Last Updated on 7th April 2024 by Mijanur Rahman
অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় (University Of Oxford), যেটি ইংল্যান্ডের একটি উচ্চশিক্ষার স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান। এটি বিশ্বের অন্যতম সেরা ইউনিভার্সিটিরগুলোর মধ্যে একটি। ইংরেজি ভাষাভাষী বিশ্বের প্রাচীনতম বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে এই ইউনিভার্সিটি একটি অনন্য এবং ঐতিহাসিক প্রতিষ্ঠান। এটি লন্ডনের উত্তর-পশ্চিমে প্রায় ৮০ কিমি দূরে অবস্থিত। এই ইউনিভার্সিটিটি তাদের দেশের দ্বিতীয় সেরা বিশ্ববিদ্যালয় হিসাবে জায়গা দখল করে নিয়েছে। সারা পৃথিবীতে এই ইউনিভার্সিটির অবস্থান ৫ম।
বিশ্বের নামি দামি মেধাবী শিক্ষার্থীরা এই ইউনিভার্সিটিতে পড়াশুনা করতে প্রত্যেক বছরই ভর্তি হয়। আজকের লেখাতে আমরা জানবো অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে খুটিনাটি বিষয়, অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি যোগ্যতা, অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবজেক্ট, অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার খরচ, অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে স্কলারশিপ নিয়ে বিস্তারিত।
অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়
ধারনা করা হয় যে অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি ১২ শতকের প্রথম দিকে প্রথম চালু হয়েছিল। তবে কিছু ইতিহাসবিদদের মতে ১০৯৬ সালের দিকেও ইউনিভার্সিটির শিক্ষার অস্তিত্ব ছিল। যাইহোক ১২ শতাব্দীর শেষের দিকে এই ইউনিভার্সিটি সুপ্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। সম্ভবত ১১৬৭ সালের দিকে প্যারিস ইউনিভার্সিটি থেকে ইংরেজ ছাত্রদের বাধা দেওয়ার ফলে এই ইউনিভার্সিটি বেপকভাবে বিকশিত হয়।
১১৮৮ সালের দিকে জেরাল্ড অফ ওয়েলস, এই ইউনিভার্সিটিতে জনসম্মুখে পাঠ দান করেন এবং ১১৯০ সালে প্রথম পরিচিত বিদেশী ছাত্র ফ্রিসল্যান্ডের ইমো আগমনের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক ভাবে এই ইউনিভার্সিটির পাঠদান আরো গতিশীল করে তোলে। ১২০১ শতকে এই ইউনিভার্সিটির নেতৃত্বে ছিলেন একজন লোক যার নাম ম্যাজিস্টার পণ্ডিত অক্সোনি। যার উপর ১২১৪ সালে চ্যান্সেলর উপাধি প্রদান করা হয়েছিল।
১৩ শতাব্দীতে অক্সফোর্ডের প্রথম কলেজ খোলা হয়েছিল। যা অত্যন্ত সফল ভাবে কার্যক্রম হয়ে আসছিল। এর এক শতাব্দীরও কম সময়ে ইউনিভার্সিটি দেশের অন্যান্য শিক্ষার আসনের চেয়ে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করেছিল এবং তার প্রাচীনত্ব, পাঠ্যক্রম, মতবাদ এবং বিশেষাধিকার দ্বারা বিভিন্ন ভাবে প্রশংসা অর্জন করেছিল।
শুরুর দিন থেকেই, এই ইউনিভার্সিটি ছিল প্রাণবন্ত শিক্ষাদানের একটি কেন্দ্র। কিন্তু এরপর ইউনিভার্সিটিতে বিভিন্ন সময় ধর্মীয় ও রাজনৈতিক সমস্যার সৃষ্টি হয়। এর কারন হচ্ছে জন উইক্লিফ, ১৪ শতাব্দীর দিকে মাতৃভাষার ইচ্ছার বিরুদ্ধে স্থানীয় ভাষায় বাইবেলের জন্য প্রচারণা চালান। তারপর ইংল্যান্ডে গৃহ যুদ্ধ শুরু হয়ে যাওয়ার পর এই ইউনিভার্সিটি তাদের দেশের রাজার সন্তুস্টি প্রকাশ করে। কিন্তু পরবর্তী সময়ে রাজার রাজার ২য় পুত্রের সাথে এই ইউনিভার্সিটি তাদের কার্যক্রম নিয়ে সমস্যায় জড়িয়ে পরে।
১৮৭৮ সাল থেকে, এই ইউনিভার্সিটিতে প্রথমবারের মত মহিলাদের জন্য একাডেমিক হল প্রতিষ্ঠিত হয় এবং তারা ১৯২০ সালে বিশ্ববিদ্যালয়ের পূর্ণ সদস্যপদে ভর্তি হয়। পাঁচটি পুরুষ কলেজ ১৯৭৪ সালে প্রথম মহিলাদের ভর্তি করে এবং তারপর থেকে, সমস্ত কলেজ তাদের আইন পরিবর্তন করে, সেটি হচ্ছে নারী এবং পুরুষ উভয়কেই ভর্তি করে। সেন্ট হিল্ডা কলেজ, যা মূলত শুধুমাত্র মহিলাদের জন্য ছিল। যদিও এটি ২০০৮ সাল থেকে নারী ও পুরুষ উভয়কেই স্বীকার করেছে বা ভর্তি করা হয়েছে।
২০ তম এবং একবিংশ শতাব্দীর প্রথম দিকে, ইউনিভার্সিটি তার মানবতাবাদী, প্রাকৃতিক এবং ফলিত বিজ্ঞানের একটি নতুন নতুন গবেষণাগার যোগ করেছে। এটি করার ফলে, এটি শিক্ষার জন্য আন্তর্জাতিক ফোকাস এবং বুদ্ধিবৃত্তিক বিতর্কের একটি ফোরাম হিসাবে তার ঐতিহ্যগত ভূমিকা উন্নত এবং শক্তিশালী করেছে।
গঠনশীলতা
অনেকগুলো কলেজ নিয়ে এই ইউনিভার্সিটি গঠিত। বর্তমানে অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি ৩৯টি স্থায়ী কলেজ নিয়ে গঠিত এবং এর মধ্যে ৭ টি পারমানেন্ট প্রাইভেট হল (পিপিএইচ) রয়েছে, এগুলো নিয়েই এই ইউনিভার্সিটি গঠিত। শিক্ষার্থীদেরকে তাদের নিজ নিজ সাব্জেক্ট নিয়ে তাদের কলেজ নির্বাচন করে দেয়া হয়।
