ফজরের নামাজের নিয়ম, নিয়ত, দোয়া ও ফজীলত ২০২৪

ফজরের নামাজের নিয়ম

Last Updated on 7th April 2024 by Mijanur Rahman

আসসালামুয়ালাইকুম পাঠক বৃন্দ। আশা করি সবাই ভাল আছেন। আজ আমাদের আলোচনার বিষয় হলো ফজরের নামাজের নিয়ম সম্পর্কে। নামাজ ইসলামের পাঁচটি স্তম্ভের মধ্যে একটি অন্যতম ইবাদত। আমরা সবাই জানি, নামাজ বেহেশতের চাবি।

নামাজ মুসলিমদের একটি অবশ্য পালনীয় ইবাদত।প্রত্যেক মুসলিম নর-নারী দৈনিক পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায়ের মাধ্যমে মহান আল্লাহ তায়ালার নিকট নিজেকে নিবেদিত করে। পবিত্র কোরআনে মোট ৮২ বার নামাজের কথা বলা হয়েছে। এতে বোঝা যায় এটি কতটা গুরুত্বপূর্ণ।পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায়কারী ব্যক্তি আল্লাহ তায়ালার নিকট অধিক প্রিয়।

আমাদের দৈনিক পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করতে হয় । যথা: ফজর,যোহর,আসর, মাগরিব ও এশা। এই পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের মধ্যে ফজরের নামাজ প্রথম। দিনের প্রথম ভাগে এ নামাজ আদায় করতে হয়।এ সম্পর্কে মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) বলেছেন: “যে ব্যক্তি ফজরের নামাজ আদায় করবে সে আল্লাহর জিম্মায় থাকবে।” (মুসলিম:৬৫৭)। অর্থাৎ ফজরের নামাজের গুরুত্ব অনেক।

এছাড়াও আল কোরআনে “ফজর” নামের সূরা ও রয়েছে।এর দ্বারা বোঝা গেলো সব নামাজের থেকে ফজরের নামাজের গুরুত্ব অনেক বেশি। এ নামাজ মানুষকে অলসতা ত্যাগ করে মহান আল্লাহ তায়ালার সামনে হাজির হওয়ার শিক্ষা দেয়‌, যা নিশ্চয়ই কল্যানকর।

ফজরের নামাজ

আমরা জানি, আমাদের মহানবী (সা) শবে মেরাজের রাতে আল্লাহ তায়ালার নিকট হতে আমাদের জন্য পঞ্চাশ ওয়াক্ত থেকে কমিয়ে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ নিয়ে এসেছিলেন। আল্লাহ তায়ালার দীদার লাভ করার অন্যতম উপায় হচ্ছে নামাজ।আর পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের মধ্যে সর্বপ্রথম আসে ফজরের নামাজ।

‘ফজর’ শব্দের অর্থ হচ্ছে ভোর হওয়া বা প্রভাত উদয় হওয়া । অর্থাৎ এ সময়েই রাতের অন্ধকার ঠেলে দিনের আলো উঁকি দেয়।

এ নামাজকে আল্লাহ পাক বিশেষ নামাজ বলে আখ্যায়িত করেছেন। আল্লাহ তায়ালার নিকট অধিক পছন্দনীয় নামাজ হলো ফজরের নামাজ। কারণ এ নামাজ আদায় করতে হয় ভোরের আরামের ঘুম ত্যাগ করে। আর যে ব্যক্তি নিয়মিত ফজরের নামাজে অভ্যস্ত সে আল্লাহর কাছে অধিক প্রিয়। এ নামাজ আদায়ের মাধ্যমে দুনিয়া ও আখেরাতের কল্যাণ নিশ্চিত করা সম্ভব।

