আসরের নামাজের নিয়ম, নিয়ত, দোয়া ও ফজীলত

আসরের নামাজের নিয়ম

Last Updated on May 8, 2022 by Mijanur Rahman

আসসালামুয়ালাইকুম পাঠক বৃন্দ। আশা করি সবাই ভাল আছেন। আজ চলে এলাম আসর এর নামাজ আদায় সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানাতে। ইসলামের ৫ টি স্তম্ভের মধ্যে নামাজ সর্বশ্রেষ্ঠ। নামাজ একটি ফরজ ইবাদত। জান্নাতে প্রবেশের জন্য নামাজের কোনো বিকল্প নেই।আল্লাহ তায়ালার নিকট নামাজের চেয়ে অধিক প্রিয় ইবাদত আর কিছু নেই। আল কোরআনে মোট ৮২ বার নামাজ আদায়ের কথা বলা হয়েছে। অর্থাৎ এর গুরুত্ব অনেক বেশি।

প্রত্যেক মুসলিম নর-নারীকে দিনে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করতে হয়। দিনে পাঁচ বার গোসল করলে যেমন শরীরে কোনো ময়লা থাকে না তেমনি দৈনিক পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করলে ও তার কোনো গুনাহ অবশিষ্ট থাকতে পারে না। নিয়মিত নামাজ আদায়কারীকে আল্লাহ তায়ালা খুশি হয়ে জান্নাত দান করবেন। তাই এ ইবাদত সর্বাপেক্ষা গুরুত্বপূর্ণ। আজকের এই আর্টিকেলে আমরা জানবো, আসরের নামাজের নিয়ম, নিয়ত, দোয়া ও ফজীলত কি কি। তাহলে চলুন দেখে নেই। রিলেটেডঃ যোহরের নামাজের নিয়ম, নিয়ত, দোয়া ও ফজীলত

আসরের নামাজ

প্রত্যেক মুসলিমকেই দৈনিক পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করতে হয়। এগুলো হলো ফজর, যোহর, আসর, মাগরিব ও এশা। আর আসরের নামাজ হলো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের মধ্যে তৃতীয় স্থানে। যোহরের নামাজের পরই আসরের নামাজের সময় শুরু হয়।এ সময়েই আসরের নামাজ আদায় করতে হয়। অন্যান্য ওয়াক্তের মতো আসরের নামাজও খুবই গুরুত্বপূর্ণ।আসরের নামাজের ফজিলত অনেক।

যোহরের ওয়াক্ত শেষ হওয়ার পর পরই আসরের ওয়াক্ত শুরু হয়। যোহরের ওয়াক্ত থাকে কোনো বস্তুর ছায়া দ্বিগুণ হওয়া পর্যন্ত। অতএব কোনো বস্তুর ছায়া দ্বিগুণ হলেই আসরের নামাজের ওয়াক্ত শুরু হয় ও সূর্যাস্তের পূর্ব পর্যন্ত এর সময় থাকে।

হাদিসে এসেছে,

হযরত আবূ হুরায়রা রাঃ বলেন, “যখন তোমার ছায়া তোমার সমান হয়, তখন যোহরের নামাজ পড়ো, আর যখন তা দ্বিগুণ হয়, তখন আসরের নামাজ পড়ো।” (মুয়াত্তা মালিক:হাদীস নং-১২, ৯)

এ হাদিস দ্বারা এ কথাই প্রমানিত হয়। আল কোরআনে বলা হয়েছে,

“নিশ্চয়ই নামাজ মুমিনদের ওপর নির্দিষ্ট সময়ে আদায় করা ফরজ।” (সুরা নিসা-১০৩) এ দ্বারা বোঝা যায় , অবশ্যই সময় মতো নামাজ আদায় করে নিতে হবে। এ বিষয়ে অবহেলা করা যাবে না। নতুবা গুনাহগার হতে হবে।

আসরের নামাজের নিয়ম
আসরের নামাজের নিয়ম

আসরের নামাজ কয় রাকাত

আসরের নামাজ মোট ৮ রাকাত,  এর মধ্যে ৪ রাকাত ফরজ ও ৪ রাকাত সুন্নত নামাজ। এর সুন্নত নামাজকে বলা হয় “গায়রে মুয়াক্কাদা” । সকল নামাজই ধারাবাহিকতা রক্ষা করে আদায় করতে হয়। এই নামাজের ধারাবাহিকতা হলো প্রথমে ৪ রাকাত সুন্নত নামাজ আদায়ের পর ৪ রাকাত ফরজ নামাজ আদায় করতে হয়।

