Last Updated on 7th April 2024 by Mijanur Rahman
আসসালামুয়ালাইকুম পাঠকবৃন্দ।আশা করি সবাই ভাল আছেন। আজকের আলোচ্য বিষয় হলো কাশি দূর করার ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে। আমাদের নিত্যদিনের সমস্যাগুলোর মধ্যে কাশি অন্যতম।কাশির সমস্যা আমাদের মধ্যে সবারই কোনো না কোনো সময়ে দেখা দিয়েছে।শীত আসলেই ঘরে ঘরে সবার সর্দি -কাশি হয়ে থাকে। এটি খুব একটা মারাত্মক না হলেও অনবরত কাশি হওয়া খুবই কষ্টকর।
এজন্য এই কাশি কিভাবে দূর করতে হবে তা সম্পর্কে জানা থাকলে তা সহজেই দূর করা সম্ভব হবে। চলুন জেনে নেই এ সম্পর্কে বিস্তারিত।
কাশি কি:
কাশি হলো একটি অস্থায়ী স্বাভাবিক প্রক্রিয়া যা শ্বাসনালী পরিষ্কার করতে সহায়তা করে। কাশিকে চিকিৎসকরা ফুসফুসের আত্মরক্ষামূলক ব্যবস্থা বলে গণ্য করেন। ফুসফুসের মধ্যে কোনো কিছু প্রবেশ করলে কাশির মাধ্যমে ফুসফুস তা জানান দেয়। কাশি শ্বাসনালীর মধ্য দিয়ে সব ধুলো কণা,তরল পদার্থ ও জীবাণুগুলোকে পরিষ্কার করতে সাহায্য করে। এটি একটি প্রাকৃতিক ও স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। এটি সকলেরই কম বেশি হয়ে থাকে। কিন্তু কাশি যখন অনবরত হতেই থাকে তখন তা অসহ্যকর হয়ে ওঠে।
কাশির প্রকারভেদ:
স্থায়িত্ব বিবেচনায় কাশি দুই ধরনের হয়ে থাকে। একটি হলো স্বল্পস্থায়ী কাশি অন্যটি হলো দীর্ঘস্থায়ী কাশি।
স্বল্পস্থায়ী কাশি:
যেসব কাশি এক-দুই সপ্তাহ ধরে হয় তাকে স্বল্পস্থায়ী কাশি বলে। এ ধরনের কাশি সাধারণত জ্বর , সর্দি, ইনফ্লুয়েঞ্জা ও নিউমোনিয়ার কারণে হয়ে থাকে।তাই এ ধরনের কাশি দেখা দিলে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নেয়া উচিত।
দীর্ঘস্থায়ী কাশি:
যে কাশি দুই সপ্তাহের অধিক সময় ধরে হয় তাকে দীর্ঘস্থায়ী কাশি বলে। মেডিকেলের পরিভাষায় একে ক্রনিক কফ বলা হয়।এ ধরনের কাশি মূলত ব্রঙ্কাইটিস, ফুসফুসে ক্যান্সার, যক্ষা ইত্যাদি রোগের কারণে হয়ে থাকে। তাই এটি নিয়ে অবহেলা করা ঠিক নয়। এ অবস্থায় দ্রুত ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।
আবার চরিত্রভেদে কাশি দুই প্রকার।
যথা: শুকনো কাশি এবং কফ উৎপাদক কাশি।
শুকনো বা শুষ্ক কাশি:
যে কাশিতে কোনো ধরনের কফ সৃষ্টি হয় না অর্থাৎ শুকনো থাকে তাকে শুকনো বা শুষ্ক কাশি বলে। এ ধরনের কাশি সাধারণত ব্রঙ্কাইটিস বা অ্যালার্জির কারণে হয়ে থাকে।
কফ উৎপাদক কাশি:
যে কাশিতে শেষ্মা বা কফ তৈরি হয় তাকে কফ উৎপাদক কাশি বলা হয়ে থাকে। মূলত ঋতু পরিবর্তনের প্রভাবে এ ধরনের কাশি হয়ে থাকে।
কাশি কেন হয়?
