Last Updated on 7th April 2024 by Mijanur Rahman
আমাদের আশেপাশে অনেকেই আছেন যাদের প্রায়শই বিভিন্ন কারণে মন খারাপ হয়ে থাকে, এটা খুব বড় একটা সমস্যা হয়ে দেখা দিচ্ছে বিশেষ করে টিনেজদের ক্ষেত্রে। এবং সচারাচর একি প্রশ্ন! কি করলে মন ভালো হবে? আপনার যদি প্রায়ই কারণে-অকারণে, বেলা-অবেলায় মন খারাপ হয় তাহলে ভয়ের কোন কারণ নেই।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা who এর মতে সারা বিশ্বে প্রায় ৩.৮% এই মন খারাপের সমস্যায় ভুগে। এই সমস্যাটা সহজেই কাটিয়ে উঠা সম্ভব, যা আমরা আজকের আর্টিকেলে বিস্তারিত আলোচনা করবো, বিশেষ করে মন ভালো করার উপায়, এবং মৌলিক কিছু পরামর্শ। তাহলে চলুন দেখে নেওয়া যাক বিষন্ন মন ভালো করার উপায় কি কি।
মন কী?
মন মানুষের বিবেক ও কাজ-কর্মের কেন্দ্রস্থল। মন মানে কিন্ত হৃৎপিন্ড বা আত্মা (soul) নয় বরং তা মস্তিষ্ক (brain)। মস্তিষ্কের চিন্তা- চেতনাকে মন বলা যেতে পারে। মানুষের আবেগ-অনুভূতি, চিন্তা-চেতনা ,ইচ্ছা-অনিচ্ছা বা কল্পনার আলপনা মনের মাধ্যমে প্রকাশিত হয়।
মনের বেশিরভাগ অংশ জুড়ে রয়েছে অচেতন বা অবচেতন মন। সচেতন মন এর খুব ক্ষুদ্র অংশ।
রিলেটেডঃ ডিপ্রেশন কি? ডিপ্রেশন থেকে মুক্তির আল্টিমেট গাইড
মন খারাপ
মন খারাপ হল একটা সাময়িক পরিস্থিতি যা জীবনের চাওয়া ও না পাওয়ার অসামঞ্জস্য থেকে দেখা দেয়। ক্ষণিক পরে তা বিলীন হয়ে যায়। তবে অনেক সময় সেই ঘটনা মনে পড়লে আবার মন খারাপ হতে পারে। দুঃখ থেকেই মন খারাপ হয়।
মন খারাপ ও বিষণ্নতা
বিষণ্নতা এক কথায় দীর্ঘস্থায়ী মন খারাপ। বিষণ্নতা কোনো কারণ ছাড়াই মনকে ছেয়ে ফেলে এবং লম্বা সময় আপনার মানসিক অবস্থাকে বিশৃঙ্খল করে দেয়।শুধু মানসিক নয়, শারীরিক ক্ষতিও করে এই বিষণ্নতা। বিষণ্নতায় আক্রান্ত মানুষের কাছে যেহেতু জীবনের সবকিছুই মূল্যহীন তখন হাল ছেড়ে দেওয়াকেই সঠিক পথ মনে হয়।সব সময় নিজেকে কে ছোট করে দেখার প্রবনতা তৈরি হয়।
মন খারাপ ও বিষণ্নতা পার্থক্য
বিষণ্ণতায় জীবনের আশা আকাঙ্ক্ষাগুলো তুচ্ছ মনে হয়। মন খারাপ থাকলেও এমন অনুভূতি হয়, তবে তা সাময়িক। যে কারণে মন খারাপ সেই কারণ থেকে মনযোগ সরিয়ে নিলে আবার মন স্বাভাবিক হয়ে যায়।তবে বিষণ্নতার ক্কোনো নির্দিষ্ট কারণ নেই, মনযোগ সরানোর মতো কোনো বিষয়ও নেই।
মন খারাপ হলে মন মেজাজ খিটখিটে হয়। তবে বিষণ্নতায় এটি প্রকট আকার ধারণ করে। মানসিক অস্বস্তি, বিরক্তি হয় তার নিত্যসঙ্গী।পান থেকে চুন খসলেই যেন রাগ ওঠে এমন অবস্থা হয়।
রিলেটেডঃ মানসিক রোগ কি? জানুন মানসিক রোগের লক্ষণ ও চিকিৎসা
মন খারাপ কেন হয়?
