জ্বর কমানোর ঘরোয়া উপায়, ওষুধ ছাড়াই জ্বর কমান ২০২৩

জ্বর কমানোর ঘরোয়া উপায়

Last Updated on February 21, 2023 by Mijanur Rahman

জ্বর কমানোর ঘরোয়া উপায় খুঁজছেন?  নিজের কিংবা প্রিয়জনের জ্বর নিয়ে দুশ্চিন্তায় ভুগছেন? হতাশ না হয়ে অনুসরণ করতে পারেন কিছু সহজ পদ্ধতি।  যাতে করে ঘরে বসেই জ্বর কমাতে পারবেন।

আপনি আমি যে ই হই, জ্বরে ভুগে নি এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া মুশকিল। সামান্য ঠান্ডা লাগলেই জ্বর,  ভাইরাস জনিত জ্বর, কখনও আবার প্রচন্ড ব্যথার পরে জ্বর আসতেই পারে। জ্বরের ধরনের অনেক আবার চিকিৎসাও ভিন্ন ধর্মী। তবে জ্বরের ধরন ও চিকিৎসা জানা থাকলে জ্বর নিয়ন্ত্রণে আনা অসম্ভব কিছু নয়।

পরিবেশ ও পরিস্থিতি বিবেচনায় হয়ত আপনি চিকিৎসকের কাছে সময়মত পৌঁছাতে পারলেন না। এসময়ে প্রাথমিক  ট্রিটমেন্টের দায়িত্ব আপনাকেই নিতে হবে। তবে  এজন্য জানতে হবে  জ্বর কেন হয়,  ধরন ও চিকিৎসা।  তাই আমাদের সাথে জেনে নিন জ্বর কমানোর ঘরোয়া উপায় গুলো

রিলেটেডঃ থানকুনি পাতার উপকারিতা

জ্বর

জ্বর একটি খুবই কমন রোগ যা সচরাচর আমাদের সবারই হয়ে থাকে। কিন্তু জ্বর রোগ টা আসলে কি? জ্বর বলতে আমরা যে রোগটিকে চিনি এটি কিন্তু পাইরোক্সিয়া নামেও পরিচিত। সাধারণত শরীরের তাপমাত্রা স্বাভাবিক এর থেকে বেশি হলেই প্রাথমিক ভাবে আমরা জ্বর হিসেবে ধরি। আমাদের দেহের স্বাভাবিক তাপমাত্রা হচ্ছে ৯৭ থেকে ৯৯° ফারেনহাইট৷ তবে বাচ্চাদের ক্ষেত্রে এটি ৯৭.৯ থেকে ১০০.৪° ধরা হয়। যদিও আমাদের দেহের এই তাপমাত্রা বিভিন্ন সময়ে ওঠানামা করে।

জ্বর মাপ বা পরীক্ষা
ছবিঃ থার্মোমিটার দিয়ে জ্বর পরীক্ষা

কিন্তু শরীরের তাপমাত্রা যখন ৯৭.০৭ থেকে ৯৯.৫ এর উপরে চলে যায় তখনই সেটাকে জ্বর বলে ধরা হয়। জ্বর হলে শরীরে তাপমাত্রা যতই বৃদ্ধি পাক শরীরের অভ্যন্তরে ঠান্ডা অনুভব হয়। ধরুন ভাইরাস বা ব্যাকটেরিয়া জনিত কারণে আপনার মস্তিষ্কের হাইপোথ্যালামাসের সেট আপ পয়েন্ট ৩৬° সেলসিয়াস থেকে বৃদ্ধি পেয়ে ৪০ এ চলে গেল। তখনই এটাকে জ্বর বলে ধরা হবে।

জ্বর কেন হয়? কখন হয়?

জ্বর হয় মূলত পাইরোজেন এর কারনে। এই কারণেই জ্বরকে পাইরোক্সিয়া নামেও সজ্ঞায়িত করা হয়। পাইরোজেন হল বিভিন্ন রকমের মাইক্রোঅর্গানিজম ও substance এর সমন্বয়।  আমার আমাদের শরীরে অনেক সময়  ব্যকটেরিয়া আক্রমণ করে৷ এই ব্যাকটেরিয়া গুলো লিপোস্যাকারাইড নিঃসরণ করে। এটি এক ধরনের বিষ হিসেবে ধরা হয়।