বিভিন্ন কারণে কাশি হয়ে থাকে। কাশি হওয়ার সবচেয়ে বড় কারণ হলো সর্দি হওয়া বা ঠান্ডা লাগা। তবে ফুসফুসের যেকোনো সমস্যার উপসর্গ হিসেবে কাশি দেখা দেয়। আবার যাদের হার্টের সমস্যা থাকে তাদের ও অনেক সময় কাশি হতে পারে। এছাড়াও অন্যান্য যেসব কারণে কাশি হয়ে থাকে তা উল্লেখ করা হলো:
- ভাইরাসের কারণে সর্দি হলে সেজন্য কাশি হয়। এক্ষেত্রে কাশি হতে হতে রোগীর গলা অনেক সময় ফুলে যায়।
- শ্বাসনালীতে ব্যাকটেরিয়া প্রবেশ করলে সাইনাস ইনফেকশন, নিউমোনিয়া ও ব্রঙ্কাইটিস হয়। আর এর কারণে দীর্ঘস্থায়ী কাশি হয়।সেই সাথে প্রবল জ্বরও আসতে পারে।
- অনেকের অ্যালার্জির কারণে কাশি হতে পারে। মূলত রাস্তার ধূলাবালি থেকে যে অ্যালার্জি হয়ে থাকে তাকে ডাস্ট অ্যালার্জি বলা হয়। এই ডাস্ট অ্যালার্জির কারণে অনেক কাশি হয়ে থাকে।
- অনেকের এয়ার ফ্রেশনার অথবা কোনো ধরনের স্প্রে থেকে অ্যালার্জি হয়ে কাশি হতে পারে।
- টিউবারকিউলোসিস ,যাকে সাধারণ ভাষায় আমরা যক্ষ্মা বলে থাকি। এই যক্ষ্মার কারণে দীর্ঘস্থায়ী কাশি হয় যা খুবই কষ্টদায়ক। এটি মূলত ব্যাকটেরিয়াজনিত একটি রোগ। এই রোগটি প্রবল পর্যায়ে চলে গেলে কাশির সাথে রক্তপাতও হয়ে থাকে। এজন্য এই কাশিকে একদমই অবহেলা করা ঠিক নয়।
- আমরা জানি ,ধূমপান স্বাস্থ্যের জন্য খুবই ক্ষতিকর। এই ধূমপানের কারণে ফুসফুস ও হৃদপিন্ড মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ধূমপানের কারণে ফুসফুসে যে ক্ষয় সৃষ্টি হয় সেজন্য প্রচুর কাশি হয়ে থাকে।
- যারা দেরি করে গোসল করেন এবং অনেক ঠান্ডা পানি দিয়ে গোসল করে থাকেন তাদের কাশি হয়ে থাকে। আবার যাদের অনেক ঠান্ডা পানি ও কোল্ড ড্রিংস খাওয়ার অভ্যাস রয়েছে তাদের ঠান্ডা লেগে কাশি হতে পারে।
- বর্তমানে শহরাঞ্চলে যে পরিমাণ বায়ু দূষণ হচ্ছে , এই অবস্থায় থেকে মানুষের নানা ধরনের সমস্যা দেখা দিচ্ছে তার মধ্যে কাশি অন্যতম। রাস্তার ধূলাবালি , যানবাহনের ধোঁয়া এসবের কারণে ফুসফুস ক্যান্সারসহ নানা ধরনের জটিলতার সম্মুখীন হচ্ছে মানুষ।
- ক্রনিক সাইনোসাইটিস হলে জ্বর,কাশি,মাথা ব্যথা হয়ে থাকে।
- ট্রপিকাল ইওসিনোফিলিয়া বা গলব্লাডারের কোনো সমস্যা থাকলে খুসখুসে কাশি হতে পারে।
- দীর্ঘস্থায়ী শ্বাসনালীর প্রদাহ , ফুসফুসের টিউমার বা অন্য কোনো প্রদাহমূলক ব্যাধি হলে কাশি হতে পারে।
- দীর্ঘদিন এসির নিচে বসে কাজ করলে অনেকের খুসখুসে কাশি হয়ে থাকে,যা ঠান্ডা লাগার কারণে হয়ে থাকে।
