Last Updated on 7th April 2024 by Mijanur Rahman
ডায়াবেটিস শব্দটি শুনে নি এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া যাবে না আজকাল। আমাদের সবার ফ্যামিলিতে কারো না কারো ডায়াবেটিস রোগ আছেই। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে,ডায়াবেটিস এখন মহামারী একটি রোগে পরিণত হয়েছে। এ রোগের প্রাদুর্ভাব অত্যাধিক হারে বাড়ার জন্য এই ঘোষণা দিয়েছে স্বাস্থ্য সংস্থাটি।
বাংলাদেশেও দিন দিন ডায়াবেটিস রোগী বেড়েই চলছে। বাংলাদেশে ডায়াবেটিস রোগীর সংখ্যা এখন প্রায় এক কোটির বেশী। প্রতি সাত সেকেন্ডে বিশ্বে একজন মানুষ ডায়াবেটিস আক্রান্ত হয়। প্রতি বছর ডায়াবেটিস এর কারণে সারা বিশ্বে ১০ লাখেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়।
তাই আমাদের সকলের ডায়াবেটিস সর্ম্পকে একটি স্বচ্ছ ধারণা থাকতে হবে। এখন প্রশ্ন আসতে পারে ডায়াবেটিস কি? ডায়াবেটিস কেন হয় ডায়াবেটিস কত হলে নরমাল? ডায়াবেটিস কমানোর উপায় কি? চলুন তাহলে ডায়াবেটিস সর্ম্পকে জেনে নেওয়া যাক-
ডায়াবেটিস কি?
ডায়াবেটিস এক ধরনের মেটাবলিক ডিজঅর্ডার। ডায়াবেটিস কখনো ভালো হয় না। তবে ডায়াবেটিসকে নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়। এক্ষেত্রে রোগীর শরীর পর্যাপ্ত পরিমাণে ইনসুলিন উৎপাদন করতে পারে না এবং তা কাজে লাগাতে পারে না। অনেক ক্ষেতে শরীরের ইনসুলিন একেবারে নষ্ট হয়ে যায়। অগ্নাশয় থেকে ইনসুলিন হরমোন প্রাকৃতিক ভাবে নিসৃত হয়। আমরা যখন কোন খাবার খাই আমাদের শরীর সেই খাদ্যের শর্করাকে ভেঙ্গে গ্লুকোজ বা চিনিতে রুপান্তরিত করে।
ইনসুলিনের কাজ হলো সেই চিনিকে শরীরের জ্বালানি বা শক্তি হিসেবে কাজে লাগানো। কিন্তু যখনই ইনসুলিনের তারতম্য দেখা যায় তখনই চিনি গুলো জমতে থাকে। এই অবস্থাকেই ডায়াবেটিস বলে। এর ফলে রক্তের মধ্যে চিনি জমতে থাকে।
ডায়াবেটিস কত হলে নরমাল?
American Diabetes Association এর মতে HBA1C (Hemoglobin A1C) এর মান ৫.৭ এর নিচে হলে ডায়াবেটিস নরমাল। এটি ৬.৫-এর বেশি হলে শরীরে ডায়াবেটিস আছে বলে মনে করা হয়ে থাকে। Hemoglobin A1C এর মান ৫.৭ থেকে ৬.৫- এর মাঝে থাকলে প্রি-ডায়াবেটিস বা ডায়াবেটিসের পূর্বাবস্থা হিসেবে বিবেচনা করার কথা বলা হয়ে থাকে।
ডায়াবেটিস কত হলে বিপদ?
ডায়াবেটিস ৫-৭ পয়েন্টের মধ্যে থাকলে সাধারণত সমস্যা হয় না, Centers for Disease Control and Prevention এর মতে A1C টেস্টে ৯ পয়েন্টের উপরে হলেই ডায়াবেটিস বিপদ।
ডায়াবেটিস কয় প্রকার?