মন থাকলে খারাপ ত হবেই।সবচেয়ে বড় কথা,আপনার মন আছে, এটি ভেবে অন্তত একটু হাসুন। অনেকেরই তো মন নেই তাদের খারাপ হওয়ার প্রশ্নই আসে না।
অনেক কারণে মন খারাপ হতে পারে। যেমন-
- একঘেয়েমি,একাকীত্ব থেকে মন খারাপ হয়।
- কোনও কাজে ব্যর্থ হলে মন খারাপ এমনি হয়ে যায়।
- পারিবারিক অশান্তি, প্রেমে ব্যর্থতা, ক্যারিয়ার নিয়ে হতাশা, নিজের জীবনের ট্রাজেডি, অতীতের ভুলের পাপবোধ বা কারো খারাপ ব্যবহারে মন খারাপ হয়।
- প্রিয়জনের অবহেলা থেকে বিষণ্ণতা পেয়ে বসে মানুষকে। সম্ভবত এটি অনেক বড় কারণ।
- “যত্ন করে কাঁদানোর জন্য খুব আপন মানুষগুলোই যথেষ্ট ।“— হুমায়ূন আহমেদ।
- প্রিয়জন হারানো।
- নিজের ভালো কাজের মূল্যায়ণ না হলে।
মন কেন ভালো রাখবেন?
মন ভালো রাখতেই হবে। কেননা মনের দাবি রক্ষা না করলে মানুষের আত্মা বাঁচে না। মানুষের প্রাণ মনের সম্পর্ক যতই হারা্য ততই সে দুর্বল ও নির্জীব হয়ে পড়ে। দেহরক্ষার পাশাপাশি আত্মরক্ষাও সমান গুরুত্বপূর্ণ।
প্রমথ চৌধুরী বলছেন,
“ ধনের সৃষ্টি যেমন জ্ঞান সাপেক্ষ,তেমনি জ্ঞানের সৃষ্টি মন সাপেক্ষ ।“
কাজেই ধন সৃষ্টি বা জ্ঞান অন্বেষণের জন্য মন ভালো রাখার কোনও বিকল্প নেই। জগতের ভালো কাজগুলো ভালো মনের মানুষের হাত ধরে এসেছে।সৃষ্টিশীল কাজের জন্য মন ভালো রাখা জরুরি। একটি ভালো মন আপনাকে অফুরন্ত মানসিক শক্তি যোগায়। ফলে জীবনের বাধা-বিঘ্ন প্রতিবন্ধকতা সহজেই পার করা যায়।
মন খারাপ থাকার কুফল
- মন খারাপ থাকলে আপনার মেজাজ খিটমিটে হবে। তখনকার খারাপ ব্যবহারের জন্য পরবর্তীতে আপনাকে ভুগতে হবে।
- সব সময় মন খারাপ আপনাকে বিষণ্ণতার দিকে ধাবিত করবে। তখন উদ্যম হারিয়ে ফেলবেন। প্রাণশক্তি হারিয়ে ফেলবেন। কাজ-কর্মে পূর্ণ মনোযোগ দিতে পারবেন না। এভাবে মানুষের উৎপাদনশীলতা কমে যায়।
- তীব্র মন খারাপ থাকা অনেক সময় মানুষকে আত্মহত্যার দিকে প্ররোচিত করে।
- মানুষের দেহের মৃত্যুর হিসেব রাখা হয়। কিন্তু মনের মৃত্যুর হয় না। তাই নিজেই নিজের যত্ন নিন। নিজের মনের যত্ন নিন।
রিলেটেডঃ ডিপ্রেশন কি? ডিপ্রেশন থেকে মুক্তির আল্টিমেট গাইড
মন খারাপে করণীয়
একটা প্রবাদ চালু আছে। প্রথমবার কারো বিষণ্ণতা হয় প্রিয়জনকে হারালে। তার পর বিষণ্ণতা হয় পোষ্য মারা গেলে। তার পর বিষণ্ণতা হয় রুমাল হারালে! এরপর মন খারাপ হতে থাকে এমনি এমনি। এর আর কোনও কারণই খুঁজে পাওয়া যায় না। তাই যে কারণেই মন খারাপ হোক না কেন, প্রশ্রয় দেওয়া যাবে না। বরং কাজের মধ্যে ডুবে থাকতে হবে। দেখবেন মন খারাপ হচ্ছে না।
মৌলিক পরামর্শ
অনেকেরই মাঝে মাঝে মন খারাপ হয় যার প্রভাব পড়ে কাজ কর্মে। যদি প্রায়ই আপনি নিরানন্দে থাকেন তাহলে আপনাকে বেসিক কিছু কাজ করা শুরু করে দিতে হবে।
