“ধূমপান স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর” কিংবা “ধূমপানে বিষপান” এমন নানা সতর্কবার্তা আমাদের সবারই জানা। মাঝে মাঝে মনে হয়, এই ধরণের সতর্কবাণীগুলো শুধু দেয়ার জন্যই দেয়া। এর বাইরে এগুলোকে আমরা থোরাই কেয়ার করি। এগুলো তো মামুলি বাক্য, যেখানে সিগারেটের গায়ে থাকা বীভৎস চিত্রগুলো আমাদের নজর এড়িয়ে যায়। নজর এড়িয়ে যায় কথাটা পুরোপুরি ঠিক না, নজরে পড়ে। কিন্তু আমরা তা এড়িয়ে যাই বা অভ্যস্ত হয়ে গেছি। সরকার ধুমপানকে নিরুৎসাহিত করতে সিগারেটের প্যাকেটের গায়ে এর অপকারিতার চিত্র বসানোর নির্দেশ দেয়।সরকারের এ সিদ্ধান্তে মনে হয়েছিল এবার হয়তো ধূপমান করা কিছুটা কমবে। কিন্তু সেটা কাজে আসলো না। ধূমপায়ীরা শুরুতে একটু ‘আনকমফোর্টেবল’ ফিল করলেও তা দিনে দিনে সয়ে গেছে। এছাড়া অনেকে তো আবার সিগারেট কেনার সাথে সাথেই প্যাকের গাঁ থেকে ছবির অংশটুকু তুলে ফেলতো। প্যাকের গায়ে কোন ছবিও নেই ভয়ও নেই। সুতরাং নিরাপদ এক প্যাকেট সিগারেট!
ধূমপান ও আমাদের সমাজ
বর্তমানে ধূমপান নিয়ে কিছু বলতে গেলে ধুমপায়ীদের কাছে ধরাশায়ী হতে হয়, তাচ্ছিল্যের শিকার হতে হয়, এ নিয়ে কিছু বলতে গেলে তো অনেকে তেড়ে আসেন। বর্তমান ফ্যাশনেবল আধুনিক সমাজে ধূমপান না করাটাই সবচেয়ে বড় অপরাধ হয়ে দাঁড়িয়েছে। সমাজের প্রায় প্রতিটা স্তরে ধূমপান যেন বাধ্যতামূলক। অথচ এর ক্ষতিকর দিকগুলো আমাদের সবারই জানা।
এ বিষয়ে সচেতন মানুষেরা এর ক্ষতিকর দিকগুলো সবার সামনে তুলে ধরছেন প্রতিনিয়তই। সমাজকে এ ব্যাধি থেকে মুক্ত করতে চেষ্টা করছেন। কিন্তু তারপরেও কোথাও যেন তারা ঠিকঠাক মতো পেরে ওঠছেন না। ফলে সময়ের সাথে পাল্লা দিয়ে ধূমপায়ীরা দলে ভারী হচ্ছে! সরকারের এতো উদ্যোগ, সচেতন মানুষদের, বিভিন্ন সংগঠনের এতো এতো কার্যক্রমের মধ্যেও ধূমপানকারীর সংখ্যা কেন এতো বাড়ছে?

