Last Updated on 7th April 2024 by Mijanur Rahman
আমাদের মাঝে অনেকে অনেক রোগে আক্রান্ত হয়ে থাকে। একেক জনের একেক রকম রোগ হয়ে থাকে। বস্তুত কেউই পরিপূর্ণ ভাবে সুস্থ নয়। সবারই কিছু না কিছু সমস্যা দেহের মধ্যে বাসা বাঁধে। কেউ কেউ সেটা আগে থেকে শনাক্ত করতে পারে এবং যথাযথ চিকিৎসা নিতে পারে। আবার কেউ কেউ বুঝতেই পারে না যে তাদের দেহে রোগের সৃষ্টি হয়েছে। কারণ তারা সেই রোগ থেকে সৃষ্ট লক্ষণগুলোকে অবহেলা করে। এতে করে তাদের পরবর্তীতে অনেক ভোগান্তিতে পড়তে হয়। বিভিন্ন ধরনের রোগের মধ্যে অন্যতম রোগ হলো লিভারের রোগ। যার কথা শুনলেই আমরা আঁতকে উঠি। আজকের আর্টিকেলে আপনারা জানতে চলেছেন লিভার রোগের লক্ষণ রোগের কারণ ও প্রতিকার সম্পর্কে।
লিভার
লিভার বা যকৃত হলো আমাদের দেহের সবচেয়ে বড় গ্রন্থি। এর ওজন দেহের মোট ওজনের ৩-৫ শতাংশ।এটি ডান ও বাম দুটি খন্ডে বিভক্ত। এটি দুই ধরনের কোষ দ্বারা গঠিত।একটি হলো প্যারেনকাইমাল এবং অপরটি হলো নন প্যারেনকাইমাল ।
আমরা প্রতিদিন যেসব খাদ্য গ্রহণ করি সেগুলো এই লিভারের মাধ্যমেই রক্তে মিশ্রিত হয় ও শক্তি তৈরি করে। এটি হজম, পুষ্টির বিপাক ও সঞ্চয় করে, গ্লাইকোজেন সঞ্চয় করে,প্লাজমা সংশ্লেষন করে সেই সাথে বিশেষ প্রোটিন ও রক্ত জমাট বাঁধার উপাদান ও তৈরি করে।এটি খাদ্য থেকে কার্বোহাইড্রেট নিয়ে জমা করে যাতে পরবর্তীতে কার্বোহাইড্রেটের অভাবে দেহে কোনো সমস্যা না হয়।এটি এলবুমিন নামক উপাদান তৈরি করে যা না থাকলে দেহে পানি চলে আসে।
কোনো কারণে এই লিভার কাজ করতে ব্যর্থ হলে নানা ধরনের রোগে সংক্রমিত হয়ে পড়ে। লিভারের সংক্রমন এমন একটি ব্যাধি যা যথাযথ চিকিৎসার অভাবে গুরুতরভাবে রোগীর ক্ষতি করতে পারে , এমনকি রোগীর মৃত্যুও ঘটতে পারে।
লিভারে রোগ
শরীরের এই গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ লিভার যদি তার কাজ করতে ব্যর্থ হয় তবে বিভিন্ন ধরনের জটিলতা দেখা দেয়। যেমন :
✓ সাধারন ভাইরাস সংক্রমণের ফলে লিভার বড় হয়ে যেতে পারে যাকে বলা হয় বর্ধিত লিভার বা হেপাটোমেগালি।
✓ লিভার চর্বি হজমে সাহায্য করে তাই লিভারের সমস্যা হলে চর্বি গুলো অন্ত্র থেকে লিভারে এসে জমে থাকে যার ফলে “ফ্যাটি লিভার ডিজিজ” (Fatty Liver Disease) রোগের সৃষ্টি হয়।
✓ লিভারের বিভিন্ন রোগের প্রভাবে লিভারের কার্যক্ষমতা যখন অনেক কমে যায় তখন “লিভার সিরোসিস” দেখা দেয়।
✓ যেসব টক্সিন লিভার পরিশোধন করতো সেগুলো ব্রেইনে চলে গিয়ে রোগী কোমায় চলে যেতে পারে অথবা মৃত্যু ও ঘটতে পারে।
✓ লিভার ইনফেকশনের সবচেয়ে বেশি প্রচলিত ধরন হলো, হেপাটাইটিস ভাইরাস। যা বিভিন্ন ভাবে ছড়িয়ে পড়তে পারে।
✓ লিভারে সিস্ট হতে পারে যা খুবই মারাত্মক হতে পারে।
বর্ধিত লিভার
