পেটে গ্যাস কমানোর উপায়, আল্টিমেট গাইড

পেটে গ্যাস

পেটে গ্যাস এখন একটি সার্বজনীন সমস্যা হয়ে দাড়িয়েছে। যার পেটে গ্যাসের সমস্যা আছে সেই বোঝে এই যন্ত্রণা। পেটে গ্যাস কম বেশি সবার হয়ে থাকে। গ্যাসের সমস্যা নেই এমন মানুষ খুজে পাওয়া দুষ্কর। সবার সাথে বসে কথা বলছেন হঠাৎ পেটে নিন্মমুখী চাপ, অর্থাৎ গ্যাস। ছোটোদের তুলনায় বয়স্করা এই সমস্যায় বেশি পরেন। তবে ছোটোরও এখন এই সমস্যায় ভুগে থাকে। পেটে গ্যাস কেন হয় সে সর্ম্পকে পরিষ্কার ধারণা থাকলে সহজেই অপ্রিতিকর অবস্থা এড়ানো যাবে। চলুন তাহলে জেন নেই পেটে গ্যাস কি? কেন পেটে গ্যাস  হয়? গ্যাস কমানোর উপায় সমূহ কি?

পেটে গ্যাস কি?

পেটে গ্যাস কমাতে বা এর চিকিৎসা নেওয়ার আগে আমাদের আগে জানতে হবে পেটে গ্যাস আসলে কি। পেট ফাপা বা ফুলে থাকাকে আমরা সাধারণত পেটে গ্যাস বলে থাকি। পেটে গ্যাস একটি অস্থিকর অবস্থার কারণ।

পেটে যখন খাবার দীর্ঘ সময় থাকে, তখন জীবাণুগুলো দীর্ঘ সময় সক্রিয় থাকতে পারে এবং পেটে গ্যাস তৈরি করে। বয়স বাড়ার সাথে সাথে হজমশক্তিও কমে যায়, যা আরও গ্যাস গঠনের দিকে নিয়ে যায়।

পেটে গ্যাস কেন হয়?

আঁশযুক্ত খাবার ও শাকসবজি বেশি খেলে পাকস্থলী তা সবটা সহজে পরিপাক করতে পারে না। খাবারের কিছু অংশ অপরিপাক অবস্থায় চলে যায় ক্ষুদ্রান্ত্রে। সেখানে থাকা ব্যাকটেরিয়া ওসব খাবার খেয়ে থাকে। এদের আয়ু খুব কম সময়। এসব মৃত ব্যাকটেরিয়াগুলো থেকে গ্যাস তৈরি হয়। অস্বস্তির হওয়ার কারণ এটাই।

তাই সকাল ও দুপুরে শাকসবজি-ফলমূল পরিমিত পরিমানে খাওয়া ভালো হবে। দিনে খেলে তেমন সমস্যা নেই, কারণ হাঁটা-চলাফেরায় থাকলে খাদ্য সহজে হজম  হয়ে যায়। বিকেল ও রাতে ওসব খাবার পরিমানে কম খেতে হবে।

ঘন ডালও সহজে পরিপাক হতে চায় না। ফল বা ফ্রুকটোজও দুর্ভোগের কারণ হতে পারে। এছাড়া কিছু মিষ্টি বা ওষুধ পেটে গ্যাস সৃষ্টি করতে পারে।কিছু মেডিকেল কারণেও পেটে গ্যাস হতে পারে। পরিমিত আহার গ্যাসের প্রকোপ কমাতে পারে। এছাড়া পেটে গ্যাস হওয়ার আরেকটি কারণ দীর্ঘ সময় না খেয়ে থাকা। ব্যাস্ততার কারণে অনেক সময় দেখা যায় খাবার খেতে বিলম্ভ হয়। সকালের খাবার দেরিতে খাওয়া পেটে গ্যাস এর অন্যতম একটি কারণ। কর্ম ব্যস্ততার কারণে অনেকেই বাসার খাবার না খেয়ে বাইরে খেয়ে থাকে। এটাও পেটে গ্যাস হওয়ার আরেকটি কারণ।

