Last Updated on 7th April 2024 by Mijanur Rahman
ফ্রিল্যান্সিং কিংবা আউটসোর্সিং আপনি যে নামেই ডাকেন না কেন জিনিষ দুইটা খুব কাছাকাছির। কেউ একে বলে আউটসোর্সিং কেউ আবার বলে ফ্রিল্যান্সিং। সে যাই হোক, আজকে আমরা বিস্তারিতভাবে জানবো বর্তমানের হট কেক, কিংবা বাজ ওয়ার্ড আউটসোর্সিং সম্পর্কে। এই লেখাতে আমি স্টেপ বাই স্টেপ গাইডলাইন দিয়ে দিবো কিভাবে আপনি হয়ে উঠবেন একজন প্রফেশনাল আউটসোর্সার। তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক আউটসোর্সিং কি? আউটসোর্সিং শেখার উপায় কি।
আউটসোর্সিং কি
আউটসোর্সিং হল এমন একটা প্রক্রিয়া যেভাবে কোন একটি কম্পানি তাদের নির্দিষ্ট কর্মী ছাড়া বাহির থেকে সল্পমেয়াদে কিংবা দীর্ঘমেয়াদে চুক্তিভিত্তিক কর্মী নিয়োগ দিয়ে থাকে। যার ফলে কম্পানি কিংবা আউটসোর্সারদের উভয়েরই লাভ হয়। যাকে আমরা বলি উইন উইন সিচুয়েশন। এ বিষয়ে পরে এই আর্টিকেলে আরো আলোচনা করা হবে।
আরো সহজ করে বলে, আউটসোর্সিং হল কম্পানির বাহির থেকে নির্দিষ্ট দক্ষতা অনুযায়ী চুক্তিভিত্তিক লোক কিংবা অন্য কোন কম্পানিকে নিয়োগ দেওয়া। ১৯৮০ সালের পর থেকে আউটসোর্সিং ধারণাটি ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হতে শুরু করে। Outsourcing ধারণাটি মুলত Outside Resourcing থেকে এসেছে। শব্দটির দিকে খিয়াল করলে সহজেই বুঝা যায় Outsourcing হল বাহিরে সম্পদের খোঁজ করা। এখানে সম্পদ বলতে মানব সম্পদ কিংবা কর্মীকে বুঝানো হয়েছে।
আউটসোর্সিং এর ইতিহাস বা ধারণা
আউটসোর্সিং এর ইতিহাস খুব একটা দীর্ঘ নয়, দ্বিতীয় বিশ্ব যুদ্ধের পর থেকে এই ধারণাটি প্রতিষ্ঠিত হতে শুরু করে। ১৯৮০-১৯৯০ সালের দিকে ইন্টারনেট জনপ্রিয় হওয়ার সাথে সাথে আউটসোর্সিং বেশি পরিচিতি লাভ করে। তার পিছনের অন্যতম কারণ হল সস্তায় জনবল নিয়োগ দেওয়া।
আগেই বলা হয়েছে আউটসোর্সিং হল কম্পানির বাহির থেকে কোন লোককে চুক্তির মাধ্যমে নিয়োগ দেওয়া। যার ফলে ইউরোপ কিংবা আমেরিকার কোন কম্পানি আমাদের এশিয়া কিংবা আফ্রিকা থেকে কোন প্রতিষ্ঠান কিংবা ব্যাক্তিকে নিয়োগ দিতে পারে।
ফলে সেসব বিদেশি কম্পানি কম টাকায় আউটসোর্সাদের দিয়ে কাজ করিয়ে নিতে পারে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের অর্থনৈতিক ব্যবস্থা ভিন্ন ভিন্ন হওয়ার ফলে শ্রমের মূল্যও ভিন্ন ভিন্ন হয়ে থাকে। যার ফলে একজন আমেরিকান কর্মী যে কাজ ১০০ ডলার বা ৮৫০০ টাকায় করে, সেই কাজ আমরা বাংলাদেশিরা মাত্র ১৫-২০ ডলারে করে দিতে পারি। ফলে কম্পানির অনেক টাকা সাশ্রয় হয় সেই সাথে আউটসোর্সাদেরও দেশে বসে দেশ থেকে বেশি টাকা আয় হয়।
আউটসোর্সিং এর সুবিধা
আউটসোর্সিং এর সবচেয়ে বড় সুবিধা হল এটি একটি স্বাধীন পেশা, যখন ইচ্ছা কাজ করা যায়। তাছাড়া রয়েছে আরো অনেক সুবিধা। তা নিচে আলোচনা করা হল।
- স্বাধীনতাঃ আউটসোর্সিং এ রয়েছে অবাধ স্বাধীনতা। আপনি আপনার কাজ যখন খুশি তখন করতে পারবেন, যা আমাদের ট্রেডিশনাল চাকুরীতে বা কর্পোরেট চাকুরীতে কোনদিন সম্ভব না।
- ভালো বেতনঃ আউটসোর্সিং এর মাধ্যমে আপনি যেকোন বাংলাদেশি সরকারি বা বেসরকারি কম্পানির চাইতে বেশি বেতন পাবেন। কারণ এই বেতনটা আপনি বাংলাদেশি টাকার হিসাবে পাচ্ছেন না। পাচ্ছেন নিয়োগ কর্তার দেশের হিসাবে। গত তিন বছর ধরে আমি নিজে একজন আউটসোর্সোর বা ফ্রিল্যান্সার হিসাবে মাসে আলহামদুলিল্লাহ বাংলাদেশি টাকায় ৬ অংকের বেশি বেতন পাচ্ছি।
- সময়ের স্বাধীনতাঃ আউটসোর্সিং এর আরেকটি সুবিদা হল আপনি আপনার ইচ্ছা অনুযায়ী সময় নির্দারণ করতে পারবেন। নিয়োগকর্তারা সাধারণত এই সুবিধাটা দিয়ে থাকে। যেমন আমি গত ১ বছর একটা (SEO) এসিও এঞ্জেসিতে কাজ করেছি, তারা আমাকে কাজের সময় আমার সুবিধা অনুযায়ী দিয়েছে। ত আমি আমার সুবিধা অনুযায়ী দুপুর ৪টা থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত নিয়েছিলাম।
