Last Updated on 7th April 2024 by Mijanur Rahman
বিবাহিত কিংবা বিবাহিত যুগলের মধ্যে অনেকেই আছেন যাদের ইমার্জেন্সি পিলের দরকার হয়ে পড়ে। ইচ্ছায় অনিচ্ছায় কিংবা দূর্ঘটনায় মিলনের ফলে আমরা চিন্তিত হয়ে পড়ি। তখন আমাদের যেকোন সমাধানের দরকার হয়। আমাদের সামনে যে সহজ সমাধান আছে তা হল ইমার্জেন্সি পিল খাওয়া। ইমার্জেন্সি পিল প্রতিটি মহিলাদের জন্য অত্যান্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এটি একটি জন্ম নিরোধক প্রক্রিয়া। অনাকাঙ্ক্ষিত গর্ভধারণ রোধে এটি কার্যকরী ভূমিকা পালন করে।
তবে আমরা অনেকেই এই পিলের ব্যবহার কিংবা ইমার্জেন্সি পিল খাওয়ার নিয়ম জানিনা। আজকের আর্টিকেলে আমরা তুলে ধরবো এই পিল কি? কিভাবে খাবেন, কিভাবে ব্যাবহার করবেন ইত্যাদি।
ইমার্জেন্সি পিল
ইমার্জেন্সি পিল হল একটি একটি জন্ম নিরোধক ভরি, ট্যাবলেট, কিংবা ক্যাপসুল। অনেক সময় ইমার্জেন্সি পিলকে মর্নিং -আফটার পিলও বলা হয়। এর মানে এই নয় যে এটি সকালেই খেতে হবে। অরক্ষিত মিলনের ১২০ ঘন্টা (৫ দিন) এর মধ্যে খাওয়া হয়। তবে এটি ৭২ ঘন্টা (৩দিন) এর মধ্যে খাওয়া উত্তম।
১৯৭০ সালের দিকে ইমার্জেন্সি পিলের প্রথম চিন্তা করা হয়ে এবং ১৯৭৪ সালে এ নিয়ে গবেষণা করা হয়। ১৯৮০ সালে প্রথম এই পিল টেস্ট করা হয়। যা বর্তমানে বিশ্বের সব দেশেই জন্ম নিরোধক হিসাবে ব্যবহার করা হয়ে থাকে। এই পিল বিভিন্ন ধরনের হয়ে থাকে। নিচে বাংলাদেশে পাওয়া যায় এমন কিছু পিলের নাম দেওয়া হল।
কার্যকরী ইমার্জেন্সি পিল
অনেক সময় প্রশ্ন শুনি, “কোন ইমার্জেন্সি পিল সবচেয়ে ভালো?” বাংলাদেশের বাজারে কয়েক জাতের ইমার্জেন্সি পিল পাওয়া যায়, তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য ও ভালো পিলগুলি হলঃ
- ইমকন
- পিউলি
- নোরপিল
- আই-কন
- নোরিক্স ইত্যাদি
অনেকের মনেই প্রশ্ন জাগে, কোন ইমার্জেন্সি পিল খাওয়া নিরাপদ? আসলে নিরাপদ কোন ইমার্জেন্সি পিল নেই। বেশি বা কম পার্শ প্রতিক্রিয়া থেকেই যায়। তবে ফেমিকন, মিনিকন, সুখী, নরেট ২৪ এসব পিলে কিছুটা কম পার্শ প্রতিক্রিয়া দেখা যায়। সবচেয়ে বড় বিষয় হল এইসব পিল ব্যবহারের আগে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে নিবেন।
ইমার্জেন্সি পিল খাওয়ার নিয়ম
মূলত অপরিকল্পিত যৌনসঙ্গমের ফলে গর্ভধারণের ঝুঁকি এড়াতে ইমার্জেন্সি পিল খেয়ে থাকেন অনেক নারী। তবে এটি কখন খেতে হয়ে, কিভাবে খেতে হয় এই পিল খাওয়ার নিয়ম কি, এসব আমরা অনেকেই জানিনা। তাই এই পিল খাওয়ার আগে আপনার নিয়ম জানা জরুরী আসুন জেনে নেই কিভাবে এই পিল খাবেন।
