অনেক উপকার করে।এটি ত্বকের ব্রণ ও ব্রণের কালো দাগ ও দূর করতে সাহায্য করে।মেছতা দূরীকরণেও এর উপকারিতা কম নয়।
ব্যবহারবিধি:
- এলোভেরার জেল ব্লেন্ড করে সরাসরি ত্বকে ব্যবহার করা যায় আবার বিভিন্ন উপাদান যেমন, হলুদ,ওটমিল,অলিভ অয়েল, লেবুর রস ইত্যাদি এর সাথে ব্যবহার করা যায়। যেকোনো একটি উপাদানের সাথে মিশিয়ে ফেসপ্যাক বানিয়ে এটি নিয়মিত ব্যবহারের মাধ্যমে আপনি পাবেন উজ্জ্বল ও স্বাস্থ্যকর ত্বক।
- এলোভেরা ঠোঁটকেও কোমল, উজ্জ্বল ও গোলাপি করতেও সাহায্য করে। এজন্য এলোভেরার জেল একটু চালের গুঁড়ার সাথে মিশিয়ে ঠোঁটে নিয়মিত ম্যাসাজ করতে হবে। আশা করি ভালো ফল পাওয়া যাবে। মোটকথা, ক্লিনজার, ময়েশ্চারাইজার,টোনার,নাইট ক্রিম,স্ক্রাবার সবগুলোর কাজ একা করতে পারে এই এলোভেরা।
চুলের যত্নে এলোভেরা
চুলের যত্নে অ্যালোভেরার উপকারিতার জুড়ি নেই। ত্বকের পাশাপাশি চুলের জন্যও সমান উপকারী এলোভেরা। চুলের যেকোনো ধরনের সমস্যা সমাধানে কার্যকর ভূমিকা রাখে এলোভেরা। এটি চুলের ত্বকের pH ব্যালেন্স ঠিক রাখে যার ফলে খুশকি দূর হয়। এছাড়াও এতে রয়েছে ভিটামিন সি যা চুল পড়া বন্ধ করতে সাহায্য করে। এলোভেরা চুলের আরো যেসব উপকার করে তা হলোঃ
- খুশকি সমস্যা সমাধান করে।
- চুল পড়া রোধ করে।
- চুলের ত্বকের চুলকানি রোধ করে।
- চুলের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করে।
- চুল সিল্কি করে।
- চুলের ত্বকের এলার্জি দূর করে।
- চুলের আগা ফাটা রোধ করে।
- চুলের গোড়া শক্ত করে।
এতে লুপিওল, স্যালিসিলিক অ্যাসিড, ইউরিয়া, নাইট্রোজেন, সিনামোনিক অ্যাসিড, ফেনল এবং সালফার এসব এন্টিব্যাকটেরিয়াল এজেন্ট থাকার কারণে এটি চুলের যাবতীয় সমস্যা সমাধান করতে পারে। এটি চুলের প্রাকৃতিক কন্ডিশনারের কাজ ও করে।
ব্যবহারবিধি:
- চুলের যত্নে এলোভেরা বিভিন্ন ভাবে ব্যবহার করা যায়। শুধু এলোভেরা জেল ও চুলে দেয়া যাবে। আবার ক্যাস্টর ওয়েলের সাথে দিলে আরো ভালো হয়। এদুটি উপাদান একত্রে মিশিয়ে গোসলের ২ ঘন্টা আগে চুলে লাগিয়ে রাখুন। এরপর শ্যাম্পু করে ফেলুন। সপ্তাহে ২ বার এটি ব্যবহার করুন।আশা করি ভালো ফল পাবেন। ক্যাস্টর ওয়েল ছাড়াও আলমন্ড ওয়েল অথবা নারিকেল তেলের সঙ্গে ও দেয়া যায়।
ওজন কমাতে এলোভেরা
ওজন কমাতে এলোভেরার শরবত খুবই উপকারী। এর মধ্যে থাকা অ্যান্টি – ইনফ্লামেটারি উপাদান দ্রুত শরীরের মেদ কমাতে সাহায্য করে কোনো ধরনের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ছাড়াই। এছাড়াও এটি হজম শক্তি বৃদ্ধি করে ও পাকস্থলী ঠান্ডা রাখে।
সুস্থ থাকতে এলোভেরা:
- সুস্থ ও ফিট থাকার জন্য এলোভেরা অনেক উপকারী। এলোভেরার রস দেহের নানা জটিলতা দূর করতে সাহায্য করে। যাদের ডায়াবেটিকস আছে তারা এলোভেরার শরবত খেলে তাদের রক্তে গ্লুকোজের পরিমাণ কমে যায় ও ডায়াবেটিক নিয়ন্ত্রণে থাকে।
