Last Updated on 7th April 2024 by Mijanur Rahman
তেজপাতা দেখেনি বা চেনেনা এমন মানুষ আমাদের দেশে নেই বললেই চলে। আমাদের দেশে মসলা হিসেবে তেজপাতার বহুল ব্যবহার হয়ে থাকে। তেজপাতা (Bay leaf) এক প্রকারের উদ্ভিদ, যার পাতা মসলা হিসাবে রান্নায় ব্যবহার করা হয়। তেজপাতার কাঁচা পাতার রং সবুজ এবং শুকনো পাতার রং বাদামি হয়ে থাকে। তেজপাতার বৈজ্ঞানিক নাম Cinnamomum tamala। তেজপাতার ভেষজ গুণ শুধু খাবারের স্বাদই বাড়ায় না বরং স্বাস্থ্য সুরক্ষাতেও কাজ করে।
আজকের লেখায় আমরা জানবো তেজপাতার ভেষজ গুণাবলী, তেজপাতার উপকারিতা ও অপকারিতা ইত্যাদি। তার আগে চলুন দেখে নেওয়া যাক তেজপাতা কি।
তেজপাতা
তেজপাতা একটি সুগন্ধিযুক্ত ঔষধি পাতা। স্যুপ, পায়েস, পোলাও সহ আরো কিছু খাবারে এ পাতা ব্যবহার করা হয়। প্রাচীন গ্রীকে ঐতিহ্যগতভাবে (Traditionally) ওষুধ তৈরিতে তেজপাতা ব্যাপকভাবে ব্যবহার করা হত। তেজপাতায় আছে ভিটামিন ‘ই’ ও ‘সি’ এবং ফলিক এসিড।
তেজপাতা মূলত রান্নায় ব্যবহার করা হয়ে থাকে। এটি রান্নায় সুগন্ধ আনার পাশাপাশি রান্নার স্বাদ ও পুষ্টিগুন বাড়িয়ে তোলে। তেজপাতা বেশিরভাগ এশিয়া, উত্তর আমেরিকা এবং দক্ষিণ আফ্রিকাতে পাওয়া যায়।এই গাছটি মূলত ভারত, নেপাল, চীন ও ভুটানে বেশি হয়ে থাকে।
বৈজ্ঞানিক শ্রেণীবিন্যাস
জগৎ | Plantae |
শ্রেণীবিহীন | Angiosperms |
শ্রেণীবিহীন | Magnoliids |
বর্গ | Laurales |
পরিবার | Lauraceae |
গণ | Cinnamomum |
প্রজাতি | C. tamala |
দ্বিপদী নাম | Cinnamomum tamala |
তেজপাতার পুষ্টিগুণ
তেজপাতায় রয়েছে –
- ভিটামিন ( Vitamin)
- মিনারেল (Minerals)
- ম্যাগনেশিয়াম (Mg)
- ম্যাঙ্গানিজ (Mn)
- পটাশিয়াম (K)
এছাড়াও ১০০ গ্রাম তেজপাতাতে থাকে
উপাদান | পরিমাণ |
সোডিয়াম (Na) | ২৩ মিলি গ্রাম |
আয়রন (Fe) | ৪৩ মিলি গ্রাম |
জিংক (Zn) | ৩.৭ মিলিগ্রাম |
সিলেনিয়াম (Se) | ২.৮ মিলি গ্রাম |
তেজপাতার উপকারিতা
এতোক্ষণ আমরা জানলাম তেজপাতা কি, চলুন এবার দেখে নেওয়া যাক তেজপাতার উপকারিতা ও অপকারিতা। তেজপাতা অনেক গুণের অধিকারি, রান্নবান্না ছাড়াও ঘরোয়া চিকিৎসায় নান রোগের উপশম হিসাবে তেজপাতা বহুকাল ধরে ব্যবহার হয়ে আসছে। এই সেকশনে আমারা দেখবো তেজপাতার সঠিক ব্যাবহারের ফলে আমরা কি কি উপকার পেতে পারি।
ঘরোয়া চিকিৎসায়
তেজপাতা আমাদের দেশের মানুষের কাছে খুবই পরিচিত একটি গাছ। এই গাছের পাতা ব্যবহার করা হয় মূলত মসলা হিসেবে। তেজপাতায় থাকা ভেষজ গুণের কারণেই তেজপাতাকে ঘরোয়া চিকিৎসায়ও বহুলভাবে ব্যবহার করা হয়।মাথা ব্যথা দূর করার জন্য লবঙ্গ ও তেজপাতা দিয়ে চা বানিয়ে খাওয়ার যায়, এটি একটি ঘরোয়া পদ্ধতি। অরুচি দূর করার জন্য তেজপাতা সেদ্ধ করা পানি পান করার প্রচলন রয়েছে। মাড়ি ব্যথায় তেজপাতা সেদ্ধ পানি দিয়ে কুলকুচি করলে উপকার পাওয়া যাবে।
