Last Updated on 8th May 2022 by Mijanur Rahman
এই ভেজালের যুগে নিজেকে সুস্থ এবং সচল রাখাটা কিছুটা কষ্টসাধ্য হয়ে উঠেছে। এমন সময়ে খেজুর খুব ভালো উপাদেয় খাদ্য হতে পারে। নিয়মিত খেজুর গ্রহণ প্রাণশক্তি বাড়ায়। খেজুরের পুষ্টিগুণ সম্পর্কে আমাদের সবার ই জানা। এতে রয়েছে প্রচুর পরিমানে খনিজ উপাদান, আয়রন, ক্যালসিয়াম, চিনি, পটাসিয়াম সহ আরো উপকারী উপাদানসমূহ। খেজুরে রয়েছে আশ্চর্য নিরাময় শক্তি। খেজুরের শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্যের কারণে এটি স্বাস্থ্যের দীর্ঘস্থায়ী উন্নতির জন্য ভালো বলে বিবেচিত হয়ে থাকে। তো যাইহোক, এই লেখাতে আমরা জানবো খেজুরের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত। তাহলে দেরি না করে চলুন দেখে নেই খেজুরের পুষ্টিগুণ ও পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া কি কি।
খেজুর
খেজুর অত্যন্ত সুস্বাদু ও বেশ পরিচিত একটি ফল, যা ফ্রুকটোজ ও গ্লাইসেমিক সমৃদ্ধ। খেজুরকে চিনির বিকল্প হিসেবে ধরা হয়। খেজুর শক্তির একটি ভালো উৎস,তাই খেজুর খাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই শরীরের ক্লান্তিভাব দূর হয়। খেজুর এক ধরনের তালজাতীয় শাখাবিহীন বৃক্ষ। এর বৈজ্ঞানিক নাম ফিনিক্স ড্যাকটিলিফেরা (Phoenix dactylifera)। বিশ্বের সর্বত্রই খেজুর উৎপাদন হলেও মূলত মধ্যপ্রাচ্য এবং আফ্রিকার দেশগুলোতেই খেজুরের উৎপাদন সবচেয়ে বেশি। এছাড়াও, তিউনিসিয়া, চীন, ইয়েমেন, মরক্কো, নাইজার, তুরস্ক, ইসরায়েল, কাতার, মৌরতানিয়া, চাদ বিশ্বের প্রধান খেজুর উৎপাদনকারী দেশ। বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান, উত্তর আফ্রিকা, ঘানা, আইভরীকোস্টে খেজুর গাছের অংশ কেটে মিষ্টি রস বের করা হয়, যা খেজুরের রস নামে পরিচিত।
খেজুরের প্রকারভেদ
বিশ্বে প্রায় ৩০০০ প্রজাতির খেজুর আছে। বাংলাদেশের বাজারে ১০০টিরও বেশি প্রজাতির খেজুর পাওয়া যায়। এর মধ্যে মাবরুম, মরিয়ম, সুকারি, সুগাই, ভিআইপি, মাশরুক, কালমি, আম্বার ও আজওয়া অন্যতম।
বিশ্বের সবচেয়ে দামি খেজুর আজওয়া। সৌদি আরবে আজওয়া খেজুরের ফলন হয়। এর দাম প্রতি কেজি ৮০০-২৫০০ টাকা। আজওয়া খেজুর কালো রঙ এর, নরম, সুস্বাদু ও আকারে ছোট হয়। এই খেজুর হৃদপিন্ডকে সক্রিয় রেখে হার্ট অ্যাটাক রোধ করে। এতে থাকা ভিটামিন বি ও ম্যাগনেশিয়াম হার্টের জন্য অতি উপকারি। এই খেজুরে ক্যালসিয়াম ও ফসফরাস থাকে যা হাড় ও দাঁত মজবুত রাখে। এতে অনেক পরিমানে গ্লুকোজ, ফ্রুকটোজ, সুক্রোজ থাকে, এতে করে শরীরে শক্তি বাড়ে। ডায়াবেটিক রোগীরাও এই খেজুর খেতে পারেন। প্রচুর অ্যান্টি অক্সিডেন্ট থাকায় এই খেজুর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।
