Last Updated on 15th July 2024 by Mijanur Rahman
প্রতিবেদন কথাটির সাথে আমরা অনেকেই অনেক ভাবে পরিচিত। যারা সংবাদ মাধ্যমের সাথে যুক্ত তাদের নিয়মিত কাজের অংশ প্রতিবেদন। আমরা যে সংবাদ দেখি বা নিউজ পেপারে সংবাদ পড়ি সবই বিভিন্ন বিষয়ের উপর প্রতিবেদন।
এছাড়া আমাদের স্কুল কিংবা কলেজের শিক্ষার্থীদের কাছেও পরিচিত এক নাম প্রতিবেদন। স্কুল কলেজে বিশেষ করে বাংলা দ্বিতীয় পত্রে আমরা মোটামুটি সবাই প্রতিবেদন সম্পর্কে জেনেছি, কারণ তাদের মূল্যায়নের একটি অংশ হলো প্রতিবেদন রচনা করা।
আমাদের নিজেদের প্রয়োজনেই প্রতিবদেন কী, প্রতিবেদন লেখার নিয়ম জানা জরুরি। তাই আপনাদের সুবিধার্থে এই লেখাতে প্রতিবেদন লেখার নিয়ম ও কিভাবে মানসম্মত একটি প্রতিবদেন লিখবেন তা শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত বর্ণনা করবো।
প্রতিবেদন প্রণয়ন
প্রতিবেদন লেখার নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত জানার আগে আমাদের প্রতিবেদন কী সেটা জানা দরকার। ইংরেজিতে রিপোর্ট (Report) এর বাংলা প্রতিশব্দই হলো প্রতিবেদন। কোন একটা বিষয়ের বা ঘটনা বা কোন তদন্তের উপর লেখা রচনাই হলো প্রতিবেদন । বিষয় বা ঘটনার ক্ষেত্রে সে বিষয় বা ঘটনা সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য সমৃদ্ধ বিবরণই প্রতিবেদন। এছাড়া যখন কোন বিষয়ের ওপর কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা অনুসারে কোন ব্যক্তি বা তদন্ত কমিটি বিচার, বিশ্লেষণ করে খুঁটিনাটি তথ্য অনুসান্ধান করে সে বিষয়টি সমাধানের জন্য সুপারিশসহ যে বিবরণ কর্তৃপক্ষের নিকট উপস্থাপন করে তাকে তদন্ত প্রতিবেদন বলে।
এছাড়াও দেখা যায় কোথাও কোন দুর্ঘটনা ঘটলে সে দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধান ও রোধে কী কী পদক্ষেপ গ্রহণ করা যেতে পারে সে সম্পর্কে পরামর্শ প্রদানে তথ্য বিবরণীকেও তদন্ত প্রতিবেদন বলে। আবার সেই দুর্ঘটনা সম্পকে সংবাদ মাধ্যমে যে সংবাদ প্রকাশ করা হয় তাকে সংবাদ প্রতিবেদন বলে।
রিলেটেডঃ অ্যাসাইনমেন্ট লেখার নিয়ম, অ্যাসাইনমেন্ট লেখার পদ্ধতি ও গাইডলাইন
প্রতিবেদনের প্রকারভেদ
ব্যবহার ও বিষয়ের উপর ভিত্তি করে প্রতিবেদন বিভিন্ন রকমের হতে পারে । প্রতিবেদন লেখার নিয়ম সম্পর্কে জানার আগে বিভিন্ন ধরণের প্রতিবেদন সম্পর্কে জানা দরকার। কি বিষয়ের উপর প্রতিবেদন রচনা করতে হবে সে ধরণের প্রতিবেদন কীভাবে লিখত হয়, বা গঠন সম্পর্কে ধারণা না থাকলে সুন্দর ও গঠনমূলক প্রতিবেদন তৈরি করা যাবে না। প্রতিবেদন বিভিন্ন রকমের হতে পারে। যেমন,
সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশের প্রতিবেদন
এই ধরণের প্রতিবেদন বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে ব্যবহার করা হয়। এই প্রতিবেদনে আমাদের সমাজে ঘটমান বিভিন্ন বিষয় যেমন. কোন দুর্ঘটনা, রাজনৈতিক ঘটনা, দেশের নানা প্রান্তে সংঘাঠিত বিভিন্ন বিষয়ের ওপর প্রতিবেদন করা হয়। সংবাদ প্রতিবেদন গুলো সাধারণত সংবাদ মাধ্যমের নিজস্ব প্রতিনিধিগণ/প্রতিবেদকগণ বিভিন্ন স্থান থেকে সংবাদ সংগ্রহ করে তার উপর প্রতিবেদন রচনা করেন। নিচের ভিডিওরে সংবাদপত্রে প্রকাশের জন্য প্রতিবেদন বা পত্র লেখার পদ্ধতি সুন্দরভাবে দেখানো হয়েছে। আগ্রহীরা অবশ্যই দেখতে পারেন।