এই পদার্থটি আমাদের মস্তিষ্কের হাইপোথ্যালামাস এর হাইপোথ্যালামিক থার্মিস্ট্যাট এর প্রভাব বিস্তার করে। সেট আপ পয়েন্ট বাড়িয়ে দেয়। আবার  এমন কিছু পাইরোজেন আছে যা সরাসরি আমাদের হাইপোথ্যালামাস এর তাপকেন্দ্র নিয়ন্ত্রণে নিয়ে নেয়। এভাবেই মূলত শরীরের তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেয়ে জ্বর অনুভুত হয়।

জ্বরের হতে পারে বিভিন্ন কারনে। ম্যাক্সিমাম হয় ভাইরাস সংক্রামণের কারণ। তবে এই ভাইরাস ই অনেক প্রকার আছে৷  আর এদের সক্রামণও ভিন্ন ভিন্ন।

কত প্রকারের জ্বর আছে?

জ্বর বিভিন্ন কারনেই হতে পারে।  এর উৎস ও ধরন ও ভিন্ন হতে পারে। জ্বরের বিভিন্ন কারণ  –

  • ভাইরাস জ্বর
  • প্রচন্ড প্রদাহ জনিত
  • ক্রোনিক ইনফেকশনের কারণে জ্বর
  • দীর্ঘ মেয়াদী প্রদাহের জন্য জ্বর
  • জননতন্ত্রের প্রদাহ
  • মহিলাদের,
  • সালোপিনজাইটিস
  • সার্ভিসাইটিস,
  • অ্যান্ডমেট্রাইটিস
  •  ওফরাইটিস
  • পুরুষ প্রজননতন্ত্র ইনফেকশনের কারণে জ্বর
  • আরকাইটিস
  • এপিডিডোমাইটিস,
  • প্রস্টোটাইটিস

মেডিক্যাল টার্মস এর মধ্যে তিন ধরনের জ্বরের প্রকার আছে।  জ্বরের ধরন-

কন্টিনিউডঃ

কন্টিনিউড জ্বর বলতে বুঝায় চব্বিশ ঘন্টায় ১°C বা ১.৫ °F এর মত তাপমাত্রার পরিবর্তন হওয়া। এক্ষেত্রে জ্বর  স্বাভাবিক মাত্রায় স্থির হয় না।

রেমিটেন্টঃ

জ্বরের তারতম্য যখন ২° C বা ৩° F হয় তখন একে বলে রেমিট্যান্ট জ্বর

ইন্টারমিন্টেন্টঃ

ইন্টারমিন্টেড এর ক্ষেত্রে জ্বর সারাদিনে কয়েকঘন্টা শরীরে উপস্থিত থাকে। একটানা জ্বর দেখা যায় না।

জ্বর কমানোর ঘরোয়া উপায়

১. সবার আগে পানিপট্টি

জ্বর হল স্বাভাবিক ভাবে আমাদের শরীরের তাপমাত্রা বেড়ে যায়।  এসময়ে সবচেয়ে জরুরি হল এই তাপমাত্রাকে নিয়ন্ত্রণে আনা।  অর্থাৎ কমিয়ে স্বাভাবিকে ফিরিয়ে আনা। এজন্য সবচেয়ে প্রচলিত ও কার্যকর পদ্ধতি হল মাথায় পানিপট্টির ব্যবস্থা করা।

  • প্রথমে একটি পরিষ্কার কাপড়ের টুকরা নিতে হবে
  • এরপর একে পরিষ্কার পানিতে ভিজিয়ে নিন ও পানি নিংড়ে শুধু ভেজা ভাব টুকু রাখুন
  • এরপর  রোগীর কপালে কাপড় টি রেখে হাত দিয়ে আলতো করে হাত দিয়ে রাখুন
  •  দুই-তিন মিনিট  এভাবে রেখে পরে আবার কাপড়টি পানিতে ভিজিয়ে নিন

এভাবে কয়েক বার করতে থাকলে শরীরের তাপমাত্রা আগের থেকে অনেকটাই কমে আসবে।

জ্বর হলে মাথায় পানিপট্টি
ছবিঃ জ্বর হলে মাথায় পানিপট্টি দেওয়া।

২. জ্বর কমাতে মধু

জ্বর কমাতে খুবই প্রাচীন একটি পদ্ধতি হচ্ছে মধু। মধুর ব্যবহারে শরীরে তাপমাত্রা সহজেই নামিয়ে আনা সম্ভব। আর ভাইরাসজনিত জ্বর কমাতে চাইলে মধু এক কথায় দারুণ কাজ করে। মধু দিয়ে জ্বরের ট্রিটমেন্ট করতে হলে আপনাকে যা করতে হবে-

