Last Updated on 7th April 2024 by Mijanur Rahman
দাতে ব্যথা প্রতিটি মানুষের কাছে চরম আতংকের এক নাম। দাতে ব্যথা হলে শিশু থেকে বয়ষ্ক সবাই কষ্ট পেয়ে থাকেন। সাধারণত এই ব্যথা একবার শুরু হলে সেটি অসহনীয় যন্ত্রণার পর্যায়ে চলে যায়। বাস্তবতা হলো, ঝকঝকে সাদা দাঁত প্রতিটি মানুষের অত্যন্ত প্রিয় হলেও দাতের ব্যথাকে বেশিরভাগই তেমন আমলে নেননা। তারা বেশিরভাগ সময়ই এ ব্যথা সারাতে কার্যকরী তেমন কোন ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে অবগত না হওয়ায় দুঃসহ এই ব্যথায় কষ্ট পেতে থাকেন। অথচ, বাড়িতে বসে খুব সহজেই কিন্তু দাঁতে ব্যথা সারিয়ে তোলা সম্ভব। কি ভাবছেন? কিভাবে সম্ভব? আজ আমি আপমাদের সবার কথা মাথায় রেখে দাতের ব্যথায় করনীয় ১১টি লাইফ সেইভিং টিপস শেয়ার করবো। দাঁতে ব্যথার সময় এ টিপসগুলো ফলো করলে ছোট থেকে বড় প্রতিটি মানুষই উপকৃত হবেন।
দাতে ব্যথা কেন হয়?
দাতের ব্যথায় করনীয় টিপস সম্পর্কে তো জানবেনই, কিন্তু তার আগে বলুন তো, কখনো কি ভেবে দেখেছেন মানুষের দাঁতে ব্যথার পেছনের কারণগুলো কি? সত্যি বলতে দাঁতব্যথার পেছনের কারণ কিন্তু একটি নয়, বরং এর পেছনে রয়েছে একাধিক কারণ। এ কারণগুলো না জানার ফলে অনেকেই বুঝে উঠতে পারেননা কি করা হলে এ ভয়ানক ব্যথা থেকে কিছুটা হলেও উপশম পাওয়া যাবে। তাই চলুন শুরুতেই জেনে আসি দাঁতে ব্যথার পেছনের মূল কারণগুলো কি কি।
- অনেক সময় আমাদের দাঁত অতিরিক্ত ঠান্ডা বা অতিরিক্ত গরম কোন খাবার সহ্য করতে পারেনা। দাঁতের এই দুর্বল অবস্থাকে টিথ সেনসিটিভিটি বলা হয়। টিথ সেনসিটিভিটি থাকলে অতিরিক্ত ঠাণ্ডা বা গরম খাবার বা পানীয় গ্রহণ করার পরপরই দাঁতে ব্যথা শুরু হয়।
- যদি কোন কারণে দাঁতের কিছুটা অংশ ভেঙে যায় – যেমন শক্ত কিছুতে কামড় দেয়ার সময় বা কোনো কিছুর সাথে ধাক্কা লেগে, তখন সে কারণেও দাঁতে প্রচণ্ড ব্যথা হয়ে থাকে। ৷
- আমাদের প্রত্যেকের দাঁত যেখানে রয়েছে সেখানে গাম টিস্যু নামক একপ্রকার টিস্যু থাকে যা দাঁতের গোড়াকে বিভিন্ন ইনফেকশন থেকে সুরক্ষিত রাখে। এই গাম টিস্যু বয়সের সাথে সাথে যদি ক্ষতিগ্রস্ত হয় তখন দাঁতের গোড়া আর পূর্বের মতো সুরক্ষিত থাকেনা। ফলস্বরূপ তখন দাঁতে অন্যান্য সময়ের তুলনায় বেশি ব্যথা হয়।
- আমাদের প্রত্যেকের দাঁতের সুরক্ষার জন্য যে অংশটি চব্বিশ ঘণ্টা নিয়োজিত থাকে সেটি হলো দাঁতের উপরিভাগের এনামেল। কিন্তু আমাদের কিছু ভুলের জন্য এই এনামেল ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে পড়ে। যেমনঃ দাঁত সাদা করার জন্য বিভিন্ন ক্ষতিকর প্রোডাক্ট ব্যবহার করা হলে, অতিরিক্ত প্রেশার দিয়ে দাঁত ব্রাশ করলে কিংবা অতিরিক্ত অ্যাসিডিক খাবার খেলে দাঁত থেকে এনামেলের স্তর চিরকালের মতো উঠে যেতে শুরু করে। এসময় দাঁতে ব্যথা অনুভূত হয় যা সহ্য করা বেশ কঠিন৷