হার্টের জন্য উপকারী
তেজপাতায় রয়েছে ক্যাফেক অ্যাসিড নামক এক প্রকার জৈব এসিড। এ উপাদানগুলো হার্টকে সুস্থ রাখে এবং কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায়।
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে ভুমিকা রাখে
তেজপাতায় থাকা উপাদান ইনসুলিনের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে। প্রতিদিন গ্রহণ করলে রক্তে গ্লুকোজের পরিমান কমে। দিনে অন্তত দুই বার তেজপাতা গ্রহণ করলে রক্তে শর্করার পরিমাণ কমে আসে। যারা টাইপ-২ ডায়াবেটিসের ঝুঁকিতে আছেন তাদের জন্যেও তেজপাতা বেশ উপকারী।
মানসিক চাপ হ্রাস করে
তেজপাতার রয়েছে লিনালুল নামক একটি উপাদান যা মানসিকভাবে শান্ত থাকতে এবং হতাশা দূর করতে সহায়তা করে। এক কাপ তেজপাতার চা আপনার স্নায়ু শান্ত করবে,দুশ্চিন্তা কমিয়ে আপনার মন শান্ত রাখবে। এমনকি তেজপাতা ভালো ঘুমের জন্যেও উপকারী।
কিডনির সমস্যা সমধানে
তেজপাতা শরীরে ইউরিয়ার পরিমাণ কমাতে সাহায্য করে। শরীরে ইউরিয়ার পরিমাণ বেড়ে গেলে কিডনির অনেক সমস্যা হয়। তেজপাতা এই ক্ষতিকর ইউরিয়া নিয়ন্ত্রনে রাখে।
সর্দিকাশি এড়ায়
তেজপাতায় থাকা বিভিন্ন অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল উপাদান শ্বাসতন্ত্রের বিভিন্ন প্রদাহ কমাতে সক্ষম। এক্ষেত্রে তেজপাতা সেদ্ধ করা পানি খেলে উপকার পাওয়া যাবে। যেসব ব্যাকটেরিয়ার কারণে আমরা ঠান্ডায় ভুগি, তেজপাতা সেসব ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করে। কয়েকটি তেজপাতা গরম পানিতে সিদ্ধ করে, পানি কুসুম ঠাণ্ডা করে নিন। একটি পরিষ্কার কাপড় পানিতে ভিজিয়ে বুক মুছুন। খেয়াল রাখবেন পানি যেনো খুব বেশি গরম বা খুব বেশি ঠান্ডা না হয়।
হজমশক্তি বাড়ায়
তেজপাতা শরীর থেকে অতিরিক্ত টক্সিন বের করে দেয়। তেজপাতায় বিদ্যমান জৈব যৌগ পেটের অসুখ সারাতে সাহায্য করে। ইরিটেবল বাওয়েল সিনড্রোম বা আইবিএস (Irritable bowel syndrome) এবং অন্ত্রের স্বাভাবিক কার্যকারিতার ত্রুটিজনিত সমস্যায় তেজপাতা খুব কার্যকরী। কিছু জটিল প্রোটিন যা শরির সহজে হজম করতে পারে না, তেজপাতা তা হজমে সাহায্য করে।তেজপাতায় উপস্থিত এনজাইম দ্রুত খাবার ভাঙতে সক্ষম।তেজপাতা আপনার স্বাভাবিক হজমশক্তি ফিরিয়ে আনবে। হজম রস তৈরিতে এটি উদ্দীপনা জোগায়।
ব্যথা উপশম করে
তেজপাতার অন্যতম গুণের মধ্যে একটি হলো প্রদাহের বিরুদ্ধে কাজ করা। তেজপাতায় রয়েছে ফাইটো নিউট্রিয়েন্ট উপাদান, যা প্রদাহ দূর করে।ব্যথা উপশমের জন্য তেজপাতার এসেনশিয়াল ওয়েল (Essential oil) ব্যবহৃত হয়। তেজপাতা এবং রেড়ির পাতার (ক্যাস্টর) পেস্ট ব্যথাময় স্থানে ২০ মিনিট লাগিয়ে রাখলে ব্যথা কমে যাবে। তেজপাতার তেল ব্যথানাশক হিসেবে কাজ করে। শরীরে ব্যথা হলে তেজপাতার তেল দিয়ে মালিশ করলে উপশম হয়।
