আয়কর রিটার্ন দাখিলের নিয়ম কি, জানুন বিস্তারিত ২০২৩

আয়কর রিটার্ন দাখিল

Last Updated on February 7, 2023 by Mijanur Rahman

কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের বাৎসরিক  আয় বা লাভের উপর একটা নির্দিষ্ট পরিমাণ কর সরকারকে দিতে হয়, এটাই আয়কর বা ইনকাম ট্যাক্স (Income Tax)। অন্য ভাবেও বলা যায় যে, রাষ্ট্রের সকল জনগনের উন্নয়নের জন্য রাষ্ট্রের ব্যায় বহন করার জন্য সরকারকে একটা অর্থ প্রদান করতে হয় যা আয় কর নামে পরিচিত।

একটি নির্ধারিত ফরম থাকে এবং তাতে করদাতার বার্ষিক আয়, ব্যয় এবং সম্পদের তথ্য উপস্থাপন করে আয়কর কর্তৃপক্ষের নিকট উপস্থাপন করার মাধ্যম হচ্ছে আয়কর রিটার্ন বা ইনকাম ট্যাক্স রিটার্ন (Income Tax Return)।  আয়কর অধ্যাদেশ ১৯৮৪ এর আওতায় জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের দেয়া নির্ধারিত ফরমে আয়কর রিটার্ন জমা করতে হয়।

আয়কর কর্তনের হার

আয়কর দেওয়ার ক্ষেত্রে কিছু নির্দিষ্ট নিয়ম রয়েছে, বাংলাদেশ সরকারের প্রস্তাবিত বাজেট অনুযায়ী বর্তমানে নিচের নিয়মগুলা অনুসরণ করা হচ্ছে।

  • প্রস্তাবিত নতুন বাজেট অনুযায়ী আয়করের আগের হার বহাল রাখার প্রস্তাব করায় সাধারণ করদাতাদের ক্ষেত্রে বাৎসরিক আয় ৩ লাখ টাকা বা এর নিচে থাকলে আয়কর দিতে হবে না। তবে পরবর্তী ১ লাখ টাকা পর্যন্ত মোট আয়ে কর দিতে হবে ৫ শতাংশ হারে, তার পরবর্তী ৩ লাখ টাকা পর্যন্ত মোট আয়ে ১০ শতাংশ হারে কর দিতে হবে, এবং তার পরবর্তী ৪ লাখ টাকা পর্যন্ত আয়ে ১৫ শতাংশ হারে কর দিতে হবে, তার পরবর্তী ৫ লাখ টাকা পর্যন্ত আয়ে কর দিতে হবে ২০ শতাংশ হারে। কারো আয় যদি এর চেয়েও বেশি আয়ের জন্য ২৫ শতাংশ হারে কর প্রযোজ্য হবে।
  • নারী ও ৬৫ বছর এর বেশি বয়সীদের ক্ষেত্রে বছরে ৩ লাখ ৫০ হাজার টাকার উপরে আয় হলে এর উপর কর দিতে হবে। তৃতীয় লিঙ্গের মানুষদের ক্ষেত্রে বছরে ৩ লাখ ৫০ হাজার টাকার উপরে আয় হলে এর উপর কর দিতে হবে। প্রতিবন্ধী করদাতাদের জন্য ৪ লাখ ৫০ হাজার টাকা এবং গেজেটভুক্ত মুক্তিযোদ্ধা করদাতাদের ক্ষেত্রে ৪ লাখ ৭৫ হাজার টাকার উপরে হলে কর দিতে হয়। 
  • এছাড়াও ন্যূনতম আয়করের পরিমাণ হবে ৫ হাজার টাকা ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন ও চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন এলাকার করদাতার । তবে অন্যন্য সিটি কর্পোরেশন এলাকার করদাতাদের ন্যূনতম আয়কর হবে ৪ হাজার টাকা। 
  • যেসব একালা সিটি কর্পোরেশন এর অন্তর্ভুক্ত নয় তাদের ক্ষেত্রে ন্যূনতম আয়কর হবে ৩ হাজার টাকা।

আয়কর রিটার্ন দাখিলের নিয়ম

আয়কর কর্তনের নিয়ম

আয়কর কর্তনের নিয়ম কিছু নিয়ম রয়েছে, কিছু কিছু ক্ষেত্রে আয়কর কর্তনে শিথিলতা আছে, নিচে সেগুলো দেওয়া হল।

