কলার যত গুণঃ কলার উপকারিতা ও অপকারিতা | ২০২৪

কলার উপকারিতা ও অপকারিতা

Last Updated on 6th April 2024 by Mijanur Rahman

কলা, সব থেকে পরিচিত, সব চেয়ে সাধারণ আর বৈচিত্র্যপূর্ণ একটি ফল। কলা কেমন, কেউ চেনে না বা দেখেনি এসব নিয়ে আলোচনা করাটাই বোকামো। তার চেয়ে বরং কলার গঠন, কলার উপকারিতাকলার অপকারিতা, কলার বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করি। যাতে করে আমরা এই সাধারণ ফলটা সম্পর্কে ব্যাপকভাবে জানতে পার। কলার উপকারিতা ও অপকারিতার কথা মাথায় রেখে কলা খাওয়া ও ব্যবহার নিশ্চিত করতে পারি। কারণ আমরা জানি যে, আমাদের বেঁচে থাকার জন্য খাবার গ্রহণ সম্পর্কে ধারণা রাখা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আর কলাও এর বাইরে নয়। তাই কলা সম্পর্কে বিস্তারিত জানা আমাদের জন্য জরুরি।

কলার পরিচিতি

কলাগাছ

কলাগাছ মূলত Musaceae পরিবারের একটি উদ্ভিদ। এবং এই গাছের ফলই হলো কলা। আমাদের দেশে কলার প্রায় ১৯টি জাত দেখা যায় । পার্বত্য এলাকায় কলার অনেগুলো বুনো জাত দেখা যায়। যাদের মধ্যে অন্যতম হলো, বাংলা কলা, বন কলা, মামা কলা ইত্যাদি । বিভিন্ন ধরণের কলার জাত থাকলেও গাছের বৈশিষ্ট্য অনুসারে কলা গাছকে দুটি ভাগে যথা: লম্বা জাতের গাছ ও খাটো জাতের গাছ এই দুটি ভাগে ভাগ করা হয়েছে।

কলার প্রকারভেদ

কলা কাছকে বৈশিষ্ট অনুসারে দুভাগে ভাগ করা হলেও খাওয়ার ওপর ভিত্তি করে বিভিন্ন জাতের কলাকে মোট চার ভাগে ভাগ করা হয়েছে।

  • সম্পূর্ণ বীজমুক্ত কলা: এ ধরণের কলার ভেতরে কোন বীজ থাকে না।  যেমন-সবরি, অমৃতসাগর, অগ্নিশ্বর, দুধসর, দুধসাগর ইত্যাদি কলাতে কোন বীজ নেই।
  • দু-একটি বীজযুক্ত কলা: এই বৈশিষ্ট্যের কলাতে অল্প বীজ থাকে।  কবরী, চন্দন কবরী, চাম্পা, চিনিচাম্পা,  জাবকাঠালী ইত্যাদি কলার মধ্যে দুএকটি বীজ পাওয়া যায়। তাই এদেরকে এই তালিকভুক্ত করা হয়েছে।
  • বীজযুক্ত কলা: নাম শুনেই বোঝা যাচ্ছে এই বৈশিষ্ট্যের করার মধ্যে বীজে ভরা থাকে। যা খেতে বিরক্ত লাগে। বতুর আইটা, গোমা, সাংগী আইটা ইত্যাদি কলাগুলো বীজ যুক্ত হলেও এদের অনেক উপকারীতা রয়েছে। এই ধরণের কলাকে এটেকলাও বলা হয়ে থাকে।
  • আনাজী কলা: আমরা কাঁচকলা নিশ্চয়ই চিনি। এই আনাজী কলাগুলো হলো সেই কলা যা আমারা কাঁচা সবজি হিসেবে খেয়ে থাকি।  ভেড়ার ভোগ, চোয়াল পউশ, বর ভাগনে, বেহুলা, মন্দিরা, বিয়েরবাতি প্রভৃতি সুন্দর নামের কলাগুলো আমরা তরকারি বা ভর্তা করে খেয়ে থাকি। যাদের পুষ্টিগুণ অনেক