আরো সহজ করে বললে “প্রচারমাধ্যমে প্রচারের লক্ষ্যে সুনির্দিষ্ট বিষয়ে প্রয়ােজনীয় তথ্য সংবলিত বিবরণীকে সংবাদ প্রতিবেদন বলে।” যিনি এই প্রতিবেদন প্রস্তুত করেন, তাঁর নাম প্রতিবেদক। প্রতিবেদককে গভীর মনােযােগের সঙ্গে ঘটনা প্রত্যক্ষ করতে হয় এবং ঘটনার পক্ষপাতহীন বিবরণ তৈরি করতে হয়। সংবাদ প্রতিবেদনের শুরুতে একটি শিরােনাম থাকে। এরপর প্রতিবেদকের নাম, ঘটনার স্থান ও তারিখ উল্লেখ করতে হয়। উদাহারণ হিসাবে নিচের প্রতিবেদনটি দেখা যেতে পারে।
দাপ্তরিক প্রতিবেদন
কোন দপ্তর বা প্রতিষ্ঠান ভিত্তিক যে প্রতিবেদনগুলো রচনা করা হয় সেগুলোই মূলত দাপ্তরিক প্রতিবেদন। এই প্রতিবেদন গুলো প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন বিষয়ের ওপর নির্ভর করে রচনা করা হয়। দাপ্তরিক বিভিন্ন সমস্যা অনুসন্ধান, সমাধানের জন্য রচনা করা হয়। দাপ্তরিক প্রতিবেদন বিভিন্ন রকমের হতে পারে। যেমন,
- প্রাতিষ্ঠানিক প্রতিবেদন: এই প্রতিবেদনে প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন বিষয়ের ওপর প্রতিবেদন বা রিপোর্ট তৈরি করা হয়। এতে কোন নির্দিষ্ট বিষয়ের ওপর বিস্তারিত ভাবে বিবরণ দেয়া হয়ে থাকে। প্রতিষ্ঠানিক কাঠামোর উপর ভিত্তি করে এসব প্রতিবেদন তৈরি করা হয়। এতে সামগ্রিক বিষয় সম্পর্কে বিস্তারিত তুলে ধরার কারণে এগুলো বড় হয়ে থাকে।
- অপ্রাতিষ্ঠানিক প্রতিবেদন: প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন অনুষ্ঠান বা কোন পরিবর্তন সম্পর্কে তুলে ধরতে এই প্রতিবদেন রচনা করা হয়। এই প্রতিবদেন গুলো প্রাতিষ্ঠানিক প্রতিবেদনের তুলনায় ছোট হয়ে থাকে।
- প্রর্যায়ক্রমিক প্রতিবেদন: প্রতিষ্ঠানের নির্দিষ্ট কোন অংশের কাছে কোন একটি বিষয়ের উপর বিস্তারিত তুলে ধরা হয়ে থাকে। এতে বিভিন্ন গ্রাফ, চার্ট ইত্যাদি তথ্য উপস্থাপন করা হয়। এগুলো সাধারণত প্রতিষ্ঠানের অল্প সংখ্যক মানুষের কাছে পেশ করা হয়।
তদন্ত প্রতিবেদন
একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন হলো তদন্ত বা গবেষণা প্রতিবেদন। আমাদের সাধারণত বিভিন্ন বিষয়ের উপর তদন্ত বা গবেষণা করে তার উপর সুপারিশ সহ বিস্তারিত বিবরণী তৈরি করতে হয় । এগুলোই হলো তদন্ত প্রতিবেদন। এই প্রতিবেদনের গুরুত্ব অনেক। এগুলোর মাধ্যমে নানা ধরনের সমস্যা কারণ সম্পর্কে বিস্তারিত অনুসন্ধান করে বের করা হয় এবং সেগুলো সমাধানের নানা সুপারিশ দেয়া হয়।
আরো পড়ুনঃ যেভাবে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি হবেন।
ঘোষণা প্রতিবেদন
কোন প্রতিষ্ঠান যখন প্রতিষ্ঠানের বাইরের কারো সাথে তাদের প্রতিষ্ঠানের তথ্য প্রকাশ করে সেগুলোই হলো ঘোষণা প্রতিবেদন। এই প্রতিবেদনের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠান তাদের বিভিন্ন পণ্য বাজারে ছাড়া, নতুন কোন ঘোষনা দেয়া ইত্যাদি এই প্রতিবেদনের মাধ্যমে জনসাধারণের নিকট তুলে ধরে।
নতুন প্রস্তাবের প্রতিবেদন
যখন কোন সমস্যা থেকে উত্তরণের জন্য কোন প্রতিবেদন প্রণয়ন করা হয় সেগুলো প্রস্তাবের প্রতিবেদনের অন্তর্ভুক্ত। এই প্রতিবেদনের মাধ্যমে কোন সমস্যা সামস্যা সমাধানের জন্য কর্তৃপক্ষের নিকট বিভিন্ন প্রস্তাব দেয়া হয়।
