Last Updated on 7th April 2024 by Mijanur Rahman
দক্ষিণ কোরিয়া, সৌন্দর্যের এক স্বর্গীয় লীলাভূমি, আরব্য রজনীর আলাদীনের চেরাগ কিংবা রূপকথার কল্পনার রাজ্যের গল্প কখনো বাস্তব হয়না। কিন্তু সারা পৃথিবীতে এমনকিছু দেশ আছে,যাদের সৌন্দর্যের আভিজাত্য অবাক করা রুপকথার গল্পকেও হতভম্ব করে দেয়। বোঁচা নাক,ছোট চোখ আর ধবধবে সাদা চেহারা মনের অন্তনীলে কল্পনা করলে এতক্ষণে নিশ্চয়ই বুঝে ফেলার কথা কোন দেশটির কথা বলা হচ্ছে। জ্বী ঠিকই ধরেছেন! পৃথিবীতে অবস্থান করা স্বর্গীয় উদ্যান দক্ষিণ কোরিয়ার কথাই বলা হচ্ছে। এইতো গেলো ভূমিকা! চলুন এবার দেশটির আপাদমস্তকে প্রবেশ করা যাক!
কোরিয়ান যুদ্ধ, উৎপত্তি ও ইতিহাসঃ
সময়টা তখন ১৯৪৫ সাল। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের রমরমা হত্যাষজ্ঞ সবেমাত্র থেমেছে। এদিকে প্রায় ৩৫ বছর জাপানের দখলে থাকা কোরিয়ানদের পরাশক্তি থেকে মুক্তি পাবার সম্ভাবনা বেড়েছে। কারন কোরিয়ানরা উত্তর ও দক্ষিণ দিক থেকে যথাক্রমে সোভিয়েত ইউনিয়ন আর আমেরিকানদের সাপোর্ট পেয়েছে।অনেক ত্যাগ-তিতিক্ষা আর রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের পরিশেষে জাপান কোরিয়ানদের কাছে ১৯৪৮ সালের ১৫ই আগষ্ট আত্মসমর্পণ করে।
তো সবকিছু যদি এখানেই “Good Ending ” হত,তাহলে খুব ভালো হত। কিন্তু তা হয়নি। সোভিয়েত ইউনিয়নের(রাশিয়া) সমাজতান্ত্রিক আহাজারি উত্তর কোরিয়ানদের বশ করে ফেলে।অপরদিকে আমেরিকানদের পুঁজিবাদী থিউরি দক্ষিণ কোরিয়ানদের রক্তে মিশে যায়।যার কারনে কোরিয়ানে উত্তর ও দক্ষিন দুটি অংশে দুরকম ভিন্ন ধ্যান-ধারনার উন্মেষ ঘটে। এছাড়াও দুটি দেশের সরকারী দলও ছিলো ভিন্ন। যেখানে উত্তর কোরিয়ার প্রধানমন্ত্রী ছিলো “KIM IL SUNG” আর দক্ষিণ কোরিয়ান প্রধানমন্ত্রী ছিলো “SYNGMAN RHEE”। তথাপি কোরিয়ান দেশটির দুটি অংশে যুদ্ধ বিগ্রহ লেগেই থাকত।
এসব যুদ্ধ বিগ্রহের জের ধরে ১৯৫০ সালের ২৩ই জুন উত্তর কোরিয়ার সরকার দক্ষিণ কোরিয়াতে আক্রমণ করার জন্য ৭৫ হাজার সৈন্য দক্ষিণ কোরিয়াতে পাঠায়। যার পিছনে সোভিয়েত ইউনিয়ন ও চীনের হাত ছিলো।যখনি সৈন্যরা 38th parallel অতিক্রম করে,যেটা ছিলো উত্তর-দক্ষিণ কোরিয়ার মধ্যখানের সীমানা।ঠিক তখনি সেখানে একটি ঠান্ডা যুদ্ধ শুরু হয়।এখানেই উত্তর কোরিয়ান সৈন্যরা পরাজিত হয়। কিন্তু যুদ্ধটা শেষ হয়নি।এই যুদ্ধটাকে কেন্দ্র করে বিশাল বড় যুদ্ধের দামামা বাজে উত্তর ও দক্ষিণ কোরিয়ার মাঝে।যেটা আবার ” Cold War ” (স্নায়ুযুদ্ধ) নামে পরিচিত।৫ মিলিয়নের উপর মানুষ নিহত হয় এই যুদ্ধে। অনেকে এটাকে “তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ” নামেও অভিহিত করে।কারন এই Cold War যুদ্ধটি ছিলো প্রথম-দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ আর ভিয়েতনাম যুদ্ধ থেকেও ভয়ানক।