জামাতে আদায়ের ক্ষেত্রে ইমামের সহিত ফরজ নামাজ আদায় করতে হয়। আর জামাতের আগে গিয়ে নিজে নিজে সুন্নত নামাজ আদায় করে নিতে হয়।

আর যারা মুসাফির রয়েছেন তাদের শুধু ফরজ নামাজ ৪ রাকাতের পরিবর্তে ২ রাকাত আদায় করলেই হবে।

আসরের নামাজের নিয়ত

সব ওয়াক্তের নামাজেই নিয়ত পড়ে নিতে হয়। একেক নামাজের নিয়ত আলাদা আলাদা।

আসরের সুন্নত ও ফরজ নামাজের নিয়ত নিচে বর্ণনা করা হলো:

সুন্নত নামাজের নিয়ত

“নাওয়াইতু আন্ উসাল্লিয়া লিল্লাহি তা’আলা আরবাআ রাকায়াতাই সালাতিল আসরি সুন্নাতু রাসূলিল্লা-হি তা’আলা মুতাওয়াজ জিহান ইলা জিহাতিল কাবাতিশ শারীফাতি আল্লাহু আকবার।”

বাংলা অর্থ:  “আসরের চার রাকাত সুন্নত নামাজ আদায়ের উদ্দেশ্যে ক্বিবলামুখি হয়ে নিয়ত করলাম আল্লাহু আকবার।”

ফরজ নামাজের নিয়ত

“নাওয়াইতু আন্ উসাল্লিয়া লিল্লাহি তা’আলা আরবাআ রাকায়াতাই সালাতিল আসরি ফারজুল্লাহি তা’আলা মুতাওয়াজ জিহান ইলা জিহাতিল কাবাতিশ শারীফাতি আল্লাহু আকবার।”

বাংলা অর্থ: “আসরের চার রাকাত ফরজ নামাজ আদায়ের উদ্দেশ্যে ক্বিবলামুখি হয়ে নিয়ত করলাম আল্লাহু আকবার।”

আসরের নামাজের নিয়ম

আসরের নামাজ মোট ৮ রাকাত। ৪ রাকাত সুন্নত ও ৪ রাকাত ফরজ নামাজ আদায় করতে হয়। এ নামাজের নিয়ম ধারাবাহিকভাবে বর্ণনা করা হলো:-

চার রাকাত সুন্নত নামাজ আদায়ের নিয়ম

✓ প্রথমে ওজু করে পাক-পবিত্র হয়ে ক্বিবলামুখি হয়ে জায়নামাজে দাঁড়াতে হবে।

✓ এরপর নিয়ত পাঠ করতে হবে।

✓ ‘আল্লাহু আকবার’ বলে দুই হাত কাঁধ বরাবর উঠিয়ে হাত বাঁধতে হবে।

✓ এরপর সানা পড়তে হবে।

সানা:”সুবহানাকা আল্লাহুম্মা বিহামদিকা ওয়াতা ওয়া রাকাসমুকা ওয়া তায়ালা জাদ্দুকা ওয়া লা-ইলাহা গাইরুক”

✓ এরপর সূরা ফাতিহা পড়ে অন্য যেকোনো একটি সূরা মিলিয়ে পড়তে হবে।

✓ এরপর “আল্লাহু আকবার” বলে রুকুতে যেতে হবে।

✓  রুকুতে গিয়ে “সুবহানা রব্বিয়াল আযিম” তিনবার পড়তে হবে।

✓ “সামিয়াল্লাহু লিমান হামিদাহ্” বলে রুকু থেকে উঠে “রব্বানা লাকাল হামদ” বলে বসে  “আল্লাহু আকবার” বলে সিজদায় যেতে হবে।

✓ সিজদায় গিয়ে “সুবহানা রব্বিয়াল আ’লা” তিনবার পড়ে সিজদাহ থেকে উঠে আবার সিজদায় যেতে হবে এবং একই নিয়মে তাসবিহ পাঠ করতে হবে।