বর্ধিত লিভার কি ও কেন হয়? সাধারনত হার্ট ফেইলিউর বা হৃদস্পন্দন বন্ধ হওয়ার মতো গুরুতর চিকিৎসাগত অবস্থায় লিভার বড় হয়ে গেলে তাকে বর্ধিত লিভার বলে বর্ণনা করা হয়। প্রাথমিকভাবে এর কোনো উপসর্গ দেখা যায় না। তবে পরোক্ষভাবে কিছু অসুস্থতা দেখা দিতে পারে।
যেমন : পেটে ব্যথা ,বমি ভাব,জন্ডিস, অবসাদ ও দূর্বলতা ইত্যাদি। এর প্রতিকারের জন্য দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
ফ্যাটি লিভার
ফ্যাটি লিভার ডিজিজ কি ও কেন হয়? শরীরে টক্সিন সমৃদ্ধ চর্বি জমে গেলে ফ্যাটি লিভার হানা দেয়। আমাদের লিভারে সাধারণত ৩-৪ পাউন্ড চর্বি থাকে। এ চর্বির পরিমাণ ১০ শতাংশের অধিক হয়ে গেলে একে “ফ্যাটি লিভার ডিজিজ” (Fatty Liver Disease) বলা হয়। বিশ্বের প্রায় ৩০ শতাংশ মানুষ এই রোগে আক্রান্ত।
অতিরিক্ত ওজন, মেদ, ডায়াবেটিস, উচ্চ কোলেস্টরল এসবের কারণে অনেকে ফ্যাটি লিভার রোগে আক্রান্ত হন। এছাড়াও নিয়মিত মদ্যপান ও বিভিন্ন ধরনের ঔষধ সেবনের কারণেও অনেকে এ রোগে আক্রান্ত হয়ে থাকে। এই রোগ হওয়ার কোনো নির্দিষ্ট বয়স নেই । বাচ্চাদের মধ্যেও এ রোগ দেখা যায় যার হার প্রায় ১৫ শতাংশ।
লিভার রোগের লক্ষণ
সবচেয়ে ভয়ংকর ব্যাপার হলো এটি নিরব ঘাতক। শুরুতে এর কোনো লক্ষণই দেখা যায় না। আল্ট্রাসনোগ্রাম করলে এটি ধরা পড়ে।
✓ শুরুতে লিভারের চারপাশে চর্বি জমা হয় এরপর থেকে শুরু হয় বিভিন্ন জটিলতা। ধীরে ধীরে লিভারে প্রদাহ সৃষ্টি হয়।
✓এসময় শরীরের শক্তি কমতে থাকে ও শরীর দুর্বল হয়ে পড়ে।
✓ জন্ডিস হয়ে চোখ ,মুখ, হাত হলুদ হয়ে যায়।
✓ ক্ষুধা কমতে থাকে ও রোগীর অবস্থা খুবই খারাপ হয়ে যায়।
✓ মাঝে মধ্যে তলপেটে চিন চিন ব্যথা অনুভব হয়।
✓ ফ্যাটি লিভার ডিজিজ এর মাধ্যমে ডায়াবেটিকসহ “লিভার সিরোসিস” পর্যন্ত হতে পারে যা নিঃসন্দেহে মারাত্মক একটি ব্যাধি।
আমরা অনেকেই ভেবে থাকি যে শুধু মদ্যপানের কারনেই ফ্যাটি লিভার ডিজিজ হয় । কিন্তু তা নয়। মদ্যপান ছাড়াও জীবনযাত্রা ও খাদ্যাভ্যাসের কারণেও হতে পারে ফ্যাটি লিভার ডিজিজ। এজন্য সর্বপ্রথম জীবনযাপনে ও খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন আনতে হবে।
প্রতিকারের উপায়
ফ্যাটি লিভার রোগ থেকে মুক্তি পেতে ওজন কমানোর কোনো বিকল্প নেই। এছাড়াও যা যা করলে এ রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে তা বর্ণনা করা হলো:
✓ বিভিন্ন ধরনের ব্যায়াম নিয়মিত করলে ওজন ও কমবে সেই সাথে ফ্যাটি লিভার রোগ ও ধীরে ধীরে কমে আসবে।
✓ সঠিক পরিমানে বিশুদ্ধ পানি পান করলে লিভার ভালো থাকবে।
✓ অস্বাস্থ্যকর কোমল পানীয় বা কার্বোনেটেড বেভারেজ পান করা থেকে বিরত থাকতে হবে। এসব পানীয় লিভারের অনেক ক্ষতি করে।
✓ খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন আনতে হবে।
