Last Updated on 7th April 2024 by Mijanur Rahman
ছোটবেলায় ভার্জিন শব্দ নিয়ে অনেক কৌতুহল ছিলো আমার, বড়দের বলতে লজ্জা হতো, আবার জানার আগ্রহ ছিলো আসলে ভার্জিন অর্থ কি, বা ভার্জিনিটি জিনিষটা আসলে কি, তখন ইন্টারনেট এতো এভাইলেবল ছিলোনা, থাকলে হয়তো গুগলে একটা সার্চ দিলে বেড়িয়ে যেতো, তাই জানার ইচ্ছাটা অনেকদিন অজানাই থেকে গিয়েছিলো।
পরে দিন গেলো, আমিও বড় হলাম, স্কুল কলেজ পেড়িয়ে ভার্সিটিতে গেলাম, ভার্সিটি শেষে ৬ বছর দেশের বাহিড়ে ঘুরে আসলাম, এতোদিনের মধ্যে ভার্জিন কি সেটা জেনে গেছি, জানতে জানতে কখন নিজের ভার্জিনিটি হাড়িয়ে ফেলছি তা আর মনে নাই, তা যাইহোক, আজকের লেখায় আমি ভার্জিনিটি কি? ভার্জিন কাকে বলে? এসবের বিস্তারিত উত্তর দিবো।
ভার্জিন শব্দ কোথায় থেকে আগত?
ভার্জিন আসলে ইংরেজি একটা শব্দ (Vergin) যা গ্রীক ও ল্যাটিন শব্দ “virgo” বা কুমারী থেকে আগত। গ্রীক মিথোলজীতে virgo দিয়ে দেবীদের সম্মোধন করা হতো। আমরা সবাই জানি দেব দেবীরা থাকেন নিষ্পাপ, কিংবা সবার উর্দ্ধে তেমনেই এক গ্রীক দেবী (ডায়না) কুমারী নামে গ্রীক পৌরাণিক কাহীনিতে পরিচিত।
Virgin মানে কি?
Virgin হচ্ছে ইংরেজি শব্দ, বাংলাতে Virgin মানে
১। সচ্চরিত্রা মেয়ে, কুমারী মেয়ে
২। অপ্রহত; অনাহত, বিক্ষুব্ধ ও অস্পষ্ট
৩। অব্যবহৃত (যে ব্যবহার হয়নি) অকৃষ্ট, আদিম অবস্থায় বিদ্যমান, যেভেবে জন্মগ্রহণ করেছে সে এমনই আছে।
ভার্জিন অর্থ কি
এবার চলুন জেনে নেই ভার্জিন অর্থ কি, ভার্জিন অর্থ হচ্ছে “কুমারী” কুমারী বললে হয়তো অনেকেই চিনবেন না, কুমারী নিয়ে বাংলা সাহিত্যে রয়েছে অনেক কাহিনী, এমনকি লেখা হয়েছে কবিতা, তৈরি হয়েছে নাটক, সিনেমা। কুমারী হচ্ছে তারাই, যারা কখনো যৌনসঙ্গম করেনি, যৌনসঙ্গম শব্দ অনেক কঠিন মনে হলে পরিচিত শব্দ “শারীরিক সম্পর্ক” আশা করি সবাই চিনেন। তো ভার্জিন হচ্ছে তারাই, যারা কখনো মিলনে লিপ্ত হয় নাই।
আরো সহজ করে বললে ভার্জিন অর্থ হচ্ছে যে কারো সাথে শারীরিক সম্পর্ক করেনি। অনেকে শারীরিক সম্পর্ককে আবার ফিজিক্যাল রিলেশন হিসাবেও জানে। শব্দ যাই হোক, মূল অর্থ হচ্ছে যে কখনো শারীরিক সম্পর্কে জড়ায়নি সেই ভার্জিন।
আশা করি এখন সহজেই বুঝতে পারছেন ভার্জিন কাকে বলে?, যারা কখনো মিলনে বা শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হয়নাই তাদেরই ভার্জিন বলে।
ভার্জিনিটি কি?
