প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক কি? কীভাবে প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক লোন পাবেন?

প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক

Last Updated on June 20, 2022 by Mijanur Rahman

বিগত চল্লিশ বছরে বাংলাদেশ থেকে প্রবাসে গমন করেছে প্রায় ১ কোটি ২৫ লাখ প্রবাসী এবং তা প্রতিনিয়ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। দেশের মোট জিডিপিতে রেমিট্যান্সের অবদান ১২ শতাংশের মতো। এখন প্রশ্ন জাগতে পারে যে সকল মানুষ দিনের পর দিন এত কষ্ট করে প্রবাসে জীবনযাপন করে দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে তাদের জন্য এই দেশ কি করছে? প্রবাসীদের এই সকল ভূমিকার প্রতি দৃষ্টিপাত রেখেই গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক প্রতিষ্ঠা করেন। প্রবাসীদের সকল সুযোগ-সুবিধা সহকারে সকল ধরনের সাহায্য প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক করে থাকে। কিন্তু অনেক প্রবাসী এই ব্যাংকের কার্যক্রম সম্পর্কে অবগত নয়। যার ফলে তারা ব্যাংকিং সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। তাই নিচে প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক কি, প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক লোন পাওয়ার উপায়, প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক লোনের সুবিদা,  এর উদ্দেশ্য, সেবাসমূহ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।

প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক

বাংলাদেশে সরকারি খাতে ছয়টি রাষ্ট্রায়ত্ত ও দুটি বিশেষায়িত ব্যাংক বাণিজ্যিক কার্যক্রম চালাচ্ছিল। নবম ব্যাংক হিসেবে এই খাতে তফসিলভুক্ত হয় প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক। যারা কাজের জন্য বাংলাদেশ থেকে প্রবাসে যেতে চান বা প্রবাস থেকে দেশে ফিরে এসেছেন তাদের আর্থিক সহায়তার জন্য সরকার সবসময় কাজ করে আসছে। সেটির একটি ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ সরকার প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক প্রতিষ্ঠা করেন। প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক শুরু থেকে প্রবাসীদের জন্য কাজ করে আসছে।

প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক
প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক লগো

বাংলাদেশের স্বাধীনতার পরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সবসময় স্বপ্ন দেখতেন প্রবাসীদের জন্য কাজ করার। এর জন্য তিনি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীনে প্রবাসী কল্যাণ পরিদপ্তরও প্রতিষ্ঠা করেন। কিন্তু বিভিন্ন সমস্যা কারণে এই উদ্যোগটি বেশিদূর সম্প্রসারিত হতে পারেনি। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উনার পিতার এই স্বপ্নকে পূরণ করার জন্য এগিয়ে এসেছেন। তিনি প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক আইন-২০১০ এর ৫৫নং আইনের মাধ্যমে প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক প্রতিষ্ঠা করেন। ২০১১ সালের ২০ শে এপ্রিল মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঢাকায় কলম্বো প্রসেস এর ৪র্থ সম্মেলন চলার সময় এই ব্যাংকের শুভ উদ্বোধন করেন। প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকের আইন, বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদক্রমে, প্রয়োজনে, Bangladesh Bank Order, 1972 (President’s Order No. 127 of 1972) এর অধীনে ব্যাংকটি তফসিলি ব্যাংকে রূপান্তর করা যাইবে। তাই এই আইন অনুযায়ী ২০১৮ সালের ৩০ শে জুলাই বাংলাদেশ ব্যাংক একটি প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংককে তফসিলি বিশেষায়িত ব্যাংকরূপে তালিকাভূক্ত করে। ব্যাংকটি যাত্রা শুরু করে ১ বিলিয়ন টাকা মূলধন নিয়ে। এই মূলধনের ৫% এসেছে বাংলাদেশ সরকার হতে এবং বাকি ৯৫% এসেছে প্রবাসী শ্রমিক কল্যাণ ফান্ড থেকে। পরিচালনা বোর্ডের অনুমোদনক্রমে ব্যাংকের পরিশোধিত মূলধনের অতিরিক্ত মূলধন প্রবাসী বাংলাদেশীদের নিকট হইতে সংগ্রহ করা যাবে।

সরকার ও কল্যাণ তহবিল পরিচালনার জন্য ব্যাংকের উদ্যোক্তা হবে ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ তহবিল বিধিমালা, ২০০২ এর অধীন গঠিত পরিচালনা বোর্ড। এর প্রধান কার্যালয় ঢাকায়। তবে ব্যাংক, বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদনক্রমে এটি পরিচালনা বোর্ডের পরামর্শ মত আঞ্চলিক অফিস, অন্যান্য অফিস এবং শাখা স্থাপন করিতে পারবে। বর্তমানে এর প্রায় ৮৭টি শাখা রয়েছে।