যাইহোক অবশেষে ১৯৫৩ সালে দক্ষিণ কোরিয়ার পক্ষ থেকে আমেরিকানরা পারমাণবিক বোমা ছোড়ার হুমকি দিলে এই Cold War নামে খ্যাত যুদ্ধটি থামে এবং দক্ষিণ কোরিয়া উত্তর কোরিয়া থেকে চিরকালের জন্য বিভক্ত হয়ে যায়।ঠিক এখান থেকেই “দক্ষিণ কোরিয়া” একটি স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে পথচলা শুরু করে।
সংস্কৃতি ও জীবনধারাঃ
কনফুসিয়াস,বৌদ্ধ আর খ্রিস্টান -এই তিন ধর্মের মহামিলনে গড়ে উঠেছে দক্ষিণ কোরিয়ার সংস্কৃতি ও জীবনধারা। বিশেষ করে বৌদ্ধ ধর্মের আধ্যাত্মিক বিশ্বাস দক্ষিণ কোরিয়ার বেশিরভাগ মানুষের মনে প্রাণে গেঁথে গেছে।গৌতম বুদ্ধের শান্তির বাণী মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে দক্ষিণ কোরিয়ার সরকার দেশটিতে গড়ে তুলেছে হাজারখানেক বৌদ্ধ উপাসনালয়। যেখানে প্রতিদিন লাখ লাখ মানুষ আসে গৌতম বুদ্ধের পায়ের ধূলি কপালে মাখিয়ে নিজেদের কপালের অবস্থা পরিবর্তন করার জন্য।
এখানকার মানুষের পোশাকে যেই একটা মৌলিকতা আর বৈচিত্র্যময়তার ছাপ বিদ্যমান,সেটা দক্ষিণ কোরিয়াকে সারা দুনিয়ায় মানুষের সামনে এক অন্যরকম পরিচয় বহন করেছে।বিশেষ করে মেয়েদের সাংস্কৃতিক পোশাকে রয়েছে একটা রাজকীয় ভাব।দেখলে মনে যেন কোনো রঙতুলিতে আকাঁ এক চোখ জুড়ানো চিত্র।
দক্ষিণ কোরিয়ার ঐতিহ্যবাহী পোশাকের নাম “The Hanbok”. এই পোশাকটির মাধ্যমে কোরিয়ানদের জাতিগত গৌরবতা ফুটে উঠে।খ্রিস্টপূর্ব ৩৮ অব্দে দ্যা গুরুরইয়ো রাশবংশে সবপ্রথম এই পোশাকটির উৎপত্তি ঘটে।জ্যাকেট,প্যান্ট,স্কার্ট, ট্রাউজার ইত্যাদি উপকরণ মিলিয়ে পোশাকটি পড়া হয়।পোশাকটি গায়ে পড়ার একটা বিশেষ কারন হলো নারী পুরুষের উদ্যম স্বাধীনতা ও সৌন্দর্যতার প্রতীক হিসেবে।সাধারণত কোরিয়ানরা বিভিন্ন আনন্দ অনুষ্ঠান কিংবা বিবাহ বার্ষিকিতে পোশাকটি পড়া হয়।১৯ শতকের পর থেকে কোরিয়ান মানুষরা পশ্চিমা পোশাকের প্রতি অতিরিক্ত হারে ঝুকে পড়ে।তাইতো ১৯৯৬ সাল থেকে কোরিয়ান সরকার ২১ই অক্টোবরকে ” “হানবুক ডে” হিসেবে চালু করে,মানুষকে এই হানবুক ড্রেস পরতে উৎসাহিত করার জন্য।
খাবার দাবারেও দক্ষিণ কোরিয়ার জুড়ি মেলা ভার। এই দেশের সম্পূর্ন সমাজব্যবস্থা চলে কৃষিকাজের উপর। প্রতিবছর কোরিয়ানরা বিভিন্ন আনন্দ-উৎসব করে যাতে তাদের প্রত্যেক বছর ফসল উৎপাদন ভালো হয়। কোরিয়ানরা খাবারের মধ্যে ভাত, নুডলস, সবজি আর মাংস খেতে সবচেয়ে বেশি পছন্দ করে।তবে কিছু খাবার আছে যেগুলো কোরিয়াতে সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয়। যেমনঃ bibimbap, bulgogi and dakgalbi.