বিজ্ঞানীরা ডায়াবেটিসকে সাধারণত ২ ভাগে ভাগ করেছেন।
- ১)টাইপ – ১ ডায়াবেটিস
- ২)টাইপ -২ ডায়াবেটিস
চলুন তাহলে টাইপ – ১ ডায়াবেটিস কী জেনে নেই।
টাইপ – ১ ডায়াবেটিস
টাইপ – ১ ডায়াবেটিস হলো অগ্নাশয়ের মধ্যে ইনসুলিন উৎপন্নকারী কোষগুলো নষ্ট হয়ে যায়। যার ফলে অগ্নাশয় আর ইনসুলিন উৎপাদন করতে পারে না। টাইপ – ১ ডায়াবেটিস হলে বাইরে থেকে শরীরে ইনসুলিন প্রবেশ করাতে হয়।
টাইপ-১ ডায়াবেটিসকে অপ্রাপ্তবয়স্কদের ডায়াবেটিসও বলা হয়। টাইপ-১ ডায়াবেটিস মুলত জিনগত কারণে হয়ে থাকে। সাধারণত ১০ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে এই রোগ বেশি দেখা দেয়। HLADR 3 আর HLADR 4 নামের দুইটি জিনের কারণে টাইপ – ১ ডায়াবেটিস হয়ে থাকে। টাইপ -১ ডায়াবেটিস যে কারো হয়ে পারে এমনকি শিশুদেরো হতে পারে। এ অবস্থায় বাইরে থেকে ইন্সুলিন না দিলে রোগী মারা যেতে পারে।
টাইপ – ১ ডায়াবেটিস কেন হয়?
টাইপ – ১ ডায়াবেটিস হওয়ার নির্দিষ্ট কারণ এখনো জানা যায় নি। তবে বিজ্ঞানীরে কিছু কারণ বের করেছে যার কারণে টাইপ – ১ ডায়াবেটিস হয়। চলুন তাহলে কারণ গুলো জেনে নেই-
১. টাইপ – ১ ডায়াবেটিস বংশগত কারণে হয় বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। বংশের কারো থাকলে সেখান থেকে বংশ পরাম্পরায় এ রোগ হতে পারে।
২. পরিবেশ গত কারণে টাইপ-১ ডায়াবেটিস হতে পারে। আবার পরিবেশগত এবং বংশগত উভয়ের সম্বনয়ের কারণে টাইপ – ১ ডায়াবেটিস হয়ে থাকে।
৩. অগ্নাশয়ের বিটা কোষ নষ্ট হয়ে গেলে অগ্নাশয়
আর ইনসুলিন উৎপাদন করতে পারে না। তখন টাইপ – ১ ডায়াবেটিস হয়।
টাইপ – ২ ডায়াবেটিস
টাইপ – ২ ডায়াবেটিস হলো অগ্নাশয় কোষ ইনসুলিন উৎপাদন করতে পারে কিন্তু সেই ইনসুলিন কোন কাজে লাগে না। পৃথিবীর ডায়াবেটিস রোগীদের প্রায় ৯০ % হলো টাইপ – ২ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত বাকি ১০% হলো টাইপ – ১ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত।
যে ইনসুলিন কোন কাজ করতে পারে না তাকে ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্স বলে। সাধারণত ৪০ বছরের পরে টাইপ – ২ ডায়াবেটিস হয়ে থাকে।
চলুন জেনে নেই টাইপ – ২ ডায়াবেটিস কেন হয় –
টাইপ – ২ ডায়াবেটিস হওয়ার কারণ
টাইপ – ২ ডায়াবেটিস যে যে কারণে হয় নিচে তা দেওয়া হলো-
১.বংশগত কারণে টাইপ – ২ ডায়াবেটিস হয়ে থাকে।
২. দীর্ঘদিন সাদা ভাত খেলে টাইপ – ২ ডায়াবেটিস হওয়ার ঝুকি থাকে।
৩. টাইপ – ২ ডায়াবেটিস হওয়ার আরেকটি কারণ হলো নিয়মিত ব্যায়াম না করা বা কোন পরিশ্রম না করা।
৪. অতিরিক্ত মিষ্টি জাতীয় খাবার দীর্ঘদিন খেলে টাইপ – ২ ডায়াবেটিস হয়।
