মেছতা দূর করার উপায়, মেছতা দূর করার ঔষধ ২০২৩

মেছতা দূর করার উপায়

Last Updated on April 19, 2023 by Mijanur Rahman

মেছতা (Melasma) আমাদের ত্বকের স্বাভাবিক সৌন্দর্যের অন্তরায়। মেছতা নামক এই শ্রত্রু ত্বকের লাবণ্য নষ্ট করে। মেছতা দূর করার জন্য নারী-পুরুষ সবাইকেই নানা ধরণের ভোগান্তি পোহাতে হয়। তবে পুরুষের চেয়ে নরীর ভোগান্তির মাত্রাটা একটু বেশি।

মেছতা কী?

মেছতা নিয়ে আলোচনা করার আগে মেছতা কী তা জেনে নিলে আমাদের জন্য সুবিধা হয়।

মেছতা হলো মুখের উপরিভাগে নাকের দুপাশে সৃষ্ট কালো দাগ। এটি মেলাসমা নামেও পরিচিত। যা আমাদের স্বাভাবিক সৌন্দর্য ব্যাহত করে এবং মেছতা দূর করার উপায় নিয়ে ভাবতে ভাবতে কপালে চিন্তার ভাজ পড়ে। অনেকে মেছতা ও জন্মদাগ এক সাথে মিলিয়ে ফেলে যা সম্পূর্ণ ভ্রান্ত্ ধারণা মেছতা ও জন্ম দাগের মধ্যে কোন সম্পর্ক নেই। 

মেছতার প্রকারভেদ

মেছতা সাধরণত তিন প্রকার হয়ে থাকে,

  • এপিডার্মাল হাইপার প্রিভেনশন সুপার ফেসিয়াল: যা ত্বকের উপরিভাগেই সীমাবদ্ধ থাকে। খুব গভীরে এর প্রভাব পরে না। এধরণের ক্ষেত্রে দেখা যায় ত্বকের উপরি ভাগে গাঢ় কালো ছোপ ছোপ দাগ হয়। এই ধরণের মেছতা থেকে সহজেই মুক্তি পাওয়া যায়। 
  • ডার্মাল হাইপার প্রিভেনশন: এটি তুলনামূলক জটিল। কারণ এর ব্যপ্তি ত্বকের গভীর পর্যন্ত হয়ে থাকে। এর থেকে সাফল্য পাওয়া কষ্টসাধ্য এবং ব্যয়বহুল।
  • মিশ্রিত: এটি মূলত দু ধরণের মেছতা এক সাথে হওয়া। যা থেকে অল্পই সাফল্য পাওয়া যায়।

মেছতা নির্ণয়

মেছতা সাধাণত খালি চোখে দেখেই নির্ণয় করায় যায়।মুখের ত্বকের উপরিভাগের কাল ছোপ ছোপ দাগই হলো মেছতা। তবে আদর্শ চিকিৎসার জন্য মেছতার ধরণ নির্ণয় করা জরুরি। কারণ মেছতার ধরণ নির্ণয় করে সঠিক চিকিৎসা গ্রহণ না করলে এ সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব নয়। মেছতা নির্ণয় করার জন্য ডাক্তাররা এক বিশেষ ধরণের লাইট পরীক্ষা দিয়ে থাকেন।

যা উডস্ ল্যাম্প( Wood’s Lamp) নামে পরিচিত। এর 340-400 wavelength মাত্রায় পরীক্ষা করা হয়। এই পরীক্ষার মাধ্যমে নির্ণয় করে থাকেন মেছতা এপিডার্মাল হাইপার প্রিভেনশন সুপার ফেসিয়াল নাকি ডার্মাল হাইপার প্রিভেনশন। ধরণ নির্ণয় করার পরে ডাক্তাররা মেছতা দূর করার উপায় বলে থাকেন বা প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দিয়ে থাকেন।

মেছতা দূর করার উপায়
মুখে মেছতার দাগের নমুনা

মেছতা কেনো হয়?