কারও গ্যাসের সমস্যা দীর্ঘদিন চলতে থাকলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। পেটে গ্যাসের দীর্ঘস্থায়ী সমস্যার কারণে ক্যানসারের লক্ষণও হতে পারে।

পেটে গ্যাস কমানোর উপায়
পেটে গ্যাস

পেটে গ্যাস এর লক্ষণ

পেটে গ্যাস হয়েছে কি না কিছু উপসর্গ দেখেই তা বুঝতে পারবেন, যেমন ঢেঁকুর তোলা, পেট ফাপিয়ে যাওয়া, পেট ফুলে উঠা, বুকে ব্যথা ইত্যাদি, চলুন দেখে নেই পেটে গ্যাস এর উপসর্গ কি কি।

ঢেঁকুর তোলা

পরিপাক নালির উপরের অংশে অত্যাধিক বায়ু জমা থেকে এটা ঘটে। গেলা বা কথা বলার সময় এই বায়ু বের হতে পারে, যার ফলে মুখের দুর্গন্ধ হয়ে থাকে। কথা বলার মধ্যে ঢেঁকুর তোলা খুবই অস্থিকর একটা ব্যাপার।

পেট-ফাঁপা

বৃহদন্ত্রে  গ্যাস বা বায়ু জমার কারণে এই সমস্যাটি হয়। এর প্রধান কারণ হল ব্যাক্টেরিয়া দ্বারা গেঁজিয়ে ওঠা খাবার বা (ফাইবার) অথবা মিশ্রিত কার্বোহাইড্রেট (শর্করা) ভাঙন। কোন কোন সময় খাবারের অর্ধ হজমের কারণে গ্যাস সৃষ্টি হতে পারে।

পেট ফুলে ওঠা

আন্ত্রিক গ্যাসের খুব বেশি জমা হওয়া ছাড়াই পেটের একটা ভরভর্তি ভাবের অনুভূতি। অনেক সময়ই পেটভার অনুভব হয় এবং সৃষ্ট গ্যাস ঢেঁকুর তোলা বা বাতকর্মের দ্বারা বার করতে সক্ষম হন না।

পেটে গ্যাস এর চিকিৎসা

আন্ত্রিক গ্যাসের উৎপাদন কমাবার জন্য কোনও নির্দিষ্ট চিকিৎসা নেই; এটা সাধারণত উপসর্গমূলক এবং সবচেয়ে প্রধান পদক্ষেপ হিসাবে খাদ্যগত পরিবর্তন আনা দরকার পরে।

প্রেসক্রিপশন ছাড়া যে ওষুধগুলো পাওয়া যায় সেগুলি আন্ত্রিক গ্যাসের দ্বারা ঘটিত অস্বস্তি থেকে কিছুটা মুক্তি দেয়। পেট থেকে বার হওয়া বায়ুর সাথে সালফাইড মিশ্রিত থাকে যা থেকে দুর্গন্ধ সৃষ্টি হয়। দুর্গন্ধ কমাতে বিসমুথ স্যালিসাইলেট (অম্লনাশক ওষুধ) সাহায্য করে। যারা আইবিএস জনিত কারণে ভুগছেন তাঁরা খিঁচুনিরোধক ওষুধ থেকে উপকার পেতে পারেন, যা অতিরিক্ত আন্ত্রিক গ্যাসের জন্য সৃষ্ট খিঁচুনির মত ব্যথা কমাতে সাহায্য করে। এছাড়া এন্টিবায়োটিক প্রয়োগ করা যেতে পারে সেক্ষেত্রে চিকিৎসক এর পরামর্শ গ্রহণ করা ভালো।

পেটে গ্যাস কমানোর উপায়

খাবারের ক্ষেত্রে কিছু নিয়ম কানুন মেনে চললে পেটে গ্যাস জমে না, নিচে পেটে গ্যাস হলে করণীয় কিছু কার্যকারী উপায় তুলে ধরা হলোঃ