জীবানুনাশক হিসেবে কাজ করে
তেজপাতা বিভিন্ন ধরনের ক্ষত নিরাময় করে।তেজপাতা জীবাণুনাশক হিসেবেও কাজ করে। তেজপাতায় বিদ্যমান অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল (Antibacterial) ও মাইক্রোব্যাকটেরিয়াল (Micro bacterial) উপাদান ক্ষত সারাতে কাজ করে।এটি কিছু কিছু ছত্রাক সংক্রমণের বিরুদ্ধে কাজ করতে পারে।
মাসিক (Period) নিয়মিত করে
অনেকেরই মাসিক নিয়ে অনেক সমস্যা থাকে, নিয়মিত মাসিক হয় না। এক্ষেত্রে নিয়মিত তেজপাতা চিবিয়ে খেলে পিরিয়ড নিয়মিত ও স্বাভাবিক থাকে।
দাঁত সাদা করে
চা,কফি, তামাক, অ্যালকোহলজাতীয় দ্রব্য সেবনের ফলে দাঁত হলুদ হয়ে যেতে পারে।শুকনো তেজপাতার গুড়া ও শুকনো কমলার খোসা গুঁড়ো করে অল্প পানির সাথে মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করুন। এই পেস্টটি টুথপেস্ট হিসেবে ব্যবহার করুন। এতে দাঁতের হলদেটে ভাব কমবে।
রান্নার স্বাদ বৃদ্ধি করে
রান্না করার সময় রান্নার স্বাদ বাড়াতে আমরা বিভিন্ন মসলার ব্যবহার করে থাকি,তেমনি একটি মসলা হলো তেজপাতা।এতি রান্নার স্বাদ ও সুঘ্রাণ বাড়ায়। তেজপাতা সাধারণত খাওয়া হয় না, শুধু রান্নায় স্বাদ বাড়ায়েই এর ব্যবহার হয় থাকে।
ব্রণের সমস্যায়
মুখে ব্রণের সমস্যা থাকলে, পানিতে কয়েকটি তেজপাতা ফুটিয়ে দশ মিনিট রেখে দিন, এরপর পানিটা ছেকে নিন। এই পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে নিন। নিয়মিত এই পানি ব্যবহার করলে মুখে ব্রণের সমস্যা দূর হবে।
ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ায়
ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে ও বলিরেখা দূর করতে তেজপাতা সেদ্ধ পানি খুব উপকারী। তেজপাতা সেদ্ধ পানি একটি বড় পাত্রে নিয়ে তোয়ালে দিয়ে মাথা ঢেকে ভাপ নিতে হবে। এটি ত্বকের রক্ত সঞ্চালন প্রক্রিয়া বাড়িয়ে দেয় ফলে ত্বকে বলিরেখা পড়ে না।
খুশকি দূর করতে
চুলের খুশকি দূর করতে তেজপাতার ব্যবহার করা হয়। শুকনো তেজপাতা গুঁড়ো করে নিয়ে এর সাথে টক দই মিশিয়ে পেস্ট বানিয়ে মাথায় লাগান।কিছুক্ষন রেখে শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে নিন। নিয়মিত এই প্যাকটি চুলে লাগালে খুশকির সমস্যা দূর হবে।তেজপাতা বেটে পেস্ট তৈরি করে তা নারিকেল তেলের সঙ্গে মেশান। এই মিশ্রনটি স্কাল্পে লাগিয়ে ৩০ মিনিট রেখে হালকা গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। মাথার ত্বকের চুলকানি ও খুশকি দূর হবে।
উকুন দূর করে
৫০ গ্রাম তেজপাতা এবং ৪০০ মি.লি. পানি একত্রে গরম করতে হবে, মিশ্রনটিকে জাল দিয়ে কমিয়ে ১০০ মি.লি. করে নিতে হবে। তারপর মিশ্রনটি ঠান্ডা হয়ে গেলে মাথার তালুতে ভালোভাবে লাগাতে হবে।এটি ৩-৪ ঘণ্টা মাথাগ রেখে মাথা ধুয়ে ফেলতে হবে। এতে করে চুলের উকুন দূর হবে।