আমরা স্বভাববতই ছোট ছোট বিষয়গুলো্ এড়িয়ে যাই। তুলনামূলক বড় বিষয়গুলো নিয়ে পড়ে থাকি। ফলে এই ছোট ছোট বিষয়গুলোই, বিন্দু বিন্দু জলকণার মতো বিশাল জলরাশি সৃষ্টি করে। ঠিক এমনই হচ্ছে ধুমপানের ক্ষেত্রে। ধূমপানের অনুপ্রেরণা যোগায় এমন কিছু ছোট ছোট বিষয় রয়েছে যা আমরা এড়িয়ে যাই।
ধুমপান নিয়ে সমাজে সবচেয়ে বড় আতঙ্ক হলো কিশোরদের ধূমপানে আসক্ত হওয়া। কারণ যে কোন নেশার জগতের প্রবেশদ্বার হলো এই ধূমপান। শিশু-কিশোরা কৌতূহল, সঙ্গদোষ, পারিবারিক বা সামাজিক অসচেতনতার কারণে খুব সহজেই ধূমপানে আসক্ত হয়। শিশু কিশোরদের বাইরে বড়দের ধূমপান করাও সমাজের জন্য ভালো কিছু বয়ে আনে না।মোটকথা কারোরই ধূমপান করা উচিত না।
আরো পড়ুনঃ ওজন কমানোর সাইন্টেফিক উপায়
ধূমপানের কারণ ও আসক্তি
শিশু-কিশোরদের ধূমপানে আসক্ত হবার অন্যতম মারাত্মক একটি কারণ হলো তাদের বাহক বানানো। আমাদের সমাজে বাহকের চিত্রটি খুব সাধারণ। ছোটদের হাতে বড়রা টাকা দিয়ে বলে, ‘এই যা সিগারেট নিয়ে আয়’। অথচ ভেবে দেখি না নিয়মিত সিগারেট বহন করার ফলে এটি তাদের উপর কি রকম প্রভাব ফেলে। ছোটদের যেকোন বিষয়ে কৌতুহূল বেশি। তারা “কি, কেন, কিভাবে” এই সবের উত্তর খুঁজে ফিরে। সিগারেটের ক্ষেত্রেও সেটার ব্যতিক্রম নয়। একটা ছেলে যদি নিয়মিত তার বাবা, ভাই, চাচা, প্রতিবেশির জন্য সিগারেট বহন করে তখন এটার প্রতি তার কৌতূল বাড়বে এটাই স্বাভাবিক। ফলে দেখা যায়, একদিন সাহস করে একটা সিগারেট কিনে নিজেই তার কৌতূহল মেটানোর চেষ্টা করে। একদিন সেই চেষ্টাই অভ্যাসে পরিণত হয়। অভ্যাসের দাস হয়ে সে মারত্মক ভাবে সিগারেটে আসক্ত হয়ে পড়ে। ফলে বিভিন্ন ভাবে টাকা জমিয়ে দোকান থেকে সিগারেট কিনে। এর সাথে ওতপ্রাত ভাবে জড়িত আর একটি কারণ হলো ছোটদের কাছে সিগারেট বিক্রি করা। এই কথাটা শুনে অনেকেই বলবেন ‘ শিশুদের কাছে সিগারেট বিক্রি করলে দোষটা কোথায়’ দোষটা হলো উপরে যা লেখা আছে সেটাই। যদি নিয়ম করা হয় যে, “নির্দিষ্ট বয়সের নিচের কারো কাছে সিগারেট বা তামাক জাতীয় কিছু বিক্রি করা যাবে না” এর উপকারিতা একটু ভেবে দেখতে পারেন।

সিগারেটের সহজলভ্যতা ধূমপান বৃদ্ধির জন্য অনেকাংশে দায়ী। ধুমাপান জাতীয় বিভিন্ন দ্রব্য এতোটাই সহজলভ্য যে, ২০১৬ সালে বাংলাদেশে জন ‘হপকিন্স ইউনিভার্সিটি’ কর্তৃক ঢাকার ১১০টি প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ওপর পরিচালিত গবেষণায় বিদ্যালয়ের ১০০ মিটারের মধ্যে ৫৯১টি তামাক পণ্যের খুচরা বিক্রয়কেন্দ্র পাওয়া গেছে। এটা ছিল পাঁচ বছর আগের খবর। বর্তমানে এ সংখ্যাটা বাড়ছে বই কমছে না। এছাড়া অলিতে গলিতে থাকা প্রায় প্রতিটা দোকানে তামাক জাতীয় পন্য পাওয়া যায়। ব্যাপারটা এমন যে, যে দোকানে সিগারেট থাকে না সে দোকানে বেশি বিক্রি হয় না। সুতরাং দোকানের বিক্রি বাড়ানোর জন্যে হলেও দোকানদাররা তামাক জাতীয় দ্রব্য বিক্রি করেন।