এই ইউনিভার্সিটিতে শিক্ষার্থীরা তাদের আবাসিক সুবিধা ছাড়াও আরো বিভিন্ন সুবিধা পেয়ে থাকে যেমন- লাইব্রেরি এবং গবেষনাগার। প্রত্যেকটি কলেজেই একটি করে ডাইনিং হল, প্রার্থনা করার জন্য আলাদা কেন্দ্র, লাইব্রেরি এবং ৪০০-৫০০ শিক্ষার্থীদের থাকার জন্য সুব্যাস্থা। এই বিশ্ববিদ্যালয় এর কলেজগুলোর ভর্তি প্রক্রিয়া ভিন্ন হলেও একটি গ্রহণযোগ্য মান বজায় থাকে। নিম্নে কলেজগুলোর নাম দেয়া হলঃ
কলেজের নাম | স্থাপনকাল/সাল | কলেজের নাম | স্থাপনকাল/সাল |
ব্যাল্লিওল কলেজ | ১৯৬৩ সালে | কেবেল কলেজ | ১৮৭০ সালে |
অল সোলস কলেজ | ১৪৩৮ সালে | কেলগ কলেজ | ১৯৯০ সালে |
ব্র্যাসনোজ কলেজ | ১৫০৯ সালে | লেডি মার্গারেট হল | ১৮৭৮ সালে |
ক্রাইস্ট চার্চ | ১৫৪৬ সালে | লিনাক্রে কলেজ | ১৯৬২ সালে |
কর্পাস ক্রিস্টি কলেজ | ১৫১৭ সালে | লিঙ্কন কলেজ | ১৪২৭ সালে |
এক্সটার কলেজ | ১৩১৪ সালে | ম্যাগদালেন কলেজ | ১৪৫৮ সালে |
গ্রীণ টেম্পেলটন কলেজ | ২০০৮ সালে | ম্যান্সফিল্ড কলেজ | ১৮৮৬সালে |
হ্যারিস ম্যানচেস্টার কলেজ | ১৮৮৯ সালে | মার্টন কলেজ | ১২৬৪ সালে |
হার্টফোর্ড কলেজ | ১২৮২ সালে | নিউ কলেজ | ১৩৭৯ সালে |
জিসাস কলেজ | ১৫৭১ সালে | নাফিল্ড কলেজ | ১৯৫৮ সালে |
অরিয়েল কলেজ | ১৩২৬ সালে | পেমব্রোক কলেজ | ১৬২৪ সালে |
দ্য ক্যুইনস্ কলেজ | ১৩৪১ সালে | সেন্ট অ্যানস্ কলেজ | ১৮৭৮ সালে |
সেন্ট এন্টনিজ কলেজ | ১৯৫৩ সালে | সেন্ট ক্যাথরিনস্ কলেজ | ১৯৬৩ সালে |
সেন্ট ক্রস কলেজ | ১৯৬৫ সালে | সেন্ট এডমান্ড হল | ১৯৫৭ সালে |
সেন্ট হিল্ডাস কলেজ | ১৮৯৩ সালে | সেন্ট হিউজেস কলেজ | ১৮৮৬ সালে |
সেন্ট জনস্ কলেজ | ১৫৫৫ সালে | সেন্ট পিটার্স কলেজ | ১৯২৯ সালে |
সমারভিল কলেজ | ১৮৭৯ সালে | ট্রিনিটি কলেজ | ১৫৫৪ সালে |
ইউনিভার্সিটি কলেজ | ১২৪৯ সালে | ওয়াডহ্যাম কলেজ | ১৬১০ সালে |
ওল্ফসন কলেজ | ১৯৬৬ সালে | ওরচেষ্টার কলেজ | ১৭১৪ সালে |
অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি
অক্সফোর্ডে পড়াশুনা করতে হলে আপনাকে অত্যন্ত মেধাবী হতে হবে। খুব যোগ্য শিক্ষার্থীরা না হতে পারলে এই ইউনিভার্সিটিতে চান্স পাওয়া অনেক কঠিন। আপনার মধ্যে দুটি জিনিস থাকতে হবে তাহলে এই ইউনিভার্সিটিতে পড়াশুনা করতে পারবেন যেমন- একাডেমিক ক্ষমতা এবং মেধা। এই ইউনিভার্সিটিতে পরার জন্য শিক্ষার্থীরা সারা বিশ্ব থেকে আসে। প্রতি বছর শিক্ষার্থীরা অনেক আগ্রহ নিয়ে এইখানে পড়ার জন্য আসে।
এই ইউনিভার্সিটি বিশ্বের অন্যতম সেরা শিক্ষার প্রস্তাব হিসাবে স্বীকৃত এবং এখানে স্নাতক পর্যায়ে পড়াশোনা করার জন্য এর প্রতিযোগিতা আকাশ্চুম্বি। গড়ে প্রতি বছর প্রায় ৩২৫০ টি জায়গা থেকে ২০,০০০ মেধাবী শিক্ষার্থীরা এই শিক্ষা কেন্দ্র পরার জন্য আবেদন করে থাকে। আপনাকে অবশ্যই এর ভর্তির সময়রেখা এবং সময়সীমা অনুযায়ী আবেদন করতে হবে। এর জন্য আপনাকে কি কি করতে হবে তা নিম্নের লিখাগুলো পড়লে বুঝতে পারবেন।
এই নির্দেশিকা ব্যাখ্যা করে কিভাবে এই ইউনিভার্সিটিতে অধ্যয়নের জন্য আবেদন করতে হয় এবং কিভাবে এর আবেদনপত্র পূরণ করতে হয় এবং সহায়ক নথি প্রদান করতে হয় তা নিয়ে আলোচনা করা হলঃ
সাব্জেক্ট নির্বাচন
সবার প্রথমে আপনার পছন্দের সাব্জেক্ট বেছে নিতে হবে। তারপর আপনার সাব্জেক্ট অনুযায়ী কলেজ অন্বেষণ করতে হবে এবং সিদ্ধান্ত নিতে হবে যে আপনার কোন কলেজ পছন্দ হয়েছে। আপনার পছন্দের সাব্জেক্ট এবং কলেজ ইউসিএএস ফর্মে লিখে আবেদন করতে হবে।
আবেদন করার সময়সীমা
- সময়সীমা এবং কখন আবেদন করতে হবে সেই ব্যাপারে লক্ষ্য রাখতে হবে।
- কিভাবে আবেদন করতে হবে তার জন্য অক্সফোর্ডে এর ওয়েবসাইট থেকে গাইড লাইন নিতে হবে।
- আবেদনের শুরুতেই আপনার পছন্দের সাব্জেক্ট এবং কলেজ নির্বাচন করে রাখুন।
আপনার বিবরণ
অ্যাপ্লিকেশন গাইডের এই বিভাগটি আপনার আবেদনের ফর্মের মধ্যেই পেয়ে যাবেন। নিম্নলিখিত দুটি পয়েন্ট আপনাকে সঠিক ভাবে পূরণ করতে হবেঃ
- সঠিকভাবে আপনার যোগাযোগের ঠিকানা পুরন করতে হবে।
- দ্বিতীয় পয়েন্টটি হচ্ছে আপনার নিজের সম্পর্কে বিস্তারিত বর্ণনা করতে হবে।
রেফারেন্স
অ্যাপ্লিকেশন গাইডের এই অংশটি আপনার আবেদনের অংশ হিসাবে কীভাবে রেফারেন্স প্রদান করতে হয় তা অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।
- আপনার রেফারেন্স নির্বাচন এবং সেই রেফারেন্সকে নিবন্ধন করুন।
- আপনি চাইলে নতুন রেফারেন্স যোগ করতে পারেন বা পরিবর্তন করতে পারেন।
সহায়ক দলিল
অ্যাপ্লিকেশন গাইডের এই বিভাগটি ব্যাখ্যা করে যে কিভাবে আবেদনপত্রের সহায়ক দলিল এবং সহায়ক নথির প্রয়োজনীয়তা পূরণ করতে হয়।
- আপনাকে একটি সরকারী প্রতিলিপি জমা দিতে হবে।
- আপনার অক্সফোর্ডে পরার উদ্দেশ্য / গবেষণা প্রস্তাবের বিবৃতি লিখে জমা দিতে হবে।
- কিছু লিখিত কাজ জমা দিতে হবে যা আপনি এই ইউনিভার্সিটির ওয়েবসাইটে পেয়ে যাবেন।
অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির যোগ্যতা
