Last Updated on 12th July 2023 by Mijanur Rahman
আসসালামুয়ালাইকুম পাঠকবৃন্দ। আশা করি সবাই ভাল আছেন। আমাদের আজকের আলোচনার বিষয় হলো মাগরিবের নামাজের নিয়ম, নিয়ত, দোয়া ও ফজীলত সম্পর্কে। প্রত্যেক মুসলিম নর-নারীর উচিত দৈনিক পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা। এটি ইসলামের পাঁচটি স্তম্ভের মধ্যে একটি অন্যতম ফরজ ইবাদত। একমাত্র নামাজের মাধ্যমেই দুনিয়া ও আখেরাতের কল্যাণ নিশ্চিত করা সম্ভব।
এজন্য আল্লাহ তায়ালা প্রত্যেক মুসলিম নর-নারীকে নিয়মিত নামাজ আদায় করার নির্দেশ দিয়েছেন। পবিত্র আল কোরআনে নামাজের গুরুত্ব সম্পর্কে অনেক কিছু বলা হয়েছে। নামাজকে বেহেশতের চাবি বলে আখ্যায়িত করা হয়েছে। বেনামাজী ব্যক্তি কখনোই জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবে না।
সুতরাং বোঝা যাচ্ছে, নামাজ আদায় একজন মুসলিমের জন্য কতটা গুরুত্বপূর্ণ।
এ সম্পর্কে হাদিসে এসেছে, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, “তাদের মধ্যে এবং আমাদের মধ্যে একমাত্র নামাজই পার্থক্যের বিষয়। যে তা ত্যাগ করে, সে কাফির।”(তিরমিজি, নাসায়ি)
সুতরাং বোঝা যায় , নামাজ আদায়ের মাধ্যমেই মুমিন ব্যক্তি ও কাফির ব্যক্তির মধ্যে পার্থক্য করা যায়। কারণ একজন কাফির ব্যক্তি নামাজ আদায় করে না।
মাগরিবের নামাজ
মাগরিবের নামাজ পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের মধ্যে চতুর্থ। এটি আসরের নামাজের পর ও এশার নামাজের আগে আদায় করতে হয়। এটি অন্যান্য ওয়াক্তের নামাজগুলোর চেয়ে বেশি ফজিলতপূর্ণ। আল কোরআন ও হাদিসে সকাল – সন্ধ্যার নামাজকে বেশি গুরুত্বপূর্ণ বলে আখ্যায়িত করা হয়েছে। আর মাগরিবের নামাজ সন্ধ্যার সময় আদায় করতে হয়। সুতরাং এর গুরুত্ব অনেক।
সূর্য অস্ত গেলে মাগরিবের নামাজের ওয়াক্ত শুরু হয় ও আকাশে লালিমা থাকা পর্যন্ত এর সময় থাকে।এই সময় খুব তাড়াতাড়ি শেষ হয়ে যায়। তাই এই নামাজ তাড়াতাড়ি আদায় করে নিতে হয়।তাই সূর্য ডোবার সাথে সাথেই মাগরিবের নামাজে দাঁড়িয়ে যাওয়া উচিত।
সালামা (রা.) হতে বর্ণিত: তিনি বলেন, ‘সূর্য পর্দার আড়ালে ঢাকা পড়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই আমরা নবী (সা.)-এর ইমামতিতে মাগরিবের নামাজ আদায় করতাম।’ (সহীহ বুখারি: ৫৬১)
অন্য হাদীসে এসেছে,
নবীজি (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি সকাল-সন্ধ্যায় নামাজ আদায় করতে মসজিদে যায় এবং যতবার যায় আল্লাহ তায়ালা ততবারই তার জন্য জান্নাতের মধ্যে মেহমানদারির উপকরণ প্রস্তুত করেন।’ (সহীহ বুখারি : ৬২২)