প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্য

প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন একটি ব্যাংক যেটি প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল প্রবাসীদের আর্থিক নিরাপত্তা প্রদান করার জন্য। এই ব্যাংক প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্য হলোঃ

  1. বিদেশে কর্মীদের চাকরি ও নিরাপদ অভিবাসন নিশ্চিতকরণ।
  2. যারা বিদেশ থেকে দেশে ফেরত এসেছে তাদের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টির লক্ষ্যে ঋণ প্রদান।
  3. তথ্য অধিকার ও স্বপ্রণোদিত তথ্য প্রকাশ বাস্তবায়ন করা।
  4. রেমিট্যান্সের প্রবাহ বৃদ্ধিতে সহায়তা প্রদান। বিদেশে কর্মীরা যাতে অবৈধ পন্থায় রেমিটেন্স না পাঠায় সেই জন্য প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে নিরাপদে ও দ্রুততার সাথে সাশ্রয়ী ব্যয়ে বিদেশ থেকে রেমিট্যান্স প্রেরণে সহায়তা প্রদান।
  5. বিদেশে কর্মীদের প্রেরিত অর্থ তাদের নির্দেশ মতো ব্যাংকে সংরক্ষণ, ব্যবস্থাপনা এবং তা সংশ্লিষ্টদের নিকট সহজলব্দ ও সাশ্রয়ী উপায়ে পৌঁছানোর ব্যবস্থা নিশ্চিতকরণ করা।
  6. দক্ষতা ও নৈতিকতার উন্নয়ন করা।
  7. সহজ শর্তে স্বল্পসময়ে যারা কাজের জন্য বাংলাদেশ থেকে প্রবাসে যেতে চান বা প্রবাস থেকে দেশে ফিরে এসেছেন তাদের “অভিবাসন ঋণ”  ও “ পূণর্বাসন ঋণ ” প্রদান।
  8. কর্মদক্ষতার সাথে বার্ষিক কর্মসম্পাদন করা ও চুক্তি বাস্তবায়ন করা।
  9. উদ্ভাবন ও প্রবাসীদের কাজে সৃষ্ট বিভিন্ন অভিযোগ প্রতিকারের মাধ্যমে ব্যাংকের সেবার মানোন্নয়ন করা।
  10. আর্থিক ব্যবস্থাপনার উন্নয়ন করা।
  11. প্রবাসী বাংলাদেশীদের দেশে বিনিয়োগে উৎসাহিতকরণ করা এবং তাদের এই কাজে প্রয়োজনে ঋণ প্রদান করা।
  12. বাংলাদেশ থেকে প্রবাসে যেতে চান এদের জামানতসহ বা জামানত ব্যতিরেকে, নগদে বা অন্য কোন প্রকারে অনুকূলে ঋণ প্রদান।
  13. সরকারের অনুমোদন গ্রহণ করে দাতা বা প্রতিষ্ঠান থেকে ঋণ গ্রহণ করা।
  14. বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদন গ্রহণ করে নির্দিষ্ট সময়ের জন্য নিচের কার্যক্রমগুলো সম্পাদন করাঃ
    • প্রবাসীদের ব্যবসার কাজে উৎসাহিত করার জন্য কিছু জামানত রেখে ঋণ গ্রহণ এবং প্রদান করা। এইক্ষেত্রে জামানত হিসাবে স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তির পণ (Pledge), বন্ধক, দায়বন্ধক (hypothecation) বা স্বত্বনিয়োগ (assignment) গ্রহণ করে।
    • যে কোন মূল্যবান সামগ্রী যেমনঃ সেভিংস সার্টিফিকেট, মালিকানা দলিল নিরাপদ হেফাজতে রাখা।
    • যে কোন ধরণের তহবিল বা ট্রাস্ট গঠন করা এবং সেই তহবিল পরিচালনা ও নিয়ন্ত্রণ করা, শেয়ার ধারণ করা ও বিলিবন্টন করা।
    • দেশের অভ্যন্তরে অর্থ এবং সিকিউরিটিজ গ্রহণ, সংগ্রহ, প্রেরণ ও পরিশোধ করা।
    • সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা সরকার কর্তৃক অন্য যে সকল কার্য ব্যাংক করা যেতে পারে বলে নির্দিষ্ট করা হয় সেটি সম্পাদন করা।

ব্যাংকটির অর্জন

প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই প্রবাসীদের জন্য বিভিন্ন ধরনের কাজ করে যাচ্ছে। এমনকি অনেক সময় ব্যাংকের কর্মকর্তাগণ আবেদনকারীর বাড়িতে সশরীরে উপস্থিত হয়ে ঋণ প্রদানের সমস্ত আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্নও করেছেন। তাই এই ব্যাংকে অর্জন নেহাতই কম হবে। যথাঃ