  • বর্তমান হিসেবে বছরে আরো আয় ৩ লাখ টাকা বা তার নিচে থাকলে তাকে কর দিতে হয় না। আর নারী ও প্রবীণ দের জন্য ও আলাদা হিসেব রয়েছে। 
  • নারী ও ৬৫ বছর এর বেশি বয়সীদের ক্ষেত্রে তাদের আয় যদি বছরে ৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা বা তার নিচে থাকে তবে তাদের কর দিতে হয় না।  
  • নতুন নিয়ম অনুযায়ী তৃতীয় লিঙ্গের মানুষদের ক্ষেত্রে কিছু শিথিলতা রয়েছে। তাদের ক্ষেত্রে যদি বছরে ৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা বা তার নিচে থাকে তবে তাদের কর দিতে হবে না।  
  • অর্থমন্ত্রী মোস্তফা কামাল ২০২১-২০২২ অর্থবছরের বাজেট প্রস্তাব করেন।  তিনি বলেন,  “সকল শ্রেণীর ব্যক্তিদের করের হার তৃতীয় লিঙ্গের করদাতার জন্যও প্রযোজ্য ছিল। কিন্তু তাদের সামাজিক আত্তিকরণের লক্ষ্যে বিশেষ বিধান চালুর পাশাপাশি তাদের করমুক্ত আয়ের সীমা ৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা।”
  • প্রতিবন্ধী এবং গেজেটভুক্ত মুক্তিযোদ্ধা করদাতাদের ক্ষেত্রে প্রস্তাবিত নতুন বাজেটে কোনো কিছু পরিবর্তন হয় নি। প্রতিবন্ধী করদাতাদের জন্য করমুক্ত আয়ের সীমা ৪ লাখ ৫০ হাজার টাকা। গেজেটভুক্ত মুক্তিযোদ্ধা করদাতাদের করমুক্ত আয়ের সীমা ৪ লাখ ৭৫ হাজার টাকা। 
  • প্রস্তাবিত নতুন বাজেট অনুযায়ী কোনো প্রতিবন্ধী ব্যক্তির বাবা-মা বা তাদের সন্তানের জন্য করমুক্ত আয়ের সীমা ৫০ হাজার টাকা বেশি হবে। তবে সেক্ষেত্রে কিছু সীমাবদ্ধতা রয়েছে। তা হলো প্রতিবন্ধী ব্যাক্তির বাবা-মা উভয়েই করদাতা হলে যে কোনো একজন এই সুবিধা ভোগ করতে পারবেন।

আয়করের জন্য আয়ের খাতঃ

আয়কর অধ্যাদেশ ১৯৮৪ অনুযায়ী যে সব আয়ের উৎস হতে আয়কর কার্যকর হবে সেগুলো হলোঃ 

  • বেতনাদিঃ অর্থাৎ কোনো প্রতিষ্ঠানে কাজ করলে যেই মাসিক বা চুক্তিভিত্তিক স্যালারি প্রদান করে তার উপর আয়কর কার্যকর হবে। 
  • কৃষি কাজঃ কৃষি কাজ থেকে প্রাপ্ত আয়ের উপর আয়কর কার্যকর হবে। 
  • ফার্মঃ যারা উদ্যোক্তা এবং হাস, মুরগী, গরুর খামার করে প্রতি বছর যে টাকা মুনাফা করে তার উপর ও আয়কর কার্যকর হবে। 
  • অপ্রাপ্ত বয়স্ক সন্তানঃ সন্তান যদি অপ্রাপ্ত বয়স্ক হয় কিন্তু তার আয়ের পরিমান যদি পর্যাপ্ত হয় তাহলে তার উপরও আয়কর ধার্য হবে। 
  • সুদঃ যারা ব্যাঙ্ক থেকে নিরাপত্তা জামানতের উপর সুদ নেয় তাদের সেই আয়ের উপর ও আয়কর ধার্য হয়।
  • ব্যবসাঃ যারা ব্যবসায়ী তাদের ব্যবসা থেকে প্রতি বছর যে মুনাফা অর্জিত  হয় তার উপর ও আয়কর ধার্য হবে। 