মেছতা কেনো হয় তা নিয়ে সাধারণের মনে নানা ধরণের ভ্রান্তি রয়েছে। বিশেষ করে অনেক মনে করে থাকেন মেছতা বংশগত হয়ে থাকে। বিশেষজ্ঞদের মতে, বংশগত ভাবে সাধারণত মেছতা হয় না।তবে, মায়ের ত্বকের জীনগত কিছু বৈশিষ্ট্য সন্তানের ক্ষেত্রে দেখা দিতে পারে। এটি হবার বেশ কিছু কারণ রয়েছে। যার মধ্যে অন্যতম কিছু কারণ হলো,

জন্মনিয়ন্ত্রণ পিল সেবন

নারীদের ক্ষেত্রে জন্মনিয়ন্ত্রণ পিল গ্রহণ মেছতা হবার অন্যতম একটি কারণ। অতিরিক্ত জন্মনিয়ন্ত্রণ ঔষধ গ্রহণের ফলে তার উপাদান নারীদের ত্বকের উপর প্রভাব ফেলে এবং মুখের ওপর কালো দাগের সৃষ্টি করে থাকে।

অন্তঃসত্ত্বা ও সন্তানপ্রসবের পর

নরীদের ক্ষেত্রে গর্ভধারণ করার পরে হরমোনাল প্রভাবে ত্বকের উপরিভাগে এ দাগের সৃষ্টি হতে পারে। সন্তান জন্মদানের পরে নারীদের ক্ষেত্রে এ সমস্যা দেখা যায়।

সূর্যের আলোর প্রভাব

সূর্যের আলোর প্রভাবে নারী-পুরুষ উভয়েরই এই সমস্যা হয়ে থাকে। আমাদের সকলের ত্বকের মান এক রকম নয় এবং সূর্যের আলোর সহ্য ক্ষমতা অনেকের কম অনেকের বেশি। যারা অতিরিক্ত রোদে কাজ করে তাদের ক্ষেত্রে সূর্যের আলোতে নাকের দুপাশে, গালে কালো দাগ হয়ে থাকে।

এছাড়াও ডিম্বাশয়ের সমস্যা, হরমোনজনিত সমস্যা, যকৃতের সমস্যা, অপুষ্টি ও ঔষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া মেছতার জন্য দায়ী হতে পারে।

মেছতা কাদের এবং কোন বয়স থেকে বেশি হয়

মেছতা সাধারণত পুরুষের তুলনায় মেয়েদের ক্ষেত্রে বেশি হয়ে থাকে। এর অন্যতম কারণ হলো নারীদের নমনীয় ত্বক ও হরমোনাল প্রভাব। মেছতা হবার জন্য বয়সের নির্দিষ্ট কোন সীমা নেই। তবে বয়ঃসন্ধি কাল থেকে শুরু হতে পারে। তবে ২৮ থেকে ৩৮ বয়সের মধ্যে এটি বেশি দেখা যায়। এই বয়সের বাইরেও ঔষধ ও ত্বকে অতিরিক্ত মেকাপ বা নানা ধরণের ক্রীম ব্যবহারের প্রভাবেও মেছতা দেখা দিতে পারে বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করেন।

আরো পড়ুনঃ গর্ভাবস্থায় কি খাবেন? কি কি খাবেন না? জেনে নিন গর্ভাবস্থায় ১০ মাস গর্ভবতী মায়ের খাবার।

মেছতা দূর করার উপায়

মেছতা দূর করার উপায় সম্পর্কে জানার পূর্বে অবশ্যই আপনাকে মেছতার ধরণ সম্পর্কে জানতে হবে। মেছতার ধরণ সম্পর্কে জানার পরে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা বা ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। একটি লাইট পরীক্ষার মাধ্যমে সহজেই মেছতার ধরণ নির্ণয় করা যায়। তাই যদি মেছতা দেখা যায়, তবে আমাদের উচিত সাথে সাথেই চর্ম রোগ বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিয়ে পরীক্ষা করে চিকিৎসা গ্রহণ করা

হুটহাট করে বাজারে প্রচলিত মেছতা বা কালোদাগ দূর করার নিম্নমানের ক্রিম ব্যবহার করা ঠিক নয়। এতে ত্বকের ভেতরের কোষে মারাত্মক প্রভাব পড়তে পারে। কারণ আমাদের মুখের ত্বক খুবই নমনীয় এবং পাতলা। যার কেমিক্যাল রিয়েকশন সহ্য করা ক্ষমতা খুব কম।