  1. এই পর্যন্ত ৪২,৬১৩ বিদেশগামী কর্মীকে অভিবাসী ঋণ প্রদান করেছে।
  2. মাত্র ০৩ দিনে অভিবাসন ঋণ মঞ্জুর করে থাকে।
  3. ২০২০-২০২১ অর্থবছরে প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের আওতাধীন বিশেষায়িত ব্যাংকগুলোর মধ্যে বার্ষিক কর্ম সম্পাদন চুক্তিতে (এপিএ) প্রথম স্থান অর্জন করেছে।
  4. প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে ‘বঙ্গবন্ধু অভিবাসী বৃহৎ পরিবার ঋণের আওতায় ১৩৮ জন প্রবাসী কর্মীর পরিবারের জন্য স্বল্প সুদে ৪ কোটি টাকার ঋণ মঞ্জুর করেছে।
  5. প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকের শাখা হতে বিদেশ গমনেচ্ছুক কর্মীর কাছ হতে প্রায় প্রতিদিন ২০০০ রেজিস্ট্রেশন ফি,স্মার্টকার্ড ফি এবং ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ ফি সংগ্রহ করে থাকে।
  6. ২০১৪ সালের জানুয়ারি হতে প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক অনলাইন ব্যাংকিং কার্যক্রম চালু করেছে।
  7. প্রবাসী কর্মীদের সহায়তা দেয়ার জন্য হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে হেল্প-ডেস্ক স্থাপন করা হয়েছে।
  8. সরকারের সহায়তায় বৈধভাবে বিদেশে যাওয়া কর্মী বা বিদেশ থেকে বৈধভাবে রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন এমন কর্মী এবং করোনায় মৃত কর্মীদের পরিবার অথবা যারা দেশে চলে এসেছেন তাদেরকে প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক ৪ শতাংশ সরল সুদে বিনিয়োগ ঋণ দেন।

প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক

প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক লোন

যেহেতু প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক শুধুমাত্র প্রবাসীদের নিয়ে কাজ করে তাই আপনি ‍তিন ক্ষেত্রে প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক ঋণ পেতে পারেন-

  • আপনি যদি বৈধপথে বিদেশ গমনের জন্য ঋণ নিতে চান তবে সেটা নিতে পারবেন। বিদেশগামী কর্মীকে বৈধপথে বিদেশ গমনের সময় অভিবাসী ঋণ প্রদান করা হয় সর্বোচ্চ তিন লক্ষ টাকা।
  • যদি আপনি প্রবাসী হন এবং ছুটিতে বাড়িতে আসেন। আবার প্রবাসে ফিরে যেতে চান সেই ক্ষেত্রে আপনি বিমান টিকেট করার জন্য ঋণ নিতে পারবেন সর্বোচ্চ দুই লক্ষ টাকা।
  • যদি প্রবাস হতে আপনি একেবারেই ফিরে আসেন আর ঠিক করেছেন আর ফিরে যাবেন না। এখন যদি আপনি দেশে কিছু করতে চান তবে প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক হতে পূনর্বাসন ঋণ নিতে পারবেন সর্বোচ্চ দশ লক্ষ টাকা। নিচে ঋণ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হলঃ

অভিবাসী ঋণ

প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক অভিবাসীদের যে ঋণ দেয় থাকে অভিবাসী ঋণ বলা হয়ে থাকে, অভিবাসী ঋণকে মাইগ্রেশন লোনও বলা হয়।

অভিবাসী লোন পাওয়ার উপায়

অভিবাসী ঋণ পাওয়ার জন্য কিছু যোগ্যতার প্রয়োজন হয়, সেগুলি নিচে দেওয়া হল।

  • যদি আপনি আপনার বিদেশে চাকুরীর জন্য ভিসা ঘনিষ্ঠ আত্বীয় বা নিয়োগ কর্তার মাধ্যমে পেয়ে থাকেন তাহলে আবেদনকারীকে ভিসা যাচাইয়ের জন্য নিয়োগকারীকে বা ব্যক্তিগত ভাবে তার সংগৃহীত ভিসার ০২ কপি ফটোকপি ও মোবাইল নাম্বার দিতে হবে। ব্যাংক উক্ত ভিসা ০৩ (তিন) কর্মদিবসের মধ্যে যাচাই করে আবেদনকারীকে ফোন / এস.এম.এস-এর মাধ্যমে জানিয়ে দিবে।
  • আপনার ঘনিষ্ঠ জন আপনার অনুপস্থিতিতে ব্যাংকের পাওনা পরিশোধের দায়িত্ব গ্রহণ করবে।
  • আবেদনকারী অভিবাসী ঋণ তখনই পাবেন যদি তিনি আর্থিকভাবে সচ্ছল থাকেন।

