Last Updated on 7th April 2024 by Mijanur Rahman
আপনি নিশ্চয়ই লক্ষ করেছেন আমাদের মধ্যে এমন কিছু ব্যক্তি আছেন যাদের ত্বক বিভিন্ন স্থানে অস্বাভাবিক সাদা। অর্থাৎ দেহের অন্য অংশের তুলনায় কিছু অংশের বর্ণের ব্যপক পরিবর্তন। শরীরের চামড়ার এই অসামঞ্জস্যতাকে আমরা শ্বেতী রোগ হিসেবে চিনি। আসলে শ্বেতী রোগ কি? কেন হয়? শ্বেতী রোগ থেকে মুক্তির উপায় গুলো কি কি?
শ্বেতী রোগ আমাদের দেহের রং উৎপাদনকারী কোষের সাথে জড়িত। কোনো কারণে এই কোষ ক্ষতিগ্রস্ত হলে, বর্ণ তৈরী বন্ধ করে দিলেই শরীর সাদা দাগ পরে। এই ত্রুটি বংশগত, জন্মগত কিংবা বিভিন্ন রাসায়নিক দ্রব্যের সাইড ইফেক্ট এর কারণে হতে পারে।
একটি জরিপে দেখা যায় বর্তমানে সারা বিশ্ব প্রায় ১০ কোটির অধিক মানুষ শ্বেতী রোগে ভুগছে। তাহলে বুঝতেই পারছেন রোগটির এখন যথেষ্ট ঝুঁকি রয়েছে। তবে রোগ যখন আছে এর সমাধান ও আছে। চলুন জেনে আসি শ্বেতী রোগের কারণ ও চিকিৎসা সহ যাবতীয় সকল তথ্য।
শ্বেতী রোগ কি?
শ্বেতী রোগ মূলত স্কিন রিলেটেড একটি রোগ। শ্বেতী রোগ ইংরেজিতে লিউকোডারমা অথবা ভিটিলিগো “vitiligo” নামেও বেশ পরিচিত। শ্বেতী আক্রান্ত রোগীর শরীরের বিভিন্ন অংশ অস্বাভাবিক ভাবে সাদা হয়ে যায়। এর কারণ কোনো ভাবে শরীরের মেলানিন কমে যাওয়া।
এই রোগ টি সাধারণত মুখ, বুক, কনুই কে সবার আগে আক্রান্ত করে। কখনো আবার চোখের সাইড থেকে, নাকের দু সাইডে অথবা ঠোঁটের কোণয় ও উপরে হয়ে থাকে। অনেকের ক্ষেত্রে এই রোগ বেশি একটা ছড়িয়ে পড়ে না। শুধু একটা নির্দিষ্ট স্থানে সীমাবদ্ধ থাকে।তবে কারো ক্ষেত্রে এত বেশি ছড়িয়ে যায় যে তাদের আসল গায়ের রং আলাদা করা যায় না। এই ধরনের সাদা দাগই রোগীকে শ্রীহীন করে ফেলে।
তবে এটি কোনো মরণব্যাধি নয়। আর একের মাধ্যমে অন্যের মধ্যে সংক্রমনের ও ঝুঁকি নেই। এজন্য শ্বেতী রোগী দেখলে আতঙ্কগ্রস্থ হবার কিছুই নেই। উল্টো মানুষের এই প্রতিক্রিয়া শ্বেতী রোগীদের মানসিক অবসাদের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। কুসংস্কারে কান না দিয়ে যথাসম্ভব চিকিৎসা নিয়ে এই রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
শ্বেতী রোগ কেন হয়?