এই ইউনিভার্সিটিতে পরতে হলে আপনাকে এইখানে আবেদন করা যোগ্যতা অর্জন করতে হবে। খুব গুরুত্বপূর্ণ দুটি যোগ্যতা হচ্ছে
- সিজিপিএ
- ভাষা
প্রাথমিক ভাবে এই দূটি যোগ্যতা থাকলে আপনি আপনি এই ইউনিভার্সিটিতে পড়াশুনার জন্য আবেদন করতে পারবেন। নিম্নে এই দুটি যোগ্যতা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হলঃ
সিজিপিএ
অক্সফোর্ড এর মাস্টার্সের শিক্ষার জন্য, আপনার স্নাতক এর রেজাল্ট ৪ এর মধ্যে সর্বনিম্ন সিজিপিএ থাকতে হবে ৩.২। যদি কেউ ৪ এর মধ্যে ৩.৯৯ কাছিকাছি থাকে তাহলে সে অনেক বেশি সুবিধা পাবে। তাদেরকে অনেক ভালভাবে রেসপন্স করা হয় এবং গুরুত্ব দেয়া হয়। যদিও এই ইউনিভার্সিটিতে সিজিপিএ এর ব্যাপারটি দেশ ভিত্তিক হয়ে থাকে। এর কারন হল একেক দেশ এর সিজিপিএ এর সিস্টেম একেক রকম হয়ে থাকে।
ভাষা
অন্যান্য অনেক দিক থেকে আপনি যদি ছাড় পেয়েও যান, কিন্তু ইংরেজিতে দুর্বল থাকলে আপনার চান্স পাওয়া প্রায় অসম্ভব। এই শিক্ষা কেন্দ্রতে পড়াশুনা করা জন্য আপনাকে ইংরেজি ভাষাতে দক্ষতা অর্জন করতে হবে।
এই ইউনিভার্সিটিতে পরতে হলে আপনাকে IELTS এ ভাল একটি স্কোর করার চেষ্টা করতে হবে। IELTS এর স্কোর সর্বনিম্ন ৭ পয়েন্ট অর্জন করতে হবে। স্কোর যদি ৭.৫ হয় তাহলে আপনার জন্য এই ইউনিভার্সিটিতে এডমিশন নেয়া আরো সহজ হবে।
অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার খরচ
এই ইউনিভার্সিটিতে পড়াশুনা করার জন্য আপনাকে মোটা অংকের একটা ব্যাংক ব্যালেন্স দেখাতে হবে। এইখানে স্কলারশিপ ছাড়া পরতে হলে আপনাকে প্রায় ২৮ হাজার ডলারের মত খরচ করতে হবে। যা প্রায় বাংলাদেশি টাকায় ২৩ লক্ষ টাকার উপরে পরে। অনুষদ উপর নির্ভর করে টিউশন ফি পৃথক: প্রতি বছর সাড়ে ছয় থেকে ষোল হাজার পাউন্ড। আবাসন এবং পরিষেবাদির জন্য পেমেন্ট প্রায় ৮ হাজার পাউন্ড। খাওয়া এবং থাকার খরচ তো আছেই। যদিও বিশ্বের অনেক ইউনিভার্সিটি থেকে এই ইউনিভার্সিটির খরচ অনেক কম আপনি খবর নিয়ে দেখতে পারেন।
তাই এটি আগেই চিন্তা করে রাখুন যে যদি আপনি স্কলারশিপ না পান তাহলে এই ইউনিভার্সিটিতে এত বিপুল পরিমান টাকা দিয়ে পরতে পারবেন কিনা।
অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে আবেদনের নিয়ম
আপনি যদি অক্সফোর্ডে ইউনিভার্সিটিতে অধ্যয়নের জন্য আবেদন করার সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকেন তাহলে, আপনার প্রয়োজনীয় সমস্ত কাগজপত্র পেতে এবং একটি আবেদন প্রস্তুত করতে কয়েক সপ্তাহ সময় লাগতে পারে।
- প্রথমে তাদের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট এ গিয়ে তাদের কোর্স বিভাগটি দেখুন। আপনি যেই কোর্সটি করতে ইচ্ছুক সেই কোর্সটি সিলেক্ট করুন এবং আপনার আবেদন শুরু করার জন্য প্রস্তুত হোন। আপনার কোর্স পৃষ্ঠায় বা কোর্সটি করার জন্য কিভাবে আবেদন করবেন সেই বিভাগটি পড়ুন এবং অনলাইন আবেদন পদ্ধতিতে প্রবেশ করতে ক্লিক করুন।
- তারপর নিশ্চিত করুন যে আপনি আপনার আবেদনে সঠিক কোর্সটি বেছে নিয়েছেন। যদি কোর্স সিলেক্ট করতে ভুল করেন তাহলে আপনি আপনার ফর্ম শুরু করার পরে বা আবেদন করার পরে এটি পরিবর্তন করতে পারবেন না। সেই ক্ষেত্রে একটি ভিন্ন কোর্স বেছে নিতে হবে। আপনাকে একটি নতুন অ্যাপ্লিকেশন শুরু করতে হবে। তাই ভুল এড়াতে আগে থেকেই সচেতন ভাবে কাজ করুন।
- প্রতিটি কোর্সে এই ইউনিভার্সিটির ওয়েবসাইটে একটি ডেডিকেটেড কোর্স পৃষ্ঠা রয়েছে, যা আপনাকে কোর্স সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য এবং কিভাবে আবেদন করতে হবে তা প্রদান করবে। আপনি তাদের কোর্স A থেকে Z বা বিভাগ দ্বারা ব্রাউজ করলে তাদের কোর্স এর সকল তথ্য জানতে পারবেন।A থেকে Z বা বিভাগ এর লিংকঃ (A-Z)
- আপনার কোর্স সিলেক্ট করা হয়ে গেলে সেই কোর্সএ ক্লিক করার সাথে সাথেই আপনাকে একটি নতুন আবেদনকারী অ্যাকাউন্ট তৈরি করতে বলা হবে, অথবা আপনার অ্যাকাউন্টে ইতিমধ্যেই লগ ইন করার জন্য অনুরোধ করা হবে। আপনার নির্বাচিত কোর্সের কোর্স পৃষ্ঠায় যান এবং (How to apply) বোতামে ক্লিক করুন। আপনি একটি একাউন্ট ব্যবহার করে যত ইচ্ছা অ্যাপ্লিকেশন তৈরি করতে পারেন কোন সমস্যা হবে না।
- আবেদন ফর্ম এ লগইন বা অ্যাকাউন্ট তৈরি করা হয়ে গেলে এর নিবন্ধন ফর্মটি সম্পূর্ণ করুন। আপনাকে অবশ্যই একটি এক্টিভ ইমেল প্রদান করতে হবে, যা আপনার অ্যাকাউন্টের প্রাথমিক হবে। আপনার কোর্স শুরুর তারিখ পর্যন্ত এই ইমেলটতে আপনার অ্যাক্সেস থাকবে তা নিশ্চিত করুন। আপনি যদি আবেদন প্রক্রিয়া চলাকালীন এই ইমেল ঠিকানাটি অ্যাক্সেস করতে না পারেন তাহলে ভর্তির জন্য কর্তৃপক্ষ এর সাথে যোগাযোগ করুন।