আগেই বলা হয়েছে বাজারে অনেক ধরনের ইমার্জেন্সি পিল পাওয়া যায়, যেমনঃ
- ৩ দিনের ইমার্জেন্সি পিল
- ৫ দিনের ইমার্জেন্সি পিল
- ২১ দিনের ইমার্জেন্সি পিল ইত্যাদি
৩ দিনের ইমার্জেন্সি পিল
৩ দিনের ইমার্জেন্সি পিল খাওয়ার নিয়ম হচ্ছে, মিলনের ১২০ ঘন্টা (৫ দিন) এর মধ্যে খাওয়া হয়। তবে এটি ৭২ ঘন্টা (৩দিন) এর মধ্যে খাওয়া উত্তম। খাওয়ার আগে প্যাকেটের গায়ে লেখা নির্দেশাবলী অবশ্যই পড়ে নিবেন।
রিলেটেডঃ মেছতা দূর করার আল্টিমেট গাইড
৫ দিনের ইমার্জেন্সি পিল
৫ দিনের পিলের কথা চিন্তা করলে পথমেই আসবে পিউলি বা উলিপ্রিস্টাল এসিটেট (ফর ইমার্জেন্সি কন্ট্রাসেপশন) ট্যাবলেটের নাম, এটি বর্তমানে বাজারে বেশি প্রচলিত। এই পিলটিতে রয়েছে লিপ্রিস্টাল এসিটেট আই এন এন ৩০ মি.গ্রা, যা ১২০ ঘন্টার মধ্যে সেবন করতে হয়।
এই পিলটি সেবনের ফলে ডিম্বানু ও শুক্রানুর নিষিক্তকরণ প্রতিরােধ করে যা ইমার্জেন্সি সময়ে প্রটেকশন দিয়ে থাকে। চলুন দেখে নেওয়া যাক এই পিল খাওয়ার নিয়ম।
- এই পিলটি অরিক্ষিত মিলনের পরে সর্বোচ্চ ১ বার সেবন করতে হয়।
- মিলনের পরে যতো তারাতাড়ি সম্ভব সেবন করতে হয়ে। মনে রাখবেন কোনক্রমেই যেনো ৭২ ঘন্টা পার না হয়।
- মাসিক চক্রের যেকোন সময়ে এই পিল সেবন করা যায়।
- এই পিলটি বাজারের অন্যান্য ট্যাবলেটের মতো পানি দিয়ে মুখে দিয়ে গিলে ফেলতে হয়।
২১ দিনের ইমার্জেন্সি পিল
২১ দিনের ইমার্জেন্সি পিলের কথা চিন্তা করলে চোখ বন্ধ করে ফেমিকনের কথা বলা যায়। ফেমিকন হচ্ছে বাংলাদেশে বহুল প্রচলিত স্বল্প মাত্রার জন্মবিরতিকরণ পিল। এই পিলের একটি প্যাকেটে ৩০টির মতো বড়ি থাকে। যার মধ্যে ৭টি বড়ি বাদামী রঙের এবং ২১টি বড়ি সাদা রঙের।
প্রতিটি সাদা পিলে রয়েছে নরজেস্টেল ০.৩০ মিঃগ্রাঃ, ইথিনিল ইস্ট্রাডিওল ০.০৩ মিঃগ্রাঃ। বাদামী বড়িতে রয়েছে ফেরাস ফিউমারেট ৭৫.০ মিঃগ্রাঃ এই পিলের কার্যকারিতা কিছু কিছু ক্ষেত্রে ৯৭%-৯৯.৯%।
সুতারাং এই পিলটি নিয়ম মাফিক খেলে নিশ্চিত জন্মবিরতিকরণ সফল হবে। চলুন দেখে নেওয়া যাক এই পিলটি খাওয়ার নিয়ম। নিচে আমি ফেমিকনের দেওয়া নির্দেশনাবলীর ফটো এটাচ করে দিচ্ছি।
- ফেমিকন খেতে মনস্থির করলে পরবর্তী মাসিক শুরু না হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করুন।
- মাসিক শুরু হওয়ার প্রথম দিন থেকে তীর দিয়ে নির্দেশনা দেওয়া সাদা বড়ি থেকে খাওয়া শুরু করুন