- সঠিকভাবে দাঁতের যত্ন না নিলে দাঁতে বিভিন্ন জীবাণুর সংক্রমণ হয়৷ এ সমস্যাকে দাঁতের ক্যাভিটি বলা হয়। ক্যাভিটির কারণে দাঁত ক্ষয় দেখা দেয়। সেসময় দাঁতে ব্যথা হয়ে থাকে। ক্যাভিটিতে যেকোন বয়সের মানুষ ভুগলেও শিশুরা এ সমস্যায় বেশি ভুগে থাকে।
- জিঞ্জিভাইটিস নাম সমস্যার কারণেও দাঁতে ব্যথা অনুভূত হয়ে থাকে। জিঞ্জিভাইটিস হলে দাঁতের মাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। যা পরবর্তীতে দাঁতে ব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
- যদি কারো সাইনাস ইনফেকশন হয়ে থাকে, তাহলে সেক্ষেত্রেও দাঁতে ব্যথা হতে পারে।
- অনেক সময় দেখা যায়, দাঁতে ফিলিং, রুট ক্যানেল ইত্যাদি করতে হয়৷ যদি এগুলো সঠিকভাবে করা না হয়, তখন প্রতিক্রিয়া হিসেবে দাঁতে ব্যথায় ভুগতে হয়।
মূলত এই কয়টি কারণেই দাঁতে ব্যথা হয়ে থাকে। এ ব্যথা থেকে বাঁচতে হলে দাঁতে ব্যথায় করণীয় উপায়গুলো সম্পর্কে জেনে রাখা আবশ্যক।
দাতের ব্যথায় করনীয়
সাধারণত দাঁতে ব্যথার তীব্রতা অন্যান্য যাবতীয় ব্যথাগুলোর তুলনায় একটু বেশি ই হয়ে থাকে। এই ব্যথা শুরু হওয়ার সময় তীব্রতা কম থাকে, তারপর যত সময় যায় বাড়তে থাকে। এ ব্যথার কারণে মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যহত হয়৷ বিশেষ করে হঠাৎ করেই যদি দাঁতে ব্যথা শুরু হয় তখন অনেক সময় হাতের কাছে প্রয়োজনীয় ওষুধও থাকেনা। একারণেই বাড়িতে বসে কিভাবে এ ব্যথা উপশম করা সম্ভব সে উপায়গুলো প্রত্যেকের জেনে রাখা উচিৎ। চলুন তাহলে এবার জেনে আসা যাক দাতের ব্যথায় করনীয় ১১টি টিপস সম্পর্কে, যেগুলো অনুসরণ করলে বাড়িতে বসে অতি দ্রুত দাঁতের ব্যথা কমাতে পারবেন।
আরো পড়ুনঃ মেছতা কি? মেছতা কেন হয়? মেছতা দূর করার উপায়
০১। বরফ
যেকোনো ব্যথার বহুল ব্যবহৃত মহৌষধ কোনটি বলুন তো? ঠিক ধরেছেন। বলছিলাম বরফের কথা। শরীরের যেকোন অংশে কেটে যাওয়া, ফুলে যাওয়া কিংবা যেকোনো ব্যথায় বরফের ব্যবহার খুবই কাজে আসে। দাতের ব্যথায় করনীয় উপায় হিসেবেও বরফ তাৎক্ষনিকভাবে মারাত্মক ভালো কাজ করে। বরফ ব্যবহার করলে দাঁতের ব্যথার জায়গাটিতে আরাম পাওয়া যায়, মাড়ি ফুলে গেলে তা কমে যায় এবং ব্যথা কমে যেতে শুরু করে। দাঁতব্যথা কমাতে বরফ ব্যবহারের জন্য প্রথমে ফ্রিজ থেকে একটুকরো বরফ বের করে সেটিকে নরম পুরনো সুতি কাপড় কিংবা তুলায় জড়িয়ে নিন। তারপর দাঁতের যে অংশে ব্যথা সেখানে চেপে ধরে রাখুন। দেখবেন উপকার পাবেন।
০২। রসুন
দাঁতের ব্যথা কমাতে সক্ষম এমন একটি উপকরণ আমাদের সকলের বাড়িতে রয়েছে, যেটি আমরা প্রতিদিন বিভিন্ন খাবার রান্না করার সময় মশলা হিসেবে ব্যবহার করে থাকি। সেই উপকরণটি হলো রসুন৷ যদি হঠাৎ করে দাঁতে কিংবা মাড়িতে ব্যথা অনুভূত হয়, তাহলে রসুনের একটি কোয়া কিছুটা থেঁতলে তাতে লবণ মিশিয়ে দাঁতে লাগান। শুধু তাই নয়, যদি ব্যথার মাত্রা বেশি হয় তাহলে থেঁতো করা রসুন চিবিয়ে খেয়ে ফেলুন। বিভিন্ন উপকারি গুণসমৃদ্ধ রন্ধনসামগ্রী এই রসুন দাঁত ব্যথা খুব দ্রুত কমিয়ে আরাম দিতে পারে। তাই দাতের ব্যথায় করনীয় টিপস হিসেবে চাইলেই রসুন ব্যবহার করতে পারেন।
০৩। মরিচ
এবার আমি বলবো এমন এক দাঁতের ব্যথা কমানোর ঘরোয়া উপায়ের ব্যাপারে, যেটি শুনলে সবাই অবাক হয়ে যাবেন। আপনারা কি জানেন মরিচের ঝাল যে দাঁতের সেনসিটিভিটি কমাতে সাহায্য করে? মরিচ দামে সস্তা এবং নিত্যপ্রয়োজনীয় একটি উপাদান হওয়ায় এটি আমাদের সবার রান্নাঘরেই থাকে। তাই যদি দাঁতে সেনসিটিভিটির কারণে প্রচণ্ড ব্যথা অনুভব করেন, তাহলে ঘরোয়া উপকারি টোটকা হিসেবে বেছে নিতে পারেন মরিচের পেস্ট। এজন্যে একটি বাটিতে সমান অনুপাতে মরিচ ও লবণ নিতে তাতে সামান্য পানি যোগ করুন। তারপর একটি ঘন পেস্ট তৈরি করুন। এই পেস্ট দাঁতের যেখানে ব্যথা সেখানে লাগান৷ দেখবেন এতে করে ব্যথা কমতে শুরু করবে।
০৪। লবণ ও পানির মিশ্রণ
প্রচণ্ড দাঁতে ব্যথা কমাতে লবণ পানির মিশ্রণ কিন্তু বেশ কাজে আসে। বলা হয়ে থাকে, যেকোন সময় দাঁতে ব্যথা কমাতে সবচাইতে কার্যকর যে উপায়গুলো রয়েছে সেগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো এই লবণ পানির মিশ্রণ। লবণে রয়েছে অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল যা দাতের ব্যথা, মাড়ির ব্যথা কমাতে সক্ষম। লবণ পানির মিশ্রণ দাঁতে ও মাড়িতে জমে থাকা জীবাণু দূর করে এবং এটি একইসাথে দাঁত পরিষ্কার করতে সহায়তা করে। শুধু তাই নয়, যদি আপনার দাঁতে সেনসিটিভিটি থাকে কিংবা মুখের ভেতর কোনো কারণে ক্ষত দেখা দেয়, তাহলেও লবণ পানি ব্যবহার করতে পারেন। এজন্যে প্রথমেই এক গ্লাস গরম পানি নিন এবং তাতে আধা চামচ লবণ মিশিয়ে নিন। এরপর সেই লবণ পানি দিয়ে কিছুক্ষণ সময় নিয়ে কুলকুচি করুন। দেখবেন, সাথে সাথেই আরাম বোধ করবেন।
০৫। লবঙ্গ
দাতের ব্যথায় করনীয় উপায় হিসেবে এবার বলবো বাড়ির রান্নাঘরে থাকা আরেকটি মশলা সম্পর্কে। সেটি হলো লবঙ্গ। লবঙ্গতে বিদ্যমান ইউজেনল ব্যথানাশক উপাদান হওয়ায় এটি দাঁতের ব্যথা কমিয়ে আরাম বোধ করতে সাহায্য করে। চাইলে লবঙ্গ আস্ত ব্যবহার করতে পারেন, অথবা চাইলে গুঁড়ো করে কিংবা এটি তেল তৈরি করেও দাঁতে ব্যবহার করতে পারেন। যদি হাতে সময় না থাকে, তাহলে এক টুকরো লবঙ্গ নিয়ে মুখে রেখে সময় নিয়ে চিবাতে পারেন, দেখবেন ধীরে ধীরে দাঁতের ব্যথা কমতে শুরু করেছে। তবে এক্ষেত্রে বলে রাখা ভালো, যদি লবঙ্গের তেল ব্যবহার করতে চান, তাহলে অবশ্যই তুলার মধ্যে তেল নিয়ে সেটি দাঁতে ব্যবহার করবেন।