- আপনি যদি পরে আবেদন ফর্মের যোগাযোগের বিবরণ বিভাগের প্রাথমিক ইমেল এর পরিবর্তে একটি ভিন্ন ইমেল প্রবেশ করেন, তাহলে এটি আপনার অ্যাকাউন্টের সাথে সম্পর্কিত ইমেল পরিবর্তন করবে। আপনার অ্যাকাউন্টে লগ ইন করার জন্য আপনাকে নতুন ইমেল ঠিকানা ব্যবহার করতে হবে। যেই ইমেইল দিয়ে অ্যাকাউন্ট তৈরি করেছেন সেই অ্যাকাউন্ট দিয়েই কর্তৃপক্ষ এর সাথে যোগাযোগ করুন।
অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে আবেদনের সময়
এই ইউনিভার্সিটিতে সুপারিশ করা হয় যে আপনি আপনার নির্বাচিত সময়সীমার কমপক্ষে দুই সপ্তাহ আগে আপনার আবেদনপত্র এবং আপনার সমস্ত সহায়ক জমা দিতে হবে। সময়সীমা শেষ দিন পর্যন্ত অপেক্ষা না করে এর আগেই আপনাকে আপনার সব ডকুমেন্টস জমা দিতে হবে। এর কারন যদি বলি, আপনি আপনার ডকুমেন্টস পুরন করার সময় অনেক ধরনের সমস্যায় পরতে পারেন সেই জন্য আপনাকে তাদের প্রশ্ন করতে হতে পারে আপনার সমস্যাগুলো নিয়ে। এই ইউনিভার্সিটির কর্তৃপক্ষ আপনার সব প্রশ্নের উত্তর সময় মত নাও দিতে পারে অথবা সময়মতো কোনো সমস্যা সমাধান করতে আপনাকে সাহায্য নাও করতে পারে। তাই আপনাকে অবশ্যই সকল সমস্যার সমাধান আগে থেকেই জিজ্ঞেস করে নিতে হবে। বিশেষ করে ডিসেম্বর এবং জানুয়ারির সময়টা এই ইউনিভার্সিটি ব্যস্ত সময় পার করে। তাই আপনাকে আগে থেকে সচেতন হতে হবে।
আবেদন এর লিংকঃ এডমিশন
আবেদন ফর্ম পূরণ
অ্যাপ্লিকেশন ফর্মটি ক্রোম, এজ, ফায়ারফক্স এবং সাফারি সহ বেশিরভাগ ওয়েব ব্রাউজারের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ। আপনি যদি ইন্টারনেট এক্সপ্লোরার ব্যবহার করেন, তাহলে আপনাকে ১১ বা তার পরবর্তী সংস্করণ ব্যবহার করতে হবে।
- ফর্মটি বেশিরভাগ ট্যাবলেট ডিভাইসের সাথেও সামঞ্জস্যপূর্ণ, যদিও কিছুট্যাবলেট ডিভাইসে প্রদর্শন করতে সমস্যা হতে পারে।
- আবেদনপত্রের প্রতিটি ট্যাব একটি প্রতীক প্রদর্শন করবে যা ট্যাবটি সম্পূর্ণ করার করার পরই আপনার অগ্রগতি নির্দেশ করবে।
- আপনার সুবিধার জন্য একটি নীল ‘টিক’ ইঙ্গিত প্রদান করবে যাতে আপনি ট্যাবে থাকা সমস্ত বাধ্যতামূলক প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন।
- আপনার সুবিধার জন্য একটি লাল ‘ক্রস’ ইঙ্গিত প্রদান করবে যদি আপনি এক বা একাধিক বাধ্যতামূলক প্রশ্নের উত্তর না দিয়ে থাকেন। অথবা প্রশ্নের উত্তর প্রদানে একটি ক্ষেত্রের মধ্যে কোন ত্রুটি রয়েছে।
বাধ্যতামূলক প্রশ্নগুলি একটি তারকা চিহ্ন (*) দিয়ে চিহ্নিত করা হয়। যদি আপনি একটি ট্যাব ছাড়ার চেষ্টা করার সময় একটি ত্রুটির বার্তা দেখতে পান, তাহলে আপনি পৃষ্ঠায় থাকার জন্য ‘বাতিল’ ক্লিক করতে পারেন এবং ত্রুটিযুক্ত যে কোন ক্ষেত্রটি সংশোধন করতে পারেন। যা হলুদে হাইলাইট করা হবে। বিকল্পভাবে, আপনি আবেদন ফর্মের পরবর্তী ট্যাবে যেতে (ওকে) ক্লিক করতে হবে।
অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে স্কলারশিপ
প্রতিটি শিক্ষার্থীর সবারই ইচ্ছা থাকে যে ভাল একটি ইউনিভার্সিটিতে স্কলারশিপ নিয়ে পড়াশোনা করার। স্কলারশিপ নিয়ে যাতে এই ইউনিভার্সিটিতে পড়াশুনা করা যায় সেই জন্য আপনাকে আবেদন করতে হবে। স্কলারশিপ এর মেয়াদ ৩-৪ বছর পর্যন্ত হতে পারে। কম আয়ের দেশগুলির শিক্ষার্থীদের জন্য বেশ কয়েকটি রিচ অক্সফোর্ড স্কলারশিপ দেওয়া হয়। যারা রাজনৈতিক বা আর্থিক কারণে, অথবা উপযুক্ত শিক্ষাগত সুযোগ-সুবিধা না থাকায়, তাদের নিজস্ব দেশে ডিগ্রি অর্জন করতে পারে না।
আপনার ইতিমধ্যে জানতে পেরেছেন যে এই ইউনিভার্সিটিতে পড়াশুনার খরচ কতটা ব্যায় বহুল। তাই নিম্ন আয়ের দেশগুলোকে তার স্কলারশিপ প্রদান করে থাকে। নিম্ন আয়ের দেশগুলোর রাজনৈতিক অথবা অর্থনৈতিক কারণে বা উপযুক্ত শিক্ষার সুযোগের অভাবে নিজেদের দেশে অনেক সময় অধ্যয়ন করতে পারে না। তাদের জন্যই এই ইউনিভার্সিটি স্কলারশিপ প্রদান করে থাকে। আপনি এই ইউনিভার্সিটিতে স্কলারশিপ নিয়ে পড়াশুনার জন্য যোগ্য হবেন কিনা তা নিম্নলিখিত দেশগুলো দেখলেই বুঝতে পারবেন।
স্কলারশিপভুক্ত দেশ
আফগানিস্তান, আলবেনিয়া, আলজেরিয়া, অ্যাঙ্গোলা, অ্যান্টিগুয়া ও বার্বুডা, আর্জেন্টিনা, আর্মেনিয়া, আজারবাইজান, বাংলাদেশ, বেলারুশ, বেলিজ, বেনিন, ভুটান, বলিভিয়া, বসনিয়া ও হার্জেগোভিনা; বতসোয়ানা; ব্রাজিল, বুর্কিনা ফাসো; বুরুন্ডি; কম্বোডিয়া; ক্যামেরুন, কেপ ভার্দে; মধ্য আফ্রিকান প্রজাতন্ত্র; চীন, কলম্বিয়া; কোমোরোস; কঙ্গো, ডেম। খ্যাতি.; কঙ্গো, প্রজাতন্ত্র; কোস্টারিকা; কোট ডি আইভোর; কিউবা; জিবুতি; ডোমিনিকা; ডোমিনিকান প্রজাতন্ত্র; ইকুয়েডর; মিশর; এল সালভাদর; নিরক্ষীয় গিনি; ইরিত্রিয়া; ইস্বতিনী; ইথিওপিয়া; ফিজি; গ্যাবন; গাম্বিয়া; জর্জিয়া; ঘানা; গ্রেনাডা; গুয়াতেমালা; গিনি; গিনি-বিসাউ; গায়ানা; হাইতি; হন্ডুরাস; ভারত; ইন্দোনেশিয়া; ইরান; ইরাক; জ্যামাইকা; জর্ডান; কাজাখস্তান; কেনিয়া; কিরিবাতি; কোরিয়া, ডেম। জনগণের প্রতিনিধি; কসোভো; কিরগিজ প্রজাতন্ত্র; লাওস; লেবানন; লেসোথো; লাইবেরিয়া; লিবিয়া; মাদাগাস্কার; মালাউই; মালয়েশিয়া; মালদ্বীপ; মালি; মার্শাল দ্বীপপুঞ্জ; মৌরিতানিয়া; মরিশাস; মেক্সিকো; মাইক্রোনেশিয়া, সংঘবদ্ধ রাজ্য; মোল্দোভা; মঙ্গোলিয়া; মন্টিনিগ্রো; মন্টসেরাট; মরক্কো; মোজাম্বিক; মিয়ানমার; নামিবিয়া; নাউরু; নেপাল; নিকারাগুয়া; নাইজার; নাইজেরিয়া; নিউ; উত্তর মেসিডোনিয়া; পাকিস্তান; পালাউ; পানামা; পাপুয়া নিউ গিনি; প্যারাগুয়ে; পেরু; ফিলিপাইন; রুয়ান্ডা; সেন্ট হেলেনা; সামোয়া; সাও টোমে এবং প্রিনসিপে; সেনেগাল; সার্বিয়া; সিয়েরা লিওন; সলোমান দ্বীপপুঞ্জ; সোমালিয়া; দক্ষিন আফ্রিকা; দক্ষিণ সুদান; শ্রীলংকা; সেন্ট লুসিয়া; সেন্ট ভিনসেন্ট এবং গ্রেনাডাইনস; সুদান; সুরিনাম; সিরিয়া; তাজিকিস্তান; তানজানিয়া; থাইল্যান্ড; তিমুর-লেস্টে; যাও; টোকেলাউ; টোঙ্গা; তিউনিসিয়া; তুরস্ক; তুর্কমেনিস্তান; টুভালু; উগান্ডা; ইউক্রেন; উজবেকিস্তান; ভানুয়াতু; ভেনেজুয়েলা; ভিয়েতনাম; ওয়ালিস এবং ফুতুনা; পশ্চিম তীর এবং গাজা উপত্যকা; ইয়েমেন; জাম্বিয়া; জিম্বাবুয়ে।
আপনার স্কলারশিপ এর আবেদন যদি সফল হয় তাহলে আপনাকে কলেজের মধ্যে স্থানান্তর করার ব্যবস্থা করা হবে। এই স্কলারশিপ শুধুমাত্র সেই সকল শিক্ষার্থীদের জন্য যারা উপযুক্ত অফার পেয়েছেন এবং যারা সর্বোচ্চ শিক্ষাগত যোগ্যতার অধিকারী। আগে স্নাতক পর্যায়ে পড়াশোনা করেননি এমন শিক্ষার্থীদের অগ্রাধিকার দেওয়া হয়।
স্কলারশিপ নিয়ে আরো কিছু তথ্য
আবেদনকারীদের অবশ্যই সচেতন হতে হবে যে এই স্কলারশিপ এর জন্য প্রতিযোগিতা অনেক বেশি এবং যেসব শিক্ষার্থীদের স্কলারশিপ দেওয়া হয় না তাদের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের অতিরিক্ত তহবিল নেই। আপনি যদি স্কলারশিপ এর জন্য আবেদন করতে চান, তাহলে অনুগ্রহ করে যে বছরের অক্সফোর্ড কোর্স শুরু করবেন সে বছরের জানুয়ারিতে স্কলারশিপ এর জন্য আবেদন করুন।
কোর্স বা অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবজেক্ট
অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটির বিভিন্ন শাখায় ৩৫০ টিরও বেশি কোর্স রয়েছে। যেখানে প্রতি বছর নতুন নতুন কোর্স চালু করা হয়। এর মধ্যে রয়েছে পূর্ণকালীন, খণ্ডকালী গবেষণা কোর্স এবং ডিপ্লোমা থেকে ডক্টরেট পর্যন্ত প্রতিটি স্তরে কোর্স রয়েছে।
অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটির একটি বড় সুবিধা হচ্ছে এই ইউনিভার্সিটির প্রতিটি ছাত্রকে একাডেমিক সুপারভাইজার দেওয়া হয়। যার ফলে আপনার পুরো কোর্স জুড়ে, আপনি আপনার ক্ষেত্রের একজন বিশেষজ্ঞের কাছ থেকে ব্যক্তিগতকৃত সহায়তা এবং নির্দেশনা পাবেন, যা আপনার অধ্যয়ন বা গবেষণার কর্মসূচিকে গাইড করতে সাহায্য করবে।
অক্সফোর্ডে স্নাতক ডিগ্রি
আপনারা যারা এইচএসসি পরীক্ষার পর অক্সফোর্ডে পড়াশুনা করতে ইচ্ছুক তাদের জন্য এই লেখাটি। এইচএসসি পর এই ইউনিভার্সিটিতে চান্স পাওয়া যথেষ্ট কঠিন। আপনার যদি এই ইউনিভার্সিটিতে পড়াশুনার ইচ্ছা থাকে তাহলে আপনি একবার চেষ্টা করে দেখতে পারেন। যেহেতু আপনি এইচএসসি এর দেশের বিভিন্ন স্থানে গিয়ে বিভিন্ন পাবলিক এবং প্রাইভেট ইউনিভার্সিটিতে চান্স পাওয়ার চেষ্টা করবেন সেহেতু একবার এই ইউনিভার্সিটিতে এ চান্স পাওয়ার জন্য চেষ্টা করতে তো কোন ক্ষতি নেই। আপনি চেষ্টা করে দেখতে পারেন। এই ইউনিভার্সিটিতে এ মোট ৪৮টি আন্ডারগ্রাজুয়েট বা স্নাতক ডিগ্রি রয়েছে। এদের মধ্যে বিভাগ রয়েছে ৫ টি যেমন-
- বিজ্ঞান
- মানবিকতা,
- আইন,
- ভাষা
- চারুকলা।
এই ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীরা দর্শন, ধর্মতত্ত্ব, প্রত্নতত্ত্ব এবং নৃবিজ্ঞানের মতো যৌথ সম্মান প্রোগ্রামগুলিওতেও অধ্যয়ন করতে পারে। স্নাতক ডিগ্রী সাধারণত তিন বছর মেয়াদী হয়ে থাকে এবং শিক্ষার্থীরা যে যেই সাব্জেক্ট এর আবেদন করে সেই সাব্জেক্ট অনুযায়ী পৃথক কলেজের মধ্যে পড়ানো হয়। অক্সফোর্ডে স্নাতক অধ্যয়ন সপ্তাহ ভিত্তিক ক্লাস নেয়া হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাস পরিচালিত হয় লেকচার এবং ল্যাবরেটরী কাজ এর মাধ্যমে।
স্নাতক ডিগ্রি পড়াশুনা করতে হলে শিক্ষার্থীদের জন্য সেপ্টেম্বর থেকে অক্টোবর এর দিকে আবেদনের সময়কাল চলে। আবেদনকারীদের অবশ্যই একটি পরীক্ষা দেওয়ার জন্য নিবন্ধন করতে হবে এবং সম্ভাব্য শিক্ষার্থীদের স্ট্যান্ডার্ড সম্পন্ন UCAS ফর্মের পাশাপাশি লিখিত কাজ পাঠাতে হতে হবে। আপনি আবেদন করার পর আপনাকে কোন কোন সাব্জেক্ট এর জন্য আলাদা আলাদা ভাবে পরীক্ষা দিতে হবে। আপনার সুবিধা হচ্ছে আপনি নিজ দেশ থেকেই এই পরীক্ষায় অংশ গ্রহন করতে পারবেন। ইমেইল এর মাধ্যমে আপনার প্রশ্ন প্রদান করা হবে যার মাধ্যমে আপনি খুব সহজে পরীক্ষা দিতে পারবেন।