তবে যে দিকটা বেশি লক্ষ্য রাখতে হবে তা হলো যে উপরের এই খাত গুলোতে আয় থাকলেই যে আয়কর ধার্য হবে ব্যাপার টা এমন নয়। আয়কর কার্যকর হবার জন্য নুন্যতম আয় থাকতে হবে। 

আয়কর রিটার্ন দাখিল
আয়কর রিটার্ন দাখিল

করমুক্ত আয়ের তালিকা

যেসব আয়ে বাংলাদেশ সরকারকে কোন প্রকার কর দিতে হয়ে না তা হল করমুক্ত আয়, নিচে করমুক্ত আয়ের তালিকা দেওয়া হল।

  • পেনশন এর টাকার উপর কোনো কর ধার্য করা হয় না। 
  • সরকারী চাকুরীজীবীর বিশেষ কোনো ভাতা বা সুবিধা পেলে তার জন্য কর ধার্য করা হয় না।
  • সরকারী নিরাপত্তা জামানতের সুদের উপর কোনো কর হয় না। 
  • স্বীকৃত কোনো প্রভিডেন্ট ফান্ড হতে প্রাপ্ত টাকার উপর কর ধার্য হয় না। 
  • যাদের রপ্তানি ব্যবসা রয়েছে তাদের ক্ষেত্রে তাদের আয়ের ৫০ ভাগের উপর কোনো কর ধার্য করা হয় না। 
  • যদি কারো আয়ের উৎস একমাত্র কৃষিখাত হয় এবং তার ইনকাম পর্যাপ্ত না হয় তাহলে তার উপর কর আরোপ হবে না। 
  • জিরো কুপন বন্ড থেকে প্রাপ্ত আয়ের উপর কোনো কর দিতে হয় না। 
  • ২ কোটি ৫০ লাখ টাকা পর্যন্ত পাওয়া গ্র্যাচুইটি তে কর দিতে হবে না।
  • সরকার নির্ধারিত কিছু জেলার আদিবাসী পাহাড়িদের জেলাগুলোতে পরিচালিত আর্থিক কর্মকাণ্ডের উপর প্রাপ্ত অর্থের উপর কর দেয়া লাগে না। 

এছাড়াও আরো অনেক খাত রয়েছে। এই করমুক্ত আয়গুলো করদাতার মোট আয়ে যুক্ত হবে না। কিন্তু এটি রিটার্নে করমুক্ত আয়ে যুক্ত করে দিতে হবে।

রিলেটেডঃ টিন সার্টিফিকেট কি? কিভাবে টিন সার্টিফিকেট করবেন?

আয়কর রিটার্ন দাখিলের নিয়ম

করদাতার বার্ষিক আয়, ব্যয় এবং সম্পদের তথ্য উপস্থাপন করে আয়কর কর্তৃপক্ষের নিকট উপস্থাপন করার মাধ্যম হচ্ছে আয়কর রিটার্ন।  এর জন্য ২ টি পদ্ধতি রয়েছে। একটি সাধারণ পদ্ধতি এবং অন্যটি সার্বজনীন স্বনির্ধারণী পদ্ধতি।

আয়কর জমা দিন নিজে নিজেই

সাধারণ পদ্ধতি

এই পদ্ধতিতে রিটার্নে সার্বজনীন স্বনির্ধারণী পদ্ধতি উল্লেখ করা করা যাবে না।  নয়তো রিটার্নটি সাধারণ পদ্ধতির আওতায় দাখিলকৃত বলে গণ্য হবে না। রিটার্নে প্রদর্শিত আয়ের যথাপোযুক্ত তথ্য ও প্রমাণাদি থাকতে হবে। না হলে করদাতার শুনানী গ্রহণপূর্বক মামলা নিস্পত্তির ব্যবস্থা রয়েছে। 

সার্বজনীন স্বনির্ধারণী পদ্ধতি           

এই পদ্ধতিতে করদাতা রিটার্ন  ফরম পূরণ করার সময় প্রথম পাতায় সার্বজনীন স্বনির্ধারণী পদ্ধতির ঘরে টিক প্রদান করে সার্বজনীন স্বনির্ধারণী পদ্ধতি উল্লেখ করতে হবে। তবেই সেই দাখিলকৃত রিটার্নটি সার্বজনীন স্বনির্ধারণী পদ্ধতির আওতায় অন্তর্ভুক্ত  হবে।  এই পদ্ধতিতে করদাতার রিটার্ন দাখিল করার পর সরাসরি আয়কর কর্তৃপক্ষ কর্তৃক রিটার্নটি গৃহীত হয়। 