আমাদের দেহে রং উৎপাদনকারী কোষ হচ্ছে মেলানোসাইট। আর আমাদের ত্বকে যে রঞ্জক পদার্থ তৈরি হয় তা হল মেলানিন। আমাদের এই মেলানোসাইট কোষ টি বিভিন্ন কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। অনেক সময়ে এই কোষটি বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হতে পারে। যার ফলে এটি মেলানিন উৎপাদন করা বন্ধ করে দেয়। কিংবা এই কোষটি ই রোগের কারণে সংখ্যায় কমে যায়।
মেলানোসাইট কমে গেলে স্বাভাবিক ভাবেই আমাদের দেহে মেলানিন কমে যাবে। আর মেলানিন উৎপাদন কমে গেলেই সেইসব নির্ধারিত স্থানে ছোপ ছোপ সাদা দাগ পরে। বয়স ও সময়ের সাথে সাথে এই দাগ বাড়তে থাকে। জন্মগত ভাবেও অনেক শিশুদের এই রোগ দেখা যায়। ৫০ পার্সেন্ট শ্বেতী রোগ ধরা পড়ে দশ বছরে বয়স হবার পর।
শ্বেতী রোগ সম্পর্কে যাদের পর্যাপ্ত ধারণা নেই তারা বিভিন্ন বিভ্রান্তি তে ভুগেন। রোগীদের নিয়ে সমাজে মানুষের মধ্যে বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। কিন্তু এই রোগটি মোটেও ছোঁয়াচে কোনো রোগ নয়। কিংবা প্রাণঘাতি কোন রোগ ও নয়। তাই সঠিক কারণ জেনে ও প্রয়োজনীয় চিকিৎসা নিয়ে শ্বেতী রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব।
শ্বেতী বা ধবল রোগ বিভিন্ন কারণে হতে পারে। কিন্তু একটি গবেষণায় দেখা গেছে প্রতি ১০০ জন ধবল রোগীর ভেতরে প্রায় ৩০ জন রোগীই বংশগত কারণে এই রোগে আক্রান্ত হন। মা অথবা বাবার পরিবারের কারও জিনে শ্বেতী রোগেী বীজ থাকলে এই রোগ হবার সম্ভাবনা বাড়ে।তবে বাকি ৭০ পার্সেন্ট লোকের বেলায় শ্বেতী রোগ হয় নিজস্ব কারণে।
শ্বেতী রোগ থেকে মুক্তির উপায়
শ্বেতী রোগের কারণ ও ধরণ ভেদে এর চিকিৎসাও ভিন্ন হতে পারে। তবে সাধারণ কিছু প্রচলিত চিকিৎসা ও লাইফস্টাইল রয়েছে যা বিশ্বজনীন সকল বিশেষজ্ঞ দের কাছে স্বীকৃত।
চলুন জেনে নেই সেগুলো
শ্বেতী রোগের চিকিৎসা
- আপনার গায়ে যদি ছোট ছোট ছোপ ছোপ দাগ থাকে সেক্ষেত্রে মলম ই যথেষ্ট কাজ করবে। শ্বেতী রোগের জন্য বিশেষজ্ঞ পরামর্শ অনুযায়ী মলম ব্যবহার করলে স্বল্প মাত্রার রোগ কমে যাবে।
- অনেক ব্যক্তির ক্ষেত্রে দেখা যায় সারা গায়ে অসংখ্য সাদা দাগের সৃষ্টি হয়েছে। এই সময়ে শুধুমাত্র মলম ব্যবহারের মেলানিন নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হয় না। এসময়ে ডাক্তারা ঔষধ ও একটি নির্দিষ্ট লাইফস্টাইল ফলো করার নির্দেশ দেন।