এরপর এর পরের ধাপে যদি কোন ভাবে যদি ইন্টারভিউতে টিকে যান তাহলে আপনি তাদের সাইটে গিয়ে স্কলারশিপ এর জন্য আবেদন করতে পারবেন। রিচ স্কলারশিপ পেলে তো আর কথাই নেই আপনার জন্য থাকার ব্যবস্থা, খাওয়ার ব্যবস্থা থেকে শুরু করে সকল ধরনের সুবিধায় পাবেন এইখান থেকে। ইংল্যান্ড শিক্ষা ব্যবস্থার রুলস অনুযায়ী সেই খানে এইচএসসি এর সার্টিফিকেটকে A level হিসেবে গননা করা হয় না। সেই ক্ষেত্রে আপনাকে আপনার পছন্দ করা সাবজেক্ট এবং পছন্দ করা কলেজ সেপ্টেম্বর এর আগেই জমা দিয়ে দিতে হবে। নিম্নে যেই সকল কলেজ এর মধ্যে আপনি স্নাতক ডিগ্রী নিয়ে পড়াশুনা করতে পারেন সেই সকল কলেজের নাম প্রদান করা হলঃ
কলেজের নাম | কলেজের নাম |
ব্যাল্লিওল কলেজ | জিসাস কলেজ |
ব্র্যাসনোজ কলেজ | কেবেল কলেজ |
ক্রাইস্ট চার্চ | লেডি মার্গারেট হল |
কর্পাস ক্রিস্টি কলেজ | লিঙ্কন কলেজ |
এক্সটার কলেজ | ম্যাগদালেন কলেজ |
হ্যারিস ম্যানচেস্টার কলেজ | ম্যান্সফিল্ড কলেজ |
হার্টফোর্ড কলেজ | মার্টন কলেজ |
নিউ কলেজ | অরিয়েল কলেজ |
পেমব্রোক কলেজ | দ্য ক্যুইনস্ কলেজ |
সেন্ট অ্যানস্ কলেজ | সেন্ট ক্যাথরিনস্ কলেজ |
সেন্ট ক্রস কলেজ | সেন্ট এডমান্ড হল |
সেন্ট হিল্ডাস কলেজ | সেন্ট হিউজেস কলেজ |
সেন্ট জনস্ কলেজ | সেন্ট পিটার্স কলেজ |
সমারভিল কলেজ | ট্রিনিটি কলেজ |
ইউনিভার্সিটি কলেজ | ওয়াডহ্যাম কলেজ |
আপনাকে আপনার সাব্জেক্ট অনুযায়ী কলেজ বাছাই করতে হবে। এই ইউনিভার্সিটি এর একটি বড় সুবিধা হচ্ছে আপনি যেই কলেজ সিলেকশন করবেন সেই কলেজের শিক্ষার্থীদের সাথেই আপনি এডমিশন এর জন্য কম্পিটিশন করবেন। আপনাকে সব কলেজের শিক্ষার্থীদের সাথে কম্পিটিশন করতে হবে নাহ। সহজ করে যদি বলি ধরুন, আপনি বিজ্ঞান বিভাগ এর কোন একটা সাব্জেক্ট নিয়ে পড়াশুনা করতে চান তাহলে আপনি যেই সাব্জেক্টটি পছন্দ করেছেন সেই সাব্জেক্ট অনুযায়ী কলেজ পছন্দ করার পর শুধু সেই কলেজের শিক্ষার্থীদের সাথেই শুধু এডমিশনের জন্য কম্পিটিশন করবেন।
স্নাতক কোর্স এর জন্য আরও বিস্তারিত তথ্য বা আবেদন করার জন্য এই লিংকে যানঃ স্নাতক কোর্স
অক্সফোর্ডে মাস্টার্স
অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক কোর্সগুলি বিশ্বের সবচেয়ে কঠোর এবং ফলপ্রসূ কোর্স হিসাবে বিখ্যাত। অক্সফোর্ড মাস্টার্স কোর্সগুলি বেশিরভাগই ছোট হয়ে থাকে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ৯ মাসের মধ্যেই কোর্স শেষ হয়ে যায়। তবে কিছু কোর্স ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে অনুষ্ঠিত হয়। মাস্টার্স এর এই কোর্সগুলির দৈর্ঘ্য দ্রুতগতিতে শিক্ষার্থীদের নির্বাচিত ক্যারিয়ারে একটি মসৃণ পরিবর্তনের দিকে নিয়ে যায়। মাস্টার্স কোর্স এর মোট ৫টি বিভাগ রয়েছে। একেকটি বিভাগ এর মধ্যে আবার অনেকগুলো কোর্স রয়েছে। যেমনঃ-
বিভাগ | কোর্সসমুহ |
ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড টেকনোলজি | ১৩ টি |
লাইফ সাইন্স এন্ড মেডিসিন | ৪৪ টি |
আর্টস এন্ড সাইন্স | ৬৯ টি |
ন্যাচারাল সাইন্স | ২২ টি |
সোস্যাল সাইন্স এন্ড মেনেজমেন্ট | ৭১ টি |
পৃথিবির অনন্য ভাল শিক্ষকদের মাধ্যমে মাস্টার্সের ছাত্রদেরকে সর্বোত্তম দ্বারা শেখানো এবং পরামর্শ দেওয়া হয়। মাস্টার্সের শিক্ষার্থীরাও এই ইউনিভার্সিটিতে পড়াশুনার ফলে একটি বুদ্ধিবৃত্তিক, গতিশীল এবং উদ্যমী সংস্কৃতিতে নিমজ্জিত হতে পারে এবং অর্থপূর্ণ এবং সফল পেশাদার সম্পর্কের ভিত্তি স্থাপন করতে পারে। এই ইউনিভার্সিটিতে মাস্টার্স প্রোগ্রামে এডমিশন নেয়ার জন্য আপনাকে তাদের ওয়েবসাইটটি ভিজিট করে সব কিছু জেনে নিতে হবে। আপনার আবেদন শুরু করতে, অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি অ্যাপ্লিকেশন সিস্টেমে একটি অ্যাকাউন্ট সেট আপ করতে হবে। পরিশেষে এই আপনি আপনার মাস্টার্স ডিগ্রী সম্পন্ন করার জন্য এই ইউনিভার্সিটি একটি নিয়োগযোগ্য প্রতিষ্ঠান।
ইন্টারভিউঃ মাস্টার্স কোর্স নেয়ার জন্য আপনাকে ইন্টারভিউ দিতে হবে। আপনি যদি ইউকে অথবা ইউরোপীয় ইউনিয়ন বা ইইউ এর ক্যান্ডিডেট হন তাহলে আপনাকে অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটিতে গিয়ে ইন্টারভিউ দিতে হবে। আর আপনি যদি ওভারসিজ ক্যান্ডিডেট হন তাহলে এই ইন্টারভিউ আপনাকে তারা স্কাইপেতে ইন্টারভিউ নিবে। আপনাকে ইন্টারভিউ নেয়ার জন্য আপনার কোর্সের এডমিশনস কমিটি বসে থাকবে। তারা আপনাকে বিভিন্ন রকম প্রশ্ন করবে। ভাইবার প্রশ্ন অনেক কঠিন হতে পারে। এর জন্য আপনাকে অনেক ভালভাবে প্রস্তুতি নিতে হবে।
মাস্টার্স কোর্স এর জন্য আরও বিস্তারিত তথ্য বা আবেদন করার জন্য এই লিংকে যানঃ মাস্টার্স কোর্স
অক্সফোর্ডে পিএইচডি