  • প্রথমে এক কাপ কুসুম গরম পানি নিন
  • এরপর এতে এক চা চামস মধু এড করুন
  • কিছুক্ষণ নাড়িয়ে নিন
  • নাড়ানোর পড় অল্প অল্প করে লেবু মেশাতে থাকুন। প্রায় অর্ধেক লেবুই এখানে ব্যবহার করবেন

মধু ও লেবু যেহেতু এন্টিব্যাক্টেরিয়াল হিসেবে কাজ করে  ভাইরাস জ্বর কমাতে এই  মিশ্রণ টি দুই বার খেতে পারেন।

৩. তুলসি পাতার চিকিৎসা

তুলসি পাতায় আছে এন্টিব্যকটেরিয়াল উপাদান। গলা বেথা, ম্যালেরিয়া জ্বর,  ব্রোঙ্কাইটিস এর মত জটিলতায় তুলসি পাতা খুব ভাল কাজ করে। তুলসি পাতা যেভাবে ব্যবহার করবেন- রিলেটেডঃ তুলসী পাতার উপকারিতা

  • প্রথমে ৮-১০ র্টি তুলসি পাতা ধুয়ে নিন
  • একটি পাত্রে পানি গরম করতে থাকুন
  • কিছুক্ষণ পর পরিষ্কার তুলসি পাতা এতে দিয়ে দিন
  • ভাল ভাবে না ফোঁটা পর্যন্ত বয়েল করতে থাকুন ও নাড়তে থাকুন
  • এই পানি রোগীকে প্রতিদিন সকালপ ক্ষেতে দিন। জ্বর কমানোর ঘরোয়া উপায় হিসেবে এটি দারুণ কাজ করবে।
তুলসী গাছ
ফটোঃ তুলসী গাছ (Source: https://www.gettyimages.com/)

৪. জ্বর কমাবে আদা

শরীরের তাপমাত্রা কমানোর ক্ষেত্রে ন্যাচালার এন্টিবায়োটিক হিসেবে কাজ করে আদা। জ্বর কমাতে  আদা যেভাবে ব্যবহার করবেন-

  • প্রথমে আধা চামচ আদা ভাল করে ব্লেন্ড করে নিন।
  • এর সাথে এক চা চামচ মধু মিশিয়ে দিন
  • এই মিশ্রণ টি এক কাপ গরম পানিত দিন
  • ভালমত নেড়ে রোগী কে খেতে দিন

দিনে ৩ থেকে ৪ বার রোগীকে এটি খাওয়াতে পারেন।

৫. রসুন দিয়ে চিকিৎসা

রাতারাতি জ্বর কমাতে চাইলে রসুন খুবই ভাল কাজ করে। এজন্য এক কোয়া রসুন ও এক কাপ পানি ই যথেষ্ট।

  • এককোয়া রসুন কে কুচি কুচি করে নিন
  • এরপর দশমিনিট এর মত পানিতে বয়েল করুন
  • এরপর রসুন টুকু ছাকনি দিয়ে ছেঁকে নিন
  • নির্জাস টুকু রোগীকে খাওয়ান

তবে মনে রাখবেন এর কিছু পার্শঃপ্রতিক্রিয়া আছে।  তাই গর্ভবতী মা ও ছোট শিশুর ক্ষেত্রে এই পদ্ধতি ব্যবহার না করা ভাল।

রসুন
ছবিঃ রসুন

৬.  গরম পানিতে গোসল

কুসুম গরম পানিতে গোসল শরীরের তাপমাত্রা কামতে সাহায্য করবে। তবে এই গোসল বেশিক্ষণ করা যাবে না৷ এতে হিতে বিপরীত হতে পারে।  আর ঠান্ডা পানি এক্ষেত্রে একদম পরিহার করতে হবে।

৭.  স্পঞ্জ বাথ

গোসল করতে না চাইলে স্পঞ্জ বাথ ও নিতে পারেন। মুখ, বগল,  পায়ের তলা কুঁচকি এসব জায়গায় ভেজা কাপড় দিয়ে মুছে নিতে পারেন। এতে আরাম ও লাগবে।  পাশাপাশি শরীরের তাপও কমবে।