- অভিজ্ঞতা অনুযায়ী কাজের সুবিধাঃ এই পেশার মধ্যে আপনি আপনার নিজের স্কিল অনুযায়ী কাজ করতে পারবেন। ধরুন আপনি শিখেছেন ভিডিও এডিটিং, ত আপনি শুধু ভিডিও এডিটিং নিয়ে কাজ করতে পারবেন। ইউরোপ আমেরিকার রয়েছে বিশ্বের সবচেয়ে বেশি ভিডিও প্রডাকশন কিংবা বড় বড় ইউটিউবারস। ত আপনে যদি ভিডিও এডিটিং এ ভালো পারদর্শী হয়ে থাকেন এবং সুন্দর করে একটি পোর্টপলিও সাজিয়ে রাখেন, তাহলে খুব সহজেই কাজ পেয়ে যাবেন।
- পেশাদার মানুষের সাথে কাজের সুযোগঃ এই পেশাতে আপনি পাবেন আরো অনেক পেশাদার মানুষকে, যাদের সংস্পর্শে থাকলে আপনি খুব সহজেই একজন পেশাদার মানুষ হয়ে যাবেন। হাইকোয়ালিফাইড একজন মানুষ যখন আপনাকে প্রতিনিয়ত গাইড দিবে তখন আপনার আর খারাপ হওয়ার সুযোগ থাকে না।
- ছাত্রাবস্থায় কাজের সুযোগঃ এই পেশটা সবচেয়ে বেশি উপযোগী একজন ছাত্রের জন্য। কারণ আউটসোর্সিং এর কাজ পার্ট টাইম, বা আওয়ারলি বেসিসে করা যায়। যার ফলে আপনি যদি কোন কাজ শেখেন তখন সেই কাজটা পার্ট টাইম হিসাবে নিয়ে নিতে পারেন।
- কোন ধরনের সার্টিফিকেটের দরকার হয় নাঃ সবচেয়ে মজার বিষয় হল আপনি একজন আউটসোর্সার হতে হয়ে আপনার কোন ধরনের প্রাতিষ্ঠানিক সার্টিফিকেটের দরকার হবে না। সার্টিফিকেট ছাড়াই কাজ পাবেন। আমার নিজেকে নিয়ে আমি উদাহারণ দিচ্ছি, আমি কোন ডিগ্রী অর্জন করতে পারি নাই, তবে আমি আমেরিকা বেইজড কম্পানিতে ফুল টাইমার হিসাবে কাজ করতেছি। তারা কখনো আমার সার্টিফিকেট খোজে নাই। শুধু দেখেছে আমি কাজটা পারি কি না, দ্যাটস ইট। সবার আগে আপনাকে কাজ জানতে হবে। কাজ জানলে, কাজ আপনাকে খোজতে হবে না। কাজে আপনাকে খোজবে।
- ঘরে বসে কাজঃ এছাড়া আউটসোর্সিং আপনি ঘরে বসে করতে পারবেন, সেজন্য আপনাকে অফিস কিংবা দোকানে দৌড়াতে হবে না। যাকে বলে রিমোট জব, বা ওয়ার্ক ফ্রম হোম। এই করোণা মহামারি জিনিষটাকে আরো সহজ করে দিয়েছে। তৈরি হচ্ছে লক্ষ লক্ষ রিমোট জব।
- পরিবারকে কাছে পাওয়াঃ আমরা দেখেছি আমাদের আগের প্রজন্মের মানুষরা কাজের সন্ধানে গিয়েছে বিদেশ, দেশের বাহিরে পরিবার, বাচ্চা কাচ্চা রেখে থাকা অনেক কষ্টের। যারা নিজের মা বাপ, ছেলে মেয়ে ছাড়া বিদেশে থাকে শুধু তারাই বুঝে। ত আউটসোর্সিং আপনাকে দিচ্ছে সেই সুবিধা, কাজ করার জন্যে আপনাকে ঘরের বাহিরে পা দিতে হবে না।
এছাড়াও আউটসোর্সিং এ রয়েছে আরো নানান সুবিধা, আরো বিস্তারিত ভাবে জানতে আমাদের এই আর্টিকেলটি দেখতে পারেন ফ্রিল্যান্সিং কি? মার্কেটপ্লেস, কাজ পাওয়ার উপায়।
আউটসোর্সিং অসুবিধা
প্রত্যেকটা জিনিষের ই কিছু সুবিধা অসুবিধা থাকে, তেমনি আউটসোর্সিং এ রয়েছে কিছু অসুবিধা, তারমধ্যে যেগুলো গুরুত্বপূর্ণ সেগুলো আমি এখানে তুলে ধরছি।
- প্রতিযোগিতাঃ বর্তমানে আউটসোর্সিং করাটা মোটামুটি কষ্টসাধ্য, কারণ এখন ইন্টারনেটের বিকাশের ফলে দুনিয়ার সবাই মোটামুটি আউটসোর্সিং সম্পর্কে জানে। তাই কাজ পাওয়ার জন্যে বিশ্বের সকল দেশের মানুষের সাথে প্রতিযোগিতা করতে হয়। ২০০৫-২০০৮ সালের দিকে আউটসোর্সিং যতটা সহজ ছিলো বর্তমানে তারচেয়ে অনেক কঠিন হয়ে দাড়াচ্ছে। তবে আশার কথা হল, যদি আপনার ভালো স্কিল থাকে, বা ভালো অভিজ্ঞতা থাকে তাহলে যত প্রতিযোগিতা ই হোক না কেনো আপনি টিকে থাকতে পারবেন।
- কাজ না পাওয়াঃ সবচেয়ে বড় অসুবিধা হচ্ছে কাজ না পাওয়া, ত আগেই বলেছি আউটসোর্সিংটা মোটামুটি এখন প্রতিযোগিতায় ভরপুর, তাই আমরা যত আগ্রহ নিয়ে আগাই কাজ না পেয়ে তারচেয়ে বেশি ডিমোটিভেটেড হয়ে যাই। কাজ না পাওয়ার পেছনের অন্যতম কারণ হচ্ছে অদক্ষতা। ভালো ইংরেজী না জানা, হতাশ হয়ে যাওয়া ইত্যাদি।
- মাথা ব্যথাঃ বেশি সময় ধরে কম্পিউটারের দিকে তাকিয়ে কাজ করার ফলে কম্পিউটার স্কিনের অতি বেগুনী রশ্মি মাথা ব্যাথার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। আবার অনেকে চোখে ঝাপসা দেখতে শুরু করে, কারো চোখ দিয়ে পানি পড়ে।