পিএইচডি ব্যাপারটি একটু জটিল। এই ইউনিভার্সিটিতে আপনাকে পিএইচডি করতে হলে আপনাকে সবার আগে একজন সুপারভাইজার যোগার করতে হবে। যদি আপনি একজন সুপারভাইজার যোগার করতে পারেন তাহলে নিশ্চিত থাকতে পারেন যে আপনার এই ইউনিভার্সিটিতে এ চান্স পাওয়ার সংখ্যা অনেক বেশি। সুপারভাইজার এর মাধ্যমে আপনার কম্পিটিশন অনেক ক্ষেত্রেই কমে যাবে। সুপারভাইজার এর সাথে যোগাযোগ এর ফলে আপনাকে সুপারভাইজার চিনে ফেলবে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে দেখা যায় যে সুপারভাইজরেরা যদি আপনার চেহারা না চিনে তাহলে আপনাকে নিতে চায়বে না।
সুপারভাইজার যদি যোগার করতে পারেন এরপর আপনার কাজ হচ্ছে তার সাথে আপনাকে রিসার্চ এসিস্টেন্ট হিসেবে কাজ করা। এতে আপনার সাথে তার একটা সক্ষতা গড়ে উঠবে। যারা এলরেডি এইখান থেকে ব্যাচেলর্স কোর্স বা মাস্টার্স কোর্স নিয়ে পড়াশুনা করে ফেলেছে তাদের জন্য এই পিএইচডি করা খুবই সহজ কারন আপনার প্রফেসর এবং আপনার সুপারভাইজার চিনে ফেলবে এতে করে আপনি অন্যদের থেকে অনেক বেশি অগ্র অধিকার পাবেন। দুঃখ জনক ব্যাপারটি হচ্ছে পিএইচডির করার জন্য চান্স পেতে হলে সম্পুর্ন ভাবে সুপারভাইজরের এর উপর নির্ভর করতে হয়।
তবে আপনি চেষ্টা করে দেখতে পারেন যদি আপনি এই ইউনিভার্সিটির ছাত্র নাও হয়ে থাকেন। আপনি একজন সুপারভাইজার এর সাথে যোগাযোগ করুন যদি উনি রেস্পন্স করেন তাহলে কিছুদিন ওই সুপারভাইজার এর সাথে রিসার্চ এসিস্টেন্ট হিসেবে কাজ করার চেষ্টা করুন। যদি একবার আপনার কাজ সুপারভাইজার এর ভাল লেগে যায় তাহলে তো আর কথাই নেই, আপনার অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি থেকে পিএইচডি করা মোটামুটি নিশ্চিত।
অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি ভিডিও ভ্লগ
অক্সফোর্ডে ইন্টারভিউ
পিএইচডির সুবিধা মুলক দিকটি হচ্ছে ইন্টারভিউ এর জন্য আপনাকে ঘাব্রাতে হবে না। কারন পিএইচডি এর জন্য ইন্টারভিউ হয় না। এর কারন একটাই সুপারভাইজার। যার সুপারভাইজার এর সুপারিশ আছে তার পিএইচডি করা কেউ ঠেকাতে পারবে না।
পিএইচডির কোর্স এর জন্য আরও বিস্তারিত তথ্য বা আবেদন করার জন্য এই লিংকে যানঃ পিএইচডি কোর্স
ইন্টারভিউ গাইডলাইন
এই ইউনিভার্সিটিতে পড়াশুনা করতে আপনাকে বেশ কঠিক ইন্টারভিউ এর সম্মুক্ষিন হতে হবে। ইন্টারভিউ এর প্রশ্ন বেশিরভাগ আপনার একাডেমিক হয়। আপনার সাব্জেক্ট অনুযায়ী প্রশ্ন করা হবে। তবে অনেকগুলো কমন প্রশ্ন থাকবে যার মাধ্যমে আপনাকে ভালভাবে যাচাই করা হবে।
প্রতিটি ইউনিভার্সিটির ইন্টারভিউ এর সবচেয়ে কমন প্রশ্ন হচ্ছে নিজের সম্পর্কে কিছু কথা বলতে বলা হয়। চেষ্টা করবেন নিজের সম্পর্কে ভালভাবে প্রেজেন্ট করার। ৩টি প্রধান বিষয় যদি আপনি মাথায় রাখেন তাহলে আপনার জন্য এই ইউনিভার্সিটিতে ইন্টারভিউ দেয়া অনেক সহজ হবে।
শুধু আপনার একাডেমিক বিষয় এর উপর মনোনিবেশ করবেন নাঃ ইন্টারভিউয়ার এর সাথে আপনার একাডেমিক বিষয় সম্পর্কে কথা বলার জন্য প্রচুর সময় পাবেন আপনি। আপনি চেষ্টা করবেন নিজের সম্পর্কে একটু বেশি বলার। তারা আপনার কাছে নিজের সম্পর্কে আরও তথ্য জানতে চাইলে, আপনি সুন্দর ভাবে এগুলো আন্সার করার চেষ্টা করবেন। ইন্টারভিউয়াররা কিন্তু সত্যিই আপনার সম্পর্কে অনেক বেশি কিছু জানতে চাইবে। তাই আপনি এই ব্যাপারগুলো সুন্দর ভাবে বলতে পারলে ইন্টারভিউয়াররা আপনার ব্যাপারে অনেক আগ্রহ পাবে।
ইন্টারভিউয়ার এর প্রশ্নের উত্তর ৩ থেকে ৪ টি বাক্যের মধ্যে রাখতে চেষ্টা করুনঃ প্রশ্নের উত্তর কিভাবে ছোট করে দেয়া যায় সেই ব্যাপারে আগে থেকেই চর্চা করতে থাকুন এর কারন আপনার পুরো ইতিহাস এবং আগ্রহগুলি জানার জন্য তাদের কাছে এত সময় নেই। তাই তাদের ‘হাইলাইটস’ দিন যা আপনাকে এমন ব্যক্তির রূপ দিয়েছে যা আপনি।
কিছু উদাহরণ প্রস্তুত করুনঃ মনে রাখবেন, আপনার ইন্টারভিউয়ার আপনার সম্পর্কে যতটা সম্ভব পরিমাপ করতে চাইবে। সুতরাং, যখন আপনি নিজের সম্পর্কে কোন কথা বলবেন বা তাদের প্রশ্নের জবাব দিবেন তার একটি উদাহরণ দিয়ে এটিকে ব্যাক আপ করার জন্য প্রস্তুত থাকুন। উদাহরণস্বরূপ, আপনার প্রিয় খেলা যদি ফুটবল হয়ে থাকে, তাহলে আপনি বলতে পারেন যে ফুটবল খেলায় অংশ গ্রহণ করে আপনি বিভিন্ন ট্রফি জিতেছেন ইত্যাদি।
ভাইভার কিছু কমন প্রশ্ন
অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটির প্রশ্ন বেশির ভাগ ক্ষেত্রে একাডেমি ভিত্তিক হয়ে থাকে। অর্থাৎ আপনার সাব্জেক্ট অনুযায়ী করা হবে। তবে কিছু কমন প্রশ্ন যা একেবারে না জানলেই না, যেই প্রশ্নগুলো অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি থেকে শুরু করে সব ধরনের ইউনিভার্সিটির ভাইবাতেই করা হয়। যেগুলো আগে থেকে জানা থাকলে আপনি সুবিধা পাবেন। নিম্নে ওই সকল প্রশ্ন নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হলঃ
আপনি এই কোর্স কেন অধ্যয়ন করতে চান?