✓ ডায়াবেটিকস ও লিপিড প্রোফাইল নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে।
✓ খাদ্যতালিকায় বিভিন্ন ধরনের শাকসবজি ,ফল , লাল আটার রুটি ও লাল চালের ভাত রাখতে হবে।
✓ ওমেগা-৩ যুক্ত খাবার যেমন , সামুদ্রিক মাছ, কাঠবাদাম,অলিভ অয়েল ইত্যাদি খেতে হবে।
✓ চর্বি ও চিনিজাতীয় খাবার বাদ দিতে হবে।
✓ রেড মিট (গরুর মাংস,খাসির মাংস) খাওয়া বাদ দিতে হবে।
সর্বোপরি , ফ্যাটি লিভার ডিজিজ থেকে মুক্তি পেতে ফিট থাকার কোনো বিকল্প নেই। ফ্যাটি লিভার ডিজিজ নিজের চেষ্টায়ই নির্মুল করা সম্ভব।
লিভার সিরোসিস
লিভার সিরোসিস কি ও কেন হয়? লিভারের রোগগুলো যখন বেশি গভীরে চলে যায় তখন লিভার সিরোসিসে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। এটি একটি মারাত্মক ও অনিরাময়যোগ্য রোগ।এ রোগে আক্রান্ত হলে লিভার ট্রান্সপ্লান্ট বা প্রতিস্থাপন ছাড়া কোনো উপায় থাকে না।
ধারনা করা হয়, বাংলাদেশের মোট হেপাটাইটিস বি ও সি রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের মধ্যে ৫ থেকে ১০ শতাংশ মানুষ লিভার সিরোসিসে আক্রান্ত। লিভারের বিভিন্ন রোগের প্রভাবে লিভারের কোষগুলো যখন এমন পর্যায়ে চলে আসে যে লিভার আর কোনোভাবেই কাজ করতে পারে না সেই পর্যায়কে “লিভার সিরোসিস” বলে বর্ণনা করা হয়।
লিভার সিরোসিস হলে লিভারের মধ্যে খুব সুক্ষ্ম সুতার জালের মতো ফাইব্রোসিসের আবির্ভাব ঘটে।লিভারে তখন ছোট ছোট দানা বেঁধে যায়। ধীরে ধীরে সেটির বিস্তার ঘটতে থাকে। ফাইব্রোসিসের প্রভাবে লিভার আর নিজেকে পুনরুদ্ধার করতে পারে না ফলে এটি সংকুচিত হয়ে পড়ে ও নিজের কার্যক্ষমতা হারায়।
ন্যাশনাল লিভার ফাউন্ডেশন অব বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা ও অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আলী বলেছেন, “হেপাটাইটিস বি,সি ও ডি ভাইরাসের কারণে লিভারে প্রদাহ সৃষ্টি হয় এবং দীর্ঘদিন ধরে এ অবস্থায় থাকলে লিভারের কার্যক্রম সংকুচিত হয়ে যায় এবং একেই লিভার সিরোসিস বলে আখ্যা দেয়া হয়।”
লিভার সিরোসিস কেন হয়
✓দীর্ঘদিন ধরে ফ্যাটি লিভারে আক্রান্ত থাকলে ।
✓অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিক,শারীরিক পরিশ্রমের অভাব , অনিয়ন্ত্রিত জীবন যাপন।
✓অতিরিক্ত মদ্যপান , রাস্তা ঘাটের দূষিত পানীয় পান করা।
✓পিত্ত নালি দূর্বল ,হজমে সমস্যা , উইলসন রোগ এসবের কারণেও লিভার সিরোসিস হয়ে থাকে ।
লিভার সিরোসিসের কোনো নিরাময় নেই। তবে প্রাথমিক অবস্থায় এটি শনাক্তকরণ সম্ভব হলে এটিকে দ্রুত চিকিৎসার মাধ্যমে সারিয়ে তোলা যায়। আর দেরী করে শনাক্ত হলে এর জটিলতা কমানো অসম্ভব হয়ে পড়ে। চিকিৎসা না হওয়ার কারণে এটি আরো মারাত্মক হয়ে পড়ে।
লিভার সিরোসিস এর লক্ষণ
লিভার সিরোসিস এর লক্ষণ