ভার্জিন অর্থ তো জানলেন, এবার আসেন দেখি ভার্জিনিটি কি, এবং কেনো ভার্জিনিটি গ্রুত্বপূর্ণ। ভার্জিনিটি প্রাপ্তবয়স্ক ছেলে মেয়েদের জন্যে খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। ভার্জিনিটিকে শুধু বাংলাদেশে না, বিশ্বের সব দেশেই, সব সমাজেই গুরুত্ব দিয়ে দেখে থাকে। বিশেষ করে মুসলিম বিশ্বে ভার্জিনিটি খুব স্পর্শকাতর বিষয়।
পশ্চিমা সমাজে ভার্জিনিটির গুরুত্ব কিছুটা কম হলেও একদম ফেলে দেওয়া হয় না, হিন্দু কিংবা খ্রিষ্টান ধর্মে ভার্জিনিটির আলাদা আলাদা গুরুত্ব বহন করে।
ভার্জিনিটি বা কুমারীত্ব বিচার করা হয় সতীচ্ছদ পর্দা দিয়ে। সতীচ্ছদ পর্দাকে ইংরেজিতে hymen বলে। অবিবাহিত মেয়েদের কুমারিত্ব বিচার করা হয় সতীচ্ছদ পর্দা দিয়ে। সতীচ্ছদ পর্দা দিয়ে অবিবাহিত মেয়েদের যোনীর প্রবেশমুখ ডাকা থাকে, এই পর্দা তখনই ছিড়ে যায় বা ফেটে যায় যখন প্রথমবার মিলন করা হয়। এই পর্দা যতক্ষণ অক্ষত থাকে ততক্ষণ অবিবাহিত মেয়েরা ভার্জিনিটি ধরে রাখে, পর্দটা মিলনে কিংবা কোন দূর্ঘটনায় ছিড়ে গেলে তখন ভার্জিনিটি হারায়।
আশা করি এখন ভার্জিনিটি কি এটা একদম পরিষ্কার, তাও যদি কারো কোন প্রশ্ন থাকে কমেন্টে জানাবেন, যত দ্রুত সম্ভব আমি উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করবো।
কারা ভার্জিন?
দূর থেকে দেখে ভার্জিন কারা মুলত বুঝার কোন সঠিক উপায় নাই, জন্মের পরে প্রত্যেক ছেলে মেয়েই ভার্জিন থাকে। বয়স বাড়ার সাথে সাথে ইচ্ছে কিংবা অনিচ্ছায় অথবা দুর্ঘটনায় অনেকেই ভার্জিনিটি হারায়। তাই দূর থেকে কাউকে বিচার না করে অবিবাহিত সবাইকে ভার্জিন হিসাবে ধরে নেওয়াই বুদ্ধিমানের কাজ।
যদি মনে মনে বিচার করেন অমুক ভার্জিন নয়, তমুক ভার্জিন নয়, তাহলে আসলে কিছুই পরিবর্তন হবে না, কিন্ত আপনাকে একজন অভার্জিন নিয়ে বসবাস করতে হবে। তাই কাউকে বিচার না করাই উত্তম।
কুমারী মেয়ে কাকে বলে?
যে মেয়ে এখনো কোন পুরুষের স্পর্শ পায়নি, কারো সাথে রতিক্রিয়ায়, কামক্রীড়ায় বা শৃঙ্গারে লিপ্ত হয়নি তাকেই কুমারী মেয়ে বলে। আরো সহজ করে বললে যে মেয়ে আদর-সোহাগ, চুম্বন, লেহন, মর্দন, পীড়ন, চর্বণ, দংশনের স্বাদ পায়নি সে মেয়েকেই কুমারী মেয়ে বলে।
ভার্জিন মেয়ে চেনার উপায়
চলুন এবার ভার্জিন মেয়ে চেনার কৌশল সম্পর্কে জেনে নেই। আগেই বলেছি দূর থেকে দেখে কাউকে বুঝার উপায় নাই কে ভার্জিন আর কে ভার্জিন নয়। ভার্জিন মেয়ে চেনার একমাত্র উপায় হল সতীচ্ছদ পর্দা দিয়ে। যা আদিম যুগ থেকে এখন পর্যন্ত প্রচলিত। যেসব মেয়েদের সতীপর্দা এখনো অক্ষত সেসব মেয়েরাই ভার্জিন না বা কুমারী।
বিজ্ঞানের অভাবনীয় উন্নতির ফলে চিকিৎসা বিজ্ঞান এখন এই সতীচ্ছদ পর্দাও জোরা লাগিয়ে দেয়, তাই ভার্জিন বা কুমারী মেয়ে চেনা আসলেই মুশকিল। তবে আপনি যদি কোন মেয়ের মধ্যে নিচের লক্ষণগুলি দেখতে পান তাহলে ধরে নিতে পারেন সেসব মেয়েরা এখনো ভার্জিন।