- ভুয়া নিয়োগকারীঃ আউটসোর্সিং করতে যেয়ে নতুনরা প্রথমেই যে সমস্যার সম্মুখীন হয় তা হল ভুয়া নিয়োগকারীর খপ্পরে পড়া। তারা আপনাকে কাজ দেওয়ার বাহানা করে উলটো টাকা হাতানোর চেষ্টা করে। তাই আপনাকে প্রথমে কাজের মার্কেটপ্লেস সম্পর্কে জানতে হবে।
- খারাপ রিভিউঃ আপনি কোন কাজ পাওয়ার পর কাজ শেষ হলে নিয়োগকর্তা আপনাকে রিভিউ দিতে পারবে। আপনিও নিয়োগকর্তা বা ক্লাইন্টকে রিভিউ দিতে পারবেন। ত প্রথম অবস্থায় খারাপ রিভিউ পেলে পর্বর্তীতে কোন নিয়োগকর্তা আপনাকে হায়ার করতে চাইবেনা। এই খারাপ রিভিউর ফলে অনেকের ক্যারিয়ার শুরু হতে না হতেই শেষ হয়ে যায়।
- মার্কেটপ্লেসের ফিঃ প্রত্যেকটা আউটসোর্সিং মার্কেটপ্লেস আপনার কাছ থেকে একটা ফি কাটবে। আপনি যদি ১০০ ডলার উপার্জন করেন সেখান থেকে তারা সাধারণত ২০% বা ২০ ডলার ফি কেটে নেবে। যা আমার কাছে একটা বিরাট সমস্যা মনে হয়। তাই সবচেয়ে ভালো মার্কেটপ্লেসের বাহিরে ক্লাইন্ট খোঁজে বের করা, যেখানে আপনাকে কোন চার্জ দিতে হবে না।
এছাড়াও আরো কিছু অসুবিধা রয়েছে, সব লেখতে গেলে আর্টিকেলটি অনেক বড় হয়ে যাবে। তবে আমি যেগুলো উল্লেখযোগ্য সেগুলো তুলে ধরেছি।
প্রয়োজনীয় জিনিষ
আউটসোর্সিং করতে আপনার কিছু জিনিষের প্রয়োজন হবে, যেগুলো না হলে না পারবেন কাজ করতে, না পারবেন কাজ শিখতে। তাহলে চলুন দেখে নেই আউটসোর্সিং করতে কি কি জিনিষ লাগবে।
কম্পিউটার
আউটসোর্সিং এর জন্যে আপনার সর্বপ্রথম লাগবে একটি ভালো কম্পিউটার বা ল্যাপটপ, কম্পিউটার ছাড়া আউটসোর্সিং করা সম্ভব না। তাই ভালো কম্পানির কম্পিউটার যাদের হার্ডওয়্যার সম্পর্কে ভালো সুনাম রয়েছে (যেমন এইচ পি, ডেল, এপল ইত্যাদি) সেসব কম্পিউটার কিনবেন। কারণ স্লো কম্পিউটার দিয়ে কাজ করা মুশকিল। তাই দরকার ভালো মানের একটি কম্পিউটার। এই জায়গায় আপনাকে কিছু টাকা ইনভেস্ট করতে হবে।
ইন্টারনেট কানেকশন
দ্বিতীয়ত যে জিনিষটা লাগবে তা হল ভালো ইন্টারনেট কানেকশন বা ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সংযোগ। ভালো স্পিডের ইন্টারনেট ছাড়া আউটসোর্সিং করা প্রায় অসম্ভব।
ভালো ইংরেজী জ্ঞান
আউটসোর্সিং করতে হলে আপনাকে অবশ্যই ইংরেজিতে দক্ষ হতে হবে। কারণ নিয়োগকর্তা যে দেশের ই হোক না কেনো সে আপনার সাথে ইংরেজিতে যোগাযোগ করবে। তাই ইংরেজী আপনাকে অবশ্যই জানতে হবে।
সময়ানুবর্তিতা (Punctuality)
আউটসোর্সিং করতে হলে আরো একটি গুরুত্বপূর্ণ জিনিষ দরকার, সেটা হলো সময়জ্ঞান, আপনাকে প্রত্যেকটা কাজের ডেডলাইন মানতে হবে। ক্লাইন্টের কাছ থেকে কাজ পাওয়ার পর যে সময় দিবে, সেই সময়ের আগে কাজ জমা দেওয়ার মন মানসিকতা থাকতে হবে। যদি দেরী করেন তাহলে আপনার সম্পর্কে নিয়োগকারীর নেগেটিভ ধারণা জন্ম নিবে। তাই পর্বতীতে কাজ দিতে হলে অনেক ভেবেচিন্তে দিবে। আবার যদি কাজ সময়ের আগে জমা দেন তাহলে তারা আপনাকে একজন আগ্রহী কর্মী হিসাবে গণনা করবে, পর্বতীতে কাজ পেতে অনেক সহজ হবে।
পারদর্শিতা
সবশেষে আউটসোর্সিং করতে আপনার দরকার কোন কাজে পারদর্শী হওয়া। সহজভাবে বললে কোন একটি কাজ ভালোভাবে শিখা। আপনি যদি কোন কাজ জানেন তাহলে যতই প্রতিযোগিতা কিংবা বৈরি পরিবেশ হোক না কেন, আপনি কোন না কোন কাজ পাবেন। গুণীদের কদর সবাই করে। তাই আউটসোর্সিং করতে হলে কাজে লাগার আগে কোন একটি কাজ ভালোভাবে শিখে নিবেন।
আউটসোর্সিং কাজ
এবার আসুন দেখে নেই আউটসোর্সিং এ সাধারণত কি কি কাজ থাকে। আউটসোর্সিং এর পরিধি ব্যপক, বর্তমানে কম্পিউটার দিয়ে করা যায় এমন সব কাজ ই আউটসোর্সিং এর আওতায় পরে। প্রত্যেকটা কাজের ক্ষেত্র আলাদা, এবং এদের রয়েছে ৩০/৫০টা সাব ক্যাটাগরি। আপনি যদি যেকোন একটি ক্যাটাগরির বা সাব ক্যাটাগরির কাজ শিখেন তাহলে আপনার আর কিছুই জানতে হবে না। একটি কাজ দিয়ে আপনি অনায়েসেই চালিয়ে যেতে পারবেন। চলেন দেখে নেই কাজের ক্ষেত্রগুলি।
ডেভেলপমেন্ট ও আইটি জব