কেউ চাইলে অনলাইনেও এই ফরম পাবেন। সেক্ষেত্রে তাদের লিংকটি হলোঃ www.nbr.gov.bd

কোথায় আয়কর রিটার্ন জমা দিতে হয়ঃ

রিটার্ন ফরম বিনামূল্যে সব আয়কর অফিসেই পাওয়া যায়। প্রত্যেক শ্রেণীর করদাতার রিটার্ন জমা দেবার জন্য নির্দিষ্ট এরিয়া থাকে। সকল বেসামরিক সরকারী কর্মকর্তা/কর্মচারী ও পেনশনভূক্ত কর্মকর্তা/কর্মচারীদের কে নির্দিষ্ট অঞ্চলের নির্দিষ্ট সার্কেলে জমা দিতে হবে। আর যারা পুরানো করদাতারা তাঁদের বর্তমান সার্কেলে জমা দিবেন। 

নতুন করদাতা দের তাঁদের নাম, চাকুরীস্থল এবং ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ঠিকানার ভিত্তিতে নির্ধারিত সার্কেলের ১২ সংখ্যার ই-টিআইএন নাম্বার সেই ফর্মে  উল্লেখ করে আয়কর রিটার্ন্ দাখিল করতে হবে।  করদাতারা চাইলে কাছাকাছি আয়কর অফিস বা কর পরামর্শ কেন্দ্র থেকে এ সম্পর্কে বিশদ পরামর্শ নিতে পারবেন। এছাড়াও প্রতি বছর দেশের বিভিন্ন স্থানে আয়কর মেলা অনুষ্ঠিত হয়। তারা চাইলে সেখানেও আয়কর রিটার্ন দাখিল করতে পারবে। আবার রিটার্ন দাখিল শুরু হয়েছে গত ০১ জুলাই ২০২১ থেকে। করদাতা ৩০ নভেম্বর ২০২১ পর্যন্ত সময়ের মধ্যে জরিমানা ছাড়া সহজেই রিটার্ন জমা দিতে পারবে। আমাদের দেশে আয়কর মেলা প্রতি বছর নভেম্বর মাসে হয়ে থাকে। যদিও মহামারির কারণে  গত বছর আয়কর মেলা অনুষ্ঠিত হয়নি।

আরো পড়ুনঃ কর্মসংস্থান ব্যাংক কি? কর্মসংস্থান ব্যাংক লোন পাওয়ার বিভিন্ন উপায়।

আয়কর রিটার্ন জমা দেবার প্রয়োজনীয়তাঃ 

যারা রিটার্ন জমা দেন না আয়করের ভাষায় তাদের‘নন-ফাইলার’ বলে। আয়কর রিটার্ন জমা দেবার মাধ্যমে আয়কর কর্তৃপক্ষের নিকট করদাতার বার্ষিক আয়, ব্যয় এবং সম্পদের তথ্য উপস্থাপন করা হয়।  কিন্তু এটা কর্তৃপক্ষের নিকত জমা না দিলে তাদের কাছে করদাতার আয়ের কোণ তথ্যই থাকে না এবং এর ফলে করদাতা খুব সহজেই তার কর ফাকি দিতে পারে যা আমাদের দেশের জন্যই ক্ষতি। তাই কেউ নির্ধারিত সময়ে রিটার্ন জমা না দিলে তার পর কঠোর শাস্তি আরোপের বিধান রয়েছে। এ ক্ষেত্রে উপ কর কমিশনার সর্বশেষ প্রদেয় করের ১০% পর্যন্ত এককালীন জরিমানা করতে পারেন। তবে এটা নিশ্চিত যে এই জরিমানার পরিমান হবে নুন্যতম ১০০০ টাকা। এ ছাড়া ও রিটার্ন দাখিলের নির্ধারিত সময় শেষ হওয়ার পরবর্তী প্রতিদিনের জণয় ৫০ টাকা করে জরিমানা করার বিধান ও রয়েছে। 