কলার গঠন

কলার উপকারিতা ও অপকারিতা জানার জন্য আমাদের অব্যশই কলার সাধারণ গঠন ও গুণাগুন সাম্পর্কে জানতে হবে।  এটি বিভিন্ন গুণসম্পন্ন একটি ফল। এর কোষ বা টিস্যু গঠিত হয়েছে আমিষ, ভিটামিন এবং খনিজ পদার্থ দিয়ে। এটি ক্যালরির বেশ ভালো উৎস। কলাতে পানি ও কঠিন খাদ্য উপাদানের সমন্বয় অন্য ফলের তুলনায় সুবিনস্ত্য। একটি বড় সাগর কলা থেকে প্রায় ১০০ ক্যালরির বেশি শক্তি পাওয়া যায়। এতে রয়েছে দ্রুত হজম সক্ষম শর্করা। যা পরিপাকতন্ত্রকে সহজে হজম করতে সহায়তা করে। এতে রয়েছে আয়রন যা রক্তের হিমোগ্লোবিন তৈরিতে সহায়ক। এছাড়া এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ পটাসিয়াম । গবেষকরা দেখেছেন, একটি কলাতে প্রায় ৫০০ মিলিগ্রাম পটাসিয়াম থাকে। আর একজন মানুষকে স্ট্রোক থেকে বাঁচতে ১৬০০ মিলিগ্রাম পটাসিয়াম যথেষ্ট।

খাদ্যগুণ

কলার খাদ্যগুণ বা কলার পুষ্টিগুণ দেখলেও আমাদের অবাক হতে হয়। কারণে এই সামান্য একটি ফলের মধ্যে যে এতো ধরণের উপাদান থাকে তা সত্যিই অবাক করার মতো। একটি মাঝারি আকারের কলাতে নিচের উপাদানগুলো বিদ্যমান।

উপাদান
পরিমাণ
শক্তি
১০৫ ক্যালোরি
কার্বোহাইড্রেট
২৭ গ্রাম যাতে  চিনি ১৪.৪ গ্রাম
ফাইবার
৩.১ গ্রাম
প্রোটিন
১.৩ গ্রাম
ম্যাগনেসিয়াম
৩১.৯ মিলিগ্রাম
ফসফরাস
২৬ মিলিগ্রাম
পটাসিয়াম
৪২২ মিলিগ্রাম
সেলেনিয়াম
১.৯ মাইক্রোগ্রাম
কোলিন
১১.৬ মিলিগ্রাম
ভিটামিন সি
১০.৩ মিলিগ্রাম
ফোলেট
(mcg DFE) ২৩.৬  মিলিগ্রাম
বিটা ক্যারোটিন
৩০.৭ মিলিগ্রাম
আলফা ক্যারোটিন
২৯.৫ মিলিগ্রাম
পুষ্টিগুণ

এখানে  উল্লেখ্য যে, আলফা ক্যারোটিন , বিটা ক্যারোটিন, সেলেনিয়াম, কোলিন এবং ভিটামিন সি সবকটিতেই অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্য রয়েছে। আর এই  অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট গুলো দেহের জন্য বেশ উপকারী।

আরো পড়ুনঃ লেবুর উপকারিতা ও অপকারিতা

কলার উপকারিতা ও অপকারিতা

এবার আমরা জেনে নিবো কলার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে। কলার গঠন দেখে আমরা নিশ্চই অবাক হয়েছি যে, সামান্য কলায় কত ধরণের উপাদান ও গুণাগুণ রয়েছে!  এসব উপাদান যে আমাদের দেহের জন্য যেখুবই গুরুত্বপূর্ণ তা বলার অপেক্ষা রাখে না।