৫. খাবারের ২ ধরনের ফ্যাট ট্রান্স ফ্যাটি এসিড এবং স্যাচুরেটেড ফ্যাটি এসিড গ্রহণ করলে টাইপ – ২ ডায়াবেটিস হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
ডায়াবেটিস এর লক্ষণ
ডায়াবেটিস হয়েছে কিনা সেটা বোঝার জন্য ডায়াবেটিস এর লক্ষন গুলো সর্ম্পকে জান। তে হবে। ডায়াবেটিস হলে সাধারণত যে যে লক্ষন গুলো দেখে ডায়াবেটিস আছে কি না পরীক্ষা করাতে হবে নিচে সেই লক্ষন গুলো দেওয়া হলো-
১. ঘন ঘন প্রসাব হওয়া বা প্রসাবের চাপ অনুভূত হওয়া।
২. পিপাসা বেড়ে যায়।
৩. প্রচন্ড ক্ষুধা অনুভব হয়। ক্ষুধাত শরীরে কাপোনি হ হতে পারে।
৪. মিষ্টি জাতীয় খাবার খাওয়ার প্রবনতা বৃদ্ধি পায়।
৫. দৃষ্টি শক্তি কমে যেতে থাকে।
৬. শরীরের কাটা ক্ষত সহযে শুকাতে চায় না।
৭. অনেক বেশি দুর্বল অনুভব হওয়া।
৮. অল্পতেই শরীরে ক্লান্তি চলে আসে।
৯. অনেক খাওয়ার পরও ওজন কমে যাওয়া।
১০. মহিলাদের যোনিতে ঘন ঘন ইনফেকশন দেখা দিতে পারে।
সবার ক্ষেত্রে শুরুতে লক্ষন প্রকাশ নাও পেতে পারে। কয়েক বছর পরে লক্ষন গুলো প্রকাশ পায়।
যাদের ডায়াবেটিস হয়
ডায়াবেটিস যে কারো যে কোন বয়সেই হতে পারে। ডায়াবেটিস কে বলা হয় মাল্টি ফ্যাক্টোরিয়াল ডিজিজ। অনেক গুলো ফ্যাক্টর মিলে তার পর ডায়াবেটিস হয়। যেমনঃ
- কারো বংশে ডায়াবেটিস আছে, তার ডায়াবেটিস হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি।
- ওজন বেড়ে গেলে ডায়াবেটিস হওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যায়।
- যারা পরিশ্রম কম করে, শুয়ে বসে থাকে বেশি তাদের ডায়াবেটিস হতে পারে।
- যারা অনেকদিন যাবত স্টেরয়েড জাতীয় ওষুধ সেবন করে তাদের ব্লাড সুগার লেভেল বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
- গর্ভকালীন অবস্থায় ডায়াবেটিস হলে, তার ডায়াবেটিস হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
- যাদের কোলেস্টেরল সমস্যা, হাইপারটেনশন, হরমোনাল ডিজিজ আছে তাদেরও ডায়াবেটিস হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
ডায়াবেটিস পরীক্ষার নিয়ম
ডায়াবেটিস এর সবচেয়ে সহজ সঠিক ও প্রচলিত পরীক্ষা হলো ওরাল গ্লুকোজ টলারেন্স টেস্ট বা ওজিটিটি। এই পদ্ধতিতে রোগীকে সকালে খালি পেটে একবার রক্তের গ্লুকোজ পরীক্ষা করা হয়। আবার ৭৫ গ্রাম গ্লুকোজ এর সরবত খাওয়ানোর ২ ঘন্টা পর আবার রক্তের গ্লুকোজ পরিমাপ করা হয়। এই পদ্ধতিতে নির্ভুলভাবে ডায়াবেটিস এবং প্রি – ডায়াবেটিস নির্ণয় করা যায়।