✓ হঠাৎ করে ওজন কমে যাওয়া, দূর্বল অনুভব করা।
✓ পেটে পানি এসে পেট ফুলে যাওয়া,পায়ে ও পানি আসতে পারে।
✓ রক্তবমি হতে পারে বা পায়খানার সাথে কালো রক্ত বের হতে পারে।
✓ লিভার সিরোসিস হলে লিভারে ক্যান্সারও হতে পারে।এতে করে পেট ফুলে শক্ত হয়ে যায় ও পানি জমে।
✓ চোখ ও প্রস্রাব হলুদ হয়ে যায়।
উপরোক্ত লক্ষনগুলো দেখা দিলে দেরী না করে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। তাহলে চরম পর্যায়ে পৌঁছানোর আগেই রোগের প্রতিকার করা যাবে।
লিভার সিরোসিস থেকে মুক্তির উপায়
লিভার সিরোসিসে একবার আক্রান্ত হলে এর নিরাময় করা অসম্ভব হয়ে পড়ে। এক্ষেত্রে একমাত্র উপায় হচ্ছে লিভার প্রতিস্থাপন করা যা খুবই ব্যয়বহুল। তাই লিভার সিরোসিস রোগের প্রতিকারের চেয়ে প্রতিরোধই উত্তম। এক্ষেত্রে যা যা করা দরকার তা হলো:
- হেপাটাইটিস -বি ভাইরাস প্রতিরোধক টিকা গ্রহণ করা।
- রক্ত নিতে হলে অবশ্যই নিরাপদ রক্তদাতা হতে রক্ত নিতে হবে।
- মাদক ও অ্যালকোহল পান করা থেকে বিরত থাকতে হবে।
- অনিরাপদ যৌন সংসর্গ এড়িয়ে চলতে হবে।
- ওজন ও রক্তের শর্করার ও চর্বির পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে।
- ফ্যাটি লিভারে আক্রান্ত হয়ে থাকলে অবশ্যই জীবনাচরণ ও খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তন করতে হবে।
লিভারের যেকোনো রোগ থেকে বাঁচতে অবশ্যই সঠিক নিয়ম অনুযায়ী খাদ্য গ্রহণ ও জীবন যাপন করতে হবে। মাত্রাতিরিক্ত মদপান ও তেলজাতীয় খাবার এড়িয়ে চলতে হবে।
লিভার সিস্ট
সিস্ট হলো পানিভর্তি থলি । যা শরীরের বিভিন্ন জায়গায় সৃষ্টি হতে পারে।এটি লিভারে হলে একে লিভারের সিস্ট বলা হয়। ম্যালডিভেলপমেন্টগুলিও লিভার সিস্টের সংক্রমণের সম্ভাব্য কারণ বলে গণ্য করা হয়।
লক্ষণসমূহ
প্রাথমিকভাবে লিভারের সিস্ট কোনো লক্ষণ সৃষ্টি করে না ।তাই এটি শনাক্ত করতে বেশ কয়েক বছর লেগে যায়।তবে মাঝেমধ্যে জন্ডিস ও পেটে ব্যথা দেখা দিতে পারে। এছাড়াও ক্ষুধামন্দা ও ওজন হ্রাস পেতে পারে। সিস্ট খুব বড় হয়ে গেলে মারাত্মক ব্যথা সৃষ্টি হতে পারে।
প্রতিরোধের উপায়
লিভারের সিস্ট মূলত লিভারের মধ্যে ফিতাকৃমির সংক্রমনের কারণে হয়ে থাকে। এজন্য যথাসম্ভব বাইরের খাবার ও মদ্যপান থেকে বিরত থাকা খুবই জরুরি। কারন এসবের কারণে লিভারে ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ ঘটে থাকে ।যা লিভারের সিস্ট তৈরি করে।
লিভার রোগীর খাদ্য তালিকা
- কফি: কফি লিভারের দীর্ঘস্থায়ী রোগ প্রতিরোধে বিশেষ ভূমিকা রাখে এবং এটি লিভারের ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়।
- চর্বিযুক্ত মাছ: চর্বিযুক্ত মাছে থাকে ওমেগা -৩ ফ্যাটি এসিড ও স্যাচুরেটেড ফ্যাট যা লিভারের জন্য অনেক ভালো।