- পরের দিন থকে প্রতিদিন একটা করে সাদা বড়ি সেবন করুন। মনে রাখবেন এই পিলটি প্রতিদিন এক সময়ে খাওয়া উচিত, তাই ভালো হয় প্রতিদিন রাতে ঘুমানোর আগে।
- ২১ দিনে ২১টি সাদা বড়ি সেবনের পরে বাদামী বড়ি খাওয়া শুরু করবেন।
- বাদামী রঙ এর বড়ি খাওয়াকালীন আপনার মাসিক শুরু হবে, এমতাবস্থায় বাদামী বড়ি খাওয়া চালিয়ে যেতে হবে।
- এই সময়ের মধ্যে মাসিক শুরু না হলে আপনি অন্তঃসত্তা কিনা তা টেস্ট করুন।
- ৭টি বাদামি পিল শেষ হলে আপনি নতুন ঠিক এইকই নিয়মে আরেকটি ফেমিকনের পাতা শুরু করতে পারেন।
- এভাবে আপনি যতদিন বাচ্চা নিতে না চান চালিয়ে যাবেন।
ফেমিকন নিয়ে বিস্তারিত জানতে আমাদের এই আর্টিকেলটি পড়ুনঃ ফেমিকন খাওয়ার নিয়ম, আল্টিমেট গাইড
পিল খাওয়ার উপকারিতা
ইমার্জেন্সি পিল খাওয়ার উপকারিতার চেয়ে অপকারিতা কিংবা ক্ষতিকর দিকই বেশি, তাই এই পিল এড়িয়ে চলাই উত্তম। এই পিল শুধুমাত্র অপরিকল্পিত মিলন হলে, কিংবা দুর্ঘটনায় পড়লে মানুষ ব্যাবহার করে থাকে। দীর্ঘসময় ধরে এই পিল উপকারের চেয়ে অপকারই নিয়ে আসে। তারপরো যেসব উপকারিতা রয়েছে সেগুলি হলঃ
- গর্ভনিরোধক ওষুধ গর্ভপাত করায় না, শুধু ডিম্বস্ফোটন এর সময় পিছিয়ে দিয়ে গর্ভধারণের ঝুঁকি এড়াতে সাহায্য করে।
- গর্ভরোধক ওষুধ খেলে ওজন বেড়ে যাবে ভেবে অনেকেই ভয় পান। যদিও এর সঙ্গে ওজন বাড়ার কোন সম্পর্ক নেই।
- এই পিল দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা করে থাকে।
- পরিবার পরিকল্পনা করতে সাহয্য করে।
- স্বল্প মাত্রায় এই পিলের ব্যবহারে কোন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া নেই।
- অতীতের কিংবা ভবিষতের গর্ভধারণে সমস্যা করে না।
ইমার্জেন্সি পিল সেবন কি ঠিক? | Dr. Aklima Zakaria Zinan
রিলেটেডঃ গর্ভবতী মায়ের খাবারের তালিকা
পিল খাওয়ার অপকারিতা
আগেই বলা হয়েছে ইমার্জেন্সি পিল খাওয়ার অপকারিতা বা ইমার্জেন্সি পিলের সাইড ইফেক্ট অনেক, আর সেগুলি হলঃ
- মাঝে মাঝে চর্ম ও যৌনরোগের কারন হয়ে দাড়ায়।
- পিল খাওয়ার পর বমি বমি ভাব হতে পারে।
- মাথা ব্যথা হতে পারে।
- অবিবাহিত মেয়েদের সাদা স্রাব দেখা দিতে পারে।
- পরবর্তী মাসিক অনিয়মিত হতে পারে।
- জরাযু দিয়ে ফোটা ফোটা রক্ত যেতে পারে।
- মুখে মেছতা দেখা দিতে পারে, এবং মুখে ছোট ছোট ব্রণ দেখা দেয়।
কারা খাবেন নাঃ
- কোন নারী যদি ইতিমধ্যে গর্ভবতী হয়ে থাকে
- প্রায়ই অরক্ষিত সম্পর্কে জড়িত থাকে।
পিল খাওয়ার পরেও কি প্রেগন্যান্ট হয়?