ডায়াবেটিস শসনাক্তকরণের আরেকটি পরীক্ষা হলো এইচবিএ১সি। এই পদ্ধতিতে রক্তে শর্করার কয়েক মাসের গড় নির্দেশ করে। এই পরীক্ষা দিনের যেকোম সময় করা যায় এবং একবারই রক্তের নমুনা দিতে হয়।
ডায়াবেটিস থাকলে বা ডায়াবেটিস এর লক্ষণ দেখা দিলে ওজিটিটি বা এইচবিএ১সি পরীক্ষা করে রক্তে গ্লুকোজ এর মাত্রা পরিমাপ করতে হবে। ডায়াবেটিস যাদের আছে তাদের নিয়মিত ডায়াবেটিস পরিমাপ করতে হবে। এবং নিয়ন্ত্রিত জীবন যাপন করতে হবে।
ডায়াবেটিস কমানোর উপায়
ডায়াবেটিস এমন একটি রোগ যা কখনো ভালো হয় না। তবে ডায়াবেটিসকে নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়। ডায়াবেটিস কমানো বা নিয়ন্ত্রণে রাখার প্রথম শর্ত হলো রেগুলারিটি মেইনটেইন করা। তাহলে চলুন দেখে নেই যেভাবে ডায়াবেটিসকে নিয়ন্ত্রণে রাখবেন বা ডায়াবেটিস কমানোর উপায় কি কি।
- পরিমিত পরিমাণে সুষম খাবার গ্রহণ করা। যেমন- সবুজ শাক সবজি, মিষ্টি কম এমন ফল। তবে ফলের জুস খাওয়া যাবে না। ফল খেতে হবে চিবিয়ে। ফল চিবিয়ে খেলে ফলে থাকা কার্বোহাইড্রেট রক্তে মিশে যায় সহজ।
- মিষ্টি জাতীয় খাবার এড়িয়ে চলা। জুস বা স্মুতিতে ক্যালরি, চিনি থাকে প্রচুর। তাই কতটুকু খাচ্ছেন হিসেব করে খেতে হবে। মাত্রাতিরিক্ত খেলেই বিপদ।
- নিয়মিত হাটা এবং ব্যায়াম করা।
- যাদের শরীরে ইনসুলিন একেবারেই উৎপন্ন হয় না তাদের ডাক্তার পরামর্শ মতো নিয়মিত ইনসুলিন গ্রহণ করা।
- ভিটামিন এ এবং ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া।
- নিয়মিত ব্লাড সুগার পরিমাপ করে ডাক্তার পরামর্শ মতো ওষুধ খাওয়া।
- অতিরিক্ত চর্বি জাতীয় খাবার, সাদা ভাত কম খাওয়া। লবণ বুঝে শুনে খেতে হবে। না খাওয়াই ভালো।
- অতিরিক্ত ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা
- ধুমপান পরিহার করা।
- পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করা।
- কম চর্বিযুক্ত খাবার খাওয়া যেতে পারে। বিশেষ করে টক দই। টক দইয়ে প্রচুর পরিমানে ক্যালসিয়াম পাওয়া যায়। হাড় ও দাতের জন্য ক্যালসিয়াম খুবই উপকারী।
- একটি বা দুটি সেদ্ধ ডিম খাওয়া যেতে পারে। বড় একটি ডিমে প্রায় ৬ গ্রাম আমিষ থাকে। ডায়েটে ভিটামিন ডি যোগ করতে চাইলে ডিম বেছে নেওয়াই বুদ্ধিমানের কাজ হবে।
- খাবার খেতে হবে ক্যালরি মেপে। কতটুকু খাবারে কতটুকু ক্যালরি ঢুকছে শরীরে তা বুঝে শুনে খেতে হবে। বুঝে শুনে খেলেই আর বিপদের সম্ভাবনা নেই।
উপরোক্ত উপায়ে ডায়াবেটিস কে নিয়ন্ত্রণে বা কমিয়ে রাখা যায়।
ডায়াবেটিস রোগীর খাদ্য তালিকা