কোরিয়ানদের পুরো সংস্কৃতি জুড়ে আছে পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতা আর একে অপরের প্রতি সম্মানবোধ।বিশেষ খাবারের টেবিলে কিছু আদর্শিক নিয়মকানুন আছে যেগুলো কোরিয়ানরা খুব জোর দিয়ে মেনে চলে।যেমনঃ
- পরিবারে বয়সে সবচেয়ে বড় মানুষটা খাবারের টেবিলে সবার প্রথমে বসবে।
- যদি কোনো মেহমান বলে “Jal meokkessumnida” অর্থাৎ “আমি খাবারটা খুব উপভোগ করছি।” এটা হবে খাবারের আয়োজনকারীর প্রতি সম্মান প্রদর্শন।
- মুখ বন্ধ করে খাবার চিবোতে হবে এবং খাওয়ার সময় শব্দ করা যাবেনা।
- নিচু টেবিলে খাবার রেখে হাটু গেড়ে বসতে হবে।
খাবার দাবার ছাড়াও কোরিয়ানরা তাদের চলাফেরাতেও এক অন্যরকম বৈচিত্র্য টেনে নিয়ে আসে। প্রতিদিন কাজ শেষে বাড়িতে গরম পানির কুয়োতে ক্লান্ত শরীর এলিয়ে দেয়। এতে নাকি চামড়া থেকে পুরোনো কোষ খসে পড়ে এবং শরীর সতেজ ও আনন্দে উদ্বেলিত হয়।
কোরিয়ান ভাষাঃ
কোরিয়ান ভাষার অফিসিয়াল নাম Hangul. ১৪৪৬ সালে Chosŏn (চুজন) রাজবংশের চতুর্থ রাজা Sejong সর্বপ্রথম হাংগুল ভাষাকে লিখিত রুপদান করেন এবং ভাষাটিতে অফিশিয়ালি কোরিয়ানদের মাতৃভাষা হিসেবে ঘোষনা করেন।এরপর থেকে কোরিয়ানদের শিক্ষা সংস্কৃতিতে হাংগুল ভাষা ব্যবহার করা শুরু হয়।
কোরিয়ান ভাষায় মোট ২৪টি বর্ণমালা বিদ্যমান,যার মধ্যে ১০টি Vowel এবং ১৪টি Consonant. Vowel বর্নমালা গুলো দেখতে লম্ব কিংবা সরলরেখার মতন।অন্যদিকে Consonant বর্ণগুলি দেখতে ত্রিভুজ -চতুর্ভুজের মতন।
কোরিয়ান ভাষা হাংগুল একটি বিজ্ঞানসম্মত ভাষা। তার উপর একটা মজার ভাষাও বটে। সবচেয়ে মজার ব্যাপার হলোঃ আপনি যখন হাংগুল ভাষার কোনো বর্ণ উচ্চারণ করবেন তখন আপনার ঠোটদুটি ঠিক যেমন আকৃতি ধারন করবে, ঔ বর্ণটার আকৃতিটাও ঠিক একই রকম।যেমন আপনি উপরের চিত্রটিতে Vowel বর্নমালার কাতারের ৫ নম্বর বর্নটি উচ্চারণ করুন।নিচে ইংরেজি উচ্চারণ দেওয়া আছে।বর্ণটির উচ্চারণ “O”। তো যখন আপনি ” O” বললেন আপনার উপরের ঠোটের মাঝখানে অংশটা উপরের দিকে লম্বের মতন চলে গেলো আর নিচের ঠোঁটটা সরলরেখার মতন প্রসারিত থাকল। এবার দেখুন হাংগুল ভাষার “O” বর্ণটির আকৃতিটাও ঠিক এমন,মাঝখানে একটা লম্ব আর নিচে একটা সরলরেখা।
কোরিয়ান ভাষা হাংগুল শিখতে আপনাকে খুব বেশি পরিশ্রম করতে হবেনা। আপনি যদি হাংগুল বর্নমালার উচ্চারণ, গ্রামার, শব্দার্থ ইত্যাদি প্রতিদিন চর্চা করতে থাকেন,তবে মোটামুটি ৩ মাসের ভিতর আপনি হাংগুল ভাষায় পন্ডিত হয়ে উঠতে পারবেন। তবে সেই সাথে হাংগুল ভাষায় রোজ কথা বলা চর্চা করতে হবে এবং সাথে কোরিয়ান ড্রামাও দেখতে পারেন।
আরো পড়ুনঃ ওমান দেশটি আসলে কেমন? ওমানের ১৭ গুরুত্বপূর্ণ বিষয়!