আরো পড়ুনঃ ওজন বা মেদ কমানোর ২০টি সাইন্টিফিক উপায়
০৬। লেবুর রস ও সরিষার তেল
দাঁতের মাড়িতে তীব্র ব্যথার সময় লেবুর রস কিংবা সরিষার তেল ব্যবহার করতে পারেন। কেননা এই দুটি উপাদান মাড়ির ব্যথা কমাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে৷ এজন্যে শুরুতেই এক টেবিল চামচের মতো লবণ নিয়ে তাতে সামান্য পরিমাণ সরিষার তেল কিংবা লেবুর রস মিশিয়ে নিন। তারপর ঘন একটি পেস্ট তৈরি করুন এবং এটি মাড়িতে ব্যবহার করুন। এটি ব্যবহার করলে জমে থাকা ব্যাকটেরিয়া দূর হবে এবং ব্যথা কমে যাবে।
০৭। পেয়ারা পাতা
পেয়ারা পাতা দাঁতের ব্যথা উপশম করতে অত্যন্ত উপকারি। পেয়ারা পাতা খুব দ্রুতই দাঁতের ও মাড়ির ব্যথা কমিয়ে দিয়ে থাকে। চাইলে কচি পেয়ারা পাতা নিয়ে সেটি পানিতে এমনভাবে ধুয়ে নিন যাতে করে সেটিতে কোনোপ্রকার ধুলা বা ময়লা লেগে না থাকে। তারপর সেই পাতাটি মুখে নিয়ে চিবাতে শুরু করুন। দেখবেন অল্প সময়ের মধ্যেই আরাম পেতে শুরু করেছেন। এছাড়াও আরো একভাবে পেয়ারা পাতা দাতের ব্যথায় করনীয় উপায় হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন। সেটি করতে হলে পাতিলে পেয়ারা পাতা ও পানি নিয়ে কিছু সময় সিদ্ধ করুন এবং ঠান্ডা করে সেটি দিয়ে কুলকুচি করুন। দেখবেন, দাঁতে ব্যথা কমে যাবে।
০৮। পেঁয়াজ
পেঁয়াজ বাটা কিংবা পেঁয়াজ কুচি আমাদের প্রতিটি রান্না সুস্বাদু করতে একটি অত্যাবশকীয় উপকরণ। এই পেঁয়াজ দাঁতের ব্যথা উপশমেও খুব উপকারী ভূমিকা রাখে। দাঁতে ব্যথা হলে এক টুকরো পেঁয়াজ নিয়ে যেখানে ব্যথা সেখানে রাখুন, যদি সম্ভব হয় দাঁতের যে জায়গায় ব্যথা সে জায়গার কাছাকাছি পেঁয়াজ নিয়ে চিবাতে থাকুন। এতে করে ব্যথা কমে গিয়ে আরাম পাওয়া সম্ভব হবে।
০৯। দুর্বাঘাস
দুর্বাঘাসের রস প্রাচীনকাল থেকেই প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদানের কার্যকর উপাদান হিসেবে ব্যবহার হয়ে আসছে। বিশেষ করে দেহের কোথাও কেটে গেলে রক্ত বন্ধ করতে এটি খুব ভালো কাজে আসে। চাইলে দাঁতের ব্যথা কমাতেও এটি ব্যবহার করতে পারেন। তাই যদি হাতের কাছে দুর্বাঘাস থাকে তাহলে সেটির রস দাঁতের যে অংশে ব্যথা সেখানে লাগিয়ে রেখে অল্প সময়েই ব্যথা কমিয়ে ফেলতে পারেন।
১০। হিংয়ের গুঁড়ো
যাদের বাড়িতে হিং রয়েছে তারা এটি ব্যবহার করে কার্যকরীভাবে দাঁতের ব্যথা কমিয়ে ফেলতে পারবেন৷ এজন্যে একটি পিরিচে আধা চামচের সমপরিমাণ হিংয়ের গুঁড়ো নিয়ে তাতে অল্প একটু লেবুর রস মিশিয়ে নিন। তারপর সেই মিশ্রণটি দাঁতে লাগিয়ে কিছুক্ষণ অপেক্ষা করুন। দেখবেন, ব্যথা কমতে মোটেও সময় লাগবেনা।
দাঁতের ব্যথা দূর করার উপায় / দাঁতের ব্যথা কমানোর উপয় / দাঁতের ব্যথায় করনীয়