এই সেক্টরে রয়েছে অন্তত ৫০টা সাব ক্যাটাগরি, যেকোন একটা কাজ ভালোভাবে শিখলেই আপনি আউটসোর্সিং করতে পারবেন। কাজগুলি হলঃ
- Android App Developer
- Android Studio
- Apple Xcode Specialist
- Amazon EC2 Specialist
- ASP.NET Developer
- Apache Spark Specialist
- Alexa Skill Kit Specialist
- ArcGIS Developer
- AWS Developer
- API Developer
- App Store Specialist
- Amazon Webstore Specialist
- Artificial Intelligence Engineer
- Airtable
- Blockchain Developer
- Bot Developer
- Babylon.js
- BigQuery Developer
- Chatbot Developer
- CSS Developer
- Cloud Computing Specialist
- Chrome Extension Developer
- C# Developers & Programmer
- C++ Programmers & Developer
- Computer Vision Engineer
- Data Visualization Specialist
- Data Scientist
- Delphi Developer
- Database Designer
- Elementor Freelancer
- Front-End Developer
- Google Apps Script
- HTML Developer
- Mobile App Design
- MQL 4 Specialist
- Magento Developer
- SQL Developer
- Software QA Tester
- Shopify Developer
এছাড়া রয়েছে আরো শত শত ডেভেলপমেন্ট ও আইটি কাজ, সব লেখতে গেলে এই আর্টিকেলটি অনেক বড় হয়ে যাবে, আমি বেশি জনপ্রিয় কাজ গুলি তুলে ধরছি।
ডিজাইন এন্ড ক্রিয়েটিভ
এই সেক্টরেও রয়েছে শত শত সাব ক্যাটাগরি, শুধু ডিজাইন জাতীয় কাজ শিখে আপনি আপনার ক্যারিয়ার বিল্ড করতে পারবেন। চলুন দেখে নেই কাজগুলি কি কি।
- Visual Design
- 3D Visualizations
- Arts jobs
- Reaper
- PowerPoint Expert
- Podcasting Specialist
- Typesetter
- Packaging Designer
- Catalog Freelancer
- Social Media Design, Book Designer
- Adobe After Effects Specialist
- Business Presentation
- Animator
- Album Cover Designer
- Logo Animation Designer
- Book Cover Designer
- ePub Specialist
- Illustrator jobs
- VFX Animation Specialist jobs
- Vector Illustration Freelancer jobs
- Graphic Designer (রিলেটেড আর্টিকেলঃ গ্রাফিক্স ডিজাইন কি? কিভাবে গ্রাফিক্স ডিজাইন শিখবেন?)
- Resume Design
- Portrait Painter
- Voice Recording
- 2D Game Art
ফিনান্স এবং একাউন্টিংঃ
- Financial Modeler
- QuickBooks Consultant
- Stock Management Specialist
- Xero Specialist
- Bookkeeper
- Accountant
- Financial Analyst
- Real Estate Acquisition
- Certified Public Accountant
- Tax Preparer
- Startup Consultant
- Instructional Designer
- Microsoft Visio Specialist
- Business Coache
- Recruiters & Recruitment Consultant
- Business Process Modeling
এডমিন এবং কাস্টমার সাপোর্টস
- Virtual Assistant
- Data Entry Specialist
- Data Scraper
- Amazon FBA Specialist
- Microsoft Word Expert
- Excel Expert
- Chat Support Specialist
- Project Manager
- Calendar Management Specialist
- Administrative Assistant
- Email Handler
- Dropshipper
আর্কিটেকচার এবং ইঞ্জিনিয়ারিং
- Injection Mold Design
- Verilog / VHDL Specialist
- AutoCAD Civil 3D
- 3D Printing Exper
- Architectural Designer
- 3D Rendering
- CAD Designer
- MATLAB Developer
- LabVIEW Specialist
- Circuit Designer
- Interior Designer
- Electrical Drawing Specialist
সেইলস এবং মার্কেটিং
- Data analytics
- Affiliate Marketer
- Event Planner
- SEO Backlinking Specialist
- SEO Keyword Researcher
- SEO Expert
- Google AdWords Expert
- Facebook Ads Manager
- PPC Advertising Specialist
- Google Analytics Expert
- Social Media Manager
- Advertising Consultant
- App Store Optimization
রাইটিং এবং ট্রান্সলেশন
- Article Writer
- Ghostwriter
- Resume Writer