কোরিয়ান মেয়েদের রূপের রহস্যঃ
ঐতিহ্যগতভাবে দক্ষিণ কোরিয়ার মেয়েদের সৌন্দর্যের আবছায়া সারা পৃথিবীর আকর্ষণকে দখল করে রেখেছে। মুগ্ধ করে দিয়েছে শতকোটি মানুষের হৃদয়কে। প্রশ্ন হলো কিভাবে দক্ষিণ কোরিয়ান মেয়েরা তাদের চিরযৌবনা ধরে রাখে? কি এমন গোপন জিনিস ব্যবহার করে দক্ষিণ কোরিয়ান মেয়েরা তাদের রুপের আগুন শতগুনে বাড়িয়ে তোলে? কেনইবা মানুষরা কোরিয়ান মেয়েদের রুপের মুগ্ধতায় মশগুল হয়ে যায়? ওয়েল! এই পর্যায়ে আমরা এই প্রশ্নগুলির উত্তর খুঁজে বের করব।
জাতিগতভাবে দক্ষিণ কোরিয়ার মেয়েরা প্রাকৃতিক তত্ত্বে বিশ্বাসী। তারা বিশ্বাস করে “পৃথিবীতে আমাদের যা কিছু দরকার,তার সবকিছুই স্রষ্টা প্রকৃতিতে দু’হাত ভরে দিয়েছে। এজন্য আমাদেরকে কৃত্রিমতা অবলম্বন করার প্রয়োজন নেই”। যেই কারনে দক্ষিণ কোরিয়ান মেয়েরা রুপচর্চার ক্ষেত্রে কৃত্রিমভাবে তৈরী করা প্রডাক্টের আগে প্রাকৃতিকভাবে তৈরি হওয়া প্রডাক্টগুলোকে বেশি মনোযোগ দেয়। তাইতো কোরিয়ান মেয়েরা গায়ে মাখা লোশন থেকে শুরু করে মাথায় দেওয়া তেল পর্যন্ত সবকিছুই প্রাকৃতিক নির্যাস থেকে নিজেরাই বানায়। ভিটামিন ই তেলকে প্রাধান্য দেওয়া হয় শরীর মশ্চেরাইজেশন করার জন্য।
কোরিয়ানদের মেয়েদের হোমমেইড বিউটি প্রোডাক্টঃ
- শশা মাস্কঃ শশাতে রয়েছে ভিটামিন এবং প্রচুর পরিমাণে এন্টিঅক্সিডেন্ট যা ত্বককে রোদের আক্রমণ রক্ষা করে। বিশেষ করে সমুদ্রতীরে রোদে বসার জন্য এই মাস্ক ব্যবহার করাটা ভালো। তৈরী করার জন্য যা যা লাগবেঃ (১টি শশা,২০ গ্রাম ময়দা )। যা করবেনঃ শশাটি ভালোভাবে ধুয়ে শশার ভিতরের অংশটুকু নিন। এরপর তা পাউডারের সাথে মেশান।যদি পারেন সাথে আধা চামচ মধু মেশাতে পারেন।এরপর তা আলতো করে মুখে মাখুন। এরপর ১৫ মিনিট পর ধূয়ে ফেলবেন।আর অবশ্যই চোখের সংস্পর্শ থেকে দূরে রাখবেন।
- আলু মাস্কঃ চেহারার উজ্জ্বলতা বাড়াতে এই মাস্কটি কার্যকরী ভূমিকা পালন করবে। বিশেষ করে ত্বকের তেলতেলা ভাব দূরীকরণে এই মাস্কটি সুদূরপ্রসারী কাজ করে দেখাবে। যা যা লাগবেঃ (১টি আলু, ১২ গ্রাম ময়দা). যা করবেনঃ আলুটাকে ধূয়ে কুচি কুচি করে কেটে ব্লেন্ডারে ঢেলে দিবেন।তরল হবার তা ১২ গ্রাম ময়দার সাথে মেশাবেন।সাথে এলোভেরা আর মধুও মেশাতে পারেন।১৫ মিনিটের জন্য মুখে লাগিয়ে রাখুন এবং এরপর ধূয়ে ফেলুন।
এসব ছাড়া কোরিয়ান মেয়েরা তাদের চেহারার সৌন্দর্য ধরে রাখতে “Sheet Mask ” ব্যবহার করে থাকে। এই মাস্কটি কোরিয়ার বিভিন্ন সুপার শপে পাওয়া যায়।চিন্তার কিছু নেই। এই মাস্কটিও প্রাকৃতিক নির্যাস থেকে তৈরী। মুখের দাগ-ছোপ আর গর্ত দূর করতে মাস্কটি খুব কাজে দেয়।