এগুলো ছাড়াও বিভিন্ন ধরণের প্রতিবেদন রয়েছে যেমন, খেলাধুলা, বিজ্ঞান প্রযুক্তি, পরিবেশ বিষয়ক প্রতিবেদন, সাক্ষাৎকার ভিত্তিক প্রতিবেদন, রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক বিষয়ক প্রতিবেদন,সম্পাদকীয় প্রতিবেদন ইত্যাদি । আমরা আমাদের প্রয়োজন অনুসারে বিভিন্ন ধরণের প্রতিবদেন ব্যবহার করে থাকি।
প্রতিবেদন লেখার নিয়ম
আমরা এখন জেনে নিবো প্রতিবেদন লেখার নিয়ম সম্পর্কে। একটি মানসম্মত প্রতিবেদন রচনা করার সময় আমাদের বিভিন্ন বিষয়ে খেয়াল রাখা উচিত। কারণ আমরা যদি প্রতিবেদন লেখার নিয়ম গুলো সঠিক ভাবে বুঝতে পারি বা একটু সতর্ক থেকে প্রতিবেদন রচনা করি তবে আমরা গঠনমূলক প্রতিবেদন তৈরি করতে পারবো।উপরের ভিডিওতে হাতের লেখাসহ প্রতিবেদন লেখার পদ্ধতি দেখানো হয়েছে।
প্রতিবেদনের আকার
প্রতিবেদন লেখার নিয়ম এর গুরুতেই আমাদের এর আকৃতি কেমন হবে তা জেনে নেয়া দরকার।একটি সাধারণ প্রতিবেদন ২ থেকে ৩ পৃষ্ঠার মধ্যে সীমিত ব্যাখ্যা ও প্রয়োজনীয় বিবরণ দিয়ে লেখা হতে পারে। সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন গুলো আকারে তত বড় হবে না। ঘটনার বিবরণ সাবলীল ভাবে এক পাতায় তুলে ধরতে হবে। এছাড়া সংবাদ পত্রের প্রতিবেদেনের ক্ষেত্রে সম্পাদকের টেবিল থেকে প্রতিবেদনের আকৃতি নির্ণয় করা হয়ে থাকে। যদি কোন তদন্ত বা গবেষণা প্রতিবেদন তৈরি করা হয় তবে তাতে নকশা, সারণি ইত্যাদি সংবলিত বাঁধাই করা খাতা বা পুস্তক আকারেও জমা দেয়া যেতে পারে।
প্রতিবেদন লিখন
প্রতিবেদন বড় হোক কিংবা ছোট হোক, তার গঠন বা কাঠামো ও রূপ যা-ই হোক, আমাদের প্রায় সবাইকেই প্রতিবেদন লিখতে হয় এবং ভালো প্রতিবেদন লিখতে পারা চাকরির জন্য বিশেষ যোগ্যতা হিসেব ধরা হয়। তাই আমাদের সবারই সাবলীল ও মানসম্মত প্রতিবেদন লিখতে জানা দরকার। ভালো মানসম্মত প্রতিবেদন রচনার কিছু অন্যতম দিক নিয়ে আলোচনা করা হলো,
রূপরেখা পরিকল্পনা
একটি উত্তম ও মানসম্পন্ন প্রতিবেদন রচনার জন্যে প্রথমেই দরকার পর্যাপ্ত ও বিষয়ের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ সঠিক তথ্য । অযথা বাড়তি, অপ্রয়োজনীয় ও অপ্রাসঙ্গিক তথ্যে দিয়ে প্রতিবেদন ভারী করা যাবে না। প্রতিবেদন যেনো ভুল তথ্যে ভরা না হয় সেদিকে বিশেষ লক্ষ্য রাখা দরকার। বিষয় বা গঠন-কাঠামোর দিক থেকেও প্রতিবেদনের নিজস্ব বৈশিষ্ট্য আছে। আপনি যে বিষয়ের ওপর প্রতিবেদন রচনা করবেন লেখার সময় আপনাকে ঐ কাঠামো যথাযথভাবে অনুসরণ করতে হবে।
এজন্যে প্রতিবেদন রচনা শুরু করার আগে একটা রূপরেখা ( Work Plan) তৈরি করে নিলে সহজ হয়। এতে করে আপনি ধারা বজায় রেখে ভালো মানের একটি প্রতিবেদন তৈরি করতে পারবেন। তা না হলে প্রতিবেদন সুন্দর ও মানসম্মত হয় না। এতো আপনার প্রতিবেদন লেখার উদ্দেশ্যও সফল হবে না।
প্রতিবেদন হবে নির্মেদ ও সংহত
অর্থাৎ প্রতিবেদনে আমাদের পেটের মতো বাড়তি মেদ বা ভুরি থাকা যাবে না। একজন দক্ষ প্রতিবেদক তার বিষয়ের সাথে সম্পর্কিত ও প্রয়োজনীয় সব ধরনের তথ্য সংগ্রহ করেন। এর পর প্রতিবেদন রচনার সময় তিনি সকল তথ্য যাচাই-বাছাই করে শুধু বিষয়ের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ গুরুত্বপূর্ণ তথ্যগুলো ব্যবহার করে প্রতিবেদন তৈরি করেন।
প্রতিবেদন হবে বস্তুনিষ্ঠ