ফজরের নামাজের নিয়ম
ফজরের নামাজের নিয়ম

রাকাত

ফজরের নামাজ চার রাকাত। দুই রাকাত ফরজ ও দুই রাকাত সুন্নত। ফজরের নামাজের নির্দিষ্ট ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে হয়। এক্ষেত্রে আগে দুই রাকাত সুন্নত ও পরে দুই রাকাত ফরজ নামাজ আদায় করতে হয়। ফজরের নামাজের যে সুন্নত নামাজ রয়েছে তা হলো সুন্নতে মুয়াক্কাদা । এ নামাজ ত্যাগ করলে গুনাহ হবে।সকল সুন্নত সমূহের মধ্যে ফজরের দুই রাকাত সুন্নত নামাজ অধিক উত্তম।এ সুন্নত নামাজ যে কত কল্যাণকর তা মানুষ ভাবতেও পারবে না।মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা) এসম্পর্কে বলেছেন,” ফজরের দুই রাকাত সুন্নত পুরো দুনিয়া ও দুনিয়ার মধ্যে যা কিছু আছে তার চেয়ে উত্তম।”(মুসলিম:৭২৫) সুতরাং বোঝা যায় এ নামাজ অনেক গুরুত্বপূর্ণ।

নামাজের নিয়ত

প্রত্যেক নামাজের পূর্বে নিয়ত করে নেয়া জরুরি। ফজরের নামাজের নিয়ত হিসেবে যে দোয়া পড়তে হয় তা হলো:

সুন্নত নামাজের ক্ষেত্রে নিয়ত:

“নাওয়াইতু আন্ উসাল্লিয়া লিল্লাহি তাআলা রাকয়াতাই সালাতিল ফাজরি,, সুন্নাতু রাসুলিল্লাহি তাআলা মুতাওয়াজজিহান্ ইলা জিহাতিল কা’বাতিশ শারীফাতি আল্লাহু আকবার।”

বাংলা অর্থ:

“ক্বিবলামুখি হয়ে ফজরের সুন্নত নামাজ আদায়ের উদ্দেশ্যে নিয়ত করলাম , আল্লাহু আকবার।”

ফরজ নামাজের ক্ষেত্রে নিয়ত:

“নাওয়াইতু আন্ উসাল্লিয়া লিল্লাহি তাআলা রাকয়াতাই সালাতিল ফাজরি,, ফারজুল্লাহি  তাআলা মুতাওয়াজজিহান্ ইলা জিহাতিল কা’বাতিশ শারীফাতি আল্লাহু আকবার।”

বাংলা অর্থ:

“ক্বিবলামুখি হয়ে ফজরের ফরজ নামাজ আদায়ের উদ্দেশ্যে নিয়ত করলাম , আল্লাহু আকবার।”

ফজরের নামাজের নিয়ম

এবার আসি ফজরের নামাজ কিভাবে পড়তে হয় তা নিয়ে আলোচনা করা যাক। সূর্যোদয়ের পূর্বে ফজরের নামাজ আদায় করতে হয়।ফজরের সময় শুরু হয় সুবহে সাদিক থেকে শুরু করে সূর্য উঠার আগ পর্যন্ত।

আল্লাহ তায়ালা আল-কুরআনে বলেছেন :- “তোমরা সালাত কায়েম করো দিবসের দুই প্রান্তে রজনীর কিছু অংশ অতিবাহিত হওয়ার পর। অবশ্যই সৎকর্ম অসৎকর্মকে মিটিয়ে দেয়।উপদেশ গ্রহনকারীদের জন্য এ এক উপদেশ।”  (সূরা হুদ-১১:১১৪)

ফজরের সময় দিন ও রাতের ফেরেশতাগণ উপস্থিত হন। তাই এ সময়ের নামাজ অধিক উত্তম। সব নামাজ আদায়ের পূর্বেই আগে অজু করে নিতে হয়। আর ফজরের সুন্নত ও ফরজ নামাজের নিয়ম একই। শুধু নিয়ত আলাদা।

✓ফজরের নামাজের পূর্বে ঠিকমতো ওজু করে পাক-পবিত্র হয়ে নিতে হবে।

✓তারপর জায়নামাজে দাঁড়িয়ে নিয়ত পড়ে নিতে হবে।

✓আরবি নিয়ত পড়া মুস্তাহাব।নিয়ত পড়ে কান বরাবর হাত উঠিয়ে “আল্লাহু আকবার” বলে হাত বাঁধতে হবে।

✓তারপর সানা পড়তে হবে।

সানা:

“সুবহানাকা আল্লাহুম্মা বিহামদিকা ওয়াতা ওয়া রাকাসমুকা ওয়া তায়ালা জাদ্দুকা ওয়া লা-ইলাহা গাইরুক”