জনসংখ্যা ও ভৌগোলিক পরিমণ্ডলঃ
দক্ষিণ কোরিয়া অবস্থিত পূর্ব এশিয়ায়। এর পশ্চিমে রয়েছে পীত সাগর,দক্ষিনে পূর্ব চীন সাগর পূর্বে জাপান সাগর। বড় বড় পাহাড় পর্বত আর ছোট ছোট উপত্যাকা নিয়ে গঠিত এই দেশটির মোটামুটি আয়তন ১০০,১২৭ বর্গকিলোমিটার। দক্ষিণ কোরিয়ার প্রায় ৩০ শতাংশ এলাকা নিম্নভূমি, যার অধিকাংশই সমুদ্র উপকূলীয় অঞ্চলে অবস্থিত। তবে কিছু নদীনালাও আছে।যেমনঃ এদের মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণগুলি হল সউল শহরের চারপাশের হান নদী অববাহিকা, সউলের দক্ষিণে বিয়েওংতায়েক উপকূলীয় সমভূমি, গেউম নদীর অববাহিকা, নাকদং নদীর অববাহিকা এবং দক্ষিণ-পশ্চিমের ইয়েওংসান এবং হোনাম সমভূমিগুলি। দক্ষিণ কোরিয়ার পূর্ব উপকূল ধরে একটি সরু সমভূমি বিস্তৃত।
দক্ষিণ কোরিয়াতে জনসংখ্যা বাড়ার হার খুব কম। কারণ ওখানকার মানুষ দিনের অধিকাংশ সময়ই পরিশ্রমে কাটায়।আগেই বলেছি, আমেরিকানদের পুঁজিবাদী থিউরি ওদের অন্ত্রে মিশে গেছে।তাইতো সারাদিন পরিশ্রমের ধকলে আর পরিবারকে তেমন সময় দেবার সময় পায়না কোরিয়ানরা।
২০২১ সালের অক্টোবর ২৯ তারিখ,রোজ শুক্রবার পর্যন্ত দেশটির জনসংখ্যা এখন ৫ কোটি ১৩ লাখ ২৭ হাজার ৫৬৪ জন (তথ্যটি World meter population সাইট থেকে নেওয়া)। ২০২০ সাল পর্যন্ত দেশটির জনসংখ্যা ছিলো ৫ কোটি ১২ লাখ ৬৯ হাজার ১৮৫ জন।প্রতিবছর গড়ে 0.1℅ হারে দেশটির জনসংখ্যা বাড়ছে।সারা পৃথিবীর মোট জনসংখ্যা 0.66% অংশজুড়ে আছে দক্ষিণ কোরিয়ার জনসংখ্যা। সেদিক থেকে বিবেচনা করলে সারা পৃথিবীতে জনসংখ্যার দিক থেকে দক্ষিণ কোরিয়ার অবস্থান ২৮তম। প্রতি বর্গকিলোমিটারে গড়ে রয়েছে ৫২৭ জন মানুষ।
প্রতি ১০ বছর পরপর দক্ষিণ কোরিয়ার জনসংখ্যাঃ
- ১৯৬০ – ২ কোটি ৫৩ লাখ ২৯ হাজার ৫১৫ জন
- ১৯৭০ – ৩ কোটি ২১ লাখ ৯৫ হাজার ৬৮১ জন
- ১৯৮০ -৩ কোটি ৮০ লাখ ৪৫ হাজার ৬০৭ জন
- ১৯৯০ -৪ কোটি ২৯ লাখ ১৮ হাজার ৪১৯ জন
- ২০০০ -৪ কোটি ৭৩ লাখ ৭৯ হাজার ২৪১জন
- ২০১০-৪ কোটি ৯৫ লাখ ৪৫ হাজার ৬৩৬ জন
- ২০২০ – ৫ কোটি ১২ লাখ ৬৯ হাজার ১৮৫ জন
দক্ষিণ কোরিয়ার শিক্ষাঃ
দক্ষিণ কোরিয়া তাদের মোট জিডিপির প্রায় ৪.৩৩ শতাংশ খরচ করে তাদের শিক্ষায়। অংকে হিসেব করলে মোটামুটি ৫৮ ট্রিলিয়ন কোরিয়ান উওন তারা খরচ করে শিক্ষাব্যবস্থায়। যদিওবা দেশটিতে মুদ্রাস্ফীতি চলতেছে। দেশটিতে সাক্ষরতার হার ১০০ শতাংশ।প্রাইমারি ও সেকেন্ডারী স্কুলে উপস্থিতির হার ৯৮ শতাংশ।
দক্ষিণ কোরিয়ার শিক্ষাব্যবস্থার গঠনকে ভাগ করা হয়েছে তিনভাগে। প্রথম ভাগ হচ্ছে প্রাইমারি স্কুল, যেটাতে একটা বাচ্চা ৬ বছর পর্যন্ত পড়ালেখা করতে পারে। এরপরের ভাগে তিন বছর মধ্য স্কুল এবং এর পরের তিন বছর উচ্চবিদ্যালয়ের পড়াশোনা।
