সরিষার তেলের উপকারিতা ও অপকারিতা ২০২৪

সরিষার তেলের উপকারিতা

Last Updated on 7th April 2024 by Mijanur Rahman

সরিষার তেল (Mustard oil) বাংলাদেশে বহুল প্রচলিত  একটি তেল। এর ঝাঁঝ যেমন অতুলনীয়, তেমনই এর মধ্যে থাকা আয়ুর্বেদিক গুনাগুণও অধিক। প্রায় ৩০০০ খ্রিষ্টপূর্ব থেকেই আয়ুর্বেদ শাস্ত্রে এর ব্যবহার হয়ে আসছে। ভারতীয় উপমহাদেশে এর ব্যবহার বেশী দেখা যায়। বর্তমানে বাংলাদেশের পাশাপাশি ভারতের পশ্চিমবঙ্গ, বিহার, উড়িষ্যা, আসাম ও নেপালে ঐতিহ্যগতভাবে সরিষার তেল দিয়ে রান্না করার প্রচলন রয়েছে। আজকের লেখায় আমরা জানবো সরিষার তেলের উপকারিতা ও সরিষার তেলের অপকারিতা।

সরিষার তেল

এটি সরিষা বীজ থেকে তৈরি করা হয়। এর রং ঘন লালচে হলুদ ও অনেক ঝাঁঝালো গন্ধযুক্ত। এর বৈজ্ঞানিক নাম (ব্রাসিকা জানসি) এবং এটি Brassicaceae পরিবারের অন্তর্ভুক্ত। একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে, এই সরিষার তেল দিয়ে তৈরি করা খাবার দেহের জন্য খুবই উপকারী। এটি দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। এক চা-চামচ সরিষার তেলে রয়েছে প্রায় ১২৬ ক্যালরি।

আজকের পোস্টে জানতে পারবেন সরিষার তেলের প্রকারভেদ, উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য।

সরিষা তেল
সরিষা তেল (Photo Source: https://www.gettyimages.com/)

প্রকারভেদ

আমাদের দেশে সাধারণত দুই ধরনের সরিষার তেল পাওয়া যায়।

কাচ্চি ঘানিঃ একটি হলো মেশিনে তৈরি যাকে বলা হয় কাচ্চি ঘানি (Cold Pressed)। যা আমরা রেগুলার রান্না ও বিভিন্ন কাজে ব্যবহার করে থাকি।

এসেনশিয়াল অয়েলঃ আরেকটি হলো এসেনশিয়াল অয়েল (Mustard Essential Oil)। যা বিভিন্ন ধরনের উপাদান যেমন: পানি ,ভিনেগার ইত্যাদির সমন্বয়ে তৈরি করা হয়। যা খুব পাতলা হয়। সরিষার তেলে থাকে মাইরোসিনেইস (Myrosinase) ও সিনিগ্রিন (Sinigrin) নামক উপাদান যা পানির সাথে মিশে বিষাক্ত কম্পাউন্ড তৈরি করে তাই এ ধরনের তেল স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। এটি বিভিন্ন থেরাপির কাজে ব্যবহৃত হয়।

প্রতি ১০০ গ্রামে

প্রতি ১০০ গ্রাম সরিষার তেলে রয়েছে নিচের উপাদানগুলি, যা শরীরের জনু বিভিন্নভাবে উপকারি।

উপাদান
ফ্যাট
স্যাচুরেটেড ফ্যাট
১২ মিঃ গ্রামঃ
পলি আনস্যাচুরেটেড ফ্যাট
২১ মিঃ গ্রামঃ
মনো আনস্যাচুরেটেড ফ্যাট
৫৯ মিঃ গ্রামঃ

 ✅সরিষার তেলের উপকারিতা✅

সরিষার বীজ থেকে যে তেল উৎপাদিত হয় তার উপকারিতা বলে শেষ করা যাবে না, আগেই বলা হয়েছে এটি প্রাচীন কাল থেকেই ভেষজ হিসাবে ব্যবহার হয়ে আসছে। তাহলে চলুন দেখে নেওয়া যাক এই তেল ব্যবহারের ফলে আমরা যেসব উপকারিতা পেতে পারি।