✓ এভাবে প্রথম রাকাত শেষ হবে।

✓ একই ভাবে দ্বিতীয় রাকাতও আদায় করে নিতে হবে।

✓ দ্বিতীয় রাকাতের শেষে সিজদাহ থেকে উঠে সোজা হয়ে বসে তাশাহুদ পাঠ করতে হবে।

তাশাহুদ

“আত্তাহিয়াতু লিল্লাহি ওয়াস সালাওয়াতু ওয়াত তায়্যিবাতি আসসালামুয়ালাইকা আয়্যুহান নাবিয়্যু ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহ্। আসসালামুয়ালাইনা আ’লা ইবাদিল্লাহিস সুয়ালিহিন, আশহাদু আল্লাহ ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়া আশহাদু আন্না মুহাম্মাদান আবদুহু ওয়া রসূলুহ্”

✓ এরপর উঠে দাঁড়িয়ে আগের নিয়মে দুই রাকাত পড়ে শেষ বৈঠকে আবার তাশাহুদ পাঠ করতে হবে।এসময় “আশহাদু আল্লাহ ইলাহা” বলার সময় ডান হাতের শাহাদাত আঙ্গুল উত্তোলন করতে হবে।

✓ এরপর পাঠ করতে হবে দরূদ শরীফ ।

দরূদ শরীফ

“আল্লাহুম্মা সল্লিআলা মুহাম্মাদ ওয়া আলা আলি মুহাম্মাদ কামা সল্লাইতা আলা ইব্রাহীম ওয়ালা আলি ইব্রাহীম ইন্নাকা হামিদুম্মাজিদ। আল্লাহুম্মা বারিক আলা মুহাম্মাদ ওয়ালা আলি মুহাম্মাদ কামা বারতকা আলা ইব্রাহীম ওয়ালা আলি ইব্রাহীম ইন্নিকা হামিদুম্মাজিদ।”

✓ এরপর দুআ মাসুরা পড়তে হবে।

দুআ মাসুরা

“আল্লাহুম্মা ইন্নি জলামতু নাফসি জুলমান কাসিরা ওয়ালা ইয়াগফিরুজ্ জুনুবা ইল্লা আন্তা ফাগফিরলী মাগফিরাতাম মিন ইন্দিকা ওয়ার হামনী ইন্নাকা আন্তাল গাফুরুর রাহীম।”

✓ এরপর সালাম ফিরিয়ে নামাজ শেষ করতে হবে।

এভাবে চার রাকাত সুন্নত নামাজ আদায় করতে হয়।

চার রাকাত ফরজ নামাজ আদায়ের নিয়ম

✓ চার রাকাত ফরজ নামাজ সুন্নত নামাজের মতোই পড়তে হয়। তবে এর মধ্যে কিছুটা ভিন্নতা রয়েছে।

✓ ফরজ নামাজের ক্ষেত্রে প্রথমে ফরজ নামাজের নিয়ত পড়ে নিতে হবে এবং প্রথম দুই রাকাত আগের নিয়মে পড়ে মাঝখানে বসে তাশাহুদ পাঠ করে পুনরায় দুই রাকাত আদায়ের জন্য উঠে দাঁড়াতে হবে।

✓ শেষ দুই রাকাতে সূরা ফাতিহার সাথে কোনো সূরা মিলাতে হবে না।

✓ এভাবে শেষ দুই রাকাত আদায়ের পর শেষ বৈঠকে তাশাহুদ , দরূদ শরীফ ও দোয়া মাসুরা পড়ে সালাম ফিরিয়ে ফরজ নামাজ শেষ করতে হবে।

এভাবে চার রাকাত ফরজ নামাজ আদায় করতে হয়।

প্রয়োজনীয় দোয়া

প্রত্যেক নামাজের শেষে কিছু গুরুত্বপূর্ণ দোয়া পাঠ করতে হয় । যার ফলে পাঠকারীর গুনাহ মাফ হয় ও নেকি লাভ হয়। এভাবে আসরের নামাজের পরও কিছু নির্দিষ্ট দুআ পাঠ করা উত্তম।

নবী করীম (সা) বলেছেন, “প্রত্যেক ফরজ নামাজের শেষে কিছু দুআ রয়েছে, যে ব্যক্তি ওই গুলো পড়ে বা কাজে লাগায় সে কখনো ক্ষতিগ্রস্থ হয় না।” (সহীহ মুসলিম, হাদিস -১২৩৭)

  • মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা) প্রত্যেক ফরজ নামাজের পরে তিনবার “আস্তাগফিরুল্লাহ্” পাঠ করতেন।
  • আসরসহ প্রত্যেক ফরজ নামাজের সালাম ফিরানোর পর  উপরে তাকিয়ে “আল্লাহু আকবার” বলে ৩ বার “আস্তাগফিরুল্লাহ” পাঠ করে নিম্নোক্ত দুআ টি পাঠ করলে ভালো।