- Proposal Writer
- AP Style Writer
- LaTeX Editor
- Technical Writer
- Product Description Writer
- Creative Writer
- Sports Writer
- Financial Writer
এই ছিলো উল্লেখযোগ্য কিছু আউটসোর্সিং কাজ, এগুলা ছাড়া আরো অনেক ধরনের কাজ রয়েছে যেগুলা আমাদের দেশে পরিচিত নয়, আপনি কাজ শিখতে চাইলে গুগলে সার্চ করে আরো কাজ সম্পর্কে ধারণা নিতে পারেন।
আউটসোর্সিং শেখার উপায়
এখান দেখে নেওয়া যাক আপনি কিভাবে সহজে আউটসোর্সিং শিখবেন। এই সেকশনে আমি আউটসোর্সিং শিখার জন্য কিছু টিপস দিবো, যদি আপনি সত্যি সত্যি ফলো করেন তাহলে আপনার পিছনে ফিরে তাকাতে হবে না। আউটসোর্সিং শিখার জন্যে বাংলাদেশে গড়ে উঠেছে ব্যাঙের ছাতার মতো কোচিং সেন্টার, যেগুলাতে কাজ শেখানোর চেয়ে বেশি শেখানো হয় জোচ্চুরি, তাই আমি প্রথমেই বলবো এইসব চোর ডাকতদের থেকে ১০০০ হাত দূরে থাকবেন। আমি নিজে একজন আউটসোর্সার বা ফ্রিলান্সার হিসাবে এতোটুকু বলতে পারি, আউটসোর্সিং শিখার জন্যে একমাত্র গুগল ই যথেষ্ট। আজকে আমার এই পর্যায়ে আসার পেছনে গুগলের অবদান অনস্বীকার্য। তাই এই আর্টিকেলে আমি যেভাবে ফ্রিতে আউটসোর্সিং শিখেছি, শিখার পেছনে যেমন সময় ব্যয় করেছি সেসব বিস্তারিত তুলে ধরবো।
আউটসোর্সিং শিখতে হলে আপনাকে প্রথমে জানতে হবে আপনি কি শিখবেন, যদি সবকিছু একসাথে শিখতে চান তাহলে কিছুই শিখতে পারবেন না, তাই আপনাকে যেকোন একটা বিষয় নিয়ে আগাতে হবে। তাহলে চলুন দেখে নেওয়া যাক কিভাবে শিখাবেন আউটসোর্সিং।
গুগল থেকে শিখা
আমি প্রথমেই বলবো আউটসোর্সিং শিখতে হলে প্রথমে গুগলে সার্চ করা শিখতে হবে। গুগল হচ্ছে বর্তমানে পৃথিবীর সবচেয়ে বড় শিক্ষক। হেন কোন জিনিষ নাই যার উত্তর গুগলের কাছে নাই। তাই আপনার মনে যেই প্রশ্ন আসবে তা কাউকে জিজ্ঞেস না করে প্রথমেই গুগলে সার্চ করবেন, এবং সার্চ রিজাল্টের সেইসব আর্টিকেল পড়া শুরু করবেন। এভাবেই আপনি আপনার ১০০% সমস্যার সমাধান পেয়ে যাবেন। আমার আউটসোর্সিং শিখার ক্ষেত্রে ৮০% সময় আমি দিয়েছি গুগল সার্চিং এর মাধ্যমে।
ইউটিউব
দ্বিতীয় মাধ্যম হচ্ছে ইউটিউব। এই ইউটিউব থেকে আপনি হয়ে উঠতে পারেন একজন আউটসোর্সার। এটা হচ্ছে সবচেয়ে বড় ফ্রি রিসোর্স, যেখানে প্রত্যেকটা কাজের ফ্রি টিউটোরিয়াল পাবেন। আমি SEO শিখার পেছনে যে সময় দিয়েছি তার ১০/১৫% সময় এই ইউটিউবে দিয়েছি। আপনি যে কাজ শিখতে চাইতেছেন সেই কাজের নাম লেখে ইউটিউবে ফুল কোর্স লেখে সার্চ দিবেন। এবং মাক্সিমাম স্কিল আপনি ইউটিউব দেখেই শিখে ফেলতে পারবেন।
লিংকডিন
এখন যে রিসোর্সের কথা আমি বলবো সেটা হচ্ছে লিংকডিন। এখানে পাবেন আপনি বিশ্বের বড় বড় প্রফেশনালদের তৈরি করা কোয়ালেটি কোর্স। তবে এই মাধ্যমের সবচেয়ে বড় সমস্যা হচ্ছে এখানে সব কোর্সই পেইড। মজার বিষয় হচ্ছে এখানে আপনি ২৯ ডলার দিয়ে একমাসের সাবস্ক্রিপশন কিনলে লিংকডিনের সব কোর্স দেখতে পারবেন। তাই আমার মনে হয় এখানে ১-৩ মাসের পেইড সাবস্ক্রিপশন কিনা একটি ভালো চিন্তা হতে পারে। কারণ প্রতি মাসে ২৫০০ টাকার মতো খরচ করে আপনি অনেক বড় একটি লার্নিং লাইব্রেরীতে সব ধরণের কোর্স দেখার সুযোগ পাচ্ছেন।
কোরসেরা Coursera
এরপরে যে ফ্রি রিসোর্স আছে সেটা হচ্ছে Coursera। এখানে আপনি বিশ্বের নামকরা বিশ্ববিদ্যালয় দ্বারা তৈরি কোর্সে ফ্রি একসেস পাবেন। আবার কিছু কিছু কোর্স আছে যেখানে আপনাকে টাকা দিয়ে কিনে পড়তে হবে। এই প্লাটফর্মের সুবিধা হচ্ছে এখান থেকে কোর্স করে কোন সার্টিফিকেট অর্জন করতে পারলে সেই সার্টিফিকেটকে গরুত্বসহকারে দেখা হয়ে থাকে।
ইউডেমি