ডায়াবেটিস রোগীর জন্যে ডাক্তাররা প্রায় সময় কিছু খাবার অনুসরণ করতে বলেন, সেগুলোকে সাধারণত বলা হয় ডায়াবেটিস রোগীর খাদ্য তালিকা, এই সেকশনে আমরা দেখবো ডায়াবেটিস রোগীর খাদ্য তালিকা। ডায়াবেটিস রোগীরা ফাইবারযুক্ত খাবার বেশি খাবে। ডায়াবেটিস সর্ম্পকে প্রচলিত কিছু মিথ আছে চিনি বা শর্করা খাওয়া যাবে না। চর্বি জাতীয় খাবার খাওয়া যাবে না। এমন কিছুই না, যাই খাওয়া হোক না কেন স্বাভাবিক পরিমাণে খেতে হবে। চাইলেই অনেক বেশি কিছু খাওয়া যাবে না।ডায়াবেটিস রোগীর যে যে খাবার গুলো খাদ্য তালিকায় নিয়মিত রাখতে হবে-
- উপকারী চর্বি যেমন-মাছের তেল, কর্ড লিভার, বাদাম ইত্যাদি খাওয়া যেতে পারে।
- শাক সবজি ফল মূল খেতে হবে অনেক। মূলত টাটকা শাক সবজি খাওয়া খুবই উপকারী। জুসের থেকে ফল খাওয়া ভালো।
- দেশি মাছ ও মুরগি খেতে হবে।
- ভালো প্রোটিন জাতীয় খাবার যেমন – ডিম, টক দই ইত্যাদি।
যে যে খাবার কম খাবে
- ফাস্ট ফুড, যেসব খাবারে চিনি থাকে, মিষ্টি, ডেজার্ট জাতীয় খাবার, বেকিং করা খাবার।
- অতিরিক্ত রান্না করা খাবার।
- সাদা পাউরুটি, চিনিযুক্ত সেরিয়াল,
- প্রক্রিয়াজাত পাস্তা বা চাল।
- প্যাকেটজাত মাছ মাংস।
ডায়াবেটিস: যেসব সমস্যার কারণ হতে পারে, কমানোর উপায় কী?
ডায়াবেটিস হলে কি কি সমস্যা দেখা যায়?
- রক্তে চিনির পরিমান বেশি হলে রক্তনালীর মারাত্মক ক্ষতি হয়।
- শরীরে রক্ত প্রবাহ বাধা গ্রস্থ হয়। যেখানে যেখানে রক্ত প্রাবাহ হওয়া দরকার সেখানে রক্ত না গেলে স্নায়ু ক্ষতি গ্রস্থ হওয়ার ঝুকি বেড়ে যায়।
- এর ফলে ডায়াবেটিস আক্রান্ত রোগী দৃষ্টি শক্তি হারাতে পারে।
- এছাড়াও হার্ট অ্যাটাক, কিডনী সমস্যা সহ আরো জটিল রোগে আক্রান্ত হতে পারে।
- স্ট্রকের অন্যতম কারণ ডায়াবেটিস কে ধরা হয়। ডায়াবেটিস হলে ধীরে ধীরে নিন্মাংগ অবশ হয়ে যেতে পারে।
- ডায়াবেটিস দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমিয়ে দেয় তাই নানা ধরনের রোগ এসে বাসা বাধে শরীরে। কোন রোগ হলে তা সহজ ভালো হয় না।
- তাই সবসময় খেয়াল রাখতে হবে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে আছে কিনা। রুটিন মাফিক জীবন যাপন করতে হবে।
শেষ কথা
তো বন্ধুরা এই ছিলো আমাদের আজকের লেখা ডায়াবেটিস কমানোর উপায়, ডায়াবেটিস কত হলে বিপদ, ডায়াবেটিস কত হলে ঔষধ খেতে হবে, ডায়াবেটিস কত হলে মানুষ মারা যায় ইত্যাদি প্রশ্নের উত্তর নিয়ে এক বিস্তারিত আলোচনা।
আশা করি এই আর্টিকেলটি পড়ে আপনারা ডায়াবেটিস সর্স্পকে একটি প্রাথমিক ধারণা হয়েছে, বিশেষ করে ডায়াবেটিস কি? ডায়াবেটিস কমানোর উপায়, ডায়াবেটিস কেন হয় জানতে পেরেছেন।
ডায়াবেটিস সর্ম্পকে জানা থাকলে ডায়াবেটিস হলেও ঝুঁকি কিছুটা কমে যায়। ডায়াবেটিস সম্পূর্ণ নিরাময় করতে না পারলেও নিয়ন্ত্রণে থাকবে।