তেল জাতীয় খাবার পরিহার: ডুবো তেলে ভাজা যেকোনো ধরণের তৈলাক্ত খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। এছাড়া যেকোন তেলের খাবার এড়িয়ে চলতে হবে৷

শাক-সবজি: যেসব সবজি সহজে হজম হয় না যেমন, ব্রকলি, ফুলকপি, বাঁধাকপি, পালং শাকে থাকা র‍্যাফিনোজ নামক উপাদান পেটে গ্যাস তৈরি করতে পারে। এই সবজিগুলো খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে।

ডাল জাতীয় খাবার এড়িয়ে চলতে হবে: গ্যাস হলে যেকোনো ধরণের ডাল যেমন, মসুরের ডাল, বুট, ছোলা, বীণ, সয়াবিন ইত্যাদি খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। কারণ এগুলোতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন, সুগার ও ফাইবার যা সহজে হজম হয় না এবং গ্যাসের সমস্যা সৃষ্টি করে।

খাবার খেয়েই ঘুমাবেন না: খাবার খাওয়ার সাথে সাথে ঘুমিয়ে পরা যাবে না। কারণ খাবার হজম না হলে পেটে গ্যাস তৈরি হয়। খাওয়ার অন্তত ১/২ ঘন্টা পরে ঘুমাতে যাবেন। খাওয়ার পরে একটু হাটাহাটি করলে হজম ভালো হয়।

সময়মতো খাওয়ার অভ্যাসঃ সময়মতো খাওয়ার অভ্যাস করতে হবে। বেশি সময় পেট খালি রাখা থেকে বিরত থাকতে হবে। সকালের খাবার সকালে তাড়াতাড়ি খাওয়ার অভ্যাস করতে হবে।

জীবনধারায় পরিবর্তনঃ আন্ত্রিক গ্যাসের উৎপাদন কমাতে সবচেয়ে সহজ উপায় অবলম্বন করা যেতে পারে। আর সহজ উপায়টা হচ্ছে, খাদ্যতালিকা কিছুটা বদলে ফেলা যায়। যেমন খাবারের পদ যেগুলি গ্যাস উৎপাদনের করে সেগুলি এড়িয়ে চলা হলো জীবনধারায় বদল আনার প্রধান অবলম্বন।

এগুলির মধ্যে বাঁধাকপি জাতীয় সবজিসমূহ, আপেলের মত তন্তু বা আঁশযুক্ত ফলসমূহ, চিনি এবং চিনির বিকল্পগুলি, ধূমপান, এবং মদের মত পানীয়গুলি এড়িয়ে চলা। মানসিক চাপও হজম-প্রক্রিয়ার বাধা ঘটায়, যা বর্ধিত আন্ত্রিক গ্যাস সৃষ্টির কারণ হতে পারে। সেজন্য, মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণ একটা অবশ্য কর্তব্য।

নিয়মিত ব্যায়াম শরীরকে, বিশেষ করে পেটের পেশীগুলিকে, টানটান এবং হজমের নালীকে সক্রিয় রাখতে সাহায্য করে।

ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে, কারণ- স্থূলতা হজমের সমস্যা হওয়ার একটি বড় কারণ। অনেকক্ষণ খালি পেটে থাকা যাবে না। এতে গ্যাস ও অ্যাসিডিটি হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়।

প্রতি দু’ঘন্টা অন্তর অন্তর কিছু খাওয়ার চেষ্টা করতে হবে। রাতে খাওয়ার অন্তত এক থেকে দু’ ঘণ্টা পর ঘুমোতে গেলে ভালো হয়। সম্ভব হলে খাওয়ার পর কিছুক্ষণ হাঁটার অভ্যাস করুন। একেবারে অনেক বেশি না খেয়ে অল্প পরিমাণে বার বার খাওয়ার চেষ্টা করতে হবে।