✓ এরপর সূরা ফাতিহা পাঠ করে সাথে যেকোনো সূরা মিলিয়ে পড়ে নিতে হবে।

✓এরপর “আল্লাহু আকবার” বলে রুকুতে যেতে হবে। রুকুতে যাওয়ার পর তিনবার পড়তে হবে “সুবহানাকা রব্বিয়াল আযিম”।

✓ “সামিয়াল্লাহু লিমান হামিদাহ্” পড়ে রুকু থেকে উঠে “রব্বানা লাকাল হামদ” পড়ে সিজদায় যেতে হবে।

✓ সিজদায় গিয়ে তিনবার “সুবহানা রব্বিয়াল আ’লা” পড়তে হবে।

✓ সিজদাহ থেকে উঠে সোজা হয়ে বসে পুনরায় সিজদায় যেতে হবে।আগের নিয়মে তাসবিহ পাঠ করতে হবে।

✓এরপর “আল্লাহু আকবার” বলে দাড়িয়ে যেতে হবে।

✓এভাবে প্রথম রাকাত শেষ হলো। দ্বিতীয় রাকাত ও একই নিয়মে পড়তে হবে।

✓ দ্বিতীয় রাকাতের শেষে সিজদাহ থেকে উঠে বসে থাকতে হবে।

✓বসে তাশাহুদ পাঠ করতে হবে।

তাশাহুদ:

“আত্তাহিয়াতু লিল্লাহি ওয়াস সালাওয়াতু ওয়াত তায়্যিবাতি আসসালামুয়ালাইকা আয়্যুহান নাবিয়্যু ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহ্। আসসালামুয়ালাইনা আ’লা ইবাদিল্লাহিস সুয়ালিহিন, আশহাদু আল্লাহ ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়া আশহাদু আন্না মুহাম্মাদান আবদুহু ওয়া রসূলুহ্”

এখানে (আশহাদু আল্লাহ ইলাহা) বলার সময় ডান হাতের শাহাদাত আঙ্গুল উপরের দিকে উঠাতে হবে।

✓এরপর দরূদ শরীফ পাঠ করতে হবে।

সিজদায় যাওয়া
সিজদায় যাওয়া

দরূদ শরীফ:

“আল্লাহুম্মা সল্লিয়ালা মুহাম্মাদ ওয়া আলা আলি মুহাম্মাদ কামা সল্লাইতা আলা ইব্রাহীম ওয়ালা আলি ইব্রাহীম ইন্নাকা হামিদুম্মাজিদ। আল্লাহুম্মা বারিক আলা মুহাম্মাদ ওয়ালা আলি মুহাম্মাদ কামা বারতকা আলা ইব্রাহীম ওয়ালা আলি ইব্রাহীম ইন্নিকা হামিদুম্মাজিদ।”

✓এরপর দুআ মাসূরা পাঠ করতে হবে।

দুআ মাসূরা:

“আল্লাহুম্মা ইন্নি জলামতু নাফসি জুলমান কাসিরা ওয়ালা ইয়াগফিরুজ্ জুনুবা ইল্লা আন্তা ফাগফিরলী মাগফিরাতাম মিন ইন্দিকা ওয়ার হামনী ইন্নাকা আন্তাল গাফুরুর রাহীম।”

✓দুআ মাসূরা শেষ করে দুদিকে সালাম ফিরাতে হবে।আগে ডান দিকে ও পড়ে বাম দিকে সালাম ফিরিয়ে নামাজ শেষ করতে হবে।

এভাবে সুন্নত নামাজ আগে পড়ে তারপর একই নিয়মে ফরজ নামাজ আদায় করতে হবে।

কোনো কারণে ফজরের নামাজ পড়তে না পারলে বা ওই সময় জাগ্রত না হতে পারলে যখন ঘুম ভাঙবে তখন এর কাযা নামাজ আদায় করতে হবে। একই নিয়মে কাযা নামাজ আদায় করতে হয়। শুধু মনে মনে নিয়ত করতে হবে যে আমি ফজরের কাযা নামাজ আদায়ের উদ্দেশ্যে ক্বিবলামুখি হয়ে দাঁড়ালাম।

দুআ ও আমল

এবার আসি ফজরের নামাজ সময় করণীয় কিছু আমল ও দুআ সম্পর্কে। প্রত্যেক ওয়াক্ত নামাজের পর কিছু নির্দিষ্ট দুআ পাঠ করতে হয়। এতে গুনাহ মাফ হয় ও অনেক নেকী লাভ করা যায়। ফজরের নামাজের পর যেসব দুআ ও আমল করতে হয় তা ধারাবাহিকভাবে বর্ণনা করা হলো:

এক হাদিসে রাসুল (সা) বলেছেন, “যে ব্যক্তি ফজরের সালাতের পর দশ বার “লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা শারীকালাহু” পাঠ করবে তার আমলনামায় দশটি নেকি লেখা হবে, দশটি গুনাহ মাফ হবে,দশটি মর্যাদা বৃদ্ধি পাবে ও চারজন গোলাম আজাদ করার সওয়াব লেখা হবে।” (মুসনাদে আহমাদ:২৩৫১৮)

উপরোক্ত বাক্যটি যে ব্যক্তি ফজরের নামাজের পর পাঠ করে তাকে আল্লাহ সন্ধ্যা পর্যন্ত শয়তান থেকে হেফাজতে রাখেন , আর মাগরিব এর নামাজের পর পাঠ করলে পরের দিন ফজর পর্যন্ত শয়তান থেকে হেফাজতে রাখেন।

  • প্রত্যেক ফরজ নামাজের পর আয়াতুল কুরসি পাঠ করলে অনেক নেকি পাওয়া যায়। এ সম্পর্কে রসুল (সা) বলেছেন, “যে ব্যক্তি প্রত্যেক ফরজ নামাজের পর আয়াতুল কুরসি পাঠ করে , তার জান্নাতে প্রবেশ করার পথে মৃত্যু ছাড়া আর কোনো বাধা থাকবে না” (শুআবুল ঈমান:২৩৯৫)
  • ফজরের নামাজের পর নিচের দোয়াটি পাঠ করলে ভালো: “রাজিতু বিল্লাহি রব্বা ওয়াবিল ইসলামী দ্বীনা ওয়াবি মুহাম্মাদিন নাবিয়্যি” অর্থ :”আমি আল্লাহ তায়ালাকে রব হিসেবে , ইসলামকে দ্বীন হিসেবে ও মুহাম্মদ (সা)-কে  নবী হিসেবে পেয়ে সন্তুষ্ট।” এ দুআ সম্পর্কে রসুল (সা) বলেছেন,”যে ব্যক্তি সকাল ও সন্ধ্যা এ দুআটি পাঠ করবে , আল্লাহ তাকে কিয়ামতের দিন সন্তুষ্ট করে দিবেন।”  (তিরমিজী :৩৩৮৯)
  • জাহান্নাম থেকে মুক্তির দুআ : “আল্লাহুম্মা আজিরনি মিনান্ নার” হাদিসে বর্ণিত আছে ,”এ দুআটি ফজর ও মাগরিবের নামাজের পর সাতবার পাঠ করলে সেদিন যদি আমলকারীর মৃত্যু হয় তবে সে জাহান্নাম থেকে মুক্তি পাবে।” (আবু দাউদ:৫০৭৯)
  • হাদিস শরীফে সূরা ইয়াসিন এর অনেক ফজিলত বর্ণনা করা হয়েছে।তাই ফজরের নামাজের পর সূরা ইয়াসিন পাঠ করা যায়।
  • ফজরের ফরজ নামাজ শেষে তিনবার “আস্তাগফিরুল্লাহ্” পড়ে নিম্নের দুআটি পাঠ করতে হয়-

“আল্লাহুম্মা আনতাস সালাম ওয়া মিনকাস সালাম , তাবারাকতা ইয়া যাল-জালালী ওয়াল ইকরাম” এ আমলটি মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা) নিজে করতেন ও অন্যকে করতে বলতেন।

  • এছাড়াও ফজরের নামাজের পর রাসূল (সা)  ৩৩ বার “সুবহানাল্লাহ” ,৩৩ বার “আলহামদুলিল্লাহ” ও ৩৪ বার “আল্লাহু আকবার” পাঠ করতেন।
  • ফজরের নামাজের পর সূরা ইখলাস, সূরা নাস ও সূরা ফালাক ৩ বার করে পড়লে অনেক সওয়াব পাওয়া যায়।
  • ফজরের নামাজের পর ১০ বার দুরূদ শরীফ পাঠ করলে কেয়ামতের দিন রাসূল (সা) শাফা’আত লাভ করা যাবে।