নিচে মন ভালো রাখার মৌলিক কিছু পরামর্শ দেওয়া হল-
- আপনার জীবনের লক্ষ্য, উদ্দেশ্য ঠিক করে নিন। শুনতে বেশ অবাক লাগছে! তারপরেও সঠিক। নিজের কী কী করতে হবে জানলে মন খারাপ করার সময় বেশি পাবেন না। নিজেকে কাজে ব্যস্ত রাখুন।
- স্বপ্ন দেখুন। প্রতিনিয়ত স্বপ্ন কুড়ান দু হাত ভরে। কেননা, মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়।প্রতিনিয়ত নিজেকে তাগদা দিন স্বপ্ন পূরণ করার জন্য।এতে আপনার মন খারাপ থাকার চেয়ে ভালো বেশি থাকবে।
- বিশ্বাস করুন আর নাই করুন ,সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলো মানুষকে দিন দিন অসামাজিক করে দিচ্ছে! ভার্চুয়াল জগত আর বাস্তবের মধ্যে তফাত করতে পারছেনা ফোনে আসক্ত তরুণ তরুণী। তাই লাইক বা্টনের গুরুত্ব নিজের কাছে কমিয়ে আনতে হবে। ফেসবুক, ইউটিউব প্রভৃতির মাত্রাতিরিক্ত ব্যবহার আমাদের যেমন মূল্যবান সময়গুলো কেড়ে নিচ্ছে,তেমনি হতাশা, বিষন্নতা তৈরি করছে। দীর্ঘ সময় ফোনে থাকার জন্য মাথা ব্যথা, চোখের সমস্যা হচ্ছে। এখান থেকে সময় বাঁচিয়ে সৃজনশীল কাজ করুন।
- অবসর সময়কে কিভাবে ব্যবহার করা যায় তা ভাবুন।অবসরে শখের কাজগুলো করুন। অবসর সময়ে অলস হয়ে বসে থাকবেন না। সৃজনশীল কাজ করার চেষ্টা করুন। জাপানিরা বোধ হয় এক্ষেত্রে সবার চেয়ে এগিয়ে থাকবে। অবসরে কে কীকরল সেটা পর্যবেক্ষণ করার জন্যও কমিটি আছে।
- বই পড়ার অভ্যাস করুন। আনন্দদানে বইয়ের জুড়ি মেলা ভার। ওমর খৈয়াম বলেছেন“রুটি মদ ফুরিয়ে যাবে। প্রিয়ার কালো চোখ ঘোলাটে হয়ে যাবে। কিন্তু বইখানি অনন্ত যৌবনা, যদি তেমন বই হয়।“এই বই যেমন আপনার কল্পনাশক্তি ও চিন্তাশক্তি সমৃদ্ধ করবে তেমনি আপনাকে প্রফুল্ল রাখবে।
- অরিগামি শিখতে পারেন। কাগজ দিয়ে হরেক রকমের জিনিস যেমন- ফুল, ফল, জ্যামিতিক অবজেক্ট তৈরি করতে পারেন। তা আপনার বসার ঘর ও টেবিলের সৌন্দর্য যেমন বাড়িয়ে দিবে তেমনি মন ও ভালো করে দিবে।
- লিখতে পারেন। যারা এক্-আধটু লিখেন তারা নিশ্চয়ই জানেন এটি কত সহজে মন ভালো করে দেয়। লেখার অভ্যাস না থাকলে ডায়েরি লেখা দিয়ে শুরু করতে পারেন।
মন ভালো করার উপায়
নিচের কাজগুলো করলে আপনার মন ভালো হতে বাধ্য।
- সুযোগ পেলেই ঘুরে আসুন দূরে কোথাও। পাহাড়,নদী,সমুদ্র দেখার আনন্দ আপনার একঘেয়েমি দূর করবে । প্রকৃতির সান্নিধ্য আপনার হতাশা দূর করবে। ভালো কিছু করার, বেঁচে থাকার রসদ দিবে।দূরে ঘুরতে না পারলে কাছের কোথাও যান।
- মন খারাপ হলে শারীরিক ব্যায়াম করুন। শরীরচর্চা করলে অ্যাডরফিন নামক হরমোন নির্গত হয়। যা মন ভালো রাখতে সাহায্য করে। আপনার মনযোগ ও বৃদ্ধি পাবে।ব্যয়াম উদ্বেগ ও মানসিক অবসাদ কমাতে কার্যকরী।