ইমার্জেন্সি পিল খেলে ডিম্বাশয় থেকে ডিম্বাণু বের হয়ে জরায়ুতে পৌছাতে দেরি হয়। এই সময়ের মধ্যে জরায়ুতে থাকা শুক্রাণুগুলোর কার্যকারিতা নষ্ট হয়ে যায়। ফলে ডিম্বাণু শুক্রাণুর সাথে সফলভাবে নিষিক্ত হতে পারে না।
ফলে গর্ভধারণ হওয়া থেকে বিরত থাকে। তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে দেখা গেছে এই পিল সেবনের পরেও গর্ভধারণ হয়ে যায়, তবে এটি ১০০০ হাজার মানুষের মধ্যে ৫-১০ জনের ক্ষেত্রে ঘটে।
রিলেটেডঃ মুখের ছোট ছোট ব্রণ দূর করার উপায়
ইমার্জেন্সি পিল খাওয়ার কত দিন পর মাসিক হয়?
মাসিক হওয়ানোর জন্য ইমারজেন্সী পিল খাওয়ানো হয়না। অনাকাঙ্খিত গর্ভধারণ রোধ করার জন্য ইমারজেন্সী পিল সেবন করা হয়। তবে অনেক সময় এর প্রভাবে মাসিক আগে বা পরে হতে পারে আবার ঠিক সময়েও হতে পারে।
কেননা সব ধরনের ইমারজেন্সী পিলেই পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া বিদ্যমান। এটা নিয়ে দুশ্চিন্তার করার কোনো প্রয়োজন নেই। নারীদেরর সব সময়েই নির্দিষ্ট সময়ে মাসিক হয় না, হরমোনের কারনে, বিভিন্ন ধরনের পিল/ওষুধ সেবন করার ফলে মাসিকের তারিখ ৫/৭ দিন বা ৮/১০ দিন পিছিয়ে যেতে পারে।
তাই এখনই দুশ্চিতা না করে আরো কিছুদিন দেখুন। অপেক্ষা করে দেখুন কিছু দিনের মধ্য হয় কি না..? যদি মাসিকের সময় হতে দ্বিগুন সময় অতিক্রম হয়ে যায়। তাহলে যথা দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
ইমার্জেন্সি পিল বেশি খেলে কি হয়?
এই পিল স্থায়ী কোন সমাধান নয়, তাই ডাক্তারাই বলে দেন এটি দীর্ঘদিন ব্যবহার না করতে, নিয়মিত দীর্ঘদিন এই পিল সেবন করলে গর্ভধারণের ঝুঁকি বেড়ে যায়, পিলের কার্যকারিতা হ্রাস পায়। সুতারা যতটুক পারা যায় এই পিল বেশি মাত্রায় সেবন এড়িয়ে যাওয়াই উওম।
শেষ কথা
সর্বোপরি বলা যায় ইমার্জেন্সি পিলের অনেক কার্যকরী ভূমিকা থাকলেও, এটি অনেক ক্ষেত্রে ঝুঁকি বহন করে। তাই কোন ধরনের সমস্যা দেখা দিলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
FAQs
২১ দিনের পিল খাওয়ার নিয়ম কি?
২১ দিনের পিল খাওয়ার নিয়ম হলঃ
- মাসিক শুরু হওয়ার প্রথম দিন থেকে তীর দিয়ে নির্দেশনা দেওয়া সাদা বড়ি থেকে খাওয়া শুরু করুন
- পরের দিন থকে প্রতিদিন একটা করে সাদা বড়ি সেবন করুন। মনে রাখবেন এই পিলটি প্রতিদিন এক সময়ে খাওয়া উচিত, তাই ভালো হয় প্রতিদিন রাতে ঘুমানোর আগে।
- ২১ দিনে ২১টি সাদা বড়ি সেবনের পরে বাদামী বড়ি খাওয়া শুরু করবেন।
- বাদামী রঙ এর বড়ি খাওয়াকালীন আপনার মাসিক শুরু হবে, এমতাবস্থায় বাদামী বড়ি খাওয়া চালিয়ে যেতে হবে।
- এই সময়ের মধ্যে মাসিক শুরু না হলে আপনি অন্তঃসত্তা কিনা তা টেস্ট করুন।
- ৭টি বাদামি পিল শেষ হলে আপনি নতুন ঠিক এইকই নিয়মে আরেকটি ফেমিকনের পাতা শুরু করতে পারেন।
- এভাবে আপনি যতদিন বাচ্চা নিতে না চান চালিয়ে যাবেন।
কোন ইমার্জেন্সি পিল সবচেয়ে ভালো?