এ নামাজের তাৎপর্য এ হাদীস দ্বারাই প্রমাণিত হয়। এর দ্বারা বোঝা যায় মাগরিবের নামাজ আদায় কতটা গুরুত্বপূর্ণ।
মাগরিবের নামাজ কয় রাকাত
মাগরিবের নামাজ মোট ৭ রাকাত। প্রথম তিন রাকাত ফরজ , পরে দুই রাকাত সুন্নত। তবে এর পরে চাইলে দুই রাকাত নফল নামাজ পড়া যায়। এই ধারাবাহিকতায় মাগরিবের নামাজ আদায় করতে হয়। যারা মুসাফির রয়েছেন তারা শুধু মাগরিবের তিন রাকাত ফরজ নামাজ আদায় করলেই হবে।
তিন রাকাত ফরজ নামাজের পর যে সুন্নত নামাজ আদায় করতে হয় তাকে বলা হয় সুন্নতে মুয়াক্কাদা। সুন্নতে মুয়াক্কাদার অর্থ হলো – দৃঢ় নির্দেশিত সুন্নত। অর্থাৎ যে নামাজ আদায়ের জন্য শরিয়ত দৃঢ়ভাবে গুরুত্ব আরোপ করেছে। এটি আদায় না করলে গুনাহ হবে না তবে আদায় করলে অনেক সওয়াব পাওয়া যায়। তাই এটি বিনা কারণে ত্যাগ না করাই ভালো।
আর নফল অর্থ হচ্ছে – অতিরিক্ত। অর্থাৎ ফরজ ও সুন্নত নামাজের পাশাপাশি অতিরিক্ত যে নামাজ আদায় করা হয় তাকে নফল নামাজ বলে।
এটিও খুবই তাৎপর্যপূর্ণ নামাজ।
মাগরিবের নামাজের নিয়ত
প্রত্যেক নামাজের সময় নিয়ত পড়ে নিতে হয়। মাগরিবের নামাজের যেসব নিয়ত রয়েছে তা বর্ণনা করা হলো।
ফরজ নামাজের নিয়ত:
“নাওয়াইতু আন্ উসাল্লিয়া লিল্লাহি তা’আলা সালাসা রাকয়াতি সালাতিল মাগরিব ফারজুল্লাহি তা’আলা মুতাওয়াজ জিহান ইলা জিহাতিল কাবাতিশ শারীফাতি আল্লাহু আকবার।”
বাংলা অর্থ: “মাগরিবের তিন রাকাত ফরজ নামাজ আদায় করার উদ্দেশ্যে ক্বিবলামুখী হয়ে নিয়ত করলাম, আল্লাহু আকবার।”
সুন্নত নামাজের নিয়ত:
“নাওয়াইতু আন্ উসাল্লিয়া লিল্লাহি তা’আলা রাকয়াতাই সালাতিল মাগরিবি সুন্নাতু রাসূলিল্লা-হি তা’আলা মুতাওয়াজ জিহান ইলা জিহাতিল কাবাতিশ শারীফাতি আল্লাহু আকবার।”
বাংলা অর্থ: “মাগরিবের দুই রাকাত সুন্নত নামাজ আদায় করার উদ্দেশ্যে ক্বিবলামুখী হয়ে নিয়ত করলাম, আল্লাহু আকবার।”
নফল নামাজের নিয়ত:
“নাওয়াইতু আন্ উসাল্লিয়া লিল্লাহি তা’আলা রাকয়াতি সালাতিল নফলে মুতাওয়াজ জিহান ইলা জিহাতিল কাবাতিশ শারীফাতি আল্লাহু আকবার।”
বাংলা অর্থ: “মাগরিবের দুই রাকাত নফল নামাজ আদায় করার উদ্দেশ্যে ক্বিবলামুখী হয়ে নিয়ত করলাম, আল্লাহু আকবার।”
উপরোক্ত নিয়তগুলো মাগরিবের প্রত্যেক নামাজের শুরুতে পড়তে হয়।
মাগরিবের নামাজের নিয়ম
মাগরিবের নামাজ আদায় করার নিয়মাবলী সম্পর্কে চলুন বিস্তারিত জেনে নেই। প্রথমে তিন রাকাত ফরজ নামাজ আদায় করতে হয়।