কলার মধ্যে থাকা এসব উপাদানের প্রভাব আমাদের দেহে কম নয়। যদি উদাহরণ দেখি যে, কলাতে পটাশিয়ামের মাত্রা অনেক বেশি। একটি মাঝারি আকারের কলাতে প্রায় ৪২২ মিলিগ্রাম পটাসিয়াম থাকে। আর একজন মানুষ যদি দৈনিক ১৬০০ মিলিগ্রাম পটাসিয়াম গ্রহণ করে তবে তার স্ট্রোকের ঝুঁকি কমে যায়। আবার আমাদের দৈনিক পটাসিয়ামের চাহিদা ৪৭০০ মিলিগ্রাম।

সুতরাং এর অতিরিক্ত ব্যবহারও আমাদের দেহের উপর ক্ষতিকর প্রভাব ফেলবে। কলা সাধারণ ফল হওয়া সত্ত্বেও এর সুষম ব্যবহার আমাদের জন্য দরকারী। এর জন্য কলার উপকাররিতা ও অপকারিতা  দুটো সম্পর্কেই আমাদের ধারণা রাখতে হবে। আমাদের যদি কলার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে ধারণা থাকে তবে আমরাই আমরা কলা গ্রহণের সঠিক মাত্রা নির্ণয় করতে পারবো। আপাত দৃষ্টিতে বিষয়টি খুবই সাধারণ মনে হলেও আমাদের দেহের সুস্থ্যতা বজায় রাখতে এর প্রভাব সম্পর্কে দরকার। তাই চলুন এবার এক এক করে কলার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে জেনে নেই।

কলার উপকারিতা

কলার উপকারিতার কথা বলে শেষ করা যাবে না। এখানে আমরা কলার গুরুত্বপূর্ণ কিছু কাজ সম্পর্কে জেনে নিবো।

ভিটামিন বি৬

ভিটামিন বি৬-এর অন্যতম র উৎস হল কলা । কলা থেকে খুব সহজেই  ভিটামিন বি৬ দেহে শোষিত হয় । একটি মাঝারি আকারের কলা আপনার দৈনিক ভিটামিন বি৬ এর চাহিদার প্রায় এক চতুর্থাংশ পূরণে সক্ষম। ভিটামিন বি৬ আপনার শরীরকে যেভাবে সাহায্য করে:

  • লোহিত রক্ত কণিকা তৈরি করে।
  • কার্বোহাইড্রেট এবং চর্বি বিপাক করে, এগুলিকে শক্তিতে পরিণত করে।
  • অ্যামিনো অ্যাসিড বিপাকে সহায়তা করে।
  • লিভার এবং কিডনি থেকে অবাঞ্ছিত রাসায়নিক অপসারণ করে থাকে।
  • স্নায়ুতন্ত্রের সুস্থতা বজায় রাখতে ভিটামিন বি৬ কাজ করে।

এছাড়াও  ভিটামিন বি৬ গর্ভবতী মহিলাদের জন্যেও বেশ দরকারী। কারণ এটি তাদের শিশুর বিকাশের চাহিদা মেটাতে সাহায্য করে।

কলা ভিটামিন সি এর  উৎস

আপাতদৃষ্টিতে মনে না হলেও কলা ভিটামিন সি এর একটি উৎস।  একটি কলা আপনার দৈনিক ভিটামিন সি চাহিদার প্রায় ১০ শতাংশ প্রদান করবে। আর ভিটামিন সি যে আমাদের দেহের জন্য গুরুত্বপূর্ণ তা বলার অপেক্ষার রাখে না।

  • কোষ এবং টিস্যুর ক্ষতি থেকে শরীরকে রক্ষা করে।
  • শরীররে আয়রন ভালো ভাবে শোষণ করে।
  • ভিটামিন সি শরীরে কোলাজেন উৎপাদন করে , যে প্রোটিন যা ত্বক, হাড় এবং শরীরকে একত্রে ধরে রাখে।
  • ভিটামিন সি সেরোটোনিন তৈরি করে মস্তিষ্কের স্বাস্থ্যকে সহায়তা করে। এই হরমোন আমাদের ঘুমের চক্র, মেজাজ এবং মানসিক চাপ এবং ব্যথার অভিজ্ঞতাকে প্রভাবিত করে থাকে।