মেজুল নামক খেজুর ‘খেজুরের রাজা’ হিসাবেও পরিচিত। এর দাম প্রায় ১২০০-১৫০০ কেজি। এই খেজুর মরোক্কোতে চাষ হয়। তবে বর্তমানে আমেরিকাসহ অনেক দেশেই এই খেজুর পাওয়া যায়। বড় আকারের বাদামী রঙয়ের হয়ে থাকে এই খেজুর। এই খেজুরে ফাইবার, ভিটামিন, মিনারেল প্রচুর পরিমানে আছে। এটি হৃদরোগ প্রতিরোধ করে, হজমে সহায়তা করে। এই খেজুর মস্তিষ্ক ও হাড়ের জন্য উপকারি।
শ্রেণীবিন্যাস
জগৎ |
উদ্ভিদ |
বিভাগ |
সপুষ্পক উদ্ভিদ (Magnoliophyta) |
শ্রেণী |
Liliopsida |
বর্গ |
Arecales |
পরিবার |
Arecaceae |
গণ |
Phoenix |
খেজুরের পুষ্টিগুণ
প্রতি ১০০ গ্রামে পুষ্টিমান
উপাদান |
পরিমাণ |
শক্তি |
১,১৭৮ কিলো জুল (২৮২ কিলো ক্যালরি) |
শর্করা |
৭৫.০৩ গ্রাম |
চিনি |
৬৩.৩৫ গ্রাম |
খাদ্য আঁশ |
৮ গ্রাম |
স্নেহ পদার্থ |
০.৩৯ গ্রাম |
প্রোটিন |
২.৪৫ গ্রাম |
ভিটামিন
ভিটামিন |
পরিমাণ |
১০ IU ( International unit- (আন্তর্জাতিক ইউনিট) |
|
থায়ামিন (বি১) |
০.০৫২ মিলি গ্রাম |
রিবোফ্লাভিন (বি২) |
০.০৬৬ মিলি গ্রাম |
নায়াসিন (বি৩) |
১.২৭৪ মিলি গ্রাম |
প্যানটোথেনিক অ্যাসিড (বি৫) |
০.৫৮৯ মিলিগ্রাম |
ভিটামিন বি৬ |
০.১৬৫ মিলি গ্রাম |
ফোলেট (বি৯) |
১৯ মাইক্রো গ্রাম |
ভিটামিন সি |
০.৪ মিলি গ্রাম |
০.০৫ মিলি গ্রাম |
|
ভিটামিন কে |
২.৭ মাইক্রো গ্রাম |
খনিজ উপাদান
উপাদান |
পরিমাণ |
ক্যালসিয়াম |
৩৯ মিলি গ্রাম |
লৌহ |
১.০২ মিলি গ্রাম |
ম্যাগনেসিয়াম |
৪৩ মিলি গ্রাম |
ম্যাঙ্গানিজ |
০.২৬২ মিলি গ্রাম |
ফসফরাস |
৬২ মিলি গ্রাম |
পটাসিয়াম |
৬৫৬ মিলি গ্রাম |
সোডিয়াম |
২ মিলি গ্রাম |
জিংক |
০.২৯ মিলি গ্রাম |
পানি |
২০.৫৩ গ্রাম |
খেজুরের উপকারিতা
প্রকৃতি থেকে পাওয়া প্রত্যেকটা ফল মানব শরীরের জন্য কম বেশি নানান উপকার সাধন করে থাকে। খেজুর তেমনি একটা ফল, যা বহু প্রাচীন কাল থেকে বিভিন্ন ভাবে মানব শরীরের স্বাস্থ্য উপকারিতায় ব্যবহার হয়ে আসছে। তাহলে চলুন দেখে নেই সেই স্বাস্থ্য উপকারিতা কি কি।
ত্বকের বার্ধক্য প্রতিরোধ করে
খেজুর ত্বকের স্থিতিস্থাপকতা, আর্দ্রতা বজায় রাখে।খেজুরে বিদ্যমান ভিটামিন সি এবং ভিটামিন ডি ত্বক শিথিল হওয়া রোধ করে।খেজুরে উপস্থিত অ্যান্টি এজিং (Anti aging) বৈশিষ্ট্যগুলি শরীরে মেলানিন সংগ্রহ করতে দেয় না যার ফলে চেহারার উজ্জ্বলতা বজায় থাকে। এটি আপনার ত্বকের তারুন্য দীর্ঘদিন ধরে রাখে।পুরুষের ত্বকের যত্নে খেজুর খুবই কার্যকরী, নিয়মিত খেজুর খেলে ত্বক ভেতর থেকে ভালো থাকবে।