- কফ ভ্যারিয়ান্ট অ্যাজমা বা হাঁপানি হলে রোগীর শুষ্ক কাশি হয়ে থাকে যা এই রোগের একমাত্র উপসর্গ।
- শ্বাসনালী বা ফুসফুসে রক্ত চলাচল বেড়ে গেলে ইনফ্লামেটরী বা প্রদাহজনিত কাশির সৃষ্টি হয়।
- শ্বাসনালীতে কোনো ধরনের টিউমার হলে কাশি হতে পারে।
- আলো বাতাসহীন ভ্যাপসা ঘর, ধূলাবালিযুক্ত কার্পেট , পশুপাখি পালন এসবের কারণেও কাশি হয়ে থাকে।
কাশি দূর করার ঘরোয়া উপায়:
কাশি হওয়ার কারণ সম্পর্কে তো আমরা জানলাম, এখন জানবো কি করলে কাশি দূর হবে। কাশি দূর করার অনেক ঘরোয়া উপায় রয়েছে। এসব ঘরোয়া উপায় অবলম্বন করে সহজেই কাশি হতে আরাম পাওয়া যাবে কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ছাড়াই।
মধু:
মধু হলো কাশি নিরাময়ের একটি কার্যকর উপাদান। মধুতে রয়েছে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট,অ্যান্টি-মাইক্রোবিয়াল ও অ্যান্টি – ইনফ্লামেটরী উপাদান যা কাশি ও গলা ব্যথা কমাতে সাহায্য করে।মধু কাশি ও সর্দির জন্য আদর্শ ঔষধ হিসেবে বিবেচিত। গরম দুধের সাথে ২ টেবিল চামচ মধু মিশিয়ে খেতে পারেন।আবার হালকা গরম পানিতে লেবুর রস ও ২ চা চামচ মধু মিশিয়ে দিনে ২ বার খেলেও তা কাশি থেকে মুক্তি দিবে।
আদা:
আদা ও আদার রসও কাশি নিরাময়ের জন্য একটি ভালো উপাদান। সর্দি -কাশি নিরাময়ে আমরা আদা চা খেয়ে থাকি যা খুবই কার্যকর। আদার রস যেকোনো ধরনের প্রদাহ নিরাময়ে সাহায্য করে। আদা কুচি কুচি করে কেটে লবনের সাথে চিবিয়ে খেলে তা কাশি দূর করতে সাহায্য করবে।শুধু খেয়েই নয় , আদা পানির ভাপ নিলেও কাশির ক্ষেত্রে উপকার পাওয়া যায়। আদার রস বুকের কফ ও শ্লেষ্মা দূর করে থাকে। তবে খেয়াল রাখবেন যেন বেশি পরিমাণে আদা না খাওয়া হয়। এতে পেট জ্বালা ও ডায়রিয়ার সমস্যা হতে পারে।
তুলসী পাতা:
তুলসি পাতা কাশি দূর করার আরেকটি জাদুকরী ঔষধ। তুলসী পাতায় মেন্থল নামের একটি উপাদান থাকে যা কাশি সারাতে সাহায্য করে। সর্দি কাশি দূর করতে তুলসি পাতা এন্টিসেপটিক হিসেবে কাজ করে। তুলসী পাতার রস ও মধু একসঙ্গে মিশিয়ে খেলে কাশির জন্য তা দারুন উপকারী। কাশির সাথে মাথাব্যথা হলে তুলসী পাতা সেটাকেও দূ্র করতে সাহায্য করে।
লবন পানি:
লবন পানি দেয়ে গার্গল করলে তা কাশি নিরাময়ে ও শেষ্মা পরিষ্কার করতে কার্যকরী ভূমিকা রাখে। এক কাপ কুসুম গরম পানিতে ১/৪ চামচ লবন মিশিয়ে দিনে একাধিকবার গার্গল করলে কাশি অনেকাংশে কমে যাবে। তবে এই পদ্ধতিটি শিশুদের জন্য উপযোগী নয়। কারণ তারা গার্গল করতে গিয়ে লবণ পানি গিলে ফেলতে পারে।