 ৮. জ্বর কমাতে মরিচের গুঁড়ো

মরিচের গুড়ো জ্বর কমাবে! শুনে অবাক হচ্ছেন? ঝাল মরিচে থাকে ক্যাপসাইসিন নামক একটি পদার্থ।  এটি শরীরে ঘাম বের করে দিতে সাহায্য করে। এবং শরীরে তাপমাত্রা কমিয়ে দেয়। তাই জ্বর হলে খাবারে একটু বেশি ঝাল ব্যবহার করতে পারেন।

১০. শক ট্রিটমেন্ট পদ্ধতি

ওয়েট শক খুবই কার্যকর একটি পদ্ধতি যা জ্বর কমাতে সাহায্য করে। বাইরের দেশ গুলো তে ব্যপক প্রচলন রয়েছে এর। এই পদ্ধতিতে –

  • প্রথমে একটি বালতি বা খোলামেলা পাত্রে কুসম গরম পানি নিন
  • পানিতে আপনার পা ৫ থেকে দশ মিনিট ভিজিয়ে রাখুন
  • অন্যদিকপ একজোড়া কটনের মোজাকে ঠান্ডা পানি দিয়ে ভিজিয়ে প্রস্তুত রাখুন
  • গরম পানি দিয়া পা উঠিয়ে এই মোজা পরে নিন
  • পরবর্তীতে এর উপরেই শুকনো একজোড়া পশমী মোজা পড়ে নিন
  • এভাবে করলে পায়ের দিকে রক্ত সঞ্চায়িত হবে
  • ফলে শরীরে তাপ কমবে

১১. শরীর ঠান্ডা রাখতে মাস্টার্ড ফুট বাথ

আরেকটি পদ্ধতি দিয়েও পায়ের দিকে রক্ত সঞ্চার বাড়ানো সম্ভব। তা হল মাস্টার্ড ফুট বাথ।  এক্ষেত্রে

  • চার মগ কুসুম গরম পানি নিন
  • এই পানিতে এক চা চামচ সরিষা গুড়ো নিন
  • এই পানিতে ৬-৭ মিনিট পা ভিজিয়ে রাখুন

১২.  ভিটামিন সি জাতীয় ফল ও সবজি

শরীরে ইমিউনিটি আরো বাড়াতে ভিটামিন সি জাতীয় ফল ও সবজি  খেতে পারেন। এগুলো ইনফেকশন এর বিরুদ্ধে লড়াই করতে সহযোগিতা করবে। কমলার রস, মাল্টা, লেবু,  লেবু চা এসব খুবই ভাল কাজ করে। রিলেটেডঃ ভিটামিন সি জাতীয় খাবার

১৩.  বেশি বেশি পানি পান

জ্বরের সময়ে শরীরের পানি কমে যাবার সম্ভাবনা থাকে৷ কারণ শরীরের তাপমাত্রা এসময়ে বেশি থাকে। তাই শরীরে পানির চাহিদা বেশি হয়। এই পানির চাহিদা পুরণ না হলে রোগীর ডিহাইড্রেশন হতে পারে। এতে রোগী আরো অসুস্থ হয়ে পরে এবং ইমিউন সিস্টেম দূর্বল হয়ে পরে। তাই ৮ থেকে ১২ গ্লাসের মত পানি পান করতে হবে।

১৪. অতিরিক্ত জ্বর কমাতে ওষুধ

জ্বর মানেই কি প্যারাসিট্যামল? অনেকেই চিকিৎসক এর পরামর্শ না নিয়ে শুধুমাত্র প্যারাসিট্যামল নির্ভর হয়ে পরে। কিন্তু এটি শুধু হ্যাইপোথ্যালামাস এর সেট আপ পয়েন্ট কমিয়ে তাপমাত্রা কমায়। কিন্তু আপনার শরীর যদি ভাইরাসে সংক্রামিত হয় তাহলে শুধু তাপমাত্রা কমানোই যথেষ্ট নয়। এজন্য দরকার এন্টিবায়োটিকস। প্যারাসিটামল হোক বা এন্টিবায়োটিক,  ডাক্তারের পরামর্শ  ছাড়া কোনো ওষুধ না খাওয়ার জন্য আমাদের অনুরোধ রইলো। রিলেটেডঃ মেডিকেল টেস্ট কি? স্টেপ বাই স্টেপ গাইড

১৫. ভাইরাস জ্বর হলে করণীয়

ভাইরাস জ্বরে আক্রান্ত হলে দুশ্চিন্তার কিছু নেই যদি আপনি সঠিক ট্রিটমেন্ট নিতে পারেন। সাধারণত দুই থেকে তিনদিনের মধ্যে এটি কমে আসতে পারে। তবে  ৪ থেকে ৫ দিনের মধ্যে এই জ্বর না কমলে সমস্যা।  এরসাথে কোনো উপসর্গ যেমন সর্দি কাশি থাকলে অবশ্যই চিকিৎসকের শরণাপন্ন হোন।