ডায়বেটিস নিয়ন্ত্রণ করে
খেজুরে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্যের কারণে এটি ডায়াবেটিসের চিকিৎসায় সহায়তা করে। খেজুর ইনসুলিন সিক্রেটের মাধ্যমে অগ্ন্যাশয়ের কার্যকারিতা উন্নত করে থাকে।খেজুরে রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণে ফাইবার যা একজন ব্যক্তির রক্তে শর্করার মাত্রা স্থির রাখে এবং শরির সুস্থ রাখে। ডায়বেটিস রোগীরা নরমাল খেজুরের বদলে শুকনো খেজুর খেতে পারেন।
বন্ধ্যাত্ব দূর করে
আফ্রিকায় দেখা গেছে পুরুষের বন্ধ্যাত্বের জন্য সেখানকার লোকেরা দীর্ঘ দিন ধরে খেজুর ব্যবহার করে আসছে। তবে বিশেষজ্ঞদের মতে এই বিষয়ে আরও গবেষণার প্রয়োজন। খেজুরের ফুলের পরাগরেণু বন্ধ্যাত্ব দূর করে এবং শুক্রাণু বৃদ্ধি করে। খেজুর এবং এর ফুলে থাকা পরাগরেণু ডিএনএ’র (DNA) গুণগত মান উন্নত করে এর শক্তি বাড়ায়। পুরুষদের নানান কাজের চাপে অনেক সময় তাদের শরীর দুর্বল লাগে সেক্ষেত্রে কয়েকটি খেজুর খেলেই ফিরে পাবে আগের এনার্জি।
বীর্য বৃদ্ধি করে
খেজুরের উল্লেখ্যযোগ্য আরেকটি স্বাস্থ্য উপকারিতা হল খেজুর পুরুষের বীর্য বৃদ্ধি করে। খেজুরে থাকা estradiol এবং flavonoids উপদান পুরুষ এবং নারীর উভয়ের estradiol হরমোনের মাধ্যমে বীর্যের গুণগত মান বৃদ্ধি করে।
বিভিন্ন রোগ থেকে মুক্তি দেয়
খেজুরে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার যা অনেক রোগ যেমন – ডায়বেটিস,স্থূলত্ব এবং হৃদরোগ নিরাময় করতে পারে। এটি পেটের আলসার এবং ক্যান্সারের ঝুঁকি হ্রাস করতে পারে। ক্যারোটিনয়েড,পলিফেনলস আর অ্যান্থোসায়ানিনস ধরনের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ খেজুর যা ক্যান্সার প্রতিরোধে সহায়ক।
হজম শক্তি ও রুচি বাড়ায়
রুচি বাড়াতে খেজুরের কোনো তুলনা হয় না। যেসব শিশুরা ঠিকমতো খেতে চায় না, তাদেরকে নিয়মিত খেজুর খাওয়ালে রুচি ফিরে আসে। খেজুরের মধ্যে রয়েছে স্যলুবল( Soluble) এবং ইনস্যলুবল (Insoluble) ফাইবার ও বিভিন্ন ধরনের অ্যামিনো অ্যাসিড, যা সহজে খাবার হজমে সহায়তা করে।
উচ্চ রক্তচাপ কমায়
খেজুরে থাকা প্রচুর পরিমানে পটাশিয়াম ও অল্প পরিমান সোডিয়াম দেহে উচ্চ রক্তচাপ কমায়, খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায় এবং শরীরে ভালো কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়ায়। তাই প্রতিদিন খেজুর খাওয়ার অভ্যাস দেহের কোলেস্টোরলের ভারসাম্য বজা রাখতে সাহায়তা করে। একটি খেজুরে রয়েছে ২০ থেকে ২৫ মিলিগ্রাম ম্যাগনেসিয়াম,এটি উচ্চ রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে।