সম্ভবত সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এবং প্রায়শই জিজ্ঞাসিত বিশ্ববিদ্যালয়ের ইন্টারভিউ প্রশ্নগুলির মধ্যে এটি একটি। কেন আপনি যে কোর্সের জন্য আবেদন করেছেন তা অধ্যয়ন কেন বেছে নিয়েছেন। এটি জিজ্ঞাসা করার কারন হচ্ছে আপনি যে বিষয়ে অধ্যয়ন করতে চান তার প্রতি আপনি কতটা আগ্রহ এবং আবেগ নিয়ে এই সাব্জেক্টটি পরতে চান তা দেখতে চাইছে।
কেন আপনি এই বিশ্ববিদ্যালয় বেছে নিলেন?
আপনি যে বিষয়ে পড়াশোনা করতে আগ্রহী সে বিষয়ে জিজ্ঞাসা করা ছাড়াও, কেন আপনি এই বিশ্ববিদ্যালয়টি বেছে নিলেন, এই ইউনিভার্সিটির ইন্টারভিউয়ারদের প্রশ্নটি সবচেয়ে বেশি জিজ্ঞাসিত প্রশ্নগুলির মধ্যে একটি। ইন্টারভিউয়ার জানতে চায় যে যদি তারা আপনাকে তাদের একটি কোর্সে স্থান দেয়, তাহলে সেখানে অধ্যয়ন করার জন্য আপনার প্রকৃত আগ্রহ আছে কিনা।
আপনি অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটিতে কতটা অবদান রাখতে পারেন?
এই ইউনিভার্সিটিতে পড়ার সুযোগ পেলে আপনি কতটা অবদান রাখতে পারবেন এই ইউনিভার্সিটিতে সেই ব্যাপারে বলতে হবে। তাই শুধু একাডেমিকভাবে নয়, বরং বৃহত্তর সম্প্রদায়ের অংশ হিসাবে অবদান নিয়ে আলোচনা করতে পারেন। সুতরাং, তারা প্রায়শই এই প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করতে পছন্দ করে যে আপনি এই বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য কী সম্মান বয়ে আনতে পারেন! একজন শিক্ষার্থী হিসাবে আপনার স্বার্থ সম্পর্কে আরও জানতে এবং সমাজে যে ধরনের স্থান এই ইউনিভার্সিটির রয়েছে তা আরো এগিয়ে নিতে আপনি কি করতে পারেন তা জানতে চাইতে পারে।
অক্সফোর্ড থেকে পড়াশোনা শেষ করার পর আপনি কি করতে চান?
আপনার ভবিষ্যতের সম্ভাবনা সম্পর্কে আপনাকে জিজ্ঞাসা করলে ইন্টারভিউয়ার অনুমান করতে পারবেন যে আপনি আপনার ভবিষ্যত সম্পর্কে কতটা আগ্রহী এবং আপনি আপনার ডিগ্রিটি সেই সিদ্ধান্তে ভূমিকা পালন করছেন কিনা তা অনুমান করতে পারবে ইন্টারভিউয়ারা। আপনার ইন্টারভিউয়ার ভবিষ্যতের ক্যারিয়ারের সম্ভাবনা সম্পর্কে আপনার বোঝার জন্য এবং আপনি যে শিল্পে আপনার আগ্রহ দেখিয়েছেন তার জন্য আপনি কতটা গবেষণা করেছেন বা কতটা খোজ খবর নিয়েছেন তা বুঝতে চাইবে। তারা এটাও নিশ্চিত করবে যে আপনি একজন অনুপ্রাণিত এবং উচ্চাকাঙ্ক্ষী ছাত্র/ছাত্রী কিনা।
কেন আপনাকে অক্সফোর্ডে স্থান দেয়া উচিত?
কমন প্রশ্নের মধ্যে সব শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের ইন্টারভিউয়ারা প্বেশিরভাগ ক্ষেত্রে প্রশ্ন করে যে, আপনাকে কেন এই ইউনিভার্সিটিতে স্থান দেয়া উচিত! যারা নিজেদের এবং তাদের সাফল্য সম্পর্কে কথা বলতে বলতে পারে কম, তাদের জন্য এই প্রশ্নের উত্তর দেওয়া বেশ কঠিন হয়ে পড়ে। তাই ভালভাবে আগে থেকে গুছিয়ে রাখতে পারলে এই সকল প্রশ্নের উত্তর দেয়া অনেক সহজ হয়ে যায়।
যোগাযোগ
নিচে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের অফিসিয়াল মেইল ও ফোন নাম্বার দেওয়া হলঃ
- তাদের ইমেলঃ [email protected]
- তাদের নাম্বারঃ +44 (0)1865 611530
পরিশেষে
অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় বিশ্বের অন্যতম মর্যাদাপূর্ণ, বিশিষ্ট এবং প্রাচীনতম বিশ্ববিদ্যালয়। এটা অনুমান করা হয় যে ১০৯৬ সালে এই ইউনিভার্সিটি্তে শিক্ষকতা শুরু হয়েছিল এবং তখন থেকে এটি একাডেমিক, রাজনৈতিক, বৈজ্ঞানিক এবং সাহিত্যিক অগ্রগতির একটি কেন্দ্র ছিল।
টাইমস হায়ার এডুকেশন অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়কে বিশ্বের শীর্ষ বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে মর্যাদা দিয়েছে। এই ইউনিভার্সিটির একাডেমিক কর্মীরা বা শিক্ষকরা বিশ্বের ১০০ টিরও বেশি দেশ থেকে এসেছেন এবং তাদের মধ্যে ৫০ টিরও বেশি নোবেল বিজয়ী শিক্ষক ছিলেন যারা তাদের কর্মজীবনের কিছু সময় এই ইউনিভার্সিটিতে কাজ করেছেন। সারা পৃথিবীতে এই ইউনিভার্সিটি শিক্ষার মানের জন্য দশম স্থান দখল করে আছে।
যদি কেউ এই ইউনিভার্সিটিতে পড়াশুনা করতে পারে তাহলে সেটি তার জন্য অনেক গর্বের ও সম্মানের।
বিঃদ্রঃ এই ব্লগের প্রত্যেকটা ব্লগ পোস্ট Sylhetism ব্লগের নিজস্ব ডিজিটাল সম্পদ। কেউ ব্লগের কোন পোস্ট কিংবা আংশিক অংশ ব্লগের কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া কপি পেস্ট করে অন্য কোথাও প্রকাশ করলে ব্লগ কর্তৃপক্ষ ডিজিটাল সিকিউরিটি আইনে মামলা করার অধিকার রাখে। এবং অবশ্যই কপিরাইট ক্লাইম করে যে মাধ্যমে এই ব্লগের পোস্ট প্রকাশ করা হবে সেখানেও অভিযোগ সাবমিট করা হবে।
ধন্যবাদ, ব্লগ কর্তৃপক্ষ।
সুত্রঃ https://www.ox.ac.uk/
সুত্রঃ https://en.wikipedia.org/wiki/University_of_Oxford
যদি এই লেখায় কোন তথ্যগত ভুল থেকে থাকে তাহলে ভুল সংশোধনের জন্য এই মেইলে sylhetism@gmaildotcom যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো। আমরা যাচাই করে যত দ্রুত সম্ভব লেখাটি আপডেট করে ফেলবো।