এলাচ:
এলাচ সর্দি -কাশি নিরাময়ে খুব ভালো একটি উপাদান। এলাচে রয়েছে এন্টিঅক্সিডেন্ট যা দেহে জীবাণু নাশক হিসেবে কাজ করে।যেকোনো ধরনের কাশি নিরাময়ে আপনি এলাচ ব্যবহার করতে পারেন। এজন্য এককাপ পরিমাণ পানি চুলায় দিয়ে তাতে সামান্য মধু ও দু- তিনটি এলাচ দিয়ে দিন। এলাচ ফুটে উঠলে সেই পানি ছেঁকে পান করুন। নিয়মিত এই পানি সেবনে খুসখুসে কাশি হতে আরাম পাওয়া যাবে।
রসুন:
রসুনের অনেক গুণাগুণের কথা আমরা জানি। রসুনে রয়েছে অ্যালিসিন নামক একধরনের উপাদান যা শরীরে থাকা জীবাণুর বিরুদ্ধে লড়াই করে। এজন্য ডাল বা তরকারিতে রসুন দিয়ে খেলে উপকার পাওয়া যাবে। এছাড়া কাঁচা রসুন চিবিয়ে খেলেও ঠান্ডাজনিত সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে।
হলুদ:
কাশি নিরাময়ে হলুদও একটি কার্যকরী উপাদান। হলুদে রয়েছে নানা গুণ। হলুদে আছে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট ও অ্যান্টি ইনফ্লামেটরী উপাদান যা দেহের সব ক্ষতিকর পদার্থ বের করে দিতে পারে।শত শত বছর ধরে আয়ুর্বেদিক চিকিৎসা শাস্ত্রে হলুদের ব্যবহার লক্ষণীয়।হলুদ শরীর থেকে অ্যাজমা ও কাশির উপসর্গ প্রশমিত করতে পারে।
এককাপ পানিতে এক চা চামচ হলুদের গুঁড়ো এবং সামান্য পরিমাণে গোলমরিচ গুঁড়ো মিশিয়ে পানি টি ২-৩ মিনিট গরম করে খেয়ে নিন। এতে আপনার খুসখুসে কাশি সহ অন্যান্য ঠান্ডাজনিত সমস্যা দূর হয়ে যাবে।
এছাড়াও খেতে পারেন হলুদ মিশ্রিত দুধ। যাকে গোল্ডেন মিল্কও বলা হয়ে থাকে।এটি তৈরি করতে এক গ্লাস পরিমাণ দুধে ১/৪ চা চামচ হলুদ গুড়া মিশিয়ে ভালোমতো ফোটান। এরপর এটি কুসুম গরম অবস্থায় পান করুন।
পুদিনা চা:
পুদিনা পাতায় জীবাণু নাশক কিছু উপাদান বিদ্যমান রয়েছে। এজন্য এটি দেহের বিভিন্ন ক্ষতিকর পদার্থ সহজে বের করে দিতে পারে।সেই সাথে পুদিনা পাতা গলাব্যথা নিরাময়ে সাহায্য করে।কাশি দেখা দিলে তাই পুদিনা পাতা দিয়ে বানানো চা খেলে আপনি উপকার পাবেন।দিনে ২ থেকে ৩ বার এই চা খেতে পারেন।
ইউক্যালিপটাস অয়েল:
ইউক্যালিপটাসের এসেনশিয়াল অয়েল কাশি নিরাময়ের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান।এই তেল শ্বাসনালী পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে। এজন্য ইউক্যালিপটাস তেল পানিতে মিশিয়ে ভাপ নিতে পারেন।আবার নারিকেল তেল বা অলিভ অয়েলের সঙ্গে সামান্য কয়েক ফোঁটা ইউক্যালিপটাস তেল মিশিয়ে বুক ও গলায় তা দিয়ে মালিশ করতে পারেন। এতে আপনার শ্বাসনালি পরিষ্কার হবে এবং সেই সাথে কাশি ও দূর হবে।