হার্টের সমস্যা দূর করে:
বেশিরভাগ ক্ষেত্রে পুরুষদের অত্যাধিক কোলেস্টেরলের কারণে হার্টের সমস্যা দেখা দেয়। প্রতিদিন রাতে শোয়ার আগে এক গ্লাস পানিতে খেজুর ভিজিয়ে রাখুন।সকালে উঠে সেই পানি পান করুন এতে হার্টের সমস্যা অনেকাংশে কমে আসবে।খেজুর হৃৎপিণ্ডের কর্মক্ষমতা বাড়ায়,রক্তপ্রবাহ বাড়ায়।শরীরে সোডিয়াম পটাশিয়ামের সমতা বজায় রাখে।
স্ট্রোকের সম্ভাবনা কমায়
খেজুরের মধ্যে প্রায় ৪০০ মিলি গ্রাম পটাসিয়াম থাকে, যা মানুষের স্ট্রোক হওয়ার সম্ভাবনা প্রায় ৪০% কমিয়ে আনে।
কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে
খেজুরে আছে এমন কিছু পুষ্টিগুণ, যা খাদ্য পরিপাকে সাহায্য করে এবং পাশাপাশি কোষ্ঠকাঠিন্য রোধ করে। কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা সমাধানের জন্য রাতে পানিতে খেজুর ভিজিয়ে রেখে পর দিন সকালে খেজুর ভেজানো পানি পান করুন। কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হবে।
রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বৃদ্ধি করে
দুধ ও খেজুর উভয়েই রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণে আয়রন। তাই এই দুটি জিনিস একসঙ্গে মিশালে আয়রনের মাত্রা আরও বৃদ্ধি পায়। এটি রক্তে হিমোগ্লোবিন ও প্রোটিনের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়।দুধের মধ্যে দুটি খেজুর দিয়ে ফুটিয়ে,সেই উপাদের খাবারটি সবচেয়ে স্বাস্থ্যকর বলে মানা হয়। খালি পেটে একটি নির্দিষ্ট সময়ে নিয়ম করে ১০ দিন এই উপকারী পানীয় খেলে ১০ দিনেই রক্তাল্পতার সমস্যা থেকে মুক্তি পাবন। খেজুর একজন সুস্থ মানুষের শরীরে আয়রনের চাহিদার প্রায় ১১ ভাগই পূরণ করতে সক্ষম।খেজুরে রয়েছে ভিটামিন, ফাইবার (আঁশ), ক্যালসিয়াম,ম্যাগনেসিয়াম, আয়রন, ফসফরাস, পটাশিয়াম ও জিঙ্ক। তাই নিয়মিত খাদ্য তালিকায় খেজুর রাখতে পারেন।
চোখ ভালো রাখে
খেজুরে লিউটেন ও জিক্সাথিন আছে যা রেটিনা ভালো রাখে। খেজুর দৃষ্টি শক্তি বাড়ায়, সেই সঙ্গে রাতকানা রোগ প্রতিরোধেও খেজুর অত্যন্ত কার্যকরী।
খেজুর খাওয়ার সময় ও নিয়ম
- সকালে খেজুর খেতে পারেন। সকাল বেলা খেজুর খেলে সারাদিন কাজের জন্য আপনি যথেষ্ট পরিমান শক্তি পাবেন।
- ব্যায়াম করার আধা ঘন্টা আগে খেজুর খেতে পারেন, এতে করে সহজেই ক্লান্ত এসে পড়বে না।
- খেজুর সারারাত ভিজিয়ে রেখে সকালে খেজুর ভেজানো পানিসহ খেজুর খেতে পারেন।
- দুধের সাথে মিশিয়েও খেজুর খেতে পারেন, এটি একটি উপাদেয় খাদ্য।