এপিডার্মাল হাইপার প্রিভেনশন সুপার ফেসিয়াল এর চিকিৎসা পদ্ধতি:

আপনার যদি এপিডার্মাল হাইপার প্রিভেনশন সুপার ফেসিয়াল বা ত্বকে উপরিভাগে মেছতা হয়ে থাকে তবে খুব সহজেই এর থেকে মুক্তি পেতে পারেন। এর জন্য প্রচলিত চিকিৎসা হলো,

সানব্লক ব্যবহার

এই ধরণের মেছতা দূর করার একটি উপায় হলো সান ব্লক ব্যবহার করা। ডাক্তারদের পরামর্শ অনুসারে ভালো মানের সান ব্লক ব্যবহার করলে এ থেকে মুক্ত পেতে পারেন। কারণ সূর্যের আলোর আল্ট্রাভায়োলেট রশ্মি আমাদের ত্বকের কোষ ক্ষতিগ্রস্থ করে। এই রশ্মি ত্বক অনুযায়ী প্রভাব ফেলে। বেশি ফর্সা ত্বকের ক্ষেত্রে এই রশ্মি বেশি ক্ষতি করে থাকে। তাই সানব্লক ব্যবহার করলে আল্ট্রাভায়োলেট রশ্মি মুখের ত্বকে প্রবেশ করতে পারে না। সানব্লক সূর্যের আলোকে বাঁধা প্রদান করে ।তাই ঘরের বাইরে বা সরাসরি সূর্যের আলোতে বের হওয়ার আগে সান ব্লক ব্যবহার করলে এটি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে না। 

হাইড্রোকুইনোন ব্যবহার করা

রাতে ঘুমানোর আগে হাইড্রোকুইনোন ব্যবহার করতে হবে। কারণ এই হাইড্রোকুইনোন টাইরোসিনেজ এনজাইমকে বাঁধা দেয়। এই এনজাইমই মূলত মেছতার জন্য দায়ী। এর জন্য বিভিন্ন ব্লিচিং এজেন্ট ব্যবহার করলেই হবে। কারণ, ব্লিচিং এজেন্টের মধ্যে হাইড্রোকুইনোন থাকে। এছাড়াও ব্লিচিং এজেন্টগুলোর মধ্যে  ফলিক এসিড, এসকরবিক এসিড থাকে। এগুলো ব্যবহার করলে মেছতা চলে যাবে। 

ক্লিগমেজ ফর্মুলা

ক্লিগমেজ ফর্মুলা ব্যবহার মেছতা চিকিৎসার জন্য বেশ উপকারী। ক্লিগমেজ হলো, হাইড্রোকুইনোনের সাথে স্টেরয়েড, ভিটামিন ‘এ’ ডেরিভেটিভ ও ট্রিটিনাইনের মিশ্রণ দিয়ে ফেস পেক তৈরি করা। এই ফেস পেক রাতে নিয়মিত ব্যবহার করলে মেছতা চলে যায়। তবে হাইড্রোকুইনোন ব্যবহারে পরে যদি মেছতা না যায় তবে এটি ব্যবহার করতে হবে।

কেমিক্যাল পিল

মেছতা দূর করার অন্যতম একটি উপায় হলো, কেমিক্যাল পিল ব্যবহার করা। যদি উপরোক্ত দু পদ্ধতি কাজ না করে তবে কেমিক্যাল পিল ব্যবহার করতে হবে। কেমিক্যাল পিল তৈরির জন্য ড্রাইকোলিক এসিড ও ট্রাইক্লোরো এসিটিক এসিড ব্যবহার করতে হয়।