১১। ভ্যানিলা এক্সট্র্যাক্ট
যদি দাঁতে হালকা ব্যথা হয়ে থাকে, তাহলে ভ্যানিলা এক্সট্র্যাক্টের সহায়তা নিতে পারেন চোখ বন্ধ করে। তুলার মধ্যে অল্প একটু ভ্যানিলা এসেন্স নিয়ে সেটি ব্যথার জায়গায় চেপে ধরুন, এতে আরাম পাওয়া সম্ভব হবে।
এটুকুই ছিলো দাতের ব্যথায় করনীয় উপায় সম্পর্কে আজকের বিস্তারিত আলোচনা। পরিশেষে সবার জন্য বলতে চাই, দাঁত সঠিকভাবে পরিষ্কার রাখাই পারে দাঁতের ব্যথা প্রতিরোধ করতে। দাঁত পরিষ্কার রাখলে সেনসিটিভিটি, ক্যাভিটি ইত্যাদি আক্রমণ করতে পারেনা। তাই দাঁতের পরিচ্ছন্নতা নিশ্চিত করতে আজ থেকেই সচেষ্ট হোন। নিয়মিত দুইবার নিয়ম মেনে দাঁত ব্রাশ করুন, মিষ্টি খাদ্য গ্রহণের পর কুলি করুন এবং দাঁত সাদা করার ক্ষতিকর কসমেটিকস আইটেম ব্যবহার করতে বিরত থাকুন। যদি ঘরোয়া টোটকা অনুসরণের পরেও ব্যথা না কমে, তাহলে অতিসত্ত্বর ডাক্তারের পরামর্শ নিন।
দাতের ব্যথায় করনীয় ঔষধ নাম
ব্যথা সহ্যের বাহিরে চলে গেলে সাময়িকভাবে Aspirin বা Ibuprofen নামের ট্যাবলেট খাওয়া যেতে পারে, তবে অবশ্যই আপনার অবস্থার উপরের নির্ভর করে কোন ওষুধ খাবেন, তাই আমরা রিকমান্ড করি বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া।
যা যা এড়িয়ে চলবেন
দাতের ব্যথা থেকে চিরতরে মুক্তির জন্যে অবশ্যই তামক জাতীয় জিনিষ এড়িয়ে চলবেন, যেমনঃ ধূমপান,পান-সুপারি, জর্দা, তামাক ও গুল জাতীয় জিনিষ। সেই সাথে যে যে খাবার খুব শক্ত, বা দাতের ফাকে আটকে থাকে তা অবশ্যই এড়িয়ে চলবেন, দাতের ব্যথার জন্যে এসব অনেকাংশে দায়ী হয়ে থাকে।
Source: https://www.healthline.com/health/dental-and-oral-health/home-remedies-for-toothache#What-you-can-do
বিঃদ্রঃ এই ব্লগের প্রত্যেকটা ব্লগ পোস্ট Sylhetism ব্লগের নিজস্ব ডিজিটাল সম্পদ। কেউ ব্লগের কোন পোস্ট কিংবা আংশিক অংশ ব্লগের কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া কপি পেস্ট করে অন্য কোথাও প্রকাশ করলে ব্লগ কর্তৃপক্ষ ডিজিটাল সিকিউরিটি আইনে মামলা করার অধিকার রাখে। এবং অবশ্যই কপিরাইট ক্লাইম করে যে মাধ্যমে এই ব্লগের পোস্ট প্রকাশ করা হবে সেখানেও কমপ্লেইন করা হবে।
এই ব্লগের কোন লেখায় তথ্যগত কোন ভুল থাকলে আমাদের Contact পেইজে সরাসরি যোগাযোগ করুণ, আমরা যত তাড়াতাড়ি সম্ভব তথ্য যাচাই করে লেখা আপডেট করে দিবো।
এই ব্লগের কোন স্বাস্থ বিষয়ক পোস্টের পরামর্শ নিজের বাস্তব জীবনে প্রয়োগ করার আগে অবশ্যই বিশেষজ্ঞদের মতামত নিবেন, আমরা স্বাস্থ বিষয়ে কোন বিশেষজ্ঞ না, আমাদের উদ্দেশ্য ও লক্ষ হচ্ছে সঠিক তথ্য পরিবেশন করা। সুতারাং কোন অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার দায়ভার অবশ্যই আমরা নিবো না।
ধন্যবাদ, ব্লগ কর্তৃপক্ষ।