শরীরের ব্যথা কমাতে

বেশিরভাগ মানুষই সরিষার তেল ব্যবহার করেন শরীরের ব্যথা কমাতে। এর মধ্যে থাকা Anti-inflammatory Properties ব্যথা কমাতে সাহায্য করে ও রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি করে। হাঁটু ব্যথা , বাতের ব্যথা ইত্যাদি কমাতে এটি দারুন কাজ করে।

অ্যাজমা রোগে

অ্যাজমা রোগীদের জন্য সরিষার তেল খুবই উপকারী। রোগীর যদি হঠাৎ অ্যাজমা অ্যাটাক হয় তাহলে সরিষার তেল বুকে ঘষলে এর থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। এছাড়াও নিয়মিত সরিষার তেল মালিশ করলে দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।

হৃদপিন্ড ঠিক রাখতে

সরিষার তেলে রয়েছে মনোস্যাচুরেটেড ও পলিস্যাচুরেটেড ফ্যাটি এসিড যা ৫০% হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে। এটি দেহে ভালো কোলেস্টেরল (HDL) সৃষ্টি করে যা উচ্চ রক্তচাপও নিয়ন্ত্রণ করে। এছাড়াও সরিষার তেল হচ্ছে ওলেইক এসিড সমৃদ্ধ এবং এর মধ্যে আছে লিনোলোনিক ও লিনোলেইক এসিডের মাত্রার ভারসাম্য যেগুলো হার্টের পক্ষে অনেক ভালো।

ক্যান্সার প্রতিরোধে

ক্যান্সার নিঃসন্দেহে একটি মরণব্যাধি। এর থেকে সবাই বেঁচে থাকতে চায়। আর এই ক্যান্সার প্রতিরোধে একটু হলেও সহায়তা করে সরিষার তেল। অবাক হচ্ছেন? কিন্তু এটা সত্যি। গবেষণায় দেখা গেছে, সরিষার তেলে অ্যালিল আইসোথিওসায়ানেট নামক উপাদান থাকে যা ক্যান্সার কোষ বৃদ্ধি প্রতিরোধ করে দেহকে সুস্থ রাখতে সহায়তা করে।

হজমশক্তি বৃদ্ধিতে

সরিষার তেল হজমশক্তি বৃদ্ধি করে ও দেহের মেটাবলিক রেট বৃদ্ধি করে।এটি পাকস্থলীর পাচক রস উদ্দীপিত করে ক্ষুধা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে সরিষার তেল। তাই যাদের হজমে সমস্যা আছে তারা নিয়মিত সরিষার তেল দিয়ে রান্না করা খাবার খাওয়ার চেষ্টা করবেন।

সর্দি-কাশি কমাতে

প্রাচীনকাল থেকেই সর্দি কাশির মহৌষধ হিসেবে বহুল ব্যবহৃত উপাদানটি হলো সরিষার তেল। সরিষার তেলে থাকা ঝাঁঝালো উপাদান শেষ্মা ও সাইনাস পরিষ্কার করতে সাহায্য করে। রসুন , লবঙ্গ ও সরিষার তেল গরম করে পা ও বুকে মালিশ করলে সর্দি কাশি থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব।

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে

সরিষার তেল কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে ও লোহিত রক্ত কণিকার ঝিল্লি উন্নত করে। সরিষার তেল প্লাজমা , কোষের লিপিডস ও কোষের ঝিল্লি আবরণ তৈরির জন্য প্রয়োজনীয় চর্বিগুলোর একটি প্রধান উৎস।এতে থাকা ভিটামিন ই , ওমেগা ৩,ওমেগা ৫ ফ্যাটি এসিড শরীরকে প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান সরবরাহ করে যা দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।

সরিষা বীজ
সরিষা বীজ (Photo Source: https://www.gettyimages.com/)
কার্ডিওপ্রোডাক্টিভ প্রভাব

এক গবেষণায় জানা যায় , সরিষার তেল এরিথমিয়াস, এনজাইনা ও হার্ট ফেইলিউর এর সম্ভাবনা হ্রাস করে। এছাড়াও এটি ট্রাইগ্লিসারাইড ও প্রদাহ কমাতেও সাহায্য করে। কার্ডিওভাসকুলার ডিসর্ডার এ আক্রান্ত রোগীদের ক্ষেত্রে ও সরিষার তেল খুব স্বাস্থ্যকর হিসেবে বিবেচিত হয়।