ভাইরাস জ্বর এড়ানের জন্য বিভিন্ন রকমের ভ্যাকসিনের ব্যবস্থা রয়েছে। সেগুলো অবশ্যই ডাক্তাররে সাথে কথা বলে এপ্লাই করুন। শরীরের দুর্বলতা ও ক্লান্তি কমাতে মাল্টি ভিটামিন সেবন করুন। ইমিউন সিস্টেম মজবুত করে এমন খাবার বেশি বেশি খান।


জ্বর হলে করণীয় / জ্বর কমানোর ঘরোয়া উপায় / Home treatment of Fever

জ্বর হওয়ার উপকারীতা

জ্বর আবার শরীরের জন্য উপরকারী? শুনতে অবাক লাগলেও সত্যি যে কম মাত্রার জ্বর শরীরের জন্য ভাল বলেই গন্য করা হয়। আমাদের শরীরে অনেক সময়ে বাইরে থেকে অনেক জীবাণু প্রবেশ করে।। শরীর ভাইরাস দিয়ে সংক্রামিত হয়। আমাদের ইমিউন সিস্টেম অটোমেটিক ভাবে এই বহিরাগত জীবানুর বিরুদ্ধে লড়াই শুরু করে। তখন আমাদের শরীরে কিছু পরিবর্তন আসে।

এসময়ে আমাদের শরীরের তাপমাত্রা নরমাল এর থেকে কিছুটা বৃদ্ধি পায়। তাই এতে প্যানিক হবার কিছুই নেই। মূলত বাহিরে থেকে আসা জীবানু ধ্বংস করার জন্যই এটি হয়। তবে জ্বরের মাত্রা বেশি হলে, খিচুনি দেখে দিলে অবশ্যই ডাক্তারের কাছে যেতে হবে।

শেষ কথা

শরীরের কোনো অসুস্থতাই অবহেলা করার মত নয়। একমাত্র অসুস্থ হলেই সুস্থ থাকার মর্ম উপলব্ধি করা যায়।  তাই নিজের ও আপন জনের  শরীরের যত্নে সর্বদা সচেতন থাকুন। জ্বর হোক বা অন্য যেকোনো রোগ ই হোক না কেন ট্রিটমেন্টের কোনো ত্রুটি রাখবেন না। আমারা আজকে জ্বর কমানোর ঘরোয়া উপায় গুলো সুন্দর করে তুলে ধরছি। আশা করি আপনার জন্য ইনফরমেশন গুলো খুবই উপকারী হবে।

বিঃদ্রঃ  এই ব্লগের প্রত্যেকটা ব্লগ পোস্ট Sylhetism ব্লগের নিজস্ব ডিজিটাল সম্পদ। কেউ ব্লগের কোন পোস্ট কিংবা আংশিক অংশ ব্লগের কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া কপি পেস্ট করে অন্য কোথাও প্রকাশ করলে ব্লগ কর্তৃপক্ষ ডিজিটাল সিকিউরিটি আইনে মামলা করার অধিকার রাখে। এবং অবশ্যই কপিরাইট ক্লাইম করে যে মাধ্যমে এই ব্লগের পোস্ট প্রকাশ করা হবে সেখানেও কমপ্লেইন করা হবে।

এই ব্লগের কোন লেখায় তথ্যগত কোন ভুল থাকলে আমাদের Contact পেইজে সরাসরি যোগাযোগ করুন, আমরা যত তাড়াতাড়ি সম্ভব তথ্য যাচাই করে লেখা আপডেট করে দিবো।

এই ব্লগের কোন স্বাস্থ বিষয়ক পোস্টের পরামর্শ নিজের বাস্তব জীবনে প্রয়োগ করার আগে অবশ্যই বিশেষজ্ঞদের মতামত নিবেন, আমরা স্বাস্থ বিষয়ে কোন বিশেষজ্ঞ না, আমাদের উদ্দেশ্য ও লক্ষ হচ্ছে সঠিক তথ্য পরিবেশন করা। সুতারাং কোন অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার দায়ভার অবশ্যই আমরা নিবো না। ধন্যবাদ, ব্লগ কর্তৃপক্ষ।

Author

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top