প্রয়োজনীয় কাগজপাতি

অভিবাসী ঋণ পাওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় কিছু কাগজপাতি লাগে, ভিসা পাওয়ার পর নিচের প্রয়োজনীয় কাগজ ব্যাংকে জমা দিতে হবেঃ

  • আবেদনকারী ব্যাংক থেকে ফোন / এস.এম.এস পাওয়ার পর পরিচালক / ব্যবস্থাপক-এর বরাবর আবেদন করতে হবে।
  • আবেদন করার পরে অভিবাসন ঋণের আবেদন ফর্ম পূরণ করতে হবে।
  • আবেদনকারীকে ব্যাংকে ভোটার আইডি কার্ডের সত্যায়িত ফটোকপি, পাসপোর্টের সত্যায়িত ফটোকপি, বর্তমান ঠিকানা এবং স্থায়ী ঠিকানা সংবলিত পৌরসভা/ ইউনিয়ন পরিষদ সার্টিফিকেট এর সত্যায়িত ফটোকপি, শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদ এর সত্যায়িত ফটোকপি (যদি থাকে), শারীরিক যোগ্যতার সার্টিফিকেট এর সত্যায়িত ফটোকপি, কর্ম অভিজ্ঞতার সনদ, BMET কর্তৃক ইস্যুকৃত ইমিগ্রেশন ক্লিয়ারেন্স কার্ডের উভয় পিঠের সত্যায়িত ফটোকপি, সদ্য তোলা ০৩ (তিন) কপি সত্যায়িত ছবি, বিমান টিকেটের ফটোকপি, অভিবাসন ব্যয়ের বিবরণী সাদা কাগজে লিখিত, ঋণ ফেরত প্রদানের হলফনামা জমা দিতে হবে।
  • আবেদনকারীর জামিনদারদের প্রত্যেকের ব্যাংকে ভোটার আইডি কার্ডের সত্যায়িত ফটোকপি, বর্তমান ঠিকানা এবং স্থায়ী ঠিকানা সংবলিত পৌরসভা/ ইউনিয়ন পরিষদ সার্টিফিকেট এর সত্যায়িত ফটোকপি, সদ্য তোলা ০৩ (তিন) কপি সত্যায়িত ছবি জমা দিতে হবে।
  • আবেদনকারীকে অভিবাসন ঋণ গ্রহণকালে বীমা সুবিধা নিতে হবে।
  • আবেদনকারীকে অভিবাসন ঋণ গ্রহণকালে সঞ্চয়ী হিসাব খুলতে হবে। উনার আয়কৃত রেমিটেন্স উক্ত সঞ্চয়ী হিসাবের দ্বারা দেশে প্রেরণ করতে হবে।
  • আবেদনকারীর জামিনদারদের যে কোন একজনের ব্যাংক একাউন্টের চেক এর ০৩টি পাতা (চেক MICR হতে হবে ) প্রদান করতে হবে।
  • আবেদনকারীকে দূতাবাস কর্তৃক প্রদত্ত ভিসা এবং যেখানে প্রাপ্ত বেতন ভাতাদির উল্লেখ রয়েছে সেই লেবার কন্ট্রাক্ট এর ২ কপি ফটোকপি এবং প্রয়োজন সাপেক্ষে ভিসার যথার্থতা বিষয়ে BMET কর্তৃক প্রত্যায়ন পত্র ও স্থানীয় ভাষায় অনুবাদকৃত ভিসার ফটোকপি কপি জমা দিতে হবে।
  • আবেদনকারীকে যদি সম্ভব হয় বিদেশের কর্মস্থলের ঠিকানা, টেলিফোন নং / ই-মেইল ঠিকানা দিতে হবে।

ঋণ পরিশোধ

অভিবাসন ঋণ পরিশোধের চার্জ ও নিয়মাবলীঃ

  • অভিবাসন ঋণে  সুদের হার শতকরা মাত্র ০৯ টাকা।
  • পরিশোধের দিন হতে সর্বোচ্চ ০২(দুই) মাস গ্রেস পিরিয়ড প্রদান করা হয়।
  • ভিসার মেয়াদ এবং দেশ যেমনঃ সংযুক্ত আরব আমিরাত, কাতার, ইতালি, ইউরোপ, সৌদিআরব ইত্যাদি) অনুযায়ী ঋণ পরিশোধের মেয়াদকাল সর্বোচ্চ ০২ বছর হয়ে থাকে। অর্থাৎ আবেদনকারীর ২২ টি মাসিক কিস্তিতে গৃহীত ঋণ পরিশোধ করতে হবে। কিন্তু সিঙ্গাপুরের ক্ষেত্রে ঋণ পরিশোধের মেয়াদকাল সর্বোচ্চ ১০ কিস্তিতে মানে ১ বছর।