ওজন কমাতে সরিষার তেল

সরিষার তেলে থাকে ভিটামিন বি কমপ্লেক্স আর এই ভিটামিন বি কমপ্লেক্সে থাকে নায়াসিন ও রিবোফ্লেভিন নামক দুটি উপাদান  যা খাবারকে দ্রুত হজম করতে সাহায্য করে ও শরীরের ওজন কমাতে সাহায্য করে। আবার এতে থাকা ওমেগা ৬ ফ্যাটি এসিড পেটে জমে থাকা ব্রাউন চর্বিকে কর্মক্ষম করে তোলে যা ওজন কমাতে খুবই ভালো কাজ করে

রোগ প্রতিরোধে

সরিষার তেলের মধ্যে থাকা বিভিন্ন পুষ্টি উপাদানের কারণে এটি নানা ধরনের রোগ প্রতিরোধে কার্যকর।

✓ এটি খেলে শরীরের মধ্যে টিউমার হওয়ার আশঙ্কা শতকরা ৫০ ভাগ কমে।

✓ সরিষার তেল মূত্রাশয়ের ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা প্রায় ৩৪ শতাংশ কমায়।

✓ সরিষার তেলে আছে অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল উপাদান দাঁতের ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করে।

✓ বিভিন্ন ধরনের প্রদাহজনিত সমস্যা সমাধানে সরিষার তেল খুবই কার্যকর।

✓ শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা সমাধানে সরিষার তেলের কোনো বিকল্পই হয় না।

✓ আর্থ্রাইটিস রোগের নিরাময়ে সরিষার তেল গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে।

✓ মাইগ্রেনের কষ্ট কমাতে ম্যাগনেশিয়াম দারুন কাজ করে। আর সরিষার তেলে প্রচুর পরিমাণে ম্যাগনেশিয়াম থাকায় এটি মাইগ্রেন এর কষ্ট কমাতে সাহায্য করে।

✓ সরিষার তেলে থাকা অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল এজেন্ট দেহে জীবাণু প্রবেশে বাধা দেয়।

✓ কোলন ও ইন্টেস্টাইনের যেকোনো ইনফেকশন দূর করতে সরিষার তেল খুবই উপকারী।

✓ সরিষার তেলে থাকে ক্যালসিয়াম যা হাড়ের শক্তি বৃদ্ধিতে সহায়ক।

✓ এতে থাকা গ্লুকোসিনোলেট (Glucosinolate) নামক উপাদান মলাশয়ের ক্যান্সার ও অন্ত্রের ক্যান্সার প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে।

✓ মেয়েদের পিরিয়ডের ব্যাথায় পেটে সরিষার তেল মালিশ করলে উপকার পাওয়া যায়।

✓ বিভিন্ন ধরনের দাঁতের সংক্রমন ও মাড়ির ব্যথা কমাতে সাহায্য করে সরিষার তেল।

✓এটি শরীরকে উষ্ণ রাখতে সাহায্য করে।ফলে ঠান্ডাজনিত সমস্যা খুব বেশি হয় না।

✓এটি শরীরের ঘাম বের হওয়ার গ্রন্থিকে সচল রাখে যার ফলে সহজেই শরীর থেকে বর্জ্য পদার্থ বের হয়ে যায়।

মোটকথা , সামগ্রিক স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সরিষার তেলের জুড়ি নেই।

ত্বকের যত্নে

সরিষার তেলে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ, ই ও বি কমপ্লেক্স যা ত্বকের জন্য খুবই উপকারী। সরিষার তেলের গুনগত মানের জন্য এটি সৌন্দর্যের এক অপরিহার্য উপাদান হিসেবে বিবেচিত হয়।