ইউডেমি থেকে আপনি ফ্রিতে অনেক কোর্স করতে পারবেন। এছাড়া এখানে পেইড কোর্সের সুবিধা রয়েছে। আমি অনেক কোর্স ইউডেমি থেকে ফ্রিতে করেছি, যেগুলো ছিলো অনেক কোয়ালিটিফুল। যেমন আমি একবার চিন্তা করেছিলাম লিনাক্স শিখবো, লিনাক্স নিয়ে কোন পূর্ণ টিউটোরিয়াল ফ্রিতে পাচ্ছিলাম না, ইউটিউবে কিংবা গুগলে। পরে ইউডেমিতে এসে আমি কয়েকটি লিনাক্স কোর্স ফ্রিতে পেয়ে যাই। যদিও আমার লিনাক্স শিখা হয় নাই, আমি সেই সময় প্রোগামিং থেকে SEO শিখাতে মনোযোগ দিয়ে দেই, যার ফলে লিনাক্স থেকে ডাইভার্ট হয়ে যাই। সে যাইহোক, আপনি প্রথম অবস্থায় শিখার জন্য ইউডেমির ফ্রি কোর্সের সাহায্য নিতে পারেন।
স্কিলশেয়ার (Skillshare)
স্কিলশেয়ার নামের একটি ওয়েবসাইট আছে যেখানে আপনি অনেক ধরনের কোর্স পাবেন। তবে এই সাইটিতে বেশিরভাগ কোর্স পেইড। তবে কুপন বেইজড হওয়াতে অনেক সময় আপনি ফ্রিতে ১-২ মাসের এক্সেস পেতে পারেন। কিভাবে এইসব কোর্স ফ্রিতে পাবেন সেই জন্যে ইউটিউবে রয়েছে হাজার হাজার টিউটোরিয়াল ভিডিও। ত সেগুলো দেখে এইসব কোর্স ফ্রিতে আপনি পেয়ে যেতে পারেন।
মেন্টর
এবার আসা যাক অফলাইনে। আপনি যে কাজ শিখতে চান সেই কাজ শিখার জন্যে কোন মেন্টর খোজে বের করতে পারেন। যেমন বাংলাদেশের অনেক ভালো ভালো আউটসোর্সার আছে যারা আপনাকে কাজ শিখাবে। তবে এই মেন্টর খোজতে হবে সাবধানে। আমাদের দেশের মাক্সিমাম মানুষের মধ্যে বাটপারির একটা মন মানসিকতা থাকে, তাই আপনি কাকে মেন্টর হিসাবে নিচ্ছেন সেটা পছন্দ করা অনেক চ্যালেঞ্জিং বিষয়।
ফেসবুক গ্রুপ
ফেসবুকে রয়েছে অসংখ্য গ্রুপ, যেখানে আপনি পেয়ে যাবেন মেন্টরসহ অনেক ফ্রি রিসোর্স। আপনি যে কাজ শিখতে চাচ্ছেন সে কাজের নাম লিখে ফেসবুকে সার্চ দিলে সেসব গ্রুপ পেয়ে যাবেন। মনে করেন আপনি শিখতে চাচ্ছেন গ্রাফিক্স ডিজাইন, তা আপনাকে সার্চ দিতে হবে গ্রাফিক্স ডিজাইন গ্রুপ লিখে। ত গ্রুপ আসলে সেখানে জয়ন করতে হবে এবং গ্রুপ মেম্বাররা কি নিয়ে আলোচনা করছে সেগুলো মনযোগ দিয়ে দেখতে হবে।
কোচিং সেন্টার
আমি আগেই বলেছি কোচিং সেন্টার হচ্ছে জোচ্চুরির আড্ডাখানা। তাই ফেসবুক বলেন, ইউটিউব বলেন, কিংবা কোচিং সেন্টার বলেন, যেখানেই দেখবেন কোন বাঙালি আপনাকে বলছে ১-২ মাসের মধ্যে আউটসোর্সিং শিখেয়ে ফেলবে তাহলে ধরে নিবেন সে একটা বাটপার। এবং কেউ যদি বলে ৬ মাসের মধ্যে লক্ষ লক্ষ টাকা ইনকাম করে ফেলবেন তাহলে ধরে নিবেন সে আরো বড় বাটপার। আপনে যেখানেই কোর্স করেন না কেনো আগে মনে রাখতে হবে আউটসোর্সিং ১-২ মাসে শিখে লক্ষ লক্ষ টাকা ইনকাম করা যায় না। অন্তত আপনি কোন কাজ শিখতে হলে ১-২ বছরের টার্গেট নিয়ে আগাবেন, ধীরে ধীরে নিজেকে স্কিল্ড হিসাবে গড়ে তুলবেন। তখন কাজ পেতেও আপনার অসুবিধা হবে না।
যুব উন্নয়ন প্রশিক্ষণ কেন্দ্র
বাংলাদেশে সরকারিভাবে যুব উন্নয়ন প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে আউটসোর্সিং শিখানো হয়, এখানে সমস্যা হচ্ছে সব বিষয়ে শিখানো হয় না। শুধুমাত্র স্পেসেফিক কিছু কাজ শেখানো হয়, যেমনঃ গ্রাফিক্স ডিজাইন, নেটওয়ার্ক ইঞ্জিনিয়ারিং, বেসিক কম্পিউটার, মাইক্রোসফট এক্সেল, ওয়ার্ড ইত্যাদি ইত্যাদি। আউটসোর্সিং সেক্টর অনেক বড় হওয়াতে নিজের পছন্দ মতো কোর্স যুব উন্নয়ন প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে পাওয়া যায় না। এছাড়া বাংলাদেশের সরকারি টিউটরদের হেডমওয়ালা ভাব দেখলে গা ঘিন ঘিন করে। তাছাড়া যুব উন্নয়ন প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের কোর্সগুলি হয় বেসিক লেভেলের। আপনাকে কোন কাজ ই ওরা বিস্তারিত শিখাবে না। শুধু বেসিক ধারণা পাবেন।
ত যাইহোক এছাড়া আরো অনেক ওয়েবসাইট আছে যেখানে আপনি ফ্রিতে বিভিন্ন কাজ শিখতে পারবেন। সবকিছু এক আর্টিকেলে আলোচনা করা সম্ভাব না। যেগুলো দরকারি আমি সেগুলোই তুলে ধরছি।
কাজের চাহিদা
টেকনোলজির উন্নয়নের ফলে আউটসোর্সিং কাজের চাহিদা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। ত আপনার যদি মনে চিন্তা জাগে আউটসোর্সিং এ কোন কাজের চাহিদা সবচেয়ে বেশি তাহলে একটাই উত্তর হবে যেকোন ধরনের প্রোগ্রামিং। প্রোগ্রামিং সম্পর্কে জানতে হলে আমাদের এই আর্টিকেল দেখতে পারেন “প্রোগ্রামিং কি এবং কেন? জেনে নিন প্রোগ্রামিং ভাষাগুলো” এখানে আমরা প্রোগ্রামিং নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। এছাড়া যেসব কাজের চাহিদা বর্তমানে রয়েছে সেগুলো হলঃ