প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক পূণর্বাসন ঋণ

পূণর্বাসন ঋণকে রিহাবিলিটেশন লোনও বলা হয়। নিচের ধাপগুলি অনুসরণ করলে প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক পূণর্বাসন ঋণ বা লোন আপনি সহজেই পেতে পারেন।

পূণর্বাসন ঋণ এর খাতসমূহ

  • কৃষি ঋণ প্রকল্প
  • মাঝারী ধরনের কৃষি নির্ভর শিল্প ঋণ প্রকল্প।
  • মৎষ চাষ প্রকল্প। ৪) মুরগীর খামার প্রকল্প।
  • গরু মোটা তাজাকরন প্রকল্প।
  • দুদ্ধ উৎপাদনকারী খামার প্রকল্প।
  • নারী উদ্যোক্তাদের জন্য ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প প্রকল্প।
  • একটি বাড়ী একটি খামার প্রকল্প।
  • তথ্য প্রযুক্তি নির্ভর উদ্যোক্তা ঋণ প্রকল্প।
  • বায়োগ্যাস প্লান্ট প্রকল্প।
  • সৌর জ্বালানী খাত প্রকল্প।

লোন পাওয়ার উপায়

আপনি যদি প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক থেকে পূণর্বাসন ঋণ পেতে চান তাহলে আপনার কিছু প্রাথমিক যোগ্যতা লাগবে, সেগুলি হলঃ

  • পূণর্বাসন ঋণ পাওয়ার জন্য আবেদনকারীকে বিদেশ থেকে প্রত্যাগমনকারী হতে হবে।
  • আবেদনকারীর সকল বৈধ কাগজ-পত্র থাকতে হবে।
  • পূণর্বাসন ঋণ পাওয়ার জন্য আবেদনকারীকে বিদেশ থেকে প্রত্যাগমন করার ৫ (পাঁচ) বছরের মধ্যে আবেদন করতে হবে।
  • আবেদনকারীর আবেদন করার পূর্বে বৈধ ব্যবসা বা প্রকল্পটি প্রাথমিকভাবে শুরু করতে হবে।
  • আবেদনকারীকে ব্যাংকে পূণর্বাসন ঋণ এর জন্য  জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্রাদিসহ জীবন বৃত্তান্ত প্রদান করতে হবে।
  • যদি ব্যাংক প্রাথমিক আবেদনে সিলেক্ট করে তাহলে ঋণ সম্পর্কিত মূল ফরমটি পূরণ করে জমা দিতে হবে।

প্রয়োজনীয় কাগজপাতি

পূণর্বাসন ঋণ পাওয়ার জন্য নিচের প্রয়োজনীয় কাগজ দরকারঃ

  1. আবেদনকারীকে ব্যাংকে ভোটার আইডি কার্ডের সত্যায়িত ফটোকপি, পাসপোর্টের সত্যায়িত ফটোকপি, বর্তমান ঠিকানা এবং স্থায়ী ঠিকানা সংবলিত পৌরসভা/ ইউনিয়ন পরিষদ সার্টিফিকেট এর সত্যায়িত ফটোকপি, সদ্য তোলা ০৩ (তিন) কপি সত্যায়িত ছবি,.হাল নাগাদ ট্রেড লাইসেন্সের ফটোকপি, কর্ম অভিজ্ঞতার সনদপত্র ( কি কি কাজে আপনার অভিজ্ঞতা আছে, হাতের কাজ আসবাবপত্র তৈরি বা  গরু-ছাগল পালন, হাঁস-মুরগী পালন, মৎস চাষ ইত্যাদি প্রকল্পের জন্য কোন প্রশিক্ষণ আছে কি না) জমা দিতে হবে।
  2. জামানতকৃত সম্পত্তির মালিকানার দলিলাদিসহ খারিজ খতিয়ান ও হাল সনের খাজনার দাখিলার সত্যায়িত ফটোকপি এবং প্রকল্পের বিস্তারিত বিবরণ যেমনঃ প্রকল্পের ঠিকানা, প্রকল্পের স্থান জমা দিতে হবে।
  3. আবেদনকারীর প্রকল্পের স্থান যদি ভাড়া করা হয় তাহলে ভাড়ার চুক্তিপত্রের ফটোকপি, যদি নিজের স্থান হয়ে থাকে তাহলে মালিকানার প্রমাণপত্র জমা দিতে হবে।
  4. আবেদনকারীর প্রকল্পটি নতুন হলে আপনাকে আপনার আগামী ০২ (দুই) বছরের সম্ভাব্য আয়-ব্যয় এর বিবরণী  জমা দিতে হবে। কিন্তু যদি আপনার প্রকল্পটি পুরোনো হয় তাহলে বিগত ০২ বছরের লাভ/লোকসানের হিসাব ও ঋণ গ্রহীতার নিজস্ব বিনিয়োগের পরিমাণ জমা দিতে হবে।
  5. আবেদনকারীর জামিনদারদের প্রত্যেকের ব্যাংকে ভোটার আইডি কার্ডের সত্যায়িত ফটোকপি, বর্তমান ঠিকানা এবং স্থায়ী ঠিকানা পূর্ণ বিবরণ সংবলিত পৌরসভা/ ইউনিয়ন পরিষদ সার্টিফিকেট এর সত্যায়িত ফটোকপি, আর্থিক সংগতির কাগজ পত্র, সদ্য তোলা ০৩ (তিন) কপি সত্যায়িত ছবি জমা দিতে হবে।
  6. আবেদনকারীর বিদেশ থেকে প্রত্যাগমন এর  যাবতীয় কাগজপত্রের সত্যায়িত ফটোকপি। অর্থাৎ তিনি কেন দেশে ফেরত আসলেন, কতদিন থাকবেন, আবার ফেরত যাবেন কিনা। কেন যাবেন না। এই সকল কিছুর পূর্ণ বিবরণীসহ কাগজপত্র সত্যায়িত করে জমা দিতে হবে।
  7. আবেদনকারীকে ব্যক্তিগত ভাবে চিনে এমন সামাজিক ও আর্থিকভাবে প্রতিষ্ঠিত ২ জন পরিচয় দানকারীর নাম, ঠিকানা ও ফোন নাম্বার দিতে হবে।
  8. অন্য কোন ঋণ থাকলে তার বিবরণী যেমনঃ কোন সংস্থা, এনজিও, ব্যাংক হতে ঋণ নিয়েছেন, কতদিন মেয়াদি। ঋণ খেলাপি কিনা( হ্যাঁ/না)। এসব সংক্রান্ত তথ্যাবলী জমা দিতে হবে।
  9. ঋণ ফেরত দানের হলফনামা যে আপনি সময় মত আপনার ঋণ ব্যাংকে ফেরত দিবেন।