পেটে গ্যাস কমানোর ঘরোয়া উপায়

পেটে গ্যাসের সমস্যা দেখা দিলে সাথে সাথে ডাক্তারের কাছে না গিয়ে কিছু ঘরোয়া পদ্ধতিতে গ্যাস কমানো যেতে পারে। কেননা ঘরোয়া উপাদানে এমন কিছু উপাদান থাকে যা থেকে আমরা পেটে গ্যাস এর সমস্যার সমাধান পেতে পারি। চলুন তাহলে জেনে নেই কিভাবে ঘরোয়া উপায়ে পেটে গ্যাস কমানোর উপায়।

নিচে গ্যাস কমানোর কয়েকটি উপায় তুলে ধরা হলোঃ

*ঠান্ডা দুধঃ পেটে গ্যাস জমলে তা দূর করার জন্য ঠান্ডা দুধ খাওয়া যেতে পারে। এটি একটি কার্যকরী উপায়। ঠান্ডা দুধ পাকস্থলির গ্যাস্ট্রিক এসিডকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। ফলে অ্যাসিডিটি থেকে মুক্তি মিলবে দ্রুত।

*পুদিনা পাতাঃ পেটে গ্যাস জমলে চার-পাঁচটি পুদিনা পাতা পানিতে ফুটিয়ে খেতে পারেন। এতে পেটের গ্যাস তো দূর হবেই, সেইসঙ্গে বমি বমি ভাব সমস্যাটাও দূর হবে।

*কলা ও কমলাঃ পেটের গ্যাস থেকে মুক্তি দিতে পারে কলা ও কমলা। এই দুটি ফল পাকস্থলির অতিরিক্ত সোডিয়াম দূর করতে সাহায্য করে। ফলে গ্যাসের সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যেতে পারে। কলা কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতেও বেশ কার্যকরী ফল।

*পেপেঃ পেঁপেতে রয়েছে পাপায়া নামক এনজাইম যা হজমশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। নিয়মিত পেঁপে খাওয়ার অভ্যাস করলে গ্যাসের সমস্যা অনেকটা কমার সম্ভাবনা থাকে।

*আদাঃ আদা সবচাইতে কার্যকরী অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদানসমৃদ্ধ উপাদান। পেট ফাঁপা এবং পেটে গ্যাস হলে আদা কুচি করে লবণ দিয়ে কাঁচা খাবেন, দেখবেন গ্যাসের সমস্যা সমাধান।

লবঙ্গঃ ২/৩টি লবঙ্গ মুখে দিয়ে চিবালে বুক জ্বালা, বমিবমিভাব, গ্যাসভাব দূর হয়। সঙ্গে মুখের দুর্গন্ধও দূর হয়। লবঙ্গের মতো এলাচ গুঁড়া খেলেও গ্যাস্ট্রিক দূরে থাকে।

*দারুচিনিঃ হজমের জন্য খুবই ভালো একটি উপাদান । এক গ্লাস পানিতে আধা চা চামচ দারুচিনির গুঁড়ো দিয়ে ফুটিয়ে দিনে ২ থেকে ৩ বার খেলে পেটের গ্যাস দূরে থাকবে।

উপরোক্ত ঘরোয়া উপায়গুলো অবল্ববন করে পেটে গ্যাস কমানো যেতে পারে। তবে সমস্যা বেশি হলে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে। কেননা পেটে গ্যাস সমস্যা আলসার পর্যায়ে যেতে পারে।

পেটে গ্যাস হলে কি ওষুধ খাওয়া যাব?

পেটে যদি অসস্থিকর গ্যাসের যন্ত্রণা হয়  তাহলে দোকান থেকে গ্যাস নিরাময়ের ঔষধ কিনে খাওয়া যেতে পারে। প্রথমে এন্টারসিট দিয়ে শুরু করুন যেগুলো চুষে খেতে হয় যদি এন্টাসিডে কাজ না হয় তাহলে কম পাওয়ারের যে গ্যাস নিরাময়ের ঔষধ পাওয়া যায় সেগুলো খেতে পারেন। তবে গ্যাস কমানোর জন্য প্রথমেই হাই পাওয়ারের ঔষধ খাওয়া থেকে অবশ্যই বিরত থাকতে হবে।

পেটে গ্যাস হলে করণীয়?