ডার্মাল হাইপার প্রিভেনশন ও মিশ্রিত এর চিকিৎসা

এই ধরণের মেছতা থেকে সুফল পাওয়া খুবই সীমিত। কারণ এগুলো ত্বকের গভীরে চলে যাওয়ার ফেস পেক ব্যবহার করে এ থেকে সফলতা পাওয়া যায় না। এগুলো থেকে সাময়িক সুফল পাওয়া যায়। তবে আধুনিক চিকিৎসা এ ধরণের মেছতা দূর করার উপায় আবিস্কৃত হয়েছে তার মধ্যে জনপ্রিয় চিকিৎসা পদ্ধতিগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো, মাইক্রোডামোআরেশন (Microdermabrasion)

একটি যন্ত্রের সাহায্যে ত্বকের ক্ষতিগ্রস্থ কোষটি তুলে ফেলা হয়। যাতে কোন ব্যাথা ছাড়াই জটিল মেছতা দূর করা সম্ভব হয়। এই চিকিৎসার সাথে মেছতার ঔষধ ব্যবহার করলে এর কার্যকারিতা বহুলাংশে বৃদ্ধি পায়। এছাড়া মেছতা দূর করতে লেজার চিকিৎসার প্রচলন থাকলেও তার কার্যকারিতা কম বিধায় তা খুব একটা ব্যবহার করা হয় না। 

মেছতা দূর করার উপায়
Melasma and Pigment Laser Removal Brooklyn NY (মেছতা দূর করার ফেসিয়াল)

আরো পড়ুনঃ এলার্জি কেন হয়? এলার্জি কমানোর উপায় কি? জেনে নিন বিস্তারিত।

মেয়েদের মেছতা দূর করার উপায়

মেছতা যদিও খুব একটা প্রতিরোধ করা যায় না। কারণ নারীদের ক্ষেত্রে জন্মনিয়ন্ত্রণ পিল গ্রহণ এর অন্যতম একটি কারণ। এছাড়া আমাদের প্রতিনিয়ত সূর্যের আলোতে বের হতে হয়। তবে কিছু নিয়ম মানলে এবং মেছতা চিকিৎসার সময় এগুলো অনুসরণ করলে মেছতা অনেকাংশে কম করা যায়।

  • মেছতা চিকিৎসাকালীন সময়ে জন্মনিয়ন্ত্রণ বা গর্ভনিরোধক ও বিভিন্ন হরমোনাল থেরাপি বন্ধ রাখতে হবে।
  • দিনের বেলা রোদে যাওয়ার আগে সানক্রিম ব্যবহার করতে হবে। সঙ্গে ছাতা, হিজাব বা স্কার্ফ ব্যবহার করা যেতে পারে।
  • অতিরিক্ত মেকাপ বা বিভিন্ন ক্রিমের মাত্রাতিরিক্ত ব্যবহার কমাতে হবে। কারণ এতে ত্বকের কোষ ক্ষতিগ্রস্থ হয়।

এগুলো মেনে চললেই মেছতা সুফল পাওয়া যেতে পারে। 


মেছতার দাগ দূর করার উপায় – মেছতার চিকিৎসা

মেছতা দূর করার ঔষধ

মেছতা দূর করার ঔষধের জন্যে অবশ্যই বিশেষজ্ঞ ডাক্তাতারের পরামর্শ নিতে হবে, কারো কথা শুনে অমুক তমুক ওষুধ মুখে ব্যবহার করা যাবেনা, বিশেষজ্ঞ ডাক্তার ত্বক পরীক্ষা করে মুখের জন্যে যে ঔষধ মানানসই সেই ওষুধ দিয়ে থাকেন।

পুরুষের মেছতা দূর করার ক্রিম

মেছতা দূর করার ফেসওয়াস বা কিছু ক্রিম হলঃ MelaCare, Betavet-N, Hydroo 2%, MELANYC, Hydroquinone Cream

মেছতা দূর করার ঘরোয়া উপায়

মেছতা দূর করার জন্য বেশ কিছু ঘরোয়া পদ্ধতি ব্যবহার করা যেতে পারে। সহজলভ্য ও উপকারী মেছতা দূর করার ঘরোয়া পদ্ধতি হলো,

১। ভিনেগারঃ ভিনেগারে রয়েছে এসিটিক এসিড, যা ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃ্দ্ধিতে সহায়তা করে। একই পরিমাণ ভিনেগার ও পানি মিশিয়ে ব্যবহার করলে ত্বকে জমে থাকা ময়লা দূর হয় এবং একই সাথে ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পায়।