প্রতিবেদনের বিষয় ও আউটলাইন বা রূপরেখা মাথায় রেখে তথ্য সংগ্রহ বা প্রতিবেদন রচনা করলেই সেই প্রতিবেদন সং ও বস্তুনিষ্ঠ হয় না। প্রতিবেদন হতে হবে বস্তুনিষ্ঠ – অর্থাৎ ব্যক্তিগত পছন্দ-অপছন্দ নিরপেক্ষ। প্রতিবেদন রচনার সময় কোন পক্ষপাতিত্ব করা যাবে না। । নির্বাচিত বিষয়ের ওপর তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করে সেসবের ভিত্তিতেই অবস্থা অনুযায়ী ফলাফল ও সুপারিশ করলে প্রতিবেদন সুন্দর হয়।
মানসম্মত প্রতিবেদন যেমন অতিরঞ্জিত হয় না, তেমনি তা কোনো ভাবেই কোন নির্দিষ্ট পক্ষকে সুবিধা দেয়ার জন্য তৈরি করা হবে না। একজন সৎ প্রতিবেদকের কাজ হলো প্রকৃত ঘটনা ও তথ্য স্পষ্টভাবে উপস্থাপন করবেন। সেখানে কোন আবেগ থাকবে না। তার দায়িত্ব সহজ ও সাবলীল ভাষায় সঠিক, সুনির্দিষ্ট ও যথাযথ প্রতিবেদন রচনা করা।
প্রতিবেদনের ভাষা হবে সহজ
প্রতিবেদন রচনা করার সময় ভাষার প্রতি অবশ্যই নজর দিতে হবে। প্রতিবেদনের ভাষা হতে হবে সহজ সরল ও স্পষ্ট। ঘুরিয়ে বলা বা জটিল করে উপস্থাপন করা উচিত নয়। কঠিন-দুর্বোধ্য শব্দ, অপ্রচলিত শব্দ ইত্যাদি ব্যবহারে প্রতিবেদন যেনো জটিল হয়ে না পড়ে সেদিকে নজর রাখতে হবে। আপনি যখন কোন লিখবেন তখন খেয়াল রাখতে হবে কোনো বক্তব্য যেন স্বার্থবোধক না হয় এবং আপনার লেখায় যেনো কেউ তার প্রাপ্য হতে বঞ্চিত না হয় সে দিকেও বিশেষ লক্ষ্য রাখতে হবে।
প্রতিটি অনুচ্ছেদ শুরু করা উচিত প্রসঙ্গ বাক্য (topic sentence) দিয়ে অর্থাৎ যে বিষয়ের উপর লিখছেন সে বিষয় মাথায় রেখে শুরু করবেন। যাতে করে একজন পাঠক তা দেখেই বুঝতে পারেন প্রতিবেদনের কোন দিকটি ঐ অনুচ্ছেদে বর্ণনা করা হয়েছে।
ভালো প্রতিবেদনে এক এক অনুচ্ছেদে এক একটি দিক উপস্থাপিত হয় এবং এটি বিষয়ের ধারা ঠিক রেখে প্রবাহিত হয়। এছাড়া তাতে অপ্রয়োজনীয় কোন বিষয় নিয়ে গভীর আলোচনা করা হয় না। অপ্রাসঙ্গিক কথা বার্তার বিস্তারিত একেবারেই থাকে না।
প্রতিবেদনের ভাষা হবে অলংকৃত
প্রতিবেদনের ভাষা হতে হবে ব্যাকরণসম্মত। ব্যকরণের নিয়ম মেনে বাক্যের গঠন করতে হবে। জটিল বাক্য যথাসম্ভব এড়িয়ে যেতে হবে। নির্ভুল ভাবে বাক্য প্রয়োগ করতে হবে। বিরামচিহ্নের ব্যবহার জানতে হবে। বাক্যের অনুসরণ করে যথাযথ বিরামচিহ্ন প্রয়োগ করতে হবে। এই সব দিক মেনে বাক্যের গঠন করতে পারলে ভাষার দিক প্রতিবেদন থেকে উৎকর্ষমণ্ডিত হবে।
উদ্দেশ্যের সাথে মিল রেখে প্রতিবেদন তৈরি করতে হবে
প্রতিটি প্রতিবেদনের নির্দিষ্ট উদ্দেশ্য থাকে। তাই প্রতিবেদন রচনা করার সময় সব সময় মনে রাখতে হয়, মূল উদ্দেশ্য থেকে তা যেন বিচ্যুত না হয়। প্রতিবেদেন উদ্দেশ্য ছেড়ে অপ্রয়োজনীয় বা উদ্দেশ্যের বাইরে যাওয়া যাবে না। এ জন্যে যথেষ্ট সময় নিয়ে ধীরেসুস্থে ও নির্ধারিত বিষয় নিয়ে ভেবেচিন্তে প্রতিবেদন রচনা করতে হয়।
সহজ কৌশলে প্রতিবেদন লেখার নিয়ম
প্রতিবেদন লেখার নিয়ম এর সবচে সহজ হলো নিজেকে প্রশ্ন করা। যে প্রশ্ন গুলো আপনার প্রতিবেদনেরর ভিত গড়ে দিবে। তাই এই প্রশ্নগুলো টুকে নিয়ে সেগুলোর উত্তর বের করা বা মাথায় রাখা উচিত। কারণ প্রতিবেদন রচনার ক্ষেত্রে এ ধরনের প্রশ্ন অনেক উপকারে আসে,
১। আপনি কি কারো নির্দেশে প্রতিবেদন লিখছেন? কী ধরনের প্রতিবেদন লিখছেন? যিনি আপনাকে সমস্যা খতিয়ে দেখতে বলেছেন তিনি কে? তিনি কখন, কেন, এ দায়িত্ব দিয়েছেন?