ঋণ পরিশোধ

পূণর্বাসন ঋণ পরিশোধের চার্জ ও নিয়মাবলী হল

  • পূণর্বাসন ঋণ সুদের হার শতকরা মাত্র ০৯ টাকা।
  • পরিশোধের দিন হতে প্রকল্পের ধরন মত গ্রেস পিরিয়ড প্রদান করা হয়।

বঙ্গবন্ধু অভিবাসী বৃহৎ পরিবার ঋণ

এটি প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকের নতুন ঋণ। এই ঋণের আওতায় যে সকল  প্রবাসী BMET ইমিগ্রেশন ক্লিয়ারেন্স কার্ড নিয়ে বিদেশে গমন করে তাদের পরিবারের মানুষরা পড়বে। তারা প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক থেকে জামানত সহ বা জামানত বাদে ঋণ নিতে পারবে।

প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক

বঙ্গবন্ধু অভিবাসী বৃহৎ পরিবার ঋণ এর খাতসমূহঃ

  • কৃষি খাত
  • মৎস্যখাত
  • প্রাণী খাত
  • কুটির শিল্প
  • বাণিজ্যিক খাত।

 ঋণের ধরন

  • প্রকল্প ঋণ
  • চলতি পুঁজি বা নগদ ঋণ।

ঋণের প্রকৃতি

  • জামানত বিহীন ঋণঃ প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক জামানতবিহীন ঋণ দিয়ে থাকে সর্বোচ্চ 2 লক্ষ টাকা।  এক্ষেত্রে সর্বনিম্ন 2 জন গ্যারান্টরের গ্যারান্টি নিতে হবে। যার মধ্যে একজন হবে সংশ্লিষ্ট প্রবাসী ব্যক্তিটি।এই তিনজনের মধ্যে একজনের স্বাক্ষরিত তিনটি করে চেকের পাতা নিতে হবে।
  • জামানতসহ ঋণঃ প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক থেকে সাধারণত 2 লক্ষ টাকার ঊর্ধ্বে ঋণ নিতে হলে জামানতসহ ঋণ নিতে হবে। এই ঋণের জন্য ঋণ গ্রহীতার সম্পন্ন সম্পদ স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি রেজিস্ট্রি ব্যাংকের অনুকূলে দায়বদ্ধ থাকবে এবং এর সাথে আদালতের হস্তক্ষেপ ব্যতিরেকে বন্ধকী সম্পত্তি বিক্রয়ের নিমিত্তে রেজিস্টারড আমমোক্তারনামা নিতে হবে। পাশাপাশি স্বাক্ষরিত তিনটি চেকের পাতা নিতে হবে।