প্রাইমারি স্কুলের পড়াশোনা প্রায় ফ্রি। এখানে ৯টা প্রধান বিষয় পড়ানো হয়। যথাঃ কোরিয়ান ভাষা, সামাজিক মুল্যবোধ,গনিত,বিজ্ঞান, শারীরিক শিক্ষা,গান,আকতে শেখা এবং ব্যবহারিক অংকন। এরপরে মধ্য স্কুলে ১২টি বিষয় পড়ানো হয়। উচ্চবিদ্যালয়কে আবার ‘ভোকেশনাল’ ও “একাডেমিক” এই দুইভাগে পড়ানো হয়। ইংরেজি ভাষাটা শেখানো হয় শিক্ষাব্যবস্থার তৃতীয় ভাগে।কারন ঔসময় বাচ্চারা নতুন ভাষা শেখার জন্য মানসিকভাবে যথেষ্ট পরিপক্বতা লাভ করে।
দুই সেমিস্টারে পরীক্ষা নেওয়া হয়। প্রথম সেমিস্টার মার্চ থেকে জুলাইয়ের মধ্যে এবং দ্বিতীয় সেমিস্টার নেওয়া হয় সেপ্টেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারীর মাঝে।প্রতিদিন সকাল সাড়ে ৮ টায় স্কুল এসে পৌঁছাতে হয়।প্রতিটা বিষয় ঘন্টাপ্রতি ৫০ মিনিট পড়ানো হয় এবং বেলা ১ টায় লাঞ্চ ব্রেক দেওয়া হয় ৩০/৪০ মিনিটের জন্য। এরপর বিকাল সাড়ে ৪ টায় ছুটি দেওয়া হয়।
দক্ষিণ কোরিয়ার বাচ্চাদেরকে খুব ছোট থেকেই পরিশ্রম করানো শেখানে হয়। সপ্তাহে দু’বার শিক্ষার্থীদের দিয়ে স্কুল পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করা হয়। এটা তাদের শিক্ষার একটা অংশ। এছাড়াও প্রতিদিন সময়মতো স্কুলে আসার একটা কঠোর বিধিনিষেধ পালন করা হয়। দক্ষিণ কোরিয়ার শিক্ষকরা বিশ্বাস করেন ” একজন শিক্ষিত লোক হতে হবে সময়ানুবর্তিতার আদলে সৃজনশীল, পরিশ্রমী ও স্বাধীন মনোভাবের অধিকারি”
দক্ষিণ কোরিয়ান টাকার মান ও অর্থনীতিঃ
কোরিয়া মুদ্রার নাম হলো “উওন” (won), আপনি যদি সম্প্রতি নেটফ্লিক্সের সিরিজ “Squid Game” দেখে থাকেন,তবে একটা বিষয় নিশ্চয়ই খেয়াল করেছেন! দক্ষিণ কোরিয়ার অতিরিক্ত হারে বেড়ে যাওয়া মুদ্রাস্ফীতি। যেখানে একটা মাছ কিনতে খরচ করতে হতো ৫’শ কোরিয়ান উওন। সেখানে একটা মাছের জন্য খরচ করতে হচ্ছে ৫ হাজার কোরিয়ান উওন। প্রশ্ন হতে পারে, মাঝখান দিয়ে ৪৫০০ উওন বেড়ে গেলো কেনো? এই প্রশ্নের উত্তর একটাই। দেশের মোট সম্পদের চেয়েও অতিরিক্ত হারে টাকা ছাপানো।
ঠিক এই কারনে ১ আমেরিকান ডলারের বিপরীতে কোরিয়ানদের ১১৭৭ কোরিয়ান উওন খরচ করতে হয়। আবার বাংলাদেশের ১ টাকার বিপরীতে কোরিয়ানদের খরচ করতে হবে ১৩ টাকা ৭৫ পয়সা। তাহলে বাঙালিরা দক্ষিণ কোরিয়াতে যাবার জন্য এতো মুখিয়ে থাকে কেনো? কারন ওখানে কাজের ক্লান্তিবোধ কিছুটা কম। খুব আরামচে কাজ করে সারা দেশ শান্তিতপ ঘুরাফেরা করার এক অফুরন্ত সুযোগ রয়েছে এই দেশে।
কোরিয়া কিভাবে যাওয়া যায়?