আরো পড়ুনঃ হলুদের উপকারিতা ও অপকারিতা

পটাসিয়ামের চাহিদা পূরণ

কলাতে রয়েছে পটাসিয়াম। যা  হৃদরোগ এবং রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে থাকে। একটি মাঝারি আকারের কলা দেহের দৈনিক পটাসিয়ামের চাহিদার প্রায় ১০% পূরণ করে। পটাসিয়াম হার্টের সুস্থতা এবং রক্তচাপ বজায় রাখতে সাহায্য করে। এছাড়া কলায় সোডিয়াম কম থাকে। কম সোডিয়াম এবং উচ্চ পটাসিয়ামের সমন্বয় উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।

কলা হজম এবং গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল সমস্যা দূর করে

একটি মাঝারি কলা আপনার দৈনিক ফাইবার চাহিদার প্রায় ১০-১২%  পূরণ করে। সিঙ্গাপুরের হেলথ প্রমোশন বোর্ড খাদ্য তালিকায় দৈনিক মহিলাদের জন্য ২০ গ্রাম এবং পুরুষদের জন্য ২৬ গ্রাম ফাইবার রাখতে সাজেশন দেয়। দ্রবণীয় এবং অদ্রবণীয় ফাইবার স্বাস্থ্যের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। দ্রবণীয় ফাইবার শরীরকে রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে এবং কোলেস্টেরলের মতো চর্বিযুক্ত পদার্থ থেকে মুক্তি পেতে সহায়তা করে। অদ্রবণীয় ফাইবার মলের ওজন এবং নমনীয়তা প্রদান করে, যা মলত্যাগ নিয়মিত করতে সহায়তা করে। এটি আপনার অন্ত্রকে সুস্থ রাখতে এবং ক্ষতিকারক ব্যাকটেরিয়া থেকে নিরাপদ রাখতে সাহায্য করে।

কলা গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল জনিত সমস্যাগুললো সমাধান করতে সাহায্য করে। যেমন,

দেহের শক্তির যোগান দেয়

কলা দেহের শক্তির যোগান দেয় ,চর্বি এবং কোলেস্টেরল মুক্ত করে। কলাতে তিনটি প্রাকৃতিক শর্করা রয়েছে , সুক্রোজ, ফ্রুক্টোজ এবং গ্লুকোজ  । যা চর্বি এবং কোলেস্টেরল মুক্ত শক্তির   উৎস । তাই কলা শিশু এবং ক্রীড়াবিদদের জন্য একটি  আদর্শ খাবার।

ডায়াবেটিস

কলাতে ফাইবার রয়েছে। এই ফাইবার রক্তে শর্করার মাত্রা কমাতে সাহায্য করতে পারে। উচ্চ ফাইবারযুক্ত খাবার  টাইপ ২ ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমাতে পারে এবং যাদের ইতিমধ্যেই এই রোগ রয়েছে তাদের রক্তে শর্করা কমাতে পারে।

ডায়েট কন্ট্রোলে কলা

যারা ডায়েট করেন তাদের জন্য কলা আদর্শ একটি খাবার। কারণ আধা পাকা  কলাতে স্টার্চ থাকে যা  ছোট অন্ত্রে হজম হয় না (প্রতিরোধী স্টার্চ) এবং বড় অন্ত্রে যেতে সক্ষম। এই ধরনের কলা  ওজন ভালভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে। কারণ  এতে দীর্ঘসময় পেট ভরা থাকে তাই ক্ষুধা কম লাগে। যারা ওজন কমাতে চান তাদের জন্য কলা একটি উপকারী ফল। এছাড়া কাঁচা কলা ভর্তাতেও প্রচুর ফাইবার থাকে যা ওজন নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে।