পর্দায় ধূমপান
এছাড়াও আমরা অবসর যাপন, বিনোদনের জন্য সিনেমা দেখি, নাটক দেখি। দেখার সময় তা খুব মনোযোগ দিয়ে দেখি। কারণ মনোযোগ ছাড়া দেখলে সেটা উপভোগ করতে পারবো না। সিনেমা চলাকালে দেখা যায়, অভিনেতা পরম তৃপ্তির সাথে ধূমপান করছেন। মিনিটে মিনিটে সিগারেটের পর সিগারেট জ্বালিয়ে শেষ করছেন। ধুমপানকে এমন ভাবে উপস্থাপন করা হচ্ছে যাতে করে মনে হয় ‘ধূমপানের মতো তৃপ্তির কোন কিছুই নেই’। কিছু দৃশ্য তো হরহামেশাই দেখা যায়, অভিনেতা ডিপ্রেশনে ভোগে, ব্যর্থ হয়ে, নিজের ক্ষোভ, যন্ত্রণা লাঘব করতে ধূমপান কিংবা মদ্যপান করে থাকে। এর ফলে খণিকের জন্য হলেও আমাদের মনে হয়, ‘ধূমপান করলেই সব যন্ত্রণা, বিষাদ থেকে অব্যাহতি পাওয়া যায়’। ব্যস এর পরেই আমরা ছুটে যাই দোকানে দোকানে।
সাহিত্যে ধূমপান
“মাজহার সাহেব একটি প্রাইভেট কোম্পানিতে চাকরি করেন। রাগী প্রকৃতির লোক। নিজের পছন্দের বাইরে কিছু সহ্য করতে পারেন না। অল্পতেই উত্তেজিত হয়ে পড়ার প্রবণতাও রয়েছে। আর সিগারেটের প্রতি আসক্তি অস্তিমজ্জায় শাণিত। রোজ অফিস থেকে ফিরে বারান্দায় দাঁড়িয়ে, জ্বলন্ত সিগারেট হাতে নিয়ে প্রাণহীন অথচ প্রাণে পরিপূর্ণ ব্যস্ত শহর দেখেন। সিগারেটের ধোয়ার সাথে সারাদিনে ক্লন্তি দূর করে যান ফ্রেশ হতে।”-লেখক। সিগারেট নিয়ে এই ধরণের বা এর থেকেও আকর্ষণীয় লাইন আমরা নানা গল্প বা উপন্যাসে দেখে থাকি। গল্প উপন্যাসে সিনেমার থেকেও ভালো ভাবে চিত্রায়ন করা হয়ে থাকে। যার কারণে পাঠকরা সিগারেট বা তামাকের প্রতি কিছুটা হলেও আসক্তি হয়। আপনি নিয়মিত বই পড়েন। বার বার ধূমপানের বিষয়গুলো আপনার সামনে নাটকীয় ভাবে চিত্রায়ণ করা হয়। এক্ষেত্রে এর প্রতি মোহ জাগাটা অস্বাভাবিক নয়। অনেকের কাছে হয়তো এগুলো সাহিত্যের অবিচ্ছেদ্য অংশ, কিন্তু এগুলোর মাত্রাতিরিক্ত ব্যবহারের কারণে আমরা ধূমপানের মতো বাজে অভ্যাসে অভ্যস্ত হয়ে যেতে পারি।
তামাকের ক্ষতিকর দিক, যেভাবে তামক ক্ষতি করে জানতে ভিডিওটি দেখতে পারেন।