- তবে শ্বেতী রোগের সর্বশেষ ধাপ হল সারা শরীরের অধিকাংশই সাদা হয়ে যাওয়া। এসময়ে রোগীর গায়ের আসল রং আলাদা করা মুশকিল হয়ে যায়। রোগী স্কিন ক্যান্সার সহ বিভিন্ন ত্বকের প্রদান জনিত রোগের ঝুঁকিতে থাকেন। এসময়ে সর্বশেষ চিকিৎসা হল অস্ত্রপাচার করা। পাঞ্চ গ্রাফটিং নামক চিকিৎসার মাধ্যমে উন্নত দেশ গুলোতে পার্মানেন্টলি শ্বেতী রোগ নির্মূল করা হয়।
- শ্বেতী রোগ খুব দ্রুত নির্মূল করতে চাইলে খুব দ্রুত চিকিৎসা করতে হবে। অর্থাৎ এই রোগের সামান্য লক্ষণ দেখা দিলেই চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
শ্বেতী রোগের প্রতিকারে করনীয়
শ্বেতী রোগ অনেক সময় অন্য কোনো রোগের সাময়িক উপসর্গ হিসেবেও দেখা দিতে পারে। তাই এটি কোনো ভাবেই অবহেলা করা যাবো না। শ্বেতী রোগের সর্বপরি প্রতিরোধ ও প্রতিকারের জন্য যা যা করবেন-
- শ্বেতী রোগ মূলত এক ধরনের অটোইমিউন ডিসিজ। তাই শ্বেতীর সাথে অন্য অটোইমিউন সংশ্লিষ্ট ডিসিজ এর সম্পর্ক থাকতে পারে। উদাহরণসরূপ -পরিপাকতন্ত্রের রোগ, থাইরয়েড ডিসিজ বা কোনো হরমোন রিলেটেড ডিসিজ কিংবা ডায়াবেটিস (টাইপ-১) ইত্যাদি। এজন্য তই রোগ অন্য কোনো রোগের উপসর্গ কিনা অথবা অন্য কোনো রোগ সৃষ্টি করছে কিনা সে দিকে নজর দিতে হবে।
- শ্বেতী রোগীদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ হল মানসিক চাপ মুক্ত থাকা। কারণ মানসিক অবসাদ রোগকে ত্বকের বাকি স্থানে ছড়িয়ে পড়তে সহায়তা করে। মূলত মানসিক অবসাদ ও ডিপ্রেশন আমাদের ইমিউন সিস্টেমকে আগের থেকে বেশি দুর্বল করে ফেলে। তাই যেকোনো রোগের বিস্তৃতি দ্রুত বাড়ে
- শ্বেতী রোগীর প্রাথমিক স্টেজ এ ত্বকের বাইরে কিছু প্রাকৃতিক উপাদান প্রয়োগ করা যায়। যেমন হলুদ গুঁডা ও সরিষার তেল। এই মিশ্রণ টি শুরুর দিকেই ব্যবহার করা শুরু করলে এই রোগের বিস্তার অনেক টাই কমে আসে। আর এই রীতি টি প্রাচীন কাল থেকেই অনেক বেশি প্রসিদ্ধ ও কার্যকর ও বটে।
- তুলসী ও পুদিনাপাতা একসাথে ব্লেন্ড করে সেটি সামান্য লেবু রস যুক্ত করে পেস্ট তৈরি করতে পারেন। এটিও ব্যপক সাহায্য করবে। তবে এই কাজ গুলো শুধু আপনার রোগ প্রাথমিক পর্যায়ে থাকলেই করতে পারবেন। আপনার রোগ টি গুরুতর অবস্থায় পৌঁছে গেলে এই সব ঘরোয়া চিকিৎসা দিয়ে শ্বেতী রোগ সারানো সম্ভব হবে না।
- এই রোগের একটি অন্যতম কারণ হচ্ছে আমাদের দেহে কপারের পরিমাণ কমে যাওয়া। তাই চিকিৎসকের সাথে পরামর্শ করে বের করুন ঠিক কি কারণে আপনার শরীরে কপারের ঘাটতি হচ্ছে। এবং কি কি খাদ্য গ্রহন করলে এই অভাব পূরণ হবে। বিশেষজ্ঞ রা সাধারণত বাদাম, সীড এবং শাক – সবজি ও দস্তা আছে এমন খাবার গ্রহন করার পরামর্শ দিয়ে থাকেন।