ফরজ নামাজ আদায়ের নিয়ম
- ওযু করে পাকপবিত্র হয়ে ক্বিবলামুখী হয়ে জায়নামাজে দাঁড়াতে হবে ।
- এরপর নিয়ত পড়ে নিতে হবে।
- “আল্লাহু আকবার” বলে দুই হাত কাঁধ বরাবর উঠিয়ে বুকে হাত বাঁধতে হবে।
- এরপর সানা পড়তে হবে।
সানা
“সুবহানাকা আল্লাহুম্মা বিহামদিকা ওয়াতা ওয়া রাকাসমুকা ওয়া তায়ালা জাদ্দুকা ওয়া লা-ইলাহা গাইরুক”
- তারপর সূরা ফাতিহা পাঠ করে অন্য একটি সূরা মিলিয়ে পড়তে হবে।
- এরপর “আল্লাহু আকবার” রুকুতে যেতে হবে।
- রুকুতে গিয়ে তিনবার “সুবহানা রব্বিয়াল আযিম” পাঠ করতে হবে।
- “সামি আল্লাহু লিমান হামিদাহ্” বলে রুকু থেকে উঠে “রব্বানা লাকাল হামদ” বলে বসতে হবে।
- এরপর সিজদায় যেতে হবে।
- সিজদায় গিয়ে তিনবার”সুবহানা রব্বিয়াল আ’লা” পড়তে হবে।
- সিজদাহ থেকে উঠে পুনরায় সিজদায় যেতে হবে ও একই তাসবিহ পাঠ করতে হবে।
- এভাবে প্রথম রাকাত শেষ হলো।
- একই ভাবে দ্বিতীয় রাকাতও আদায় করতে হবে।
- দ্বিতীয় রাকাতের শেষে বসতে হবে ও তাশাহুদ পাঠ করতে হবে।
তাশাহুদ
“আত্তাহিয়াতু লিল্লাহি ওয়াস সালাওয়াতু ওয়াত তায়্যিবাতি আসসালামুয়ালাইকা আয়্যুহান নাবিয়্যু ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহ্। আসসালামুয়ালাইনা আ’লা ইবাদিল্লাহিস সুয়ালিহিন, আশহাদু আল্লাহ ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়া আশহাদু আন্না মুহাম্মাদান আবদুহু ওয়া রসূলুহ্”
- এরপর আবার উঠে দাঁড়িয়ে আগের নিয়মে এক রাকাত পড়তে হবে তবে এইবার সূরা ফাতিহার সাথে কোনো সূরা মিলাতে হবে না।
- শেষ বৈঠকে তাশাহুদ পাঠ করে দুরূদ শরীফ পাঠ করতে হবে।
দরূদ শরীফ
“আল্লাহুম্মা সল্লিয়ালা মুহাম্মাদ ওয়া আলা আলি মুহাম্মাদ কামা সল্লাইতা আলা ইব্রাহীম ওয়ালা আলি ইব্রাহীম ইন্নাকা হামিদুম্মাজিদ। আল্লাহুম্মা বারিক আলা মুহাম্মাদ ওয়ালা আলি মুহাম্মাদ কামা বারতকা আলা ইব্রাহীম ওয়ালা আলি ইব্রাহীম ইন্নিকা হামিদুম্মাজিদ।”
- এরপর দোয়া মাসুরা পড়তে হবে।
দোয়া মাসুরা
“আল্লাহুম্মা ইন্নি জলামতু নাফসি জুলমান কাসিরা ওয়ালা ইয়াগফিরুজ্ জুনুবা ইল্লা আন্তা ফাগফিরলী মাগফিরাতাম মিন ইন্দিকা ওয়ার হামনী ইন্নাকা আন্তাল গাফুরুর রাহীম।”
- এরপর সালাম ফিরিয়ে নামাজ শেষ করতে হবে।
এভাবে মাগরিবের তিন রাকাত ফরজ নামাজ আদায় করতে হয়।
দুই রাকাত সুন্নত নামাজ আদায়ের নিয়ম
- আগের নিয়মেই এই দুই রাকাত সুন্নত নামাজ আদায় করতে হবে। তবে এক্ষেত্রে নিয়ত শুধু ভিন্ন পড়তে হবে।