এখন তাই বলে কি সিনেমায় সিগারেটের দৃশ্যে দেখানো যাবে না? বইয়ের পাতায় সিগারেটের পাতায় সিগারেটের বর্ণনা দেয়া যাবে না? এগুলোতে আমরা অভ্যস্ত হয়ে পড়েছি। তাই এগুলো ছাড়া বই কিংবা সিনেমা কিছুতেই আমরা উপভোগ করার সেই ফিল বা উত্তেজনা আমরা পাবো না। তাই এগুলো বন্ধ করা যাবে না। কিন্তু নির্মাতা ও লেখকরা একটু সতর্ক হলেই এই সমস্যার সমধান করা যাবে। এমনিতেও সিনেমায় ধূমপান বা মদ্যপানের দৃশ্যে সতর্ক বার্তা দেয়া থাকে। কিন্তু সেগুলো যথেষ্ট না। তাদের উচিত সিনেমার দৃশ্যে ধূমপানকে এমন ভাবে উপস্থাপন করা যাতে এর প্রভাব দর্শকদের উপর না পড়ে। যাতে তারা উৎসাহিত না হয। বইয়ের লেখকদের বেলায়ও একই কথা। ধূমপানকে উৎসাহিত করে এমন লেখা না লেখা। লেখলেও এর পরিণিতিটাও জুড়ে দেওয়া।
নারীদের ধূমপান
আরো একটি বিষফোঁড়া হলো নারীদের ধূমপান করা। একজন নারী যখন জনসম্মূখে ধূমপান করে তবে সেটা আরো একজন নারীকে ধূমপানে উদ্ভুদ্ধ করে। মনে করুন আপনি রাস্তা দিয়ে যাচ্ছেন। এমন সময় দেখলেন একটি মেযে চায়ের দোকানে বসে ধূমপান করছে। ব্যাপারটা কেমন লাগবে? ধূমপান বিষয়টা নারী কিংবা পুরুষ সবার জন্যই ক্ষতিকর। যদি অধিকারের কথা বলি তবে নারী কিংবা পুরুষ সবারই তা গ্রহণের অধিকার রয়েছে। এমন কোন সংবিধান নেই, যাতে বলা নারীরা ধূমপান করতে পারবে না। তবে যদি নারী লোক দেখানো, আধুনিকতার ছাপ দেখানোর জন্য কিংবা “সো কল্ড ম্যাচিউরিটি” প্রকাশ করার জন্য ধূমপান করে সেটা কখনোই কোন সুন্দর দৃশ্য হতে পারে না। এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, বিশ্বে নারীদের ধূমপানের দিক দিয়ে বাংলাদেশ প্রথম এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের ধূমপায়ীদের ২৪ শতাংশই নারী! ধর্মীয় হোক আর সামাজিক হোক, নারীদের মর্যাদা পুরুষের উপরে। তাদের নিজস্ব একটা সত্ত্বা রয়েছে। এখন নারী যদি সে আধুনিকতার নামে নিজেকে মর্যাদার আসন থেকে মাটিতে ফেলে সেটা নারীদের জন্য তো বটেই সমাজের জন্যেও লজ্জাজনক।
আপাতদৃষ্টিতে মনে না হলেও এই ছোট ছোট কারণগুলো অনেকাংশে আমাদের সমাজে ধূমপানকে উৎসাহিত করছে। এগুলো যে ধূমপানে উৎসাহ যোগাতে পারে সেদিকে আমাদের কোন ভ্রুক্ষেপ নেই। এই কারণগুলো ক্রমে ক্রমেই আমাদের সমাজের সাথে মিশে যাচ্ছে। যাতে করে এগুলোতে আমরা অভ্যস্ত হয়ে পড়ছি। এগুলো আমাদের অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে যাচ্ছে।
ধূমপান বরাবরের মতোই একটি বাজে অভ্যাস। আমাদের অভ্যাসের দাস বানানোর জন্য উপরের কারণগুলো আমাদের উপর অনেক নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। যেগুলো আমরা এড়িয়ে যাই। ধূমপানের ফলে আমাদের সমাজের নতুন প্রজন্ম হুমকির মুখে। বিশেষ করে কিশোররা।
আরো পড়ুনঃ মেছতা কি? মেছতা কেন হয়? জেনে নিন মেছতা দূর করার উপায়।
ধূমপানের ক্ষতিকর দিক