- তাছাড়া অনেক ডাক্তারা শ্বেতী রোগী দের তামা দিয়ে তৈরি পাত্রে পানি সংরক্ষণ করার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। এই পাত্রে পানি পান করলে আপনি আপনার শরীরে তামার ঘাটতি পূরণ করতে সক্ষম হবেন।
- শ্বেতী রোগ নিয়েও ভালো থাকতে চাইলে খুবই গুরুত্বপূর্ণ কাজ হচ্ছে স্বাস্থ্যকর লাইফস্টাইলেই মেইনটেইন করা। তাই সব সময়ে নিজেকে একটিভ রাখার ট্রাই করুন। নিয়মিত এক্সার সাইজ করা চেষ্টা করুন। এছাড়াও ঘুম ও সুষম খাদ্য গ্রহণে সচেতন হোন।
শ্বেতী রোগের খাবার
শ্বেতী রোগ কোনো মারাত্মক রোগ নয়। যথাযথ চিকিৎসা ও জীবনযাপনের ধরনের পরিবর্তন করে এই রোগ নির্মূল করা যায়। স্বাস্থ্য সচেতনতার পাশাপাশি খাবার দাবারের ওপরেও দিতে হবে বিশেষ নজর। দেখে নিন কি কি খাবার এই রোগ নির্মূল করতে উপযোগী –
পানি
মানবদেহের ইমিউনিটি বাড়িয়ে তুলতে পানির কোনো বিকল্প নেই। আমাদের অসমো রেগুলেশনের ব্যল্যান্স বজায় রাখতে সবচেয়ে বেশি কাজ করে পানি। আর শরীরে রঞ্জক পদার্থের অসমতা দূর করতেও এর জুড়ি নেই। তাই শ্বেতী রোগের সমাধানের জন্য পানির প্রয়োজনীয়তা অনেক বেশি। তাই প্রচুর পরিমানে পানি পান করার চেষ্টা করুন৷ এবং বেশি বেশি তরল খাবার ও ফলের রস কেও প্রাধান্য দিন।
সবুজ শাকসবজি
সবুজ শাকসবজি রোগ প্রতিরোধের জন্য অনেক বেশি কার্যকর। শরীরে ইমিউনিটিও বাড়িয়ে তোলে অনেক বেশি। তাছাড়া মেলানিন এর অসামঞ্জস্যতা ব্যলেন্স করার জন্য বেশি বেশি সবুজ শাকসবজি খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন বিশেষজ্ঞ রা।
বাদাম
কাঁচা বাদামের পুষ্টি গুন অনেক বেশি। এটি এমন একটি বীজ যা আপনার শরীরের কোষ গঠনে সরাসরি ভূমিকা রাখবে। ব্রেন সেল থেকে শুরু করে মেলানোসাইট এর গঠনেও এর যথেষ্ট ভুমিকা আছে। এর কারণ বাদামে থাকে প্রোটিন, ফ্যাট, এবং ক্যালরি। এছাড়া কাঁচা বাদামে ম্যাগনেশিয়াম, ভিটামিন-ই, শর্করা ও ফাইবার থাকে। যা রং উৎপাদনকারী কোষের বৃদ্ধিকে ত্বরান্বিত করে। তাই প্রতিদিন খাবার তালিকায়, বিশেষ করে সকালে বাদাম খাবার চেষ্টা করবেন।
বীজ জাতীয় খাবার
বীজ জাতীয় খাবারে সবচেয়ে বেশি থাকে ওমেগা এসিড। যা যুগ যুগ ধরে শ্বেতী রোগের চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়ে আসছে। তাই বীজ জাতীয় খাবার গ্রহন করা অত্যন্ত জরুরি।
আয়রণ যুক্ত খাবার
আয়রন সমৃদ্ধ খাবার আমাদের শরীরের যাবতীয় গ্রোথ এ সহায়তা করে। ফলে মেলানোসাইট কোষের ঘাটতি বা ক্ষয় পুরন হয় খুব দ্রুত। এজন্য বেশি বেশি আয়রন জাতীয় খাবার গ্রহন করতে হবে।