- বেশি মন খারাপ হলে গোসল করুন। মাথা ও শরীর আগের থেকে অনেক হালকা হবে। সাথে মানসিক প্রশান্তি ও আসবে।
- এক গ্লাস জল খান। এতে মাথা ঠাণ্ডা হবে ।মনও শান্ত হবে। এটা অনেক সহজ ও কার্যকরী পদ্ধতি
- এন্ড্রয়েড ফোন আগ্নেয়াস্ত্রের মত। এর সঠিক ব্যাবহার না হলে তা বিপদজনক হয়ে উঠবে। ইন্টারনেটে কম সময় দিন। ইউটিউব, ফেসবুক,ইন্সটাগ্রামের জন্য দৈনিক সময় বরাদ্দ করুন। সবচেয়ে বড় কথা তা মেনে ও চলুন।
- পুষ্টিকর খাবার খাওয়ার অভ্যাস করুন। বিশেষ করে ভিটামিন বি1 ।
- প্রতিদিন নিজের জন্য কিছু সময় রাখুন। নিজের শখের যত্ন নিন। নিজের শরীর ও মনের যত্ন নিন।
- সুযোগ থাকলে সময় পেলেই খেলাধূলা করুন। আউটডোর গেম না হলেও অন্তত ইনডোর গেম খেলুন। তবে মোবাইলে গেম খেলা বাদ দিন। আর হ্যা, মানুষের মন নিয়ে ছিনিমিনি খেলবেন না একদম।
- বন্ধু বান্ধবের সাথে প্রাণখুলে আড্ডা দিন।তাদের সহচর্য আপনার বিষন্নতা কাটাবে।
- রান্না করতে ভালোবাসেন? তাহলে তো কথাই নেই!নতুন নতুন রেসিপি দেখে রান্নার চেষ্টা করতে পারেন। রান্না করতে না পারলেও সমস্যা নেই। ইউটিউব আছে, দেখে শিখে নিন।
- প্রিয়জনকে সময় দিন। আত্মীয় স্বজনের খোঁজ খবর নিন।ফোন দিন। অসুস্থ হলে দেখতে যান।সবার সাথে ভালো ব্যবহার করুন। বিশেষ করে শিশুদের সময় দিন। শিশুরা ফুলের মত। তাদের সঙ্গ আপনার মন ভরিয়ে দিবে।
- পাশের হাসপাতালগুলোতে বেড়িয়ে আসুন। সেখানে গেলে আপনি সৃষ্টিকর্তাকে ধন্যবাদ দেওয়ার অসংখ্য কারণ খুঁজে পাবেন।
- ভালো মুভি,কার্টুন দেখুন।তাৎক্ষণিকভাবে মন ভালো হবে।
- যে কারণে মন খারাপ তা ভাবুন।বাস্তবতা মেনে নিন। নিজের দোষ থাকলে তা সংশোধন করুন। মন খারাপ কমে আস্তে আস্তে কমে যাবে। কারো উপর মন খারাপ হলে বা রেগে থাকলে তাকে ক্ষমা করে দিন।ক্ষমাই শক্তি।
মন ভালো করার উপায় নিয়ে ভিডিও
কোনও কাজে, ব্যবসায় বা ক্যারিয়ারে কাঙ্ক্ষিত সাফল্য না পেলে হতাশ হ ওয়া যাবে না। মন খারাপ না করে বরং কাজটি আর ও ভালো করে করার চেষ্টা করুন।
- ঘরের গুছানোর কাজ করুন।সুন্দর,পরিপা্টি ঘর আপনার মন ভালো করে দিবে।
- যে কোন ও পোষা প্রাণি যেমন-বিড়াল,খরগোশ,কুকুর মন ভালো করতে ওস্তাদ।তবে পাখি কিন্তু আকাশেই ভালো মানায়।গৃহে বন্দী করে তা্র স্বাধীনতা হরণ করা আপনার জন্য কি ঠিক? তাকে জোর করে ফরেন ল্যাঙ্গুয়েজ (ময়না পাখিকে মানুষের ভাষা শেখানো) শেখানোর দরকার নেই। বারান্দায়, ছাদে এমনিতে তাদের খাবার দিতে পারেন।তখন এমনিতেই আপনার কাছে আসবে।
- ধর্মীয় কাজ করুন।প্রতিদিন ধর্মগ্রন্থের বাংলা অনুবাদ পড়ুন। প্রার্থনা করুন সৃষ্টিকর্তার কাছে।