২। পেঁয়াজের রস: পেঁয়াজের রসের সাথে ভিনেগার মিশিয়ে তুলো দিয়ে মেছতায় দিনে দুই বার নিয়মিত ব্যবহার করলে ভালো ফল পাওয়া যায়।

৩। লেবুর রসঃ লেবুর রস মেছতা দূর করার জন্য বেশ উপকারী। এর মধ্যে থাকা এন্টিঅক্সিডেন্ট অতিবেগুনীরশ্মিকে প্রতিহত করতে পারে। রাতে ঘুমানোর পূর্বে লেবুর রস আক্রান্ত স্থানে ব্যবহার করে মেছতা দূর করা যায়।  

৪। হলুদ: মেছতা চিকিৎসায় হলুদের ব্যবহার নতুন নয়।হলুদে থাকা কুরকুমিন নামক এন্টিঅক্সিডেন্ট মেছতায় সৃষ্ট মৃত কোষ এবং দাগ দূর করে। হলুদের গুঁডোর সাথে দুধ ও ছোলার ডালের বেসন দিয়ে পেস্ট বানিয়ে ত্বকে লাগিয়ে ব্যবহার করতে হয়।ব্যবহারের পরিমাপ হলো, হলুদ ৫ টেবিল চামচ, দুধ ১০ টেবিল চামচ ও বেসন ১ টেবিল চামচ একসাথে মিশিয়ে পেস্ট বানিয়ে কালো দাগে পুরু করে লাগিয়ে আধা ঘন্টা রেখে স্বচ্ছ পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে। 

৫। যষ্টিমধুর নির্যাস: জনপ্রিয় ঔষধি উপাদান হলো যষ্টিমধু। এর নির্যাস মেছতা চিকিৎসার জন্য কার্যকারী। এতে রয়েছে লিকুইরিটিন এবং গ্ল্যাবরিডিন যা ত্বক ফর্সা করতে সাহয্য করে। তাই এর নির্যাস ত্বকে ব্যবহার করলে ত্বকের হারানো উজ্জ্বলতা ফিরে আসে।

৬। পেঁপে: মেছতা দূর করতে আরো একটি উপকারী উপাদান হলো পেঁপে। পেঁপের মধ্যে থাকা প্যাপাইন এনজাইম ত্বকের মৃত কোষ ও রুক্ষ্মতা দূর করতে সাহায্য করে। পেঁপের পেস্টে আক্রান্ত স্থানে মেখে ১০-১৫ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলতে হবে। এটি ব্যবহারে ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পাবে।

মেছতা থেকে সুফল পাওয়ার জন্য এই বিষয়গুলো উপকারে আসবে বলে মনে করি। সর্বোপরি ত্বকের সৌন্দর্য নিয়ে যদি যত্নশীল থাকা যায় তবে খুব সহজেই মেছতা জনিত সমস্যা থেকে মুক্ত থাকা যায়। 

তথ্যসূত্র:

১।  প্রথম আলোঃ https://cutt.ly/IRLqvvC

২। যুগান্তরঃ https://cutt.ly/gRLqP8D

৩। যুগান্তরঃ https://cutt.ly/LRLqGdp

৪। মাঠি নিউজঃ https://cutt.ly/0RLqBAz

বিঃদ্রঃ এই ব্লগের প্রত্যেকটা ব্লগ পোস্ট Sylhetism ব্লগের নিজস্ব ডিজিটাল সম্পদ। কেউ ব্লগের কোন পোস্ট কিংবা আংশিক অংশ ব্লগের কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া কপি পেস্ট করে অন্য কোথাও প্রকাশ করলে ব্লগ কর্তৃপক্ষ ডিজিটাল সিকিউরিটি আইনে মামলা করার অধিকার রাখে। এবং অবশ্যই কপিরাইট ক্লাইম করে যে মাধ্যমে এই ব্লগের পোস্ট প্রকাশ করা হবে সেখানেও অভিযোগ সাবমিট করা হবে।

ধন্যবাদ, ব্লগ কর্তৃপক্ষ।

Author

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top