- SEO (সার্চ ইঞ্জিন অপ্টিমাইজেশন)
- PPC (পে পার ক্লিক) যেটা হচ্ছে বিভিন্ন কম্পানির জন্য এডস চালানো, যেমন ফেসবুক এডস, গুগল এডস, স্ন্যাপচাট এডস, টিকটক এডস ইত্যাদি।
- কপি রাইটিং
- গ্রাফিক্স ডিজাইন
- ইউ এক্স ডিজাইন
- ক্লাউড কম্পিউটিং
- ভার্চুয়াল রিয়েলেটি (ভার্চুয়াল রিয়েলিটি কি জানতে দেখুন এই আর্টিকেলটি, এখানে পাবেন এই কাজ সম্পর্কে বিস্তারিত। ভার্চুয়াল রিয়েলিটি কি? জেনে নিন ভার্চুয়াল রিয়েলিটির ব্যাবহার ও ধারণা। )
- ব্লকচেইন ডেভেলপমেন্ট
- এনএফটি
- ক্রিপ্টোকারেন্সি মাইনিং
- ডিজিটাল মার্কেটিং
- ভিডিও এডিটিং, ভিডিও মার্কেটিং
- এনিমেশন
- মোশন গ্রাফিক্স
- গেইম ডেভোলাপিং
আরো অনেক কাজের রয়েছে বিপুল চাহিদা। ত আপাতত এইসব কাজের মধ্যে যেকোন একটি কাজ নিয়ে আগাতে পারলে আপনার ফিউচার ব্রাইট হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি।
আউটসোর্সিং মার্কেটপ্লেস
আপনার কাজ শিখা শেষ হলে তখন দরকার হবে কাজের জায়গা, ত কাজ কোথায় পাবেন? চলুন দেখে নেই আউটসোর্সিং মার্কেটপ্লেসগুলি। মার্কেটপ্লেস সম্পর্কে জানতে দেখুন এই আর্টিকেলের মার্কেটপ্লেস সেকশন। আমি এখানে শুধু আউটসোর্সিং মার্কেটপ্লেসের নামগুলি দিয়ে দিচ্ছি যেখানে আপনি কাজ শিখার পরে কাজ খোঁজবেন এবং কাজ পাবেন।
- আপওয়ার্ক – Upwork
- ফাইভার – Fiverr
- লিংকডিন – LinkedIn
- ফ্রিলান্সার ডট কম – Freelancer.com
- পিপল পার আওয়ার – PeoplePerHour
- গুরু ডট কম – Guru
- টপটাল – Toptal
- ফ্লেক্সি জব – FlexJobs
- নাইন্টি নাইন ডিজাইন – 99designs
- সিম্পলি হায়ার্ড – SimplyHired
- একুয়েন্ট – Aquent
- পাব লফট – PubLoft
- হাবস্পট ট্যালেন্ট – Hubspot Talent
- বিহান্স – Behance
- ক্লাউড পিপস – CloudPeeps
- গিগস্টের – Gigster
- গ্লাসডোর – Glassdoor
- ইন্ডেড – Indeed
ত এইসব ওয়েবসাইটের যেকোন একটাতে পেয়ে যাবেন আপনার পছন্দের কাজ।
টাকা উত্তোলন
আউটসোর্সিং কাজ শিখলেন, কাজও পেয়ে গেলেন, তাহলে এখন চিন্তা আসবে টাকা হাতে পাবো কিভাবে? ওয়েল, এখন আমি টাকা উত্তোলনের মাধ্যমটা জানিয়ে দিচ্ছি।
ব্যাংক ট্রান্সাফার
প্রত্যেকটা মার্কেটপ্লেসেই ডাইরেক্টলি ব্যাংক ট্রান্সফারের সিস্টেম আছে, তাই যদি আপনার একটি ব্যাংক একাউন্ট থাকে তাহলে সহজেই ওয়ার ট্রান্সপারের মাধ্যমে টাকা উত্তোলন করতে পারবেন।
পেপাল
আউটসোর্সিং এ আসলে আপনি এই একটা সমস্যায় পড়বেন। কারণ বাংলাদেশে পেপাল নাই। আর ইউরোপ আমেরিকার প্রত্যেকটা ক্লাইন্টের পেপাল একাউন্ট আছে। এমন কি সবধরনের মার্কেটপ্লসে পেপাল সাপোর্ট করে। পেপালের সুবিধা হচ্ছে খুব সহজে ইমেইলের মাধ্যমে এক পেপাল একাউন্ট থেকে অন্য পেপাল একাউন্টে টাকা ট্রান্সফার করা যায়। পরে পেপাল একাউন্ট থেকে আপনি আপনার নিজের ব্যাংক একাউন্টে টাকা উত্তোলন করতে পারবেন।
পেওনিয়ার
পেপাল যেহেতু নাই পেওনিয়ার দিয়ে অনেক সমস্যার সমাধান হয়ে যাচ্ছে। আজকাল মার্কেটপ্লেসগুলি পেওনিয়ার সাপোর্ট করছে, তাই আপনি বাংলাদেশ থেকে সহজেই পেওনিয়ার এর মাধ্যমে টাকা উত্তোলন করতে পারবেন। পেওনিয়ার বাংলাদেশে পুরোপুরিভাবে সাপোর্ট করে। এমনকি এখন পেওনিয়ার দিয়ে বিকাশেও টাকা উত্তোলন করা যায়।
পেপাল জুম
বাংলাদেশে পেপাল নাই, কিন্তু পেপালের একটি সার্ভিস কাজ করতেছে। সেটার নাম হচ্ছ পেপাল জুম, এই সার্ভিস দিয়ে আপনি শুধু টাকা রিসিভ করতে পারবেন। বলে রাখা ভালো, আমি আমার ক্লাইন্টের কাছ থেকে মাসিক সেলারিটা এই জুমের মাধ্যমে ও ট্রান্সফারওয়াইজ মাধ্যমে নিয়ে থাকি।
ট্রান্সফারওয়াইজ