- সুরা ফাতিহার সাথে যেকোনো সূরা মিলিয়ে পড়ে দুই রাকাত নামাজ আদায় করতে হবে।
- শেষ বৈঠকে আগের নিয়মে তাশাহুদ, দরূদ শরীফ ও দোয়া মাসুরা পড়ে সালাম ফিরিয়ে নামাজ শেষ করতে হবে।
এভাবেই মাগরিবের দুই রাকাত সুন্নত নামাজ আদায় করতে হয়।
দুই রাকাত নফল নামাজের নিয়ম
- নফল নামাজের ক্ষেত্রেও একই নিয়মে সুন্নত নামাজের অনুরূপ নামাজ আদায় করতে হবে তবে নামাজের শুরুতে নিয়ত ভিন্ন পড়তে হবে। এভাবে মাগরিবের দুই রাকাত নফল নামাজ আদায় করতে হয়।
প্রয়োজনীয় দোয়া
সকল নামাজের পর নির্দিষ্ট কিছু দোয়া পাঠ করতে হয় বা আমল করতে হয়। এতে অধিক নেকী লাভ করা যায়। এভাবে মাগরিবের নামাজের পর যেসব আমল করা ভালো তা ধারাবাহিকভাবে বর্ণনা করা হলো:
✓ মাগরিবের ফরজ নামাজের পর উপরের দিকে তাকিয়ে “আল্লাহু আকবার”বলে তিনবার “আস্তাগফিরুল্লাহ” পড়ে নিচের দোয়াটি পাঠ করা ভালো।
“আল্লাহুম্মা আনতাস সালামু ওয়া মিনকাস সালাতুত তাবারাকতা ইয়া জালজালালি ওয়াল ইকরাম” সকল ফরজ নামাজের পরই এই আমল করতে হয়। নবী করীম (সা) নিজে এ আমলটি করতেন।
✓এছাড়াও ফরজ নামাজের পর নিম্নোক্ত দুআ টি পাঠ করা উত্তম।
“লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা-শারিকা লাহু। লাহুল মুলকু ওয়া লাহুল হামদু।ওয়াহুয়া আ’লা কুল্লি শাইয়ীন কাদীর। আল্লাহুম্মা লা-মানিয়া লিমা আতাইতা।ওয়ালা মুতিয়া লিমা মানাতা ওয়ালা ইয়ানফাউজাল জাদ্দী মিনকাল জাদ্দু।”
✓ প্রত্যেক ফরজ নামাজের পর আয়াতুল কুরসি পাঠ করা অতি উত্তম। নবী করীম (সা) নিজে এই আমলটি করতেন ও সবাইকে করার আদেশ দিয়েছেন।দৈনিক ফরজ নামাজের পর আয়াতুল কুরসি পাঠকারীকে আল্লাহ তায়ালা জান্নাতের সুসংবাদ দিয়েছেন। তার জান্নাতে প্রবেশ করতে মৃত্যু ছাড়া আর কোন বাধা থাকবে না।
✓মাগরীবের নামাজসহ সকল নামাজের পর “সুবহানাল্লাহ” (৩৩বার)”আলহামদুলিল্লাহ” (৩৩বার),”আল্লাহু-আকবার” (৩৩বার) এবং “লা-ইলা-হা ইল্লাল্ল-হু ওয়াহদাহু লা- শারীকা-লাহু লাহুল মুলকু ওয়ালাহুল হামদু ওয়াহুওয়া আলা- কুল্লি শাইয়িন ক্বদীর”(১ বার) পাঠ করতে হয়।
এগুলো পাঠ করলে পাঠকারীর গুনাহসমূহ সমুদ্রের ফেনারাশির মতো অসীম হলেও ক্ষমা করে দেয়া হয়।(মুসলিম:১২৪০)
✓ “হুয়াল গাফুরুর রাহীম” অর্থ:তিনি মার্জনাকারী ও করুণাময়। এই তাসবিহটি মাগরিবের নামাজের পর পাঠ করতে হয়।
✓ প্রতিদিন মাগরিবের নামাজের পর সূরা ওয়াকিয়া পাঠ করলে সংসারে অভাব অনটন হয় না ও সম্পদে বরকত আসে।