চুলের কন্ডিশনার হিসেবে
কন্ডিশনার চুলের জন্য খুব উপকারী এবং গুরুত্বপূর্ণ। সঠিক কন্ডিশনিং এর অভাবে চুল রুক্ষ হয়ে যায়। তেজপাতা পানিতে সিদ্ধ করে নিন।শ্যাম্পু করার পর এই পানি দিয়ে ভাল করে চুল ধুয়ে নিন।তেজপাতার এই সেদ্ধ পানি চুলের কন্ডিশনিং এর কাজ করবে এবং আপনার চুলকে করবে ঝলমলে ও মসৃণ।
ক্যান্সারের বিরুদ্ধে কাজ করে
গবেষণায় দেখা যায় তেজপাতা ক্যান্সার কোষ ধ্বংস করে। এই পাতায় ফাইটোনিউট্রিয়েন্স (Phytonutrients) , ক্যাফেয়িক এসিড, কুয়েরসেটিন, ইউগানল, ক্যাটেচিন নামক উপাদান থাকায় এটি ক্যান্সার কোষকে নিয়ন্ত্রণ করতে সক্ষম। তেজপাতা স্তন ক্যান্সারের ( Breast Cancer) বিরুদ্ধেও খুব ভালো কাজ করে।
দেহের অতিরিক্ত ওজন কমায় (তেজপাতা ও মধুর উপকারিতা)
তেজপাতা, এক টুকরো আদা, ২০০ মি.লি. পানি একত্রে ফুটিয়ে ১/৪ করুন। এর সাথে মধু মিশিয়ে দিনে দুইবার পান করতে হবে। এভাবে নিয়মিত তেজপাতা ও মধুর মিশ্রিত পানি দেহের মেদ ও ওজন কমাতে ওষুধের মতো কাজ করে।
ডায়রিয়া থামায় (তেজপাতার পানি খাওয়ার উপকারিতা)
ডায়রিয়া হলে দেহে পানিশূন্যতা দেখা দেয়। তাই দ্রুত ডায়রিয়া বন্ধ করা জরুরি। ১০/১৫ টি তেজপাতা সহ ২ গ্লাস পরিমান পানি গরম করতে হবে। এতে এক চিমটি লবন যোগ করে মিশ্রনটি ঠান্ডা করেদিতে হবে পান করতে হবে। যতদিন ডায়রিয়া ভালো না হচ্ছে,এই পানি পান করবেন, খুব দ্রুত ভালো রেজাল্ট পাবেন।
চোখের সমস্যা দূর করতে পারে
তেজপাতাতে ভিটামিন এ এবং ভিটামিন সি রয়েছে। ভিটামিন এ চোখের দৃষ্টি ভালো রাখে, রাতকানা রোগ থেকে বাচায়। ভিটামিন-সি শরীরে শ্বেত রক্তকণিকার সংখ্যা বজায় রাখতে সাহায্য করে।শ্বেত রক্তকণিকা আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে শক্তিশালী করে।
শরীরের ফোলাভাব কমায়
তেজপাতার মধ্যে উপস্থিত সিনিওল, যা।প্রদাহের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করে।নিয়মিত তেজপাতার পানি খেলে শরীরের ফোলাভাব দূর হয়। শীতকালে দিনে দুবার তেজপাতার ইষদুষ্ণ পানি খান। এতে ভালো ফলাফল পাবেন।
খনিজের ভান্ডার
তেজপাতায় রয়েছে অনেক খনিজ উপাদান যা শরিরের জন্য অতি দরকারি। তেজপাতায় রয়েছে – ভিটামিন(Vitamin), কপার(Cu), পটাশিয়াম(K), ক্যালসিয়াম(Ca), ম্যাগনেসিয়াম(Mg), জিংক(Zn),আয়রন(Fe), সেলেনিয়াম(Se)ও ম্যাঙ্গানিজ(Mn) যার প্রত্যেকটি উপাদান শরিরের জন্য বিশেষ উপকারী।
তেজপাতার অপকারিতা
তেজপাতার গুণাগুণ অনেক হলেও তা ব্যবহারে হতে হবে সতর্ক, কিছু কিছু ক্ষেত্রে তেজপাতার মাত্রাতিরিক্ত ব্যবহারে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে। চলুন দেখে নেই তেজপাতার কি কি অপকারিতা রয়েছে।
- গর্ভবতী মহিলা ও সদ্য হওয়া মায়েদের প্রস্রাবের ইনফেকশন হতে পারে।