  • এটি ত্বকের তামাটে ভাব দূর করে। যেকোনো কালচে দাগ হালকা করে। ত্বককে সূর্যের আল্ট্রাভায়োলেট রশ্মি (Ultraviolet Light)  থেকে রক্ষা করে।এটি স্কিন ক্যান্সার প্রতিরোধেও কার্যকর। এটি ত্বকের রিংকেল কমাতেও সাহায্য করে থাকে।
  • সরিষার তেলকে বলা হয় প্রাকৃতিক লোশন।
  • ত্বকে সরিষার তেল লোশন বা সানস্ক্রিন এর মতো ব্যবহার করা যায়।
  • এছাড়াও সরিষার তেল , বেসন, লেবুর রস ও টকদই একসাথে মিশিয়ে ত্বকে লাগালেও ভালো ফল পাওয়া যাবে।
  • সরিষার তেল ও হলুদ একসাথে মিলিয়ে ফেসপ্যাক হিসেবে ব্যবহার করলে ত্বকের মরা কোষ ঝরে পড়ে ও ত্বকের খসখসে ভাব দূর হয়ে যায়
  • সরিষার তেলে থাকা অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল ও অ্যান্টি ফাঙ্গাল উপাদান ত্বকের এলার্জির সমস্যা দূর করে, শুষ্ক ত্বককে মসৃন ও কোমল করে।
  • তবে যাদের তৈলাক্ত ত্বক তাদের সরিষার তেল বেশি না ব্যবহার করাই ভালো কারণ এতে ত্বকের তৈলাক্ত ভাব আরো বেড়ে যেতে পারে যা ব্রণের সৃষ্টি করতে পারে।

ঠোঁটের যত্নে

শীতকালে ঠোঁট ফাটা রোধ করতে ঠোঁটে সরিষার তেল মালিশ করা যেতে পারে। যা আপনার ঠোঁটকে ময়েশ্চারাইজ করবে।এতে করে ঠোঁট থাকবে মসৃণ।


সরিষার তেলের স্বাস্থ্য উপকারিতা

চুলের যত্নে

চুলের যত্নে ও সরিষার তেল দারুন উপকারী। চুলকে সুন্দর, মসৃন ও স্বাস্থ্যোজ্জ্বল রাখতে সরিষার তেল ব্যবহারের পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা।

✓এটি চুলের প্রাকৃতিক কন্ডিশনার হিসেবে কাজ করে কারণ এতে রয়েছে আলফা ফ্যাটি এসিড । এর ফলে চুল পড়া বন্ধ হয় ও চুলের বৃদ্ধি ও বেশি হয়।

✓ সরিষার তেল ভিটামিন, মিনারেল ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ যা চুল লম্বা হতে সাহায্য করে।

✓ নিয়মিত মাথার তালুতে সরিষার তেল মালিশ করলে মাথার তালুর রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি পাবে ও চুলের গোড়া মজবুত হবে ।

✓এতে অ্যান্টি ফাঙ্গাল উপাদান থাকায় খুশকি ও চুলের ত্বকের চুলকানি রোধ করতে সাহায্য করে

✓ সরিষার তেলে প্রচুর পরিমাণে জিঙ্ক ও বিটা ক্যারোটিন থাকায় এটি নতুন চুল গজাতে সাহায্য করে।

✓ এক সমীক্ষায় সরিষার তেল, আমলার তেল ও নারিকেল তেলের মধ্যে সরিষার তেল চুলের বৃদ্ধিতে বেশি কার্যকরী।

✓ প্রতিদিন রাতে ঘুমাতে যাওয়ার পূর্বে মাথায় সরিষার তেল মালিশ করলে চুল পাকা রোধ হয়।

✓ চুল পড়া কমাতে সরিষার তেলের সাথে এলোভেরা মিশিয়ে মাথার তালুতে ভালোভাবে মালিশ করে ৩০-৪০ মিনিট রেখে শ্যাম্পু করে ফেলুন।ভালো ফলাফল পেতে সপ্তাহে ২ বার ব্যবহার করুন।

✓ সরিষার তেল হালকা গরম করে চুলে ব্যবহার করলেও ভালো ফল পাওয়া যায়

গ্রামবাংলার মা-বোনেরা অনেক আগে থেকেই তাদের চুলে সরিষার তেল ব্যবহার করে আসছেন। এ কারনেই তাদের চুল লম্বা ,ঘন ও স্বাস্থ্যোজ্জ্বল হয়ে থাকে।