- এছাড়াও এটি খাওয়ার ফলে রক্তের কোলেস্টেরল এর মাত্রা কমে যায় সেই সাথে দুষিত রক্ত শরীর থেকে বের হয়ে যায়।এতে করে হৃদরোগের ঝুঁকি কমে যায়।
- হাঁপানি দূর করতে ও এলোভেরার পাতা ব্যবহার করা যায়। এজন্য পাতা থেকে জেল বের করে পাতার অংশটি সেদ্ধ করে ভাপ নিলে হাঁপানি রোগীর অনেক উপকার হবে।
- এছাড়া প্রাকৃতিক মাউথওয়াশ হিসেবে এর ব্যবহার বহুল প্রচলিত।
শরীরের জন্যে
- শরীরের ইলেক্ট্রলাইট ব্যালেন্স ঠিক রাখে ।
- শরীর পরিষ্কারের কাজ করে।
- শরীরের মাংসপেশী ও জয়েন্ট এর ব্যথা দূর করে।
- দাঁত ও মাড়ির ব্যথা নিরাময় করে।
- অন্ত্রে প্রদাহ সৃষ্টিকারী ব্যাকটেরিয়া দূর করে।
- মুখের ঘা ও দুর্গন্ধ দূর করতে সাহায্য করে।
- স্তন ক্যান্সার ছড়ানো রোধ করে।
- ৮.উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে।
- ৯.কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সাহায্য করে।
এলোভেরা জেল
এলোভেরার জেল হলো এলোভেরার পাতা থেকে উৎপাদিত জেল,যা দোকানে কিংবা ফার্মেসিতে কিনতে পাওয়া যায়। আবার ঘরোয়াভাবে এই জেল তৈরি করা যায়। এই জেল তৈরি করতে আপনার বেশি কিছুর প্রয়োজন নেই। এলোভেরার একটি পাতা, একটি ব্লেন্ডার, একটি চাকু, ১টি চামুচ, ভিটামিন সি কিংবা ভিটামিন ই পাউডার, (যদি থাকে) ও জেল রাখার জন্য পাত্র। পাতাটাকে ব্লেন্ডার করলেই আপনি পেয়ে যাচ্ছে এই জেল।
তবে মনে রাখবেন, এই জেলের মধ্যে যেনো পাতার উপরিভাগের খাল না থাকে। তাই খুব সাবধানে চামুচ দিয়ে জেলটা অন্য পাত্রে তুলে রাখবেন। এই জেল সর্বোচ্চ ১ সপ্তাহ পর্যন্ত ভালো থাকে। এরচেয়ে বেশি সময় রাখতে চাইলে ফ্রিজে সংরক্ষণ করতে হবে।
এলোভেরা জেল এর উপকারিতা
এলোভেরা উপকারিতা ও এলোভেরা জেল এর উপকারিতা মোটামুটি একই, এই জেল দিয়ে শরীরের, ত্বকের, চুলের, ভিবিন্ন সমস্যা সমাধান করে যা উপরের অংশে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে।
এলোভেরা জেল ব্যবহারের নিয়ম
এলোভেরা জেল বিভিন্ন উপায়ে আমরা ব্যবহার করতে পারি। নিচে এই জেল ব্যবহারের কিছু নিয়ম তুলে ধরা হলঃ
- দুই হাতে নিয়ে ক্রিমের মতো এই জেল সরাররি ত্বকে ব্যাবহার করা যায়।
- ফেইস ওয়াশ হিসাবে ব্যবহার করার জন্যে হাত পরিষ্কার করে, সামান্য পরিমান জেল নিয়ে হাত দিয়ে মুখে গোল বৃত্তের মতো করে ঘষা যায়।
- পোকামাকড় কামড় দিয়ে আক্রান্ত জায়গায় এই জেল দিয়ে ১৫-২০ মিনিট ঢেকে রাখা যায়।
- ছোটখাটো কাটা জায়গায় ব্যবহার করার আগে কাটা জায়গা ভালোভাবে ধুয়ে পরিষ্কার করতে হবে, তারপর সামান্য পরিমান জেল দিয়ে ব্যান্ডেজ করে রাখতে হবে। এভাবে দুই তিনবার করলে কাটা জায়গা খুব দ্রুত শুকিয়ে যায়।