অ্যামিনো অ্যাসিডসমৃদ্ধ খাবার
আমাদের অন্ত্রের সুস্বাস্থ্যের জন্য প্রয়োজন অ্যামিনো এসিড যুক্ত খাবার। এছাড়াও আমাদের খাবার তালিকায় রাখতে হবে যথেষ্ট পরিমাণ প্রোবায়োটিকস এবং প্রিবায়োটিকস। তাতে ভবিষ্যতে শ্বেতী রোগ হবার সম্ভাবনা বাড়বে। আখরোট, পেঁপে ও পর্যাপ্ত পরিমানে খেতে হবে। আর অ্যামিনো অ্যাসিড এর জন্য বেশি বেশি প্রোটিন যুক্ত খাবার খেতে থাকবেন। এতে শ্বেতী রোগের ঝুঁকি থেকে নিরাপদ থাকা যাবে।
ভিটামিন বি, সি ও ই
আপনার শরীরে শ্বেতী রোগের সামান্য লক্ষণ দেখা দিলেও আপনার খাদ্য তালিকে ধীরে ধীরে পরিবর্তন করা শুরু করুন। সুষম খাদ্য, ভিটামিন সি, বি ও ই জাতীয় খাবার গ্রহন করুন। এসব খাবার আপনার শরীরে মেলানিন এর ভারসাম্য ধরে রাখবে। ত্বকের স্বাভাবিক বর্ণ বের করে আনবে।
শ্বেতি বা ধবল রোগের চিকিৎসা পদ্ধতি । শ্বেতি থেকে নিরাময়ের উপায়
শ্বেতী রোগ হলে কি খাবেন না
শ্বেতী রোগের ঝুঁকি বাড়ায় এমন কিছু খাবার হল-
- ক্যাফেইন
- ডার্ক চকলেট
- গ্লুটেন
- দুধ বা দুগ্ধজাত পণ্য
- সাদা চিনি এবং
- সাইট্রাস জাতীয় ফল ইত্যাদি
তাই এই সব খাবার বেশ কিছুদিনের জন্য আপনার খাদ্য তালিকা থেকে বাদ দেয়ার চেষ্টা করুন। প্রয়োজনে এসবের বিকল্প খাবার খান। এভাবেই নিজেকে এই রোগ থেকে মুক্ত করতে হবে।
শেষ কথা
আমরা জানি পৃথিবীতে এখন ১০ কোটির বেশি মানুষ শ্বেতী রোগে ভুগছেন। বিখ্যাত প্রয়াত শিল্পী মাইকেল জ্যাকসন ও এই রোগে ভুগেছিলেন। তারই প্রয়াণ দিবস স্মরনে প্রতি বছর ২৬ এ জুন বিশ্ব ব্যাপী ‘ওয়ার্ল্ড ভিটিলিগো ডে’ বা বিশ্ব শ্বেতী দিবস পালিত হয়।
এই রোগটি মোটেও মরণব্যাধি নয় তাই ঘাবড়ে না গিয়ে শ্বেতী রোগ থেকে মুক্তির উপায় গুলো কাজে লাগাতে হবে। আশা করি আমাদের আজকের আলোচনা থেকে শ্বেতী রোগ সম্পর্কে যাবতীয় সব তথ্য জানতে পেরেছেন।
বিঃদ্রঃ Sylhetism ব্লগের কোন লেখায় তথ্যগত কোন ভুল থাকলে আমাদের Contact পেইজে সরাসরি যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো, আমরা যত তাড়াতাড়ি সম্ভব তথ্য যাচাই করে লেখা আপডেট করে দিবো।
Sylhetism ব্লগের কোন স্বাস্থ বিষয়ক পোস্টের পরামর্শ নিজের বাস্তব জীবনে প্রয়োগ করার আগে অবশ্যই বিশেষজ্ঞদের মতামত নিবেন, আমরা স্বাস্থ বিষয়ে কোন বিশেষজ্ঞ না, আমাদের উদ্দেশ্য ও লক্ষ হচ্ছে সঠিক তথ্য পরিবেশন করা। সুতারাং কোন অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার দায়ভার অবশ্যই আমরা নিতে পারবো না। ধন্যবাদ, ব্লগ কর্তৃপক্ষ।