ব্যাপারটা এমন নয় যে, আপনি সন্ধার ট্রেন ধরলেন আর ফুরুৎ করে পৌঁছে গেলেন দক্ষিণ কোরিয়ায়। দক্ষিণ কোরিয়া যাবার জন্য যেমনি সময় প্রয়োজন, তেমনি প্রয়োজন টাকা। আর সবচেয়ে বড় কথা হলো আপনাকে কোরিয়ান ভাষা শিখতে হবে।
প্রতিবছর কয়েক হাজার বাঙালি কর্মীর কাজের সুযোগ পায় দক্ষিণ কোরিয়ায়। ২০০৮ সাল থেকে সরকার এই সুযোগটি করে দিচ্ছে। আপনাকে যা করতে হবে, প্রথমে www.boesl.org.bd/EPS-NoticeBoardKorea.aspx এই লিংকে গিয়ে রেজিষ্ট্রেশন করতে হবে।সাধারণত প্রতিবছর ফেব্রুয়ারী থেকে মার্চের ভিতর রেজিষ্ট্রেশন শুরু হয়। আপনার পাসপোর্ট সাইজ ছবি,নাম, ঠিকানা ইত্যাদি পূরণ করার কিছুদিন পর আপনাকে মেসেজে জানিয়ে দেওয়া হবে। প্রার্থীর সংখ্যা বেশি হয়ে গেলে লটালির মাধ্যমে কর্মী বাছাই করা হয়। ম্যানুফ্যাকচারিং বা উৎপাদন খাতে বোয়েসেলের মাধ্যমে পাল্পশিল্প, কাগজশিল্প, কাঠশিল্প, প্লাস্টিক শিল্প, মেশিনারিজ, মোল্ডশিল্প, কেমিক্যালশিল্প, ইলেকট্রিক ও ইলেকট্রনিকস শিল্প, পনির ও খাদ্যপণ্য শিল্প, টেক্সটাইল ও গার্মেন্টশিল্প এবং মেটালশিল্পে সবচেয়ে বেশি লোকবল নিয়ে থাকে দক্ষিণ কোরিয়ার এইচআরডির অধীন কম্পানিগুলো।
কোরিয়া যেতে যেসব যোগ্যতা থাকা প্রয়োজন
- কোরিয়ান ভাষায় কথা বলায় পরিপক্ক হতে হবে।
- ভিত্তিমূলক কাজের দক্ষতা,শারীরিক যোগ্যতা, প্রযুক্তিগত বিষয়ে প্রশিক্ষণ এবং একই সঙ্গে থাকতে হবে সংশ্লিষ্ট কাজ সম্পর্কিত অভিজ্ঞতা।
- ১৮- ৩৯ বয়সী নারী ও পুরুষ সবাই আবেদনের যোগ্য।
- কোনো ধরনের ফৌজদারি অপরাধে সাজাপ্রাপ্ত বা বিদেশযাত্রায় সরকারি নিষেধাজ্ঞা আছে অথবা পূর্বে কোরিয়ায় অবৈধভাবে অবস্থান করেছিল—এমন প্রার্থীরা রেজিস্ট্রেশনের অযোগ্য। হতে হবে মেডিক্যালি ফিট এবং থাকতে হবে মেয়াদসহ মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট।’ তিনি আরো জানান, শিক্ষাগত যোগ্যতার বিষয়ে কোনো বাধ্যবাধকতা না থাকলেও অক্ষরজ্ঞানসম্পন্ন ও ম্যানুফ্যাকচারিং খাতে চাকরির অভিজ্ঞতা এবং ভোকেশনাল ট্রেনিং সনদ আছে—এমন প্রার্থীরা অগ্রাধিকার পাবে।
২০০৮ সাল থেকে বোয়েসেল দক্ষিণ কোরিয়ার নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করে, যা এখনো চলছে। ২০০৮ থেকে ৩০ জুন ২০১৯ সাল পর্যন্ত প্রায় ২০ হাজার কর্মী পাঠানো হয়েছে। সর্বশেষ ২০১৭-১৮ অর্থবছরে ২২১৫ জন এবং ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ২০১২ জন কর্মী দক্ষিণ কোরিয়ায় গিয়েছে। ২০১৯ সালেও ৩১০০ কর্মীর চাহিদার কথা জানিয়েছেন সে দেশের এইচআরডি কর্তৃপক্ষ। ২০২০ সালে তাদের চাহিদার পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৯-এর চেয়ে কর্মীর চাহিদার সংখ্যা বাড়তে পারে বলে জানা গেছে।
দক্ষিণ কোরিয়া সম্পর্কে যত অজানা তথ্যঃ
- দক্ষিণ কোরিয়ার ট্রেনপথে চলাচলের একটা অদ্ভুত রীতি প্রচলিত রয়েছে। ট্রেনের জায়গা থেকেও অতিরিক্ত যাত্রী ট্রেনে উঠে বলে গাদাগাদির কারনে ট্রেনের দরজা বন্ধ করা যায়না।যার কারনে বাইরে থেকে যাত্রীদেরকে জোরসে ঠেলা দেবার জন্য রেল মন্ত্রণালয় কিছু লোক রাখে যারা এই কাজটি করে থাকে।
- আপনি যদি দক্ষিণ কোরিয়ার কোনো রেস্টুরেন্টে বসেন।খাওয়া দাওয়া শেষে যদি বিল দেওয়ার সময় আপনি ওয়েটারকে টিপস দিতে যান,তবে সেটা হবে একটা অভদ্রতা।