✓ নবী করীম (সা) বলেছেন, যে ব্যক্তি সকাল-সন্ধ্যা সুরা ইখলাস,সুরা ফালাক ও সুরা নাস পড়বে সে সব বিপদ-আপদ থেকে নিরাপদ থাকবে।’ (তিরমিজি) তাই মাগরিবের নামাজের পর এই তিন সূরা পাঠ করা ভালো।
✓ ফজর ও মাগরিবের নামাজের পর ১০ বার করে দরূদ শরীফ পাঠ করলে পাঠকারী কেয়ামতের দিন রাসূল (সা) এর শাফা’আত লাভ করবে।
✓ নিম্নের দোয়াটি ফজর ও মাগরিবের নামাজের পর ৩ বার পাঠ করলে রাসূল (সা) তাকে হাত ধরে জান্নাতে নিয়ে যাবেন। “রাদ্বীতু বিল্লাহি রব্বা,ওয়াবিল ইসলামি দ্বীনা, ওয়াবি মুহাম্মাদিন নাবিয়্যা”
উপরোক্ত দোয়া সমূহ মাগরিবের নামাজের পর পাঠ করলে অধিক সওয়াব অর্জন করা যায়।
মাগরিবের নামাজের ফজিলত
মাগরিবের নামাজের অনেক ফজিলত সম্পর্কে আল কোরআন ও হাদিসে এসেছে। এ সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য উপস্থাপন করা হলো।
- এই নামাজ মুমিনের কল্যাণ নিশ্চিত করে। এ সম্পর্কে আল্লাহর রাসূল (সা) বলেন,
“আমার উম্মত ততদিন কল্যাণের মধ্যে থাকবে যতদিন তারা মাগরিবের নামাজ আদায়ে তারকা উজ্জ্বল হওয়া পর্যন্ত বিলম্ব না করবে।”
(আবু দাউদ : ৪১৮)
- আল কোরআনে সকাল-সন্ধ্যায় আল্লাহ তায়ালাকে স্মরণ করার কথা বলা হয়েছে। অর্থাৎ এখানে ফজর ও মাগরিবের নামাজের কথা বলা হয়েছে। এ সময়কে বেশি গুরুত্বারোপ করা হয়েছে কারণ এ সময়ে প্রকৃতির সবচেয়ে বড় পরিবর্তন হয়।দিন ও রাতের পালাবদল ঘটে।
- হাদিসে এসেছে, “যে ব্যক্তি গুরুত্বের সঙ্গে মাগরিবের দুই রাকাত সুন্নত নামাজ আদায় করবে তার জন্য জান্নাতে একটি ঘর নির্মাণ করা হবে।” (তিরমিজি :৬৩৬২)
- সঠিক নিয়মে মাগরিবের নামাজ আদায়কারী ব্যক্তি আল্লাহর নিকট অধিক প্রিয়।
- মাগরিবের নামাজ জামাতের সাথে আদায় করা উত্তম।
- ফজর ও মাগরিবের নামাজের সময় ফেরেশতাগণ তাদের স্থান পরিবর্তন করেন,আর এ সময়ে তারা বান্দাকে নামাজরত অবস্থায় দেখলে আল্লাহর দরবারে গিয়ে সেই বান্দার ব্যপারে আলোচনা করেন।
- এ নামাজ আদায়ে বান্দার সকল প্রকার বিপদ-আপদ দূর হয়।
- সর্বোপরি মাগরিবের নামাজসহ পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ সঠিক নিয়মে আদায় করলে অনেক নেয়ামত লাভ করা যায়।
পরিশেষে
পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের মধ্যে মাগরিবের নামাজ বিশেষ গুরুত্ব বহন করে। এ নামাজ পড়ার মাধ্যমে একজন মুমিন দুনিয়া ও আখেরাতের সুখ নিশ্চিত করতে পারে। একজন মুসলিমের ঈমানের পরিপূর্ণতার জন্য মাগরিবের নামাজ অনেক গুরুত্বপূর্ণ। আল্লাহ তায়ালা যেন আমাদের সকলকে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায়ের তৌফিক দান করেন।