পোকামাকড় দমনে

সরিষার তেলে থাকা ঝাঁঝ পোকামাকড় সহ্য করতে পারে না । তাই বিভিন্ন ধরনের পোকামাকড় দমনে সরিষার তেল খুবই কার্যকরী।

🚫সরিষার তেলের অপকারিতা 🚫

সরিষার তেলের এতো উপকারিতা থাকলেও এর কিছু অপকারিতাও রয়েছে। এক গবেষণায় জানা গেছে, সরিষার তেলে থাকে ৪২ থেকে ৪৭ শতাংশ ইউরিক এসিড। যা দেহের উপর ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে।

১. এছাড়াও সরিষার তেল লাং ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ায়।

২. খুব বেশি পরিমাণে সরিষার তেল ত্বকে ব্যবহার করলে চামরায় ক্ষতি হতে পারে।

৩. সরিষার তেলে থাকে ইরোসিক নামক একধরনের এসিড যা হৃদপিন্ডের ক্ষতি করতে পারে।

৪.অনেকের সরিষার তেল ব্যবহারে অ্যালার্জি হতে পারে ।

৫.সরিষার তেল এপিডার্মিসের ক্ষতি করে ত্বকের জলীয় অংশের পরিমাণ কমিয়ে দেয় যার ফলে ত্বকে ফোস্কা পড়ে।এ কারণে বাচ্চাদের শরীরে সরিষার তেল মালিশ করা উচিত নয়।

৬.সরিষার তেলে থাকে বেশ কিছু ক্ষতিকর রাসায়নিক যৌগ যা দেহের ভেতরের ভ্রূণের গঠনে বাধা প্রদান করে । তাই সন্তান সম্ভবা মেয়েদের সরিষার তেলে রান্না করা খাবার খেতে বারণ করা হয়।

পরিশেষে

উপরের আলোচনা থেকে আপনারা সরিষার তেলের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানতে পেরেছেন। তবে অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে যেন অতিরিক্ত সরিষার তেল ব্যবহার না হয়ে যায়।এতে শরীরের নানা জটিলতা দেখা দিতে পারে। এছাড়াও বাজারে নানা ধরনের ভেজাল তেলের ছড়াছড়ি ।

তাই খেয়াল রাখবেন যেন ভেজাল জিনিসের খপ্পরে না পড়েন।দেখে শুনে বুঝে নিবেন কোনটা খাঁটি সরিষার তেল।তা না হলে উপকারের বদলে আরো ক্ষতির সম্মুখীন হতে হবে।

বিঃদ্রঃ  এই ব্লগের প্রত্যেকটা ব্লগ পোস্ট Sylhetism ব্লগের নিজস্ব ডিজিটাল সম্পদ। কেউ ব্লগের কোন পোস্ট কিংবা আংশিক অংশ ব্লগের কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া কপি পেস্ট করে অন্য কোথাও প্রকাশ করলে ব্লগ কর্তৃপক্ষ ডিজিটাল সিকিউরিটি আইনে মামলা করার অধিকার রাখে। এবং অবশ্যই কপিরাইট ক্লাইম করে যে মাধ্যমে এই ব্লগের পোস্ট প্রকাশ করা হবে সেখানেও কমপ্লেইন করা হবে।

এই ব্লগের কোন লেখায় তথ্যগত কোন ভুল থাকলে আমাদের Contact পেইজে সরাসরি যোগাযোগ করুন, আমরা যত তাড়াতাড়ি সম্ভব তথ্য যাচাই করে লেখা আপডেট করে দিবো।

এই ব্লগের কোন স্বাস্থ বিষয়ক পোস্টের পরামর্শ নিজের বাস্তব জীবনে প্রয়োগ করার আগে অবশ্যই বিশেষজ্ঞদের মতামত নিবেন, আমরা স্বাস্থ বিষয়ে কোন বিশেষজ্ঞ না, আমাদের উদ্দেশ্য ও লক্ষ হচ্ছে সঠিক তথ্য পরিবেশন করা। সুতারাং কোন অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার দায়ভার অবশ্যই আমরা নিবো না।

ধন্যবাদ, ব্লগ কর্তৃপক্ষ।

Author

Leave a Comment

Scroll to Top