ঋণ পাওয়ার যোগ্যতা

  • ঋণগ্রহীতার পরিবারের সদস্যকে অবশ্যই বিদেশে থাকতে হবে
  • প্রবাসী ব্যক্তির বিদেশে সর্বনিম্ন এক বছরের জন্য কর্মরত থাকতে হবে।
  • ঋণগ্রহীতার প্রকল্প বা প্রতিষ্ঠান পরিচালনার জন্য যোগ্যতা অভিজ্ঞতা বা প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ থাকতে হবে।
  • অন্য কোনো ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে যদি ঋণখেলাপি হিসেবে ব্যক্তিটি চিহ্নিত হয়ে থাকে তাহলে সে ঋণ পাওয়ার যোগ্য বলে বিবেচিত হবে না।
  • উন্মাদ দেউলিয়া মানসিক ভারসাম্যহীন ব্যক্তি রাষ্ট্রদ্রোহী মামলার আসামি ঋণ পাওয়ার যোগ্য নয়।

প্রয়োজনীয় কাগজপত্র

বঙ্গবন্ধু অভিবাসী বৃহৎ পরিবার ঋণ পাওয়ার জন্য কিছু প্রয়োজনীয় কাগজপত্রের দরকার হয়, আপনি যদি এই প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক থেকে এই ঋণ নেওয়ার পরিকল্পনা করে থাকেন তাহলে আপনাকে নিচের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র প্রস্তুত করতে হবে।

  1. যিনি বিদেশে আছে উনার প্রমানপত্র সংক্রান্ত যাবতীয় কাগজপত্র যেমন পাসপোর্ট এর সিল যুক্ত পাতাসহ সত্যায়িত ফটোকপি, ভিসা স্মার্ট কার্ড এর সত্যায়িত ফটোকপি।
  2. অভিজ্ঞতা বা প্রশিক্ষণের প্রমাণপত্র। যদি প্রমাণপত্র না থাকে তাহলে প্রশিক্ষণের প্রধানের সত্যায়িত ফটোকপি।
  3. আবেদনকারীর আবেদনসহ  পারিবারিক তথ্য এবং জীবন বৃত্তান্ত, জাতীয় পরিচয় পত্রের ফটোকপি,  বর্তমান ঠিকানা এবং স্থায়ী ঠিকানা সংবলিত পৌরসভা/ ইউনিয়ন পরিষদ সার্টিফিকেট এর সত্যায়িত ফটোকপি, সদ্য তোলা ৩ (তিন) কপি সত্যায়িত ছবি জমা দিতে হবে।
  4. দুইজন গ্যারান্টারের জাতীয় পরিচয় পত্রের ফটোকপি,  বর্তমান ঠিকানা এবং স্থায়ী ঠিকানা সংবলিত পৌরসভা/ ইউনিয়ন পরিষদ সার্টিফিকেট এর সত্যায়িত ফটোকপি, সদ্য তোলা ২ (তিন) কপি সত্যায়িত ছবি জমা দিতে হবে।
  5. হাল নাগাদ ট্রেড লাইসেন্স এর ফটোকপি।
  6. জামানতকৃত সম্পত্তির মালিকানার দলিলাদিসহ খারিজ খতিয়ান ও হাল সনের খাজনার দাখিলার সত্যায়িত ফটোকপি এবং প্রকল্পের বিস্তারিত বিবরণ যেমনঃ প্রকল্পের ঠিকানা, প্রকল্পের স্থান জমা দিতে হবে।
  7. আবেদনকারীর প্রকল্পের স্থান যদি ভাড়া করা হয় তাহলে ভাড়ার চুক্তিপত্রের (letter of disclaimer) ফটোকপি, যদি নিজের স্থান হয়ে থাকে তাহলে মালিকানার প্রমাণপত্র জমা দিতে হবে। যদি আবেদনকারী দু লক্ষ টাকার ঊর্ধে ঋণ নেয় সেই ক্ষেত্রে প্রধান কার্যালয়ের প্রতিনিধি এবং শাখা ব্যবস্থাপকের সমন্বয় করে Financial feasibility study করে ঋণ প্রদানের যুক্তিকতা যাচাই করে প্রত্যায়ন পত্র দিতে হবে।
  8. আবেদনকারীর প্রকল্পটি নতুন হলে আপনাকে আপনার আগামী ০২ (দুই) বছরের সম্ভাব্য আয়-ব্যয় এর বিবরণী জমা দিতে হবে।
  9. অন্য কোন ঋণ থাকলে তার বিবরণী যেমনঃ কোন সংস্থা, এনজিও, ব্যাংক হতে ঋণ নিয়েছেন, কতদিন মেয়াদি। ঋণ খেলাপি কিনা( হ্যাঁ/না)। এসব সংক্রান্ত তথ্যাবলী জমা দিতে হবে।
  10. ঋণ ফেরত দানের হলফনামা যে আপনি সময় মত আপনার ঋণ ব্যাংকে ফেরত দিবেন।
  11. CIB রিপোর্ট জমা দিতে হবে।