- দক্ষিণ কোরিয়ায় সিঙ্গেলদের জন্য রয়েছে বছরের একদিন “সিঙ্গেল দিবস”.এই দিবসটি পালন করা হয় ১৪ই এপ্রিল।দিনটিকে অনেকে ” Black day” হিসেবেও অভিহিত করে।এই দিনে সিঙ্গেলরা কালো পোশাক পড়ে দিনটিকে উদযাপন করে থাকে।
- দক্ষিণ কোরিয়াতে একটা বাচ্চা যেদিন জন্মগ্রহণ করে,সেদিন থেকেই বাচ্চাটির বয়স ১ বছর ধরা। সুতরাং কোরিয়ানরা অন্যসব জাতির থেকেও ১ বছর বেশি বয়সী মানুষ।
- Red Ink: দক্ষিণ কোরিয়াতে লাল কালি ব্যবহার করা হয় মৃত মানুষের নাম লেখার জন্য। এমনকি আদালতে ফাসির দড়িতে ঝোলানো আসামিদের জন্য জর্জসাহেব লাল কালির কলম ব্যবহার করে থাকেন।
- সামরিক বাহিনীতে নিয়মশৃঙ্খলা শেখানোর জন্য কোরিয়ানরা একটা কঠোর নিয়ম অনুসরণ। সৈন্যরা যাতে তাদের মাথা নিচের দিকে নোয়াতে না পারে,এইজন্য তাদের জামার কলারে গলার নিচে একটা ছোট লাগিয়ে দেওয়া হয়।যখনি তারা মাথা নিচু করবে, তখন ছুরিটা গলা দিয়ে পকাৎ করে ডুকে পড়বে ।
- দক্ষিণ কোরিয়াতে মেয়েদের পাশাপাশি ছেলেরাও মেকাপ করতে অত্যাধিক পছন্দ করে। ছেলেরা একেবারেই দাড়ি রাখতে পছন্দ করেনা। তাছাড়া প্রতিবছর তারা প্লাস্টিক সার্জারি করতে ভোলে। এই প্লাস্টিক সার্জারি জিনিসটা খুব জনপ্রিয় এই দেশে।
- এই দেশে একজন কর্মজীবি মানুষ দিনে গড়ে ৬ ঘন্টা ঘুমায়। আর কাজে তো ওভারটাইম করে থাকেই।
- সারাদিন প্রচুর খাটুনির পর শরীরের একটুখানি বিশ্রামের প্রয়োজন।এর জন্য কোরিয়ানরা “Love Motel” এ যায় প্রেম করা জন্য। কিছুটা হাস্যকর হলেও সত্যি যে এইসব মোটেলে মেয়েরা থাকে যারা ভাড়ার বিনিময়ে কাস্টমারের সাথে সময় কাটায় এবং গল্পগুজব করে।
- দক্ষিণ কোরিয়াতে কুকুরের মাংস খাওয়াটা এখন বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।
সবমিলিয়ে দক্ষিণ কোরিয়া দেশটি পৃথিবীর সবচেয়ে সুন্দরতম দেশগুলির মধ্যে একটি। এখানে চোখ মেলে দেখার জন্য প্রচুর নৈসর্গিক সৌন্দর্যমন্ডিত জায়গা রয়েছে। এসব ছাড়াও গান,শিল্প, সাহিত্য আর সিনেমাতেও দক্ষিণ কোরিয়া রসে টইটুম্বুর হয়ে আছে।
গানের মধ্যে বিটিএস আর ব্ল্যাকপিনিক জনপ্রিয় ব্যান্ড।সিনেমার মধ্যে জনপ্রিয়তা হার সবচেয়ে বেশি।গতবছর ২০২০ সালে দক্ষিণ কোরিয় সিনেমা “দ্যা প্যারাসাইট” অস্কার জিতেছিলো খুব নিখুতভাবে ধনী গরীব বৈষম্য তুলে ধরবার জন্য।
গত কয়েক দশকে কোরিয়ানদের মানুষ চিনেছে তাদের চলনচালনের মৌলিকতা আর সামাজিক সভ্যতার এক অন্যরকম উদাহরণ হয়ে থাকবার জন্য ।দিনের বেশিরভাগ সময় পরিশ্রম করার কারনে কোরিয়ানরা এগিয়ে থাকে অন্যসব জাতির থেকেও।তাই আপনি যদি কখনো কোরিয়াতে ঘুরতে যান,তবে নিজেকে পরিতৃপ্ত না করে থাকতে পারবেন না।
বিঃদ্রঃ এই ব্লগের প্রত্যেকটা ব্লগ পোস্ট Sylhetism ব্লগের নিজস্ব ডিজিটাল সম্পদ। কেউ ব্লগের কোন পোস্ট কিংবা আংশিক অংশ ব্লগের কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া কপি পেস্ট করে অন্য কোথাও প্রকাশ করলে ব্লগ কর্তৃপক্ষ ডিজিটাল সিকিউরিটি আইনে মামলা করার অধিকার রাখে। এবং অবশ্যই কপিরাইট ক্লাইম করে যে মাধ্যমে এই ব্লগের পোস্ট প্রকাশ করা হবে সেখানেও অভিযোগ সাবমিট করা হবে।
ধন্যবাদ, ব্লগ কর্তৃপক্ষ।