বাংলাদেশ আয়কর অধ্যাদেশ অনুযায়ী, সব টিআইএনধারীদের জন্য রিটার্ন জমা দেওয়া বাধ্যতামূলক। টিআইএন নম্বর থাকার মানে হলো যে সেই ব্যাক্তি আয়কর দেবার উপযুক্ত হোক বা না হোক তাকে নিয়মিত কর রিটার্ন প্রদান করতে হবে রাজস্ব বোর্ডে।

আগামী অর্থবছরের বাজেট বাস্তবায়নে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড করের পাশাপাশি রিটার্ন জমা নেবার দিকটিও বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে। তারা নতুন করে কর এর হার না বাড়িয়ে প্রাপ্ত করের শতভাগ সঠিক ভাবে পাওয়ার ব্যাপারে মনোনিবেশ করছে। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড আগামী অর্থবছরে বেশ কিছু কাজে করদাতা সনাক্তকরণ নম্বর (টিআইএন) বাধ্যতামূলক করছে।  যাদের টিআইএন ও করযোগ্য আয় রয়েছে কিন্তু তারা নিয়মিত কর সহ রিটার্ন জমা দিচ্ছে না তাদের খুজে বের করার চেস্টা করছে।  আগে রিটার্ন জমা দেয়া ছিলো বাধ্যতামূলক। কিন্তু এতো কড়াকড়ি ছিলো না যা এবার করা হবে। এর পাশাপাশি রিটার্ন জমা দেবার পদ্ধতিও আরো সহজ করা হবে। 

এনবিআরের তথ্যমতে এখন টিআইএনের তুলনায় যারা কর রিটার্ন জমা দেয় না তাদের সংখ্যাই সবচেয়ে বেশি। সর্বশেষ জরীপ অনুযায়ী বর্তমানে ৬১ লাখ ৫১ হাজার ৮৬৬ ই-টিআইএনধারী ব্যাক্তি রয়েছেন যাদের মধ্যে ৫০ লাখ টিআইএনধারীরই আয়কর রিটার্ন দেবা বাধ্যতামূলক। কিন্তু রিটার্ন জমা পড়ছে মাত্র ২৫ লাখ ৫৪ হাজার ৪৩ জনের। অর্থাৎ প্রায় অর্ধেক করযোগ্য টিআইএনধারী রিটার্ন জমা দিচ্ছেন না।

নিয়মিত কর প্রদানের উপর নির্ভর করেই কিন্তু একটা দেশের ভবিষ্যৎ। সরকারের একটি দেশের বা রাষ্ট্রের উন্নতির জন্য যে অর্থ প্রয়োজন পরে তাই প্রধান উৎস কিন্তু জনগনের কর। কিন্তু আমারা অনেকেই নিয়মিত আমাদের কর গুলো ঠিক মতো পরিশোধ করি না, এমনকি অনেকে ঠিক মতো আয়কর রিটার্ন ও ঠিকমতো দাখিল করে না। যা সচেতন নাগরিক হিসেবে কখনোই কাম্য নয়। তাই আমরা সকলেই নিয়মিত কর ও রিটার্ন প্রদান করবো, আমাদের আশে পাশে যারা আছে তাদের কর প্রদান নিশ্চিত করবো এবং আমাদের দেশকে এগিয়ে নিতে সাহায্য করবো।      

তথ্যসুত্রঃ বাংলাদেশ জাতীয় রাজস্ব বোর্ড-  https://nbr.gov.bd/

বিঃদ্রঃ  এই ব্লগের প্রত্যেকটা ব্লগ পোস্ট Sylhetism ব্লগের নিজস্ব ডিজিটাল সম্পদ। কেউ ব্লগের কোন পোস্ট কিংবা আংশিক অংশ ব্লগের কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া কপি পেস্ট করে অন্য কোথাও প্রকাশ করলে ব্লগ কর্তৃপক্ষ ডিজিটাল সিকিউরিটি আইনে মামলা করার অধিকার রাখে। এবং অবশ্যই কপিরাইট ক্লাইম করে যে মাধ্যমে এই ব্লগের পোস্ট প্রকাশ করা হবে সেখানেও কমপ্লেইন করা হবে।

এই ব্লগের কোন লেখায় তথ্যগত কোন ভুল থাকলে আমাদের Contact পেইজে সরাসরি যোগাযোগ করুণ, আমরা যত তাড়াতাড়ি সম্ভব তথ্য যাচাই করে লেখা আপডেট করে দিবো।

Author

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top