বাসক পাতা:
বাসক পাতা হলো আয়ুর্বেদিক ঔষধিগুণ সম্পন্ন একটি পাতা যা ঠান্ডা জনিত সমস্যা দূর করে থাকে।বাসক পাতা সেদ্ধ করে সেই পানি হালকা গরম অবস্থায় দৈনিক সকালে পান করলে কাশি সহ অন্যান্য সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে। এছাড়াও বাসক পাতার রস খেতে পারেন। এতেও একই উপকারিতা পাওয়া যাবে।তবে রস সন্ধ্যায় খেলে ভালো। দু তিন দিনেই আপনি ভালো ফলাফল পাবেন।
গোল মরিচের গুঁড়া:
গোল মরিচের গুঁড়া ও কাশি কমাতে সাহায্য করে। এজন্য এক গ্লাস কুসুম গরম পানিতে এক চা চামচ গোল মরিচের গুঁড়া ও এক টেবিল চামচ মধু মিশিয়ে দিনে দুইবার এই পানীয় পান করলে কাশি দ্রুত সেরে যাবে।
যষ্টিমধু:
যষ্টিমধু শ্বাসনালী হতে কাশি উৎপাদনকারী সকল ধরনের জীবাণু বের করে ফেলতে সক্ষম। এজন্য ফুটন্ত গরম পানিতে দুই টেবিল চামচ যষ্টিমধুর গুড়া দিয়ে ১০-১৫ মিনিট চুলার তাপে গরম করে চা এর মতো করে দিনে দুই বার পান করুন।এটি কাশি কমানোর পাশাপাশি গলাব্যথা ও মাথা ব্যথার সমস্যা ও দূর করে।
কাশি নিরাময়ে যেসব অভ্যাস গড়ে তোলা জরুরি:
উপরোক্ত বিষয়গুলো ছাড়াও কাশি নিরাময়ে আরো বেশ কিছু উপায় অবলম্বন করা জরুরি।
এজন্য আমাদের জীবনযাত্রায় কিছুটা পরিবর্তন আনা জরুরি।
- প্রচুর পরিমাণে পানি পান করতে হবে। তবে ঠান্ডা পানি খুব কম খাওয়া ভালো এবং দিনে আড়াই থেকে তিন লিটার পরিমাণ সহনীয় মাত্রার গরম পানি পান করা উচিত।
- বাসার পরিবেশ সবসময় উষ্ণ রাখার চেষ্টা করুন।ঠান্ডা পরিবেশে থাকলে ঠান্ডা লাগার সম্ভাবনা বেশি থাকে।
- গরম পানি দিয়ে গোসল করুন।এটি শরীরের জন্য খুবই ভালো।
- বেশিক্ষণ এসির নিচে থাকবেন না।
- মাঝে মাঝে বুকে ও গলায় সরিষার তেল মালিশ করুন। এতে সহজে ঠান্ডা লাগবে না এবং কাশি থাকলেও দূর হয়ে যাবে।
- কাশি হলে গলা শুকনো রাখা যাবে না। সবসময় গরম পানি বা স্যুপ খেতে হবে।
- বেশি বেশি টক জাতীয় বা ভিটামিন সি সমৃদ্ধ ফল বিশেষ করে লেবু খান। ভিটামিন সি ঠান্ডা লাগার সম্ভাবনা অনেকটা কমিয়ে দেয়।
- আইসক্রিম ,কোল্ড ড্রিংস ও অন্যান্য ঠান্ডা জাতীয় খাবার কম খাবেন, সম্ভব হলে খাবেনই না।
- মদ্যপান ও ধূমপান একদমই করা যাবে না।
পরিশেষে বলা যায়,
কাশি নিরাময়ে উপরে বর্ণিত পদক্ষেপগুলো সঠিকভাবে গ্রহন করা উচিত। তাহলেই কাশি ও ঠান্ডা জনিত সমস্যা সমূহ সহজেই দূর হয়ে যাবে।