২। সুনির্দিষ্টভাবে কোন বিষয়ে প্রতিবেদন লিখতে হবে? সেটা কী?
৩। কীভাবে অনুসন্ধান, তদন্ত বা তথ্য সংগ্রহ করতে হবে?(কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা, সাধারণ মানুষের কাছ থেকে সাক্ষাৎকার গ্রহণ, ঘটনাস্থল পরিদর্শন, পরীক্ষা-নিরীক্ষা সম্পাদন, প্রয়োজনীয় পঠন-পাঠন ইত্যাদি) সে বিষয়গুলো কী কী?
৪। প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে সুনির্দিষ্ট ফলাফল বা সুপারিশ কী কী?
এই সব প্রশ্নের উত্তর দিয়ে কিছু খসড়া করে ফেলতে হবে। এই খসড়াগুলো থেকে চূড়ান্ত ভাবে প্রতিবেদন তৈরি করার আগে সেগুলোকে সাজিয়ে নিতে হবে। এবং সেখান থেকে দরকারী ও সামঞ্জস্যপূ্রণ তথ্যগুলো দিয়ে প্রতিবেদন সাজাতে হবে।
আরো পড়ুনঃ লাইব্রেরিয়ান কোর্স কোথায় কোথায় করবেন!
সাধারণ প্রতিবেদনের কাঠামো
- শিরোনাম: এটিকে প্রতিবেদনের প্রাণ বলা যেতে পারে। আপনি কী নিয়ে প্রতিবেদন লিখছেন তা এটি দেখেই বোঝা যাবে। প্রতিবেদনের শুরুতেই একেবারে উপরে থাকবে শিরোনাম। শিরোনামটা আকর্ষনী করারা চেষ্টা করতে হবে। আবার খেয়াল রাখবেন বেশি আকর্ষনীয় করার চেষ্টায় হাস্যকর বা অপ্রাসাঙ্গক যেনো না হয়। শিরোনাম এক বাক্যে ছোট করে দেওয়াটাই ভালো।
- প্রতিবেদনের সারাংশ: শিরোনাম দেয়ার পরে ছোট একটি প্যারায় শিরোনামের সারাংশ লেখতে হয়। এটা এমন ভাবে সাজাতে হবে যেনো পাঠক সেটি পড়েই প্রতিবেদনের বিষয়বস্তু সম্পর্কে ধারণা যায়। তবে এই অংশটি সব প্রতিবেদেনেই দিতে হবে তা নয়। আপনার প্রতিবেদনের ধরণ অনুযায়ী সারাংশ ব্যবহার করতে হবে। এটি ব্যবহরে প্রতিবেদনের মান অনেকাংশে বেড়ে যায়।
- ভূমিকা: প্রতিবেদন শুরু করার আগে একটি ভূমিকা দিয়ে নিতে হয়। এখানে প্রতিবেদক পাঠককে প্রতিবেদনের বিষয় সম্পর্কে ধারণা দিবেন। তবে মনে রাখতে হবে ভুমিকা সহজ ভাষায় লিখতে হবে। যাতে করে পাঠক যেনো পুরোটা পড়ার আগ্রহ পান।
- বিষয়বস্তু আলোচনা: প্রতিবেদনের সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ দিক এটি । এখানে আপনি পুরো প্রতিবেদন লিখবেন। লেখার সময় অবশ্যই প্রতিবেদন লেখার নিয়ম মাথায় রাখতে হবে। বিষয়বস্তু লেখার সময় প্রথমে সমস্যা সম্পর্কে ধারণা দিতে হবে। সে সমস্যা নিয়ে আপনার সংগ্রহ করা তথ্য উপাত্ত উপস্থাপন করবেন। এর পর সে থেকে উত্তরণে জন্য পরামর্শ উপস্থাপন করে আপনার প্রতিবেদনের ইতি টানবেন।
- প্রতিবেদকের নাম, ঠিকানা ও অন্যান্য বিষয়: প্রতিবেদনের ইতি টানর পরে এখানে প্রতিবেদকের সকল তথ্য থাকবে। প্রতিবেদকের নাম, ঠিকানা, প্রতিবেদন তৈরীর সময় ইত্যাদি বিষয় সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করতে হবে। তবে সংবাদপত্রে প্রকাশের প্রতিবেদেনে কিছুটা ভিন্নতা রয়েছে। সংবাদপত্রের প্রতিবেদনের নিজস্ব বৈশিষ্ট্য রয়েছে। সংবাদপত্রের প্রতিবেদনে এই অংশটি শুরুর দিকে উপস্থাপন করতে হয়।
সাধারণ প্রতিবেদনের নমুনা
শিরোনাম…………………………………………….