মূলত কোন ইমারজেন্সি পিল ই শরীরের জন্যে কিংবা গর্ভধারণের জন্যে ভালোনা, সব ধরনের ইমারজেন্সি পিল দীর্ঘদিন ব্যবহার করলে কোন না কোন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দিবে।
তবে বাংলাদেশের বিশেষজ্ঞ ডাক্তার কিংবা মেডিকেল স্পেশালিস্টদের মতে ফেমিকন পিলের ক্ষতিকর দিক অন্য পিলদের চেয়ে কম।
ইমার্জেন্সি পিল খাওয়ার কত দিন পর মাসিক হয়?
মাসিক হওয়ানোর জন্য ইমারজেন্সী পিল খাওয়ানো হয়না। অনাকাঙ্খিত গর্ভধারণ রোধ করার জন্য ইমারজেন্সী পিল সেবন করা হয়। তবে অনেক সময় এর প্রভাবে মাসিক আগে বা পরে হতে পারে আবার ঠিক সময়েও হতে পারে।
কেননা সব ধরনের ইমারজেন্সী পিলেই পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া বিদ্যমান। এটা নিয়ে দুশ্চিন্তার করার কোনো প্রয়োজন নেই। নারীদেরর সব সময়েই নির্দিষ্ট সময়ে মাসিক হয় না, হরমোনের কারনে, বিভিন্ন ধরনের পিল/ওষুধ সেবন করার ফলে মাসিকের তারিখ ৫/৭ দিন বা ৮/১০ দিন পিছিয়ে যেতে পারে।
তাই এখনই দুশ্চিতা না করে আরো কিছুদিন দেখুন। অপেক্ষা করে দেখুন কিছু দিনের মধ্য হয় কি না..? যদি মাসিকের সময় হতে দ্বিগুন সময় অতিক্রম হয়ে যায়। তাহলে যথা দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
পিল খাওয়ার পরেও কি প্রেগন্যান্ট হয়?
ইমার্জেন্সি পিল খেলে ডিম্বাশয় থেকে ডিম্বাণু বের হয়ে জরায়ুতে পৌছাতে দেরি হয়। এই সময়ের মধ্যে জরায়ুতে থাকা শুক্রাণুগুলোর কার্যকারিতা নষ্ট হয়ে যায়।
ফলে ডিম্বাণু শুক্রাণুর সাথে সফলভাবে নিষিক্ত হতে পারে না। ফলে গর্ভধারণ হওয়া থেকে বিরত থাকে। তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে দেখা গেছে এই পিল সেবনের পরেও গর্ভধারণ হয়ে যায়, তবে এটি ১০০০ হাজার মানুষের মধ্যে ৫-১০ জনের ক্ষেত্রে ঘটে।
ইমারজেন্সি পিল কোনটা ভালো?
ফেমিকন
বিঃদ্রঃ এই ব্লগের প্রত্যেকটা ব্লগ পোস্ট Sylhetism ব্লগের নিজস্ব ডিজিটাল সম্পদ। কেউ ব্লগের কোন পোস্ট কিংবা আংশিক অংশ ব্লগের কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া কপি পেস্ট করে অন্য কোথাও প্রকাশ করলে ব্লগ কর্তৃপক্ষ ডিজিটাল সিকিউরিটি আইনে মামলা করার অধিকার রাখে। এবং অবশ্যই কপিরাইট ক্লাইম করে যে মাধ্যমে এই ব্লগের পোস্ট প্রকাশ করা হবে সেখানেও কমপ্লেইন করা হবে।
এই ব্লগের কোন লেখায় তথ্যগত কোন ভুল থাকলে আমাদের Contact পেইজে সরাসরি যোগাযোগ করুন, আমরা যত তাড়াতাড়ি সম্ভব তথ্য যাচাই করে লেখা আপডেট করে দিবো।
এই ব্লগের কোন স্বাস্থ বিষয়ক পোস্টের পরামর্শ নিজের বাস্তব জীবনে প্রয়োগ করার আগে অবশ্যই বিশেষজ্ঞদের মতামত নিবেন, আমরা স্বাস্থ বিষয়ে কোন বিশেষজ্ঞ না, আমাদের উদ্দেশ্য ও লক্ষ হচ্ছে সঠিক তথ্য পরিবেশন করা। সুতারাং কোন অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার দায়ভার অবশ্যই আমরা নিবো না। ধন্যবাদ, ব্লগ কর্তৃপক্ষ।