কোভিড-19 ও প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক

প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের সহায়তায় কোভিড–১৯ এ ক্ষতিগ্রস্ত অভিবাসী কর্মীকে পূণর্বাসনের লক্ষ্যে পুনর্বাসন ঋণ চালু করে।

যারা ঋণ পাবেন

কোভিড-19 এ ক্ষতিগ্রস্ত ২ (দুই) ধরণের ব্যক্তি এই পুনর্বাসন ঋণ নিতে পারবেনঃ

  • কোভিড-১৯ এর প্রাদুর্ভাবের কারণে যে সকল প্রবাসীকর্মী ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে ১ মার্চ, ২০২০ থেকে বর্তমান সময় পর্যন্ত দেশে ফেরত এসেছেন। তিনি আর বিদেশ ফেরত যাবেন না এবং দেশে লাভজনক উপায়ে যেকোন কর্মসংস্থানমূলক খাতেঃ উৎপাদনশীল/বাণিজ্যিক/সেবামূলক খাতে বিনিয়োগ করবেন তিনি এই  ঋণ নিতে পারবেন।
  •  কোভিড-১৯ এর কারণে যে সকল বাংলাদেশি প্রবাসীকর্মী যদি বিদেশে মৃত্যুবরণ করেন তাহলে তাঁর পরিবারের ১ জন উপযুক্ত ভরণপোষণ সক্ষম ব্যক্তিসদস্য যেমন- পিতা, মাতা, স্বামী/স্ত্রী ও সন্তান যদি দেশে লাভজনক উপায়ে যে কোন কর্মসংস্থানমূলক খাতে উৎপাদনশীল/বাণিজ্যিক/সেবামুলক খাতে বিনিয়োগ করতে চান তাহলে তিনি এই ঋণ নিতে পারবেন।

এখানে সাধারণত পূণর্বাসন ঋণ এর মত যোগ্যতা এবং কাগজপত্র লাগবে।

সর্বোপরি প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক প্রবাসীদের জীবন যাত্রাকে আরো সহজ এবং সুন্দর করে তুলেছে।  এর ফলে তারা তাদের কাছে যেমন একটি নিশ্চয়তা খুঁজে পাচ্ছে তেমনি তাদের ওপর নির্ভরশীল তাদের পরিবারও উপার্জনক্ষম জীবনযাপন করতে সক্ষম হয়েছে।

বিঃদ্রঃ এই ব্লগের প্রত্যেকটা ব্লগ পোস্ট Sylhetism ব্লগের নিজস্ব ডিজিটাল সম্পদ। কেউ ব্লগের কোন পোস্ট কিংবা আংশিক অংশ ব্লগের কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া কপি পেস্ট করে অন্য কোথাও প্রকাশ করলে ব্লগ কর্তৃপক্ষ ডিজিটাল সিকিউরিটি আইনে মামলা করার অধিকার রাখে। এবং অবশ্যই কপিরাইট ক্লাইম করে যে মাধ্যমে এই ব্লগের পোস্ট প্রকাশ করা হবে সেখানেও অভিযোগ সাবমিট করা হবে।

ধন্যবাদ, ব্লগ কর্তৃপক্ষ।

Author

4 thoughts on “প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক কি? কীভাবে প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক লোন পাবেন?”

  1. জাহাঙ্গীর আলম

    প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক , অনেক একটা বাজে প্রতিষ্ঠান , এরা মানুষকে উপকার করার চেয়ে ব্রিভানত করে বেশি, আমি নিজে দশ দিন ঘুরেও ঋণ নিতে পারিনি

  2. এমন সমস্যার সম্মুখীন হলে বাংলাদেশ ব্যাংকে লিখিত অভিযোগ উচিত। সরকার এই ব্যাংক প্রতিষ্ঠা করেছে প্রবাসীদের সহযোগিতা করার জন্যে।

  3. মো এরশাদ মজুমদার

    প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক কিভাবে ব্যবসায়ী ছাড়া লোন দেয় না এটা একটা ফালতু কল্যাণ ব্যাংক
    প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকের মায়েরে চ***
    প্রবাসীদের হয়রানি করস বানচোত মাদারচোদ

  4. মো এরশাদ মজুমদার

    আমি একজন প্রবাসী
    কুমিল্লা চৌদ্দগ্রাম শাখা প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক কর্মী
    খুবই বাজে। আমরা প্রবাসী
    সরকারি চাকরিজীবী ও ব্যবসাবি আমরা পাব কোথায়
    বলে দিলে তো হয় সরকারি চাকরিজীবী ও ব্যবসায়িক লোন।
    প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকের নাম দেওয়ার কি দরকার
    অমানুষের বাচ্চা

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top