প্রতিবেদনের সারাংশ………………………………………………………….
ভূমিকা……………………………………………………………………
বিষয় বস্তু আলোচনা …………………………………………………………………….
…………………………………………………..…………………………………………………..…………………………………………………..……………………………………………………..…………………………………………………..
প্রতিবেদকের নাম:……………………..
তারিখ…………….
ঠিকানা……………….
স্বাক্ষর
সংবাদ প্রতিবেদন লেখার নিয়ম
আগেই বলেছি সংবাদপত্রের প্রতিবেদন লেখার নিয়ম এ কিছু স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্য রয়েছে। অধিকাংশ ক্ষেত্রে আমারা দেখতে পাই এ ধরনের প্রতিবেদন ‘কে, কখন, কোথায়, কী, কীভাবে এবং কেন? ইত্যাদি প্রশ্নের সাথে সম্পর্কিত। প্রতিবেদন রচনার সময় প্রতিবেদক এসব প্রশ্ন মনে রেখেই প্রতিবেদন রচনা করেন। এ ধরনের প্রতিবেদন রচনার ক্ষেত্রে নিম্নলিখিত দিকগুলোর দিকে লক্ষ রাখতে হয় :
১. শিরোনাম: প্রতিবেদনের শিরোনাম হওয়া উচিত সমালোচনাধর্মী, সারাৎসারমূলক এবং আকর্ষণীয়।
২. সূচনা-অনুচ্ছেদ: প্রথম বা সূচনা-অনুচ্ছেদে মূল ঘটনা এমন ভাবে বলা হয় যাতে করে পাঠক সংবাদে আকৃষ্ট হয় এবং ঘটনার বিবরণ শুরু করা হয়। এই অনুচ্ছেদই মূলত শিরোনামের উৎস।
৩. উৎস-সূত্র: সূচনা অনুচ্ছেদেই প্রতিবেদনের উৎস-সূত্র বর্ণিত হয়। কোন সংবাদ যখন অন্য কোন মাধ্যম থেকে নেয়া হয় তখন উৎস সূ্ত্র দেয়া লাগে। না হলে পাঠক তথ্যে সত্যতা নিয়ে দ্বিধাদ্বন্দে ভুগবে। যেমন: রয়টার জানাচ্ছে, নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন সরকারি মুখপাত্র জানান ইত্যাদি।
৪. ব্যক্তিনাম পরিহার: সংবাদে কোন তথ্য প্রচারের সময় ব্যক্তিনাম দেয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। কারণ কোন স্পর্শকাতর বিষয়ে সংবাদ হলে সে ব্যক্তির নিরাপত্তা ঝুঁকির কথা বিবেচনায় এনে তার ব্যক্তিনাম পরিহার করে সে ক্ষেত্রে পদমর্যাদা (অধ্যক্ষ, পরিচালক), সাধারণ পরিচয় (বিশেষজ্ঞ, কর্মকর্তা, কারখানার শ্রমিকরা) কিংবা বিশেষক বাক্যাংশ (ভুক্তভোগী এলাকাবাসী, নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মহিলা) ব্যবহার করা হয়।
৫. অন্যান্য বিষয়,
- সময় ও স্থান: যেমন, গতকাল ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে যাত্রাবাড়ির মোড়ে।
- তথ্য ও সংখ্যা: যেমন, বোমা বিস্ফোরণে ৩ জন ঘটনাস্থলে নিহত এবং ৩৫ জন আহত হয়েছেন।
- প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ ঘটনা: যেমন, এলাকাবাসী জানাচ্ছেন, বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে আগুন লাগার ঘটনাটি ঘটেছে।
এই ছিল সংবাদ পত্রে প্রকাশের জন্য প্রতিবেদন লেখার নিয়ম। এভাবেই সাধারণত সংবাদ প্রত্রের জন্য প্রতিবেদন লেখা হয়ে থাকে।
সংবাদ প্রতিবেদন লেখার নমুনা
নমুনাঃ ১
শিরোনাম
প্রতিবেদকের নাম
স্থান, তারিখ:…………………………………………………………………………………………….