- বেরিজাতীয় ফল: স্ট্রবেরি, ব্লুবেরি ইত্যাদি ফলে থাকে প্রচুর এন্টি অক্সিডেন্ট, ভিটামিন-সি ও পানি যা লিভারের জন্য অনেক উপকারী ভূমিকা পালন করে।
- বাদাম ও শস্যজাতীয় খাবার: বিভিন্ন ধরনের বাদাম, মটরশুটি, মসুর ডাল ইত্যাদিতে ভিটামিন ই ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে যা লিভার ভালো রাখতে সাহায্য করে।
উপরোক্ত খাবারগুলোর পাশাপাশি গ্রিন টি,আমলকি ,অ্যাপেল সিডার ভিনেগার এসব খাবার খাওয়ার অভ্যাস করলে লিভার ভালো থাকবে।
লিভার রোগের লক্ষণ ও চিকিৎসা
সেসব খাবার পরিহার করবেন
নিম্নোক্ত খাবারগুলো লিভারে খুবই খারাপ প্রভাব ফেলে। নিচে তা ধারাবাহিকভাবে দেয়া হলো:
- অ্যালকোহল : অ্যালকোহল পান করা মানেই লিভারের মারাত্মক ক্ষতি ডেকে আনা। তাই এই অ্যালকোহল পান করা থেকে সম্পুর্ন বিরত থাকতে হবে।
- সোডিয়ামযুক্ত খাবার : বিভিন্ন ধরনের ফাস্টফুডে প্রচুর পরিমাণে সোডিয়াম ব্যবহৃত হয় । যা লিভারের জন্য অনেক ক্ষতিকর। তাই এ ধরনের খাবার এড়িয়ে চলা উচিত।
- বেকারীর খাবার: বেকারীর খাবারে অনেক ইস্ট ও বিভিন্ন ধরনের উপাদান ব্যবহৃত হয় যা লিভারের স্বাভাবিক কার্যক্ষমতা নষ্ট করে দেয়। তাই বেকারীর খাবার পরিহার করাই শ্রেয়।
এছাড়াও ভাজাপোড়া ও রাস্তার পাশের খোলা খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। লিভারের রোগ অনেক সময় বংশগতভাবেও হয়ে থাকে । তাই চিকিৎসকের কাছে পরিষ্কারভাবে বলতে হবে যে আপনার ফ্যামিলীতে লিভারের রোগে আক্রান্ত হয়েছে বা এমন কোনো ঘটনা ঘটেছে কি না।
সর্বোপরি , স্বাস্থ্যকর জীবন যাপনের মাধ্যমে যেকোনো রোগ প্রতিরোধ করা সম্ভব। লিভারের রোগ প্রতিরোধে সতর্ক থাকার কোনো বিকল্প নেই। এজন্য সঠিক জীবন যাপনের মাধ্যমে সুস্থ থাকুন , সুন্দর থাকুন।
বিঃদ্রঃ এই ব্লগের প্রত্যেকটা ব্লগ পোস্ট Sylhetism ব্লগের নিজস্ব ডিজিটাল সম্পদ। কেউ ব্লগের কোন পোস্ট কিংবা আংশিক অংশ ব্লগের কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া কপি পেস্ট করে অন্য কোথাও প্রকাশ করলে ব্লগ কর্তৃপক্ষ ডিজিটাল সিকিউরিটি আইনে মামলা করার অধিকার রাখে। এবং অবশ্যই কপিরাইট ক্লাইম করে যে মাধ্যমে এই ব্লগের পোস্ট প্রকাশ করা হবে সেখানেও কমপ্লেইন করা হবে।
এই ব্লগের কোন লেখায় তথ্যগত কোন ভুল থাকলে আমাদের Contact পেইজে সরাসরি যোগাযোগ করুন, আমরা যত তাড়াতাড়ি সম্ভব তথ্য যাচাই করে লেখা আপডেট করে দিবো।
এই ব্লগের কোন স্বাস্থ বিষয়ক পোস্টের পরামর্শ নিজের বাস্তব জীবনে প্রয়োগ করার আগে অবশ্যই বিশেষজ্ঞদের মতামত নিবেন, আমরা স্বাস্থ বিষয়ে কোন বিশেষজ্ঞ না, আমাদের উদ্দেশ্য ও লক্ষ হচ্ছে সঠিক তথ্য পরিবেশন করা। সুতারাং কোন অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার দায়ভার অবশ্যই আমরা নিবো না।
ধন্যবাদ, ব্লগ কর্তৃপক্ষ।