- শুষ্ক ত্বকে দুই হাত পরিষ্কার করে এই জেল হাতে নিয়ে মুখে ঘষে ১০-১৫ মিনিটের জন্য রাখতে হয়।
- মুখের ছোট ছোট ব্রণের উপরে হালকা করে এই জেল দিয়ে রাখতে হয়। এইভাবে নিয়মিত কিছুদিন রাখলে মুখের ছোট ছোট ব্রণ দূর হয়।
আগ্রহীরা এলোভেরার উপকারিতা ও অপকারিতা নিয়ে উপরের ভিডিওটি দেখতে পারেন।
এলোভেরার অপকারিতা
ইংরেজিতে একটি প্রবাদ আছে “excess of everything is bad” তার মানে যেকোন জিনিষেরই মাত্রাতিরিক্ত ব্যবহার খারাপ ও বিপদজনক, তেমনিভাবে এলোভেরার অতিরিক্ত ব্যবহার ত্বক পুড়ে ফেলতে পারে, তাছাড়া যাদের এলার্জির সমস্যা আছে তাদের এই সমস্যা বেড়ে যেতে পারে। চলুন দেখে নেওয়া যাক এলোভেরার কিছু অপকারিতা
- যাদের এলার্জি আছে তাদের অতিরিক্ত এলোভেরার ব্যবহার এলার্জি জনিত সমস্যা বৃদ্ধি পেতে পারে।
- মাত্রাতিক্ত ব্যবহারে ত্বক পুড়ে লালচে ভাব ধরতে পারে।
- ডাইরিয়ার সমস্যা হতে পারে।
- প্রশ্রাবের রং লালচে হয়ে যেতে পারে।
- গর্ভবতী মা কিংবা যে মা বাচ্চাদের বুকের দুধ খাওয়াচ্ছেন তাদের এলোভেরা কিংবা এলোভেরার জেল ব্যবহার করা উচিত নয়, এটি জরায়ু সংকোচন করে ফেলে এবং বাচ্চাদের গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল বা টয়লেটে সমস্যা হতে পারে।
এলোভেরার জুস নিয়মিত খেলে এ উপকারিতাগুলো পাবেন। তবে খেয়াল রাখতে হবে যেন অতিরিক্ত এলোভেরা সেবন না হয়ে যায়। কারণ , সবকিছুরই একটি সীমা থাকে। অতিরিক্ত কোনো কিছুই ভালো নয়। খুব উপকারী বলে যে খুব বেশি করে খেতে বা ব্যবহার করতে হবে তা কিন্তু নয়। অতিরিক্ত এলোভেরার রস খেলে শরীরে নানা রকম জটিলতা ও দেখা দিতে পারে।
পরিশেষে বলা যায় ,
বাজারে পাওয়া সহজলভ্য এমন একটি পাতা এলোভেরা ,যার গুনাবলি এতোই যে বলে শেষ করা সম্ভব নয়। খুব কম খরচে পাওয়া এই পাতা যে এতোটা উপকারী ভাবা যায় ? এটি আসলেই আমাদের সকলের জন্য এক আশির্বাদস্বরূপ। রূপচর্চার জগতে এর অবদান অনস্বীকার্য। তাই সবারই উচিত ত্বকের যত্নে ক্ষতিকর কোনো পন্য ব্যবহার না করে প্রাকৃতিক উপাদান এলোভেরার মাধ্যমে নিজের রূপচর্চা করা।
তো বন্ধুরা এই ছিলো আজকের লেখা অ্যালোভেরার উপকারিতা ও অপকারিতা, যদি লেখাটি আপনাদের ভালো লেগে থাকে তাহলে কমেন্ট করে জানাতে ভুলবেন না। আজকের মতো এখানেই বিদায়, দেখা হবে আগামী লেখাতে।
আমি এলোভেরা দিলে মুখে খুব চুলকায়,,এখন এটি কিভাবে ব্যবহার করলে চুলকাবেনা জানতে চাই।
এলোভেরা দেওয়ার পর মুখ চুলকালে এটা এলার্জির সমস্যা মনে হয়, এ ব্যপারে স্কিন বিশেষজ্ঞরা ভালো বলতে পারবেন। যদি সম্ভব হয় তাহলে কোন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের সাহায্য নিতে পারেন।