- মিলনের সময় সতীপর্দা ফেটে রক্ত বের হলে বুঝেন নিবেন সে ভার্জিন, এবং সে কুমারী অবস্থায় আছে।
- প্রথমবার মিলনের সময় যোনী খুব শক্ত থাকবে, অনেক চেষ্টা করেও যদি লিংঙ্গ ভিতরে প্রবেশ না হয় তাহলে সে এখনো ভার্জিন, ইনটেইক।
- অথবা তার যোনী সরেজমিনে দেখেও বুঝা যাবে সতীচ্ছদ পর্দা অক্ষত কি না, যদি অক্ষত থাকে, তাহলে সে মেয়ে ভার্জিন।
- কুমারি মেয়ে চেনার উপায় অন্যতম উপায় হলো, প্রথমবার সহবাসে সে খুব ব্যথা পাবে, এমনকি সতীচ্ছেদের সময় চিৎকার দিয়ে উঠতে পারে, চেঁচামেচি করতে পারে।
- যারা কুমারী প্রথমবার মিলনে তার গলা শুকিয়ে যাবে, পানি খেতে চাইবে।
ভার্জিন ছেলে চেনার উপায়
ভার্জিন ছেলে চেনার কোন উপায় কখনো ছিলো না, এবং এখনো আবিষ্কার হয়নি, ছেলেরা এই সুবিধা নিয়েই জন্মগ্রহণ করে। মেয়েদের মতো ছেলেদের কোন পর্দা নাই বিধায় ভার্জিন ছেলে চেনার কৌশলও নাই।
তারপরো যদি জানতে চান কোন ছেলে ভার্জিন তাহলে দেখে নিবেন তার মধ্যে কি নিচের লক্ষণ আছে কি না।
- প্রথম মিলনে খুব নার্ভাস অনুভব করবে।
- প্রথম মিলনের স্বায়ীত্ব হবে খুব কম সময়।
- বীর্য খুব পাতলা হবে এবং দ্রুত বের হবে (কিছু কিছু ক্ষেত্রে, বীর্য পানির মতো হবে, এবং যোনীর বাহিরে ফেললে অনেক দূরে গিয়ে পড়বে)
- লিংঙ্গের সেন্সেভিটি খুব বেশি হবে, যোনীতে লিঙ্গ গেলেই বীর্য বের হয়ে যাবে।
এসব লক্ষণ দিয়ে শুধু একটা প্রাথমিক ধারণা পাওয়া যাবে সে পুরাতন খেলোয়ার নাকি নতুন, তবে এই নিয়ম ১০০% সঠিক নয়। অনেক ছেলে আছে যাদের স্বাবাভিক মিলনের স্বায়িত্ব কয়েক সেকেন্ড, তাই প্রথম কিংবা ১০০ তম মিলন হলেও বুঝার উপায় নাই সেই ছেলে ভার্জিন কি না।
পরিশেষে
আশা করি উপরোক্ত আলোচনা থেকে এখন বুঝতে আর অসুবিধে নাই ভার্জিন অর্থ কি, বা ভার্জিনিটি কি অথবা কুমারী মেয়ে কাকে বলে? যে বা যারা ভার্জিনিটি এখনো ধরে রাখছেন তাদের অন্তর থেকে ভালোবাসা ও শুভেচ্ছা, আর যারা বিয়ের আগেই ভার্জিনিটি হারিয়ে ফেলছেন তাদের জন্যে সমবেদনা।
প্রত্যেকটা মেয়েকেই তার স্বামীর কাছে ভার্জিনিটি পরীক্ষা দিতে হয়, এবং দুর্ভাগ্যবশত সে পরীক্ষাটি দিতে হয় বিয়ের প্রথম রাতে, এবং এই রাত পর নির্ধারণ হয় স্বামীর কাছ থেকে সে কেমন আচরণ কিংবা ভালোবাসা উপহার পাবে, তাই আপনার ভার্জিনিটি ধরে রাখুন আপনার স্বামীর জন্যে, যে আপনাকে রাণী বানিয়ে রাখবে সারাটা জীবন।
তো বন্ধুরা এই ছিলো আমাদের আজকের লেখা ভার্জিন ছেলে মেয়ে চেনার উপায়, ও ভার্জিনিটি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা, উপরের টিপসগুলি অনুসরণ করে চেহারা দেখেই চিনে নিন সে সহবাস করেছি কি না, বা সে কেমন মেয়ে, এই নিয়ম অনুসরন করে আপনি ভালো কিংবা খারাপ মেয়ে সহজেই চিনতে পারবেন।