- যেহেতু তেজপাতা স্নায়ুতন্ত্রের উপর প্রভাব ফেলে তাই সার্জারি রোগীদের দুই সপ্তাহ তেজপাতা খাওয়া বারণ।
- তেজপাতা সরাসরি স্কিনে বা শরীরে ব্যবহার করলে তেমন ক্ষতি নাই, তবে তা বাজারি কসমেটিক্সে ব্যবহারের ফলে তা এলার্জির সমস্যা দেখা দিতে পারে।
- ডাইবেটিক্স রোগীদের তেজপাতার ব্যবহারে সতর্ক থাকতে হবে। তেজপাতা রক্তের চিনির পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে ব্যঘাত সৃষ্টি করে থাকে।
তো বন্ধুরা এই ছিলো আজকের লেখা তেজপাতার উপকারিতা ও অপকারিতা। নিশ্চয় খিয়াল করেছেন তেজপাতার রয়েছে অনেক ওষুধি গুণাগুণ, তাই সঠিকভাবে তেজপাতার ব্যবহারের ফলে আমরা অনেক সমস্যার সমাধান করে ফেলতে পারি। লেখাটি ভালো লাগলে শেয়ার করতে ভুলবেন না। আজকের মতো এখানেই বিদায়।
Tejpatar Upokarita তেজপাতা/তেজপাতার উপকারিতা/tej patar upokarita/bay leaves/tejpatar gunagun
তেজপাতা চা তৈরির পদ্ধতি ও তেজপাতা খাওয়ার নিয়ম
একটি পাত্রে পানি নিয়ে এতে তেজপাতা সেদ্ধ করুন। এবার এতে কিছু দারুচিনি গুঁড়ো দিন।মিশ্রণটি ১০ মিনিট ফুটিয়ে এতে লেবু ও মধু মিশালেই তেজপাতার চা তৈরি হয়ে গেলো।
তেজপাতার পানি প্রস্তুত প্রণালী
পানি – ২ কাপ
তেজপাতা – ২/৩টি
দারুচিনি গুঁড়ো- আধা চা চামচ
পদ্ধতি-
প্রথমে একটি পাত্রে পানি দিয়ে ভালো করে ফুটিয়ে নিন। এরপর এতে কিছু তেজপাতা দিয়ে কয়েক মিনিট সেদ্ধ করুন।পানি ভালোভাবে ফুটে উঠলে চুলা বন্ধ করে তাতে দারুচিনি গুঁড়ো দিন। কিছুক্ষণ পর পানি কিছুটা ঠান্ডা হলে কাপে ছেকে নিয়ে চা/ কফির মতো পান করুন। এতে অনেক উপকার পাবেন। তেজপাতার পানি স্বাস্থ্যের উপকারী তাও যদি আপনার কোন ধরনের সমস্যা থেকে থাকে তাহলে অবশ্যই এটি খাওয়ার আগে ডাক্তারের পরামর্শ নিন।
বিঃদ্রঃ এই ব্লগের প্রত্যেকটা ব্লগ পোস্ট Sylhetism ব্লগের নিজস্ব ডিজিটাল সম্পদ। কেউ ব্লগের কোন পোস্ট কিংবা আংশিক অংশ ব্লগের কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া কপি পেস্ট করে অন্য কোথাও প্রকাশ করলে ব্লগ কর্তৃপক্ষ ডিজিটাল সিকিউরিটি আইনে মামলা করার অধিকার রাখে। এবং অবশ্যই কপিরাইট ক্লাইম করে যে মাধ্যমে এই ব্লগের পোস্ট প্রকাশ করা হবে সেখানেও কমপ্লেইন করা হবে।
Sylhetism ব্লগের কোন লেখায় তথ্যগত কোন ভুল থাকলে আমাদের Contact পেইজে সরাসরি যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো, আমরা যত তাড়াতাড়ি সম্ভব তথ্য যাচাই করে লেখা আপডেট করে দিবো।
Sylhetism ব্লগের কোন স্বাস্থ বিষয়ক পোস্টের পরামর্শ নিজের বাস্তব জীবনে প্রয়োগ করার আগে অবশ্যই বিশেষজ্ঞদের মতামত নিবেন, আমরা স্বাস্থ বিষয়ে কোন বিশেষজ্ঞ না, আমাদের উদ্দেশ্য ও লক্ষ হচ্ছে সঠিক তথ্য পরিবেশন করা। সুতারাং কোন অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার দায়ভার অবশ্যই আমরা নিতে পারবো না। ধন্যবাদ, ব্লগ কর্তৃপক্ষ।