ফজরের নামাজের ১০ ফজীলত

ফযীলত

ফজরের নামাজ মুমিনদের জন্য শ্রেষ্ঠ উপহার। এ নামাজ আদায়ের মাধ্যমে মহান আল্লাহ তায়ালার অশেষ রহমত পাওয়া যায়। ফজরের নামাজ আদায়ের ফযীলত অনেক। এর ফযীলত বলে শেষ করা যাবে না।

✓ হাদিসে উল্লেখ করা হয়েছে, “ফজরের সালাত হলো মুমিন ও মুনাফিকদের মধ্যে পার্থক্যকারী , কারন রসুল (সা) বলেছেন মুনাফিকদের জন্য ফজরের সালাত আদায় করা কষ্টকর!” (সহীহ বুখারী:৬৫৭,৬৪৪,২৪২০,৭২২৪) (মুসলিম:৬৬১)

✓ রসূল (সা) বলেন ,” ফজরের নামাজ আদায়কারী ব্যক্তি আল্লাহ তায়ালার জিম্মায় চলে যায়। (সহীহ মুসলিম,তিরমিজী :২১৮৪)

✓ “যে ব্যক্তি নিয়মিত ফজরের নামাজ আদায় করে সে কখনোই জাহান্নামে প্রবেশ করবে না”(সহিহ মুসলিম: হাদীস-৬৩৪)

✓ “ফজরের নামাজ আদায়ের পর ব্যক্তির মন প্রফুল্ল ও ফুরফুরে হয়ে যায়।” ( সহীহ বুখারী ও মুসলিম)

✓ ” ফজরের নামাজ আদায়কারী ব্যক্তিকে আল্লাহ তায়ালা জান্নাতের বড় নিয়ামত দান করবেন ও তার চেহারা পূর্ণিমার চাঁদের মতো করে দিবেন (বুখারী:৫৭৩)

✓ আরেক হাদীসে বর্ণিত আছে, “যে ব্যক্তি ফজরের নামাজ জামাতের সাথে আদায় করলো সে যেন সারা রাত দাঁড়িয়ে নামাজ আদায় করলো।” (সহীহ মুসলিম:৬৫৬)

✓ আল্লাহ তায়ালা ফজরের নামাজ আদায়কারীদের পূর্ণ নূরের সুসংবাদ দিয়েছেন।

✓ ফজরের নামাজ আদায়কারীর ঘরে রিজিকের বরকত আসবে। কেননা, সকালের অধিক ঘুম ঘরে রিজিক আসতে বাধা দেয়।কারণ তখন রিজিক বন্টন করা হয়।

✓ ফজরের নামাজ আদায়কারী ব্যক্তির নাম আল্লাহর দরবারে আলোচিত হয়।কারণ ফজরের সময় ফেরেশতাগণ উপস্থিত থাকেন ও তখন যারা নামাজে রত তাদের নাম নিয়ে আল্লাহর দরবারে আলোচনা করেন।

✓ ফজরের নামাজ আদায়কারীর ওপর সারাদিন রহমত ও বরকত বর্ষিত হবে।

✓ ফজরের নামাজ জামাতের সাথে আদায় করলে অধিক সওয়াব পাওয়া যায়।

✓ মোটকথা, ফজরের নামাজ আদায়কারী ব্যক্তি আল্লাহর কাছে অধিক পছন্দনীয় ব্যক্তি হিসেবে গন্য হবে।

পরিশেষে

ফজরের নামাজ আদায়ের ফলে একজন মুমিন ব্যক্তি দুনিয়া ও আখেরাতে সর্বোত্তম মর্যাদা লাভ করতে পারে। এ নামাজ অবশ্যই  একজনের মুমিনের জন্য কল্যানকর। আমাদের মধ্যে অনেকেই ফজরের নামাজটা পড়তে পারি না ঘুমে আচ্ছন্ন থাকার কারণে। কিন্তু এভাবে যে আমরা আল্লাহর অশেষ নেয়ামত থেকে বঞ্চিত হচ্ছি তা কি একবার ও ভেবে দেখেছি ?

তাই আসুন সকলে মিলে ফজরের নামাজসহ পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায়ে অভ্যস্ত হই এবং দুনিয়া ও আখেরাতের কল্যাণ নিশ্চিত করি।

Author

Leave a Comment

Scroll to Top