………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………
নমুনাঃ ২
শিরোনাম
নিজস্ব প্রতিনিধি, স্থান,তারিখ:……………………………………………………………………
……………………………………………………………………………………………………………………………………………………………
নমুনাঃ ৩
শিরোনাম
প্রতিবেদকের নাম, স্থান
নিজস্ব প্রতিনিধি, স্থান,তারিখ:……………………………………………………………………
……………………………………………………………………………………………………………………………………………………………
সংবাদ বিজ্ঞপ্তি
সংবাদ প্রতিবেদন তৈরি করে তা পত্রিকায় প্রকাশের জন্য পাঠানো হলে তাকে সংবাদ বিজ্ঞপ্তি বলা হয়। এখানে প্রকাশের সময় সংবাদ বিজ্ঞপ্তি কথাটি উল্লেখ করা হয়। সংবাদ বিজ্ঞপ্তির নিচে প্রতিবেদক বা সংবাদদাতার নাম স্বাক্ষর ও তারিখ থাকে। যেমন, আপনার এলাকায় সুপেয় পানির অভাব রয়েছে। সে সমস্যা যথাযথ কর্তৃপক্ষের নজরে আনার জন্য আপনি সংবাদ পত্র প্রকাশের জন্য একটি প্রতিবেদন রচনা করে কোন পত্রিকায় প্রেরণ করলেন। আপনার লেখা এই প্রতিবেদনটি পত্রিকা কর্তৃপক্ষ পাওয়ার পরে সেটি সংবাদ বিজ্ঞপ্তি হিসেবে প্রকাশ করবে।
সংবাদপত্রে প্রকাশের জন্য প্রেরণ করা পতিবেদনের নমুনা:
বরাবর
সম্পাদক
দৈনিক …………
বিষয় :………………………………………………………………
জনাব,
বিনীত নিবেদন এই যে, ……………………………………………………………………………….
………………………………………………..আশা করছি, প্রতিবেদনটি আপনার বহুল প্রচারিত পত্রিকায় প্রকাশ করে সংশ্লিষ্ট বিষয়টি কর্তৃপক্ষের নজরে আনতে সহায়তা করবেন।
শিরোনাম
প্রতিবেদেনের মূল অংশ……………………………………………………………………………..
………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………
প্রতিবেদকের নাম ও ঠিকানা : ……………………………………
প্রতিবেদনের স্থান : ……………………………………
তারিখ : ……………………………………
প্রতিবেদন তৈরির সময় : ……………………………………
খাতায় লিখলে খাম আঁকতে হবে। অন্যথায় যদি সংবাদপত্রে পাঠানো হয় তবে নির্দিষ্টি খামে নাম ঠিকানা দিয়ে পোস্ট করতে হবে। পোষ্ট করতে হবে।
প্রতিবেদন লেখার নিয়ম || Bangla Reports Writing || Protibedon Lekha
তদন্ত প্রতিবেদন লেখার নিয়ম
কোথাও যখন কোন দুর্ঘনা ঘটে তখন আমরা দেখতে পাই সে ঘটনার জন্য তিন সদস্যের বা পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয় এবং তাদের একটা নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে রিপোর্ট বা প্রতিবেদন দাখিল করতে বলে। এটি আসলে খুবই সাধারণ ঘটনা। এই দলটি ঘটনার কারণ অনুসন্ধান করে তাদের সুপারিশ দিয়ে থাকেন। একটি সড়ক বা সেতু দুর্ঘটনার প্রতিবেদনের ধরণটা এ রকমের হয়ে থাকে।
১) প্রাপক: এখানে কর্তৃপক্ষের ঠিকানা থাকবে। যারা প্রতিবেদটি পর্যালোচনা করবেন এবং যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।
২) প্রেরক: প্রতিবেদন প্রস্তুতকারী দলের নাম বা প্রতিষ্ঠানের নাম। যারা ঘটনা অনুসন্ধান করে প্রতিবেদন তৈরি ও পরামর্শ দিয়ে থাকেন তাদের নাম ঠিকানা। কোন প্রতিষ্ঠান হলে প্রতিষ্ঠানের নাম ঠিকানা।
৩) বিষয়: যে বিষয়ে প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে সে বিষয়ের নাম। এটি যদি কোন দুর্ঘটানার তদন্ত প্রতিবেদন হয় তবে, দুর্ঘটনার স্থান তারিখ উল্লেখ করতে হয়।
৪) ঘটনার বিবরণ: যে স্থানে ঘটনাটি ঘটেছে তার বিবরণ, প্রাথমিক ভাবে কীভাবে ঘটনাটি ঘটেছে তার বর্ণনা, প্রত্যক্ষদর্শীরা কী বলছেন তা নোট করা ইত্যাদি এখানে তুলে ধরা।
৫) দুর্ঘটনার কারণ: গঠিত তদন্ত কমিটি অনুষন্ধানের পরে দুর্ঘটনার জন্য কী কী কারণ পেয়েছেন তা এখানে বর্ণনা করা হয়। বর্ণনার ধরণ বিভিন্ন রকমের হতে পারে। তবে কারণগুলো অনুষন্ধান করে সেগুলো পয়েন্ট আকারে উপস্থাপন করা সব থেকে উত্তম পন্থা। তবে এক্ষেত্রে যত সম্ভব তথ্য উপস্থাপন, সাক্ষীরা কী বলছে তার উপর ভিত্তি করে, নিজেরা বিভিন্ন পরীক্ষা করে সেগুলো ফলাফল তুলো ধরতে হবে।