এক এই ধূমপানের কারণেই আমরা নানা ধরণের সমস্যার সম্মূখীন হই। সামাজিক, অর্থনৈতিক, পারিবারিক নানা সমস্যা হয় এর কারণে। কিশোরদের কোন অপরাধে যুক্ত হবার প্রথম পর্যায় ধূমপান করা। লুকিয়ে লুকিয়ে ধূমপান করা, বাসা থেকে না বলে কয়ে টাকা নিয়ে সিগারেট বা অন্যান্য ধূমপানের উপকরণ কেনা তাদের আস্তে আস্তে বড় অপরাধ করার দিকে ঠেলে দেয়। এছাড়া শারিরীক নানা সমস্যা তো রয়েছেই। ধূমপান আমাদের শরীরের প্রায় প্রতিটা কার্য়ক্রমে ব্যঘাত ঘটায়। ধূমপায়ীরা বিভিন্ন সময়ে নানা ধরণের রোগে আক্রান্ত হয়ে থাকে। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়। ধূমপানের ক্ষতিকর দিকগুলো বলে শেষ করা যাবে না। ধূমপান শুধু ধূমপায়ীর জন্য ক্ষতিকর তা নয় পরোক্ষ ধূমপান অধূমপায়ীদের উপর মারত্মক প্রভাব ফেলে।
টোব্যাকো এটলাস ২০১৮ অনুযায়ী, তামাকজনিত বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে বাংলাদেশে প্রতি বছর এক লাখ ৬১ হাজারের বেশি মানুষ মৃত্যুবরণ করে। ধূমপানের কারণে বাংলাদেশে ১২ লক্ষাধিক মানুষ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হন। এর মধ্যে ৩ লাখ ৮২ হাজার মানুষ অকাল পঙ্গুত্বের শিকার হন। তামাকজনিত রোগব্যাধি ও অকাল মৃত্যুর কারণে বাংলাদেশে প্রতি বছর ৩০ হাজার ৫৭০ কোটি টাকার আর্থিক ক্ষতি হয়, যা ২০১৭-১৮ অর্থবছরে জাতীয় আয়ের ১.৪ শতাংশ।
“The Economic Cost of Tobacco Users in Bangladesh: A Health Cost Approach” শিরোনামে ২০১৮ সালের এক গবেষণায় বলা হয়েছে, বর্তমানে দেশে ১৫ লাখের অধিক প্রাপ্তবয়স্ক নারী ও পুরুষ তামাক সেবনের কারণে এবং ৬১ হাজারের অধিক শিশু পরোক্ষ ধূমপানের প্রভাবে প্রাণঘাতী বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত। এছাড়াও, তামাকজনিত রোগব্যাধি ও অকাল মৃত্যুর কারণে বাংলাদেশে প্রতি বছর ৩০ হাজার ৫৭০ কোটি টাকা আর্থিক ক্ষতি হয়, যা ২০১৭-১৮ অর্থবছরে জাতীয় আয়ের ১.৪ শতাংশ।
শেষ কথা
‘ধুমপান করলে মানসিক ভাবে তৃপ্তি পাওয়া যায়’ এই কথাটা খুব শোনা যায়। এটা কিছুটা সত্য, ধূমপান করলে আমাদের ব্রেন কিছুটা রিফ্রেশ হয়। আমরা কোন কাজে মনোনিবেশ করতে পারি, দীর্ঘ সময়ে কাজ করার মানসিক শক্তি পাই। কিন্তু এগুলো সাময়িক। উল্টো হিতে বিপরীত হয়। একটা পর্যায়ে দেখা যায় আমরা একটু অবসাগ্রস্থ হলেই ধূমপান করার জন্য ছুটে যাই। এটি নেশা হয়ে যায়। কিন্তু আমাদের এই নেশা থেকে বেরিয়ে আসা দরকার। তার জন্য উপরের ছোট ছোট কারণ ছাড়াও অন্যান্য বিভিন্ন বিষয়ে আমাদের নজর দেয়া দরকার। সামাজিক ভাবে বিভিন্ন কর্যক্রম করা। সব মাধ্যমে ধূমপানের কুফল প্রচার করে একে নিরুৎসাহিত করা।