পেটে গ্যাস হলে যা যা খাবেন না

১.ডাল ও ডাল জাতীয় খাবার ডাল, বুট, ছোলা, বীণ, সয়াবিন ইত্যাদি ধরণের খাবার গ্যাস উৎপন্নকারী খাবার। এগুলোতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন, সুগার ও ফাইবার যা সহজে হজম হয় না। ফলে পেটে গ্যাস জমে পেটে অসস্থি হয়।

২.ব্রকলি, পাতাকপি, বাঁধাকপি এইধরনের সবজিতে আছে ‘রাফিনোজ’ নামক একধরণের সুগার উপাদান যা সহযে হজম হয় না। এই অবস্থায় পেটে গ্যাসের সমস্যা বৃদ্ধি পায়।

৩. আপেল ও পেয়ারা এই ধরনের ফলে আছে ফাইবার,ফ্রুক্টজ ও সরবিটোল নামক সুগার যা সহজে হজম হয় না। এগুলো খাওয়ার পরে পেটে গ্যাস সৃষ্টি হতে পারে।

৪. লবণাক্ত খাবার লবণের সোডিয়াম অনেক বেশি পানিগ্রাহী। অতিরিক্ত লবণাক্ত খাবার খেলে দেহে পানি জমার সমস্যা দেখা দেয়। পাকস্থলীতেও সমস্যা শুরু হয় ও খাবার হজম হতে চায় না।

৫. লবণাক্ত খাবারঃ লবণের মধ্যে থাকা সোডিয়াম অনেক বেশি পানিগ্রাহী। অতিরিক্ত লবণাক্ত খাবার খেলে দেহে পানি জমে এতে পাকস্থলীতেও সমস্যা শুরু হয় এবং খাবার হজম হতে চায় না।

৬. দুধ ও দুগ্ধজাত খাবারঃ দুগ্ধজাত খাবার খাওয়ার পর যদি দেখেন পেটে গ্যাস হচ্ছে তাহলে বুঝতে হবে এগুলো আপনার পেটে হজম হচ্ছে না। এমন হলে দুগ্ধজাত খাবার এড়িয়ে চলতে হবে।

পেটে গ্যাস কমাতে ব্যায়াম

ব্যায়াম করলে শরীর ভালো থাকে তা আমরা সবাই জানি। কিন্তু নিয়মিত শরীর চর্চা গ্যাস্ট্রিক সমস্যারও সমাধান দেয় তা অনেকেই হয়ত জানে না। প্রতিদিন ৩০ মিঃ বা ১ ঘন্টা হাটাহাটিতে হজম ভালো হয়। এছাড়া দড়ির লাফ, দৌড় গ্যাস্ট্রিকের ব্যাথা কমাতে সাহায্য করে। খাওয়ার পরে কিছুক্ষন হাটার অভ্যাস করা সাস্থ্যের জন্য ভালো।

উপরোক্ত আলোচনা হতে পেটে গ্যাস কি? পেটে গ্যাস কেন হয়? পেটে গ্যাস কমানোর উপায় সর্ম্পকে একটা ধারণা পাওয়া যাবে আশা করি।

পেটে গ্যাস সর্ম্পকে পরিষ্কার ধারণা থাকলে সহজেই এই সমস্যার সমাধান পাওয়া যাবে। পেটে গ্যাস খুবই অসস্তিকর একটা অবস্থা। এর থেকে মুক্তি পেতে হলে এই  সর্ম্পকে পরিষ্কার একটি ধারণা থাকতে হবে৷ এছাড়া রুটিনমাফিক জীবন যাপন সুসাস্থ্যের চাবিকাঠি।

Scroll to Top