কোন পণ্য উৎপাদনের পর বাজারজাত করেই উৎপাদকের কাজ শেষ হয়ে যায় না, সঠিকভাবে পণ্যের প্রচার ও প্রসার না করলে ভোক্তা কোন পণ্য সম্পর্কে সঠিক ও নির্দিষ্টভাবে জানবে না। ফলে পণ্য বাজর থেকে ভোক্তার ঘর পর্যন্ত আর পৌছাবে না। এই জায়গায় রয়েছে মার্কেটিং এর বিরাট অবদান। আজকের লেখায় আমরা জানবো, মার্কেটিং কি? মার্কেটিং কাকে বলে? তাহলে চলুন দেখে নেওয়া যাক মার্কেটিং কি।
মার্কেটিং বা বিপণন
মার্কেটিং হচ্ছে কোন পণ্যের প্রচার ও প্রসার। আরো সহজ করে বললে কোন পণ্য উৎপাদনের পর তা ভোক্তা পর্যন্ত পৌছাতে যেসব কার্যাবলী সম্পাদন করা হয়, তাকে মার্কেটিং বা বিপণন বলে।
Dictionary.com এর মতে মার্কেটিং হচ্ছে সেই প্রক্রিয়া “যে প্রক্রিয়ার মাধ্যমে কোন ব্যবসা তার পণ্য ও সেবার বিজ্ঞাপন কিংবা অন্য কোন মাধ্যমে প্রচার ও প্রসার করে থাকে।”
তাহলে আমরা জানলাম মার্কেটিং কি, এবার চলুন দেখে নেওয়া যাক বাংলাদেশের পাঠ্যপস্তুকের মতে মার্কেটিং কাকে বলে।
বইয়ের ভাষায় মার্কেটিং
সাধারণ অর্থে পণ্য-দ্রব্য বা সেবা সামগ্রী ক্রয়-বিক্রয়ের কাজকে মার্কেটিং বা বিপণন বলে। কিন্তু প্রকৃত অর্থে বিপণনের ধারণা আরাে ব্যাপক। পণ্য-দ্রব্য বা সেবা সামগ্রী উৎপাদনকারী থেকে ভােক্তা বা ব্যবহারকারীর নিকট পৌছে দেওয়া পর্যন্ত সকল কাজকে বিপণন বা বাজারজাতকরণ বলে গণ্য করা হয়। অর্থাৎ ক্রয়-বিক্রয়, পরিবহন, গুদামজাতকরণ, প্রমিতকরণ, পর্যায়িতকরণসহ যাবতীয় কাজের সমষ্টি হলাে বিপণন।

আধুনিক ব্যবসায় ক্ষেত্রে বিপণনের বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। কারণ পণ্যের উৎপাদনের উপরই শুধু কোনাে ব্যবসায় সংগঠনের সাফল্য নির্ভর করে না, যদি না সে পণ্য বা সেবা যথাযথভাবে ভােক্তার কাছে পৌছানাে যায়। বিপণনের মাধ্যমে ক্রেতা ও ভােক্তাগণ মানসম্মত পণ্য বা সেবা পেয়ে থাকে। কার্যকর বিপণন উৎপাদন বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। বিপণনের উন্নয়নের সাথে সাথে শিল্প, বাণিজ্য ও সেবার উন্নতি সাধিত হয়। এর ফলে ব্যাপক কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়।
বিপণনের প্রকারভেদ
মার্কেটিং এর নির্দিষ্ট কোন প্রকারভেদ নাই, টেকনোলজির উন্নয়নের ফলে আমরা প্রতিদিন নিত্যনতুন মার্কেটিং স্ট্রাটেজি দেখে থাকি। ১৯৯০ সালের পর থেকে মার্কেটিং এ এসেছে অনেক পরিবর্তন। আমরা ট্র্যাডিশনাল মার্কেটিং (টিভি, বিলবোর্ড, সংবাদপত্রের বিজ্ঞাপন) ছেড়ে সবাই মোটামুটি ডিজিটাল মার্কেটিং এর দিকে ঝুকেছি। আর ডিজিটাল মার্কেটিং নিয়ে আসছে হরেক রকমের মার্কেটিং সুবিধা। আমি কিছু গুরুত্বপূর্ণ মার্কেটিং এর ধারণা এখানে তুলে ধরছি। যা আসলে পণ্যের প্রচার কিংবা প্রসারে কাজ করে বা মানুষ এখনো ব্যবহার করে।

- ট্র্যাডিশনাল মার্কেটিং
- আউটবাউন্ড মার্কেটিং
- ইনবাউন্ড মার্কেটিং (অন্তর্মুখী বিপণন)
- ডিজিটাল মার্কেটিং
- সার্চ ইঞ্জিন মার্কেটিং
- কন্টেন্ট মার্কেটিং
- সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং
- ভিডিও মার্কেটিং
- ইমেল মার্কেটিং
- ভয়েস মার্কেটিং
- ইনফ্লুয়েন্সার মার্কেটিং
- ব্রান্ড মার্কেটিং
এই ছিলো কিছু গুরুত্বপূর্ণ মার্কেটিং এর প্রকারভেদ, যা বর্তমানে ব্যবসা বা বিপণনের ক্ষেত্রে ব্যবসায়ীরা ব্যবহার করে আসছে।
বিঃদ্রঃ এই ব্লগের প্রত্যেকটা ব্লগ পোস্ট Sylhetism ব্লগের নিজস্ব ডিজিটাল সম্পদ। কেউ ব্লগের কোন পোস্ট কিংবা আংশিক অংশ ব্লগের কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া কপি পেস্ট করে অন্য কোথাও প্রকাশ করলে ব্লগ কর্তৃপক্ষ ডিজিটাল সিকিউরিটি আইনে মামলা করার অধিকার রাখে। এবং অবশ্যই কপিরাইট ক্লাইম করে যে মাধ্যমে এই ব্লগের পোস্ট প্রকাশ করা হবে সেখানেও কমপ্লেইন করা হবে।
এই ব্লগের কোন লেখায় তথ্যগত কোন ভুল থাকলে আমাদের Contact পেইজে সরাসরি যোগাযোগ করুন, আমরা যত তাড়াতাড়ি সম্ভব তথ্য যাচাই করে লেখা আপডেট করে দিবো।
এই ব্লগের কোন স্বাস্থ বিষয়ক পোস্টের পরামর্শ নিজের বাস্তব জীবনে প্রয়োগ করার আগে অবশ্যই বিশেষজ্ঞদের মতামত নিবেন, আমরা স্বাস্থ বিষয়ে কোন বিশেষজ্ঞ না, আমাদের উদ্দেশ্য ও লক্ষ হচ্ছে সঠিক তথ্য পরিবেশন করা। সুতারাং কোন অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার দায়ভার অবশ্যই আমরা নিবো না।