আরো পড়ুনঃ আনারস এর উপকারিতা ও অপকারিতা

ক্যান্সার নিয়ন্ত্রণ

কলাতে  লেকটিন প্রোটিন পাওয়া যায়, এটি লিউকেমিয়া কোষগুলিকে বৃদ্ধি থেকে রোধ করতে সাহায্য করে। লেকটিন অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে। অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট শরীরকে ফ্রি র‌্যাডিক্যাল নামে পরিচিত অণু অপসারণ করতে সাহায্য করে। যদি অনেক বেশি ফ্রি র‌্যাডিকেল তৈরি হয়, তাহলে কোষের ক্ষতি হতে পারে, যা ক্যান্সার হতে পারে।

বীজযুক্ত বা আঁটিয়া কলার উপকারিতা

বীজ যুক্ত কলা খেতে বিরক্ত লাগলেও এর উপকারিতা অনেক। বীজযুক্ত কলায় প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম, নাইট্রোজেন এবং ফসফরাস থাকে, যা টিস্যু গঠনে কাজ করে।

কলার অপকারিতা

দীর্ঘ সময় ধরে কলার উপকারিতার কথা বললেও এটা মাথায় রাখতে হবে যে কলার অপকারিতাও রয়েছে। আর আমাদের দেহের সুস্থ্যতা রক্ষায় কলার উপকারিতা ও অপকারিতা দুটোই জানা জরুরি। উপকারিতার তুলনায় অপকারিতার মাত্রা কম হলেও তা দেহের জন্য ক্ষতিকর প্রভাব ফেলতে পারে।  তাই অপকারিতার কথা মাথায় রেখেই আমাদের কলা গ্রহণ করা উচত।


কলার অপকারিতা

১. কখনো খালি পেটে কলা খাওয়া ঠিক নয়। কারণ অ্যাসিডিক বৈশিষ্ট্যের কারণে খালি পেটে কলা খেলে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা দিতে পারে।

২. অতিরিক্ত কলা খেলে পটাসিয়াম এবং ম্যাগনেশিয়াম এর ভারসাম্য বিনষ্ট  হয়। যে কারণে হার্টএটাকের সম্ভাবনা তৈরি হয়। এছাড়া পটাসিয়ামের উচ্চ মাত্রা কিডনি জটিলতা,পেশির খিঁচুনি, মাথা ঘোরা, হৃৎপিণ্ডের স্পন্দন অনিয়মিত হওয়ার মত সমস্যার সৃষ্টি করতে পারে। তাই বেশি কলা খাওয়ার ব্যাপারে সচেতন থাকতে হবে।

৩. ডায়বেটিসের জন্যে কলা উপকারী হলেও অতিরিক্ত পাকা কলা খাওয়া উচিত নয়। এতে হিতে বিপরীত হতে পারে।

৪. যাদের খুব বেশি ঠান্ডার সমস্যা রয়েছে তাদের জন্য কলা এড়িয়ে যাওয়াই উত্তম। কারণ কলা ঠান্ডাকে প্রভাবিত করে।

এছাড়া আরো কিছু  অপকারিতা রয়েছে কলার তবে তা কলার অতিরিক্ত গ্রহণের কারণে । তাই এটা মাথায় রাখতে হবে যে, খালি পেটে কলা খওয়া ও খুব বেশি পরিমাণে কলা খাওয়া থেকে বিরত থাকতে পারলেই কলা থেকে উপকার পেতে পারেন।

দীর্ঘ আলোচনার পরে আশা করি কলার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে আমাদের ধারণা হয়েছে যাতে  করে আমরা ভারসাম্য বজায় রেখে  কলা খেতে পারবো।

তথ্যসূত্র:

১. https://www.medicalnewstoday.com/articles/271157

২. https://www.healthxchange.sg/food-nutrition/food-tips/good-reasons-eat-banana-today

৩. https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%95%E0%A6%B2%E0%A6%BE

৪.  https://cutt.ly/dRVYPlE

Author

Leave a Comment

Scroll to Top