- আপনার কিছু সময় সামাজিক কাজে ব্যয় করুন। যেমন-রক্ত দান করা, পথশিশুদের সাহায্য করা, শিক্ষার আলো সমাজের বঞ্চিত মানুষের মাঝে ছাড়িয়ে দেওয়া ইত্যাদি। দৈনিক ভালো কিছু কাজ করার চেষ্টা করুন। দরকার হলে প্রতিদিন কী কী ভালো কাজ করবেন তাও লিখে রাখুন।
- বাগান করতে পারেন। নিজের গাছে ফুল ফুটতে দেখার আনন্দই আলাদা।
- অতীতের ভুলের জন্য নিজেকে ক্ষমা করে দিন।অনুশোচনায় নিজেকে প্রতিনিয়ত দগ্ধ করে বর্তমান সময়কে নষ্ট করবেন না। প্রিয় মানুষ ত্যাগ করে অন্য কোথাও চলে গেলে তাকে যেতে দিন।যে আপনার মূল্য বুঝেনি তার জন্য কাঁন্নার কি দরকার? জগতে কেউই অপরিহার্য নয়।
রিলেটেডঃ মানসিক রোগ কি? জানুন মানসিক রোগের লক্ষণ ও চিকিৎসা
মন খারাপের চিকিৎসা
মন খারাপ থাকলে চিকিৎসকের কাছে যা ওয়ার প্রয়োজন নেই। কিছু সময় পর আপনা আপনি ভাল হবে। তবে,কখন চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়া উচিত?যদি আপনার মন খারাপ এক নাগাড়ে দুই সপ্তাহের বেশি স্থায়ী হয় বা দীর্ঘ সময় ধরে কোন ও কিছুতে আনন্দ খুঁজে না পান সেক্ষেত্রে আপনার একজন মনোরোগ বিশেষজ্ঞের সাথে দেখা করা জরুরি। তার পরামর্শ মেনে চলা উচিত।
মানুষের জীবনে ঘাত-প্রতিঘাত আসবেই।সুখ-দুঃখ,হাসি-কান্না,সাফল্য-ব্যর্থতা সব কিছু নিয়ে জীবন। কোনো কিছুতে ব্যর্থ হলে মন খারাপ না করে সামনে এগিয়ে যাওয়া উচিত।জীবন যেন পাথরের মত আটকে না থেকে নদীর মত স্রোতস্বিনী হয়, তাহলে আপনার মন ও ভালো থাকবে।নিজের মন ভালো থাকলে আপনি আশেপাশের মানুষগুলোর মনও ভালো রাখতে পারবেন।
বিঃদ্রঃ এই ব্লগের প্রত্যেকটা ব্লগ পোস্ট Sylhetism ব্লগের নিজস্ব ডিজিটাল সম্পদ। কেউ ব্লগের কোন পোস্ট কিংবা আংশিক অংশ ব্লগের কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া কপি পেস্ট করে অন্য কোথাও প্রকাশ করলে ব্লগ কর্তৃপক্ষ ডিজিটাল সিকিউরিটি আইনে মামলা করার অধিকার রাখে। এবং অবশ্যই কপিরাইট ক্লাইম করে যে মাধ্যমে এই ব্লগের পোস্ট প্রকাশ করা হবে সেখানেও কমপ্লেইন করা হবে।
এই ব্লগের কোন লেখায় তথ্যগত কোন ভুল থাকলে আমাদের Contact পেইজে সরাসরি যোগাযোগ করুন, আমরা যত তাড়াতাড়ি সম্ভব তথ্য যাচাই করে লেখা আপডেট করে দিবো।
এই ব্লগের কোন স্বাস্থ বিষয়ক পোস্টের পরামর্শ নিজের বাস্তব জীবনে প্রয়োগ করার আগে অবশ্যই বিশেষজ্ঞদের মতামত নিবেন, আমরা স্বাস্থ বিষয়ে কোন বিশেষজ্ঞ না, আমাদের উদ্দেশ্য ও লক্ষ হচ্ছে সঠিক তথ্য পরিবেশন করা। সুতারাং কোন অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার দায়ভার অবশ্যই আমরা নিবো না।
ধন্যবাদ, ব্লগ কর্তৃপক্ষ।