৬) সুপারিশ: দুর্ঘটনার তদন্তে প্রতিবেদনে গুরুত্বপূর্ণ একটি অংশ হলো এটি। কারণ ভবিষ্যৎ এ যেনো এ ধরণের দুর্ঘটনা না ঘটে তার জন্য কী কী পদক্ষেপ নেয়া লাগেবে তা এখানেই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানাতে হয়। সুপারিশ লেখার আগে সব কিছু বিবেচনা করে তারপর সিদ্ধান্ত দিতে হয়।
যেমন, ধরুন কোথাও নদীতে একটি ব্রিজ ভেঙ্গেছে, তখন আপনি ব্রিজটি নির্মান করতে বা আগামীতে যাতে ব্রিজ দুর্ঘটনা না ঘটে তার জন্য এমন সব সুপারিশ করলেন যা অত্যন্ত ব্যয়বহুল এবং সময় সাপেক্ষ।
এমন সুপারিশে যেমন অর্থের অপচয় হবে তেমনি সময় সাপেক্ষ হওয়ার কারণে এলাকাবাসীকে দীর্ঘ সময় দুর্ভোগ পোহাতে হবে। তাই সুপারিশ করার সময় আপনার মাথায় রাখতে হবে, স্বল্প সময়ে যতটা কম খরচে এবং মজবুত একটি ব্রিজ কিভাবে নির্মান করা যায় যাতে ভবিষ্যতে এমন ঘটনা না ঘটে।
৭) সবার শেষে তদন্ত কমিটির প্রধানের নাম, পদবি ও সাক্ষর দিয়ে প্রতিবেদন দাখিল করা।
তদন্ত প্রতিবেদন লেখার নিয়ম ও নমুনা
তারিখ:…………
প্রাপক:…………………………….
প্রেরক…………………………
বিষয়:……………………………………………………………………………………………………
ঘটনার বিবরণ: …………………………………………………………………………………………………………..
……………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………..
দুর্ঘটনার কারণ:……………………………………………………………………………………………………..
……………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………….
১)
২)
( এভাবে পয়েন্ট আকারে তুলো দিতে হবে)
সুপারিশ: …………………………………………………………………………………………………………………….
…………………………………………………………………………………………………….
১)
২)
( এভাবে পয়েন্ট আকারে তুলো দিতে হবে)
স্বাক্ষর ও তারিখ
তদন্ত কমিটির প্রধানের নাম
পদবি
শেষ কথা
আমাদের সবারই প্রতিবেদন লিখতে জানা উচিত। কারণ আমাদের ছাত্র জীবন, কর্ম জীবন কিংবা সমাজ জীবন যেখানেই হোক না কেন বিভিন্ন প্রয়োজনে আমাদের প্রতিবেদন লেখার দরকার হতে পারে। তাই প্রতিবেদন লেখার নিয়ম গুলো জেনে নেয়া আমাদের জন্য অনেক দরকার। আশা করি এখান থেকে সবাই প্রতিবেদন কী, কিভাবে লিখতে হয় বা কত ধরণের প্রতিবেদন হয় তা সকলেই জেনেছেন।
আমাদের ছাত্র জীবন থেকেই প্রতিবেদন লেখার অভ্যাস করতে হবে। শুধু যে পরীক্ষার খাতায় ই প্রতিবেদন লিখতে হবে তা ভাবার কারণ নেই। এছাড়া আমাদের বিভিন্ন কারণে প্রতিবেদন লিখতে হয়। কারণ আমদের কেন প্রতিবেদন লেখা দরকার তা আশা করি সবাই এই লেখা থেকে বুঝতে পেরেছেন।
সংশ্লিষ্ট কাজের সাথে যুক্ত বা ভবিষ্যত এই ধরণের পেশা যেমন, সংবাদ মাধ্যমে কাজ করতে চান তাদের জন্য নিয়মিত প্রতিবেদন রচনা অনুশীলন করা জরুরি। তাই সময় নষ্ট না করে প্রতিবেদন লেখা আয়ত্ত্ব করুন ও নিয়মিত চর্চা করুন।
আরো পড়ুনঃ দক্ষিন কোরিয়া, সৌন্দর্যের স্বর্গীয় লীলাভূমি
প্রতিবেদন লেখার নিয়ম- তথ্যসূত্রঃ
১) উচ্চ মাধ্যমিক বাংলা ব্যাকরণ ও নির্মিতি- ড. মাহবুবুল হক।
২) https://progressbangladesh.com/%e0%a6%aa%e0%a7%8d%e0%a6%b0%e0%a6%a4%e0%a6%bf%e0%a6%ac%e0%a7%87%e0%a6%a6%e0%a6%a8-%e0%a6%b2%e0%a7%87%e0%a6%96%e0%a6%be%e0%a6%b0-%e0%a6%a8%e0%a6%bf%e0%a7%9f%e0%a6%ae/
৩) https://www.studytake.com/2020/07/protibedon.html
৪) https://www.skillsyouneed.com/write/report-writing.html
This post is very helpful. Thanks for the post., sir.
প্রতিবেদন লেখার নিয়ম, সঠিকভাবে প্রতিবেদন লেখার আল্টিমেট গাইড লেখাটি পড়ার জন্য আপনাকেও ধন্যবাদ।