ট্রান্সফারওয়াইজ পেপাল জুমের মতোই একটি সার্ভিস, তবে সমস্যা হচ্ছে ইউরোপ আমেরিকার অনেক জায়গায় এইটা সাপোর্ট করে না। তবে এদের ফি খুব কম, তাই দিন দিন জনপ্রিয় হচ্ছে। যেসব জায়গায় ট্রান্সফারওয়াইজ সাপোর্ট করে সেখান থেকে সহজেই আপনি ট্রান্সফারওয়াইজের মাধ্যমে সরাসরি ব্যাংকে টাকা উত্তোলন করতে পারবেন।
এছাড়া আপনি মানিগ্রাম, রিয়া, ওয়েস্ট্রান ইউনিওন, মাস্টার কার্ড ইত্যাদি দিয়ে টাকা উত্তোলন করতে পারবেন।
বেতন বা সেলারি
সবকিছুই জানলেন, তবে আউটসোর্সিং এ সেলারি কেমন সেটা জানবেন না? চলুন দেখে নেই আউটসোর্সিং এ কেমন সেলারি হয়।
আউটসোর্সিং এ সেলারি নির্ভর করে আপনার কাজের উপর, কি কাজ করতেছেন সেই কাজ ই ঠিক করে দিবে আপনি কেমন বেতন পাবেন। যেমন একজন ভালো প্রোগ্রামারের বেতন ঘণ্টায় ৫০-১০০ ডলারের কাছাকাছি হয়ে থাকে, যা বাংলাদেশি টাকায় ঘণ্টায় ৪ থেকে ৮ হাজার টাকার মতো। নিচে আমি একটি ছোট টেবিল দিয়ে দিচ্ছি বুঝার সুবিধার জন্যে। এই হিসাবটা হচ্ছে আমেরিকান ডলার হিসাবে।
কাজের নাম | বেতন | গড় বছরে বেতন |
Software Engineer | $62k – $133k | $92,018 |
Project Manager, (Unspecified Type / General) | $52k – $121k | $82,646 |
Senior Software Engineer | $85k – $157k | $119,963 |
Project Manager, Information Technology (IT) | $57k – $124k | $86,561 |
Data Scientist | $71k – $146k | $104,359 |
Data Analyst | $47k – $99k | $68,413 |
Cyber Security Analyst | $54k – $112k | $77,367 |
Marketing Manager | $49k – $117k | $75,656 |
ত আউটসোর্সিং কাজের বেতন সম্পর্কে জানতে আপনি আমেরিক পেস্কল ওয়েবসাইট ঘুরে আসতে পারেন। এখানে পেয়ে যাবেন আপনার পছন্দের কাজের বেতনটা কেমন হবে।
আউটসোর্সিং এর ভবিষ্যত
এবার আসা যাক আউটসোর্সিং এর ভবিষ্যত বিষয়ে। আপনি কষ্ট করে কাজ শিখলেন, এর ভবিষ্যত কি তা জানা অবশ্যই আপনার দরকার। যদি আমাকে কেউ জিজ্ঞেস করে আউটসোর্সিং এর ভবিষ্যত কি? আমি এক কথায় উত্তর দেই, ওয়ান্ডারফুল। কারণ আমরা এখন টেকনোলজির স্বর্ণযুগে বাস করতেছি। আরো কিছুদিনের মধ্যে আমরা রোবটিক্স যুগে প্রবেশ করবো, মেটাভার্স নিয়ে আমাদের খেলা হবে। এসবের জন্য দরকার হবে প্রোগ্রামিং। ক্রিপ্টোকারেন্সি যখন পৃথিবীর মুদ্রা হবে তখন ব্লকচেইন লেজার সিস্টেমের জনপ্রিয়তা হবে আকাশ্চুম্বী। মেটাভার্স সফল হলে থ্রিডির মার্কেট হবে রমরমা। এই সব কিছুতেই দরকার হবে প্রোগ্রামিং। তাই চোখ বন্ধ করে বলে দেওয়া যায় আউটসোর্সিং এর ভবিষ্যত হবে খুবই ভালো। তাই কোন কাজ শিখতে চাইলে আইটি রিলেটেড কাজ শিখা হবে বুদ্ধিমানের কাজ।
শেষ কথা
আউটসোর্সিং নিয়ে এতোক্ষণ ঘ্যান ঘ্যান করলাম। যদি এই লেখাটা আপনার উপকারে আসে তাহলে দয়া করে শেয়ার করতে ভুলবেন না। আর কমেন্ট করে জানাবেন লেখাটা কেমন হয়েছে। ভুল হলে আমাদের কন্টাক্ট আস পেইজে যোগাযোগ করবেন, লেখা আপডেট করে দিবো। আজকের মতো এখানেই বিদায়। সবাই ভাল থাকেবেন এই কামনা।
বিঃদ্রঃ এই ব্লগের প্রত্যেকটা ব্লগ পোস্ট Sylhetism ব্লগের নিজস্ব ডিজিটাল সম্পদ। কেউ ব্লগের কোন পোস্ট কিংবা আংশিক অংশ ব্লগের কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া কপি পেস্ট করে অন্য কোথাও প্রকাশ করলে ব্লগ কর্তৃপক্ষ ডিজিটাল সিকিউরিটি আইনে মামলা করার অধিকার রাখে। এবং অবশ্যই কপিরাইট ক্লাইম করে যে মাধ্যমে এই ব্লগের পোস্ট প্রকাশ করা হবে সেখানেও কমপ্লেইন করা হবে।
এই ব্লগের কোন লেখায় তথ্যগত কোন ভুল থাকলে আমাদের Contact পেইজে সরাসরি যোগাযোগ করুন, আমরা যত তাড়াতাড়ি সম্ভব তথ্য যাচাই করে লেখা আপডেট করে দিবো।
এই ব্লগের কোন স্বাস্থ বিষয়ক পোস্টের পরামর্শ নিজের বাস্তব জীবনে প্রয়োগ করার আগে অবশ্যই বিশেষজ্ঞদের মতামত নিবেন, আমরা স্বাস্থ বিষয়ে কোন বিশেষজ্ঞ না, আমাদের উদ্দেশ্য ও লক্ষ হচ্ছে সঠিক তথ্য পরিবেশন করা। সুতারাং কোন অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার দায়ভার অবশ্যই আমরা নিবো না।
ধন্যবাদ, ব্লগ কর্তৃপক্ষ।