খেজুরের উপকারিতা এবং অপকারিতা
খেজুরের অপকারিতা
খেজুরের অসংখ্য উপকারিতার পাশাপাশি রয়েছে কিছু পার্শপ্রতিক্রিয়া বা অপকারিতা, এই সেকশনে আমরা দেখবো খেজুরের অপকারিতা কি কি হতে পারে।
ওজন বৃদ্ধি
আগেই আমাদের চার্টে দেখানো হয়েছে খেজুর খুব উচ্ছ ক্যালোরির বা শক্তির একটি ফল, খেজুরে থাকা উচ্চমাত্রার শক্তির জন্যে অতিরিক্ত খেজুর খুব দ্রুত ওজন বৃদ্ধি করতে পারে। তাই যাদের ওজন কমানোর ইচ্ছে আছে তাদের অতিরিক্ত খেজুর খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে।
রক্তে চিনি বৃদ্ধি
খেজুরে প্রাকৃতিক চিনি বা সুগার থাকার কারণে অতিরিক্ত খেজুর খাওয়া সহজে ব্লাড সুগার বৃদ্ধির কারণ হতে পারে। তাই অবশ্যই বেশি বেশি খেজুর খাওর আগে নিজের শরীরের ব্লাড সুগারের মাত্রা চেক করে নিবেন।
এলার্জি বৃদ্ধি
যাদের শরীরে এলার্জি আছে তাদের অতিরিক্ত খেজুর খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। শুকনো খেজুর অনেক সময় আমাদের শরীরের এলার্জিকে জাগিয়ে তুলতে পারে।
ফুটনোটঃ খেজুরে প্রচুর পরিমানে পটাশিয়াম রয়েছে। তাই যাদের শরীরে পটাশিয়ামের মাত্রা বেশি তারা খেজুর খাওয়ার আগে ডাক্তারের পরামর্শ গ্রহণ করবেন।
শেষ কথা
খেজুর অত্যন্ত পুষ্টিকর একটি ফল। এয় যেমন দেহের শক্তি যোগায়, তেমনি দেহে পুষ্টির চাহিদাও পূরন করে। তাই আপনার খাদ্য তালিকায় খেজুর রাখার চেষ্টা করুন, এতে আপনার দেখের কর্মক্ষমতা বাড়বে। তো বন্ধুরা খেজুরের উপকারিতা ও অপকারিতা জেনে ভালো লাগলে লেখাটি শেয়ার করতে ভুলবেন না।
বিঃদ্রঃ এই ব্লগের প্রত্যেকটা ব্লগ পোস্ট Sylhetism ব্লগের নিজস্ব ডিজিটাল সম্পদ। কেউ ব্লগের কোন পোস্ট কিংবা আংশিক অংশ ব্লগের কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া কপি পেস্ট করে অন্য কোথাও প্রকাশ করলে ব্লগ কর্তৃপক্ষ ডিজিটাল সিকিউরিটি আইনে মামলা করার অধিকার রাখে। এবং অবশ্যই কপিরাইট ক্লাইম করে যে মাধ্যমে এই ব্লগের পোস্ট প্রকাশ করা হবে সেখানেও কমপ্লেইন করা হবে।
এই ব্লগের কোন লেখায় তথ্যগত কোন ভুল থাকলে আমাদের Contact পেইজে সরাসরি যোগাযোগ করুন, আমরা যত তাড়াতাড়ি সম্ভব তথ্য যাচাই করে লেখা আপডেট করে দিবো।
এই ব্লগের কোন স্বাস্থ বিষয়ক পোস্টের পরামর্শ নিজের বাস্তব জীবনে প্রয়োগ করার আগে অবশ্যই বিশেষজ্ঞদের মতামত নিবেন, আমরা স্বাস্থ বিষয়ে কোন বিশেষজ্ঞ না, আমাদের উদ্দেশ্য ও লক্ষ হচ্ছে সঠিক তথ্য পরিবেশন করা। সুতারাং কোন অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার দায়ভার অবশ্যই আমরা নিবো না।