“আল্লাহুম্মা আনতাস সালামু ওয়া মিনকাস সালাতুত তাবারাকতা ইয়া জালজালালি ওয়াল ইকরাম”

  • এরপর নিচের দোয়াটিও পাঠ করা উত্তম।

“লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা-শারিকা লাহু। লাহুল মুলকু ওয়া লাহুল হামদু। ওয়াহুয়া আ’লা কুল্লি শাইয়িন কাদীর। আল্লাহুম্মা লা-মানিয়া লিমা আতাইতা।ওয়ালা মুতিয়া লিমা মানাতা ওয়ালা ইয়ানফাউজাল জাদ্দী মিনকাল জাদ্দু।”

  • তারপর “আয়াতুল কুরসি” পাঠ করলে অনেক ভালো। কারণ এর গুরুত্ব অনেক বেশি। এ সম্পর্কে মহানবী (সা) বলেছেন,

     “যে ব্যক্তি নিয়মিত ফরজ নামাজের পর আয়াতুল কুরসি পাঠ করবে, তার জান্নাতে প্রবেশ করতে মৃত্যু ছাড়া আর কোন বাধা থাকবে না।” (শুআবুল ঈমান-২৩৯৫)

  • এছাড়াও ৩৩ বার “সুবহানাল্লাহ” , ৩৩ বার “আলহামদুলিল্লাহ” , ও ৩৪ বার “আল্লাহু আকবার”  পাঠ করা উত্তম।
  • রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন,

“যে ব্যক্তি দৈনিক ১০০ বার “সুবহানাল্লাহি ওয়া বিহামদিহী” পাঠ করবে তার পাপগুলো যদি সমুদ্রের ফেনারাশির সমানও হয়ে থাকে তবে তা মুছে ফেলা হবে।”  (সহীহ বুখারী– ৭/১৬৮)

  • এছাড়াও “আল্লাহুম্মা আজিরনি মিনান নার” এই দোয়াটি আসরের নামাজের পর পাঠ করা যায় । এটি হলো জাহান্নামের আগুন থেকে মুক্তি পাওয়ার দোয়া।
  • আসরের নামাজের পর সূরা নাবা পাঠ করলেও ভালো।
  • আসরের নামাজের পর সূরা ইখলাস, সূরা নাস ও, সূরা ফালাক প্রত্যেকটি ৩ বার করে পাঠ করাও উত্তম।
  • আসরের নামাজের পর দরূদ শরীফ পাঠ করাও উত্তম। তাই আসরের নামাজের পর তিনবার দরূদ শরীফ পড়া যাবে।
  • আসরের নামাজের পর সাইয়েদুল ইস্তেগফার দোয়া পড়া যেতে পারে। এই দোয়াকে বলা হয় ক্ষমা প্রার্থনার শ্রেষ্ট দোয়া। সাইয়েদুল ইস্তেগফার সম্পর্কে আরো বিস্তারিত জানতে দেখুন এই আর্টিকেলঃ সাইয়েদুল ইস্তেগফার বাংলা উচ্চারণ, ফযীলত, পড়ার নিয়ম


আসরের নামাজের ফজিলত

ফজিলত

প্রত্যেক ওয়াক্তের নামাজেরই অনেক ফজিলত ও উপকারিতা রয়েছে।

এমনই ভাবে আসরের নামাজও অনেক ফজিলতময়।

এ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো:

  • মহানবী (সা) বলেছেন, “যে ব্যক্তি আসরের নামাজ ছেড়ে দেয়, তার আমল বিনষ্ট হয়ে যায়।” (বুখারি: ৫৫৩)
  • আবু হুরাইরা (রা.) হতে বর্ণিত, রাসুল (সা) বলেন, “তোমাদের কেউ যদি সূর্যাস্তের আগে আসরের নামাজে এক সিজদা পায়, তাহলে সে যেন সালাত পূর্ণ করে নেয়। আর যদি সূর্যোদয়ের আগে ফজরের সালাতের এক সিজদা পায়, তাহলে সে যেন সালাত পূর্ণ করে নেয়। ” (বুখারি:৫৫৬)
  • নবী করীম (সা) আরো বলেছেন, “এমন ব্যক্তি কখনো জাহান্নামে প্রবেশ করবে না, যে সূর্যোদয়ের পূর্বে এবং সুর্যাস্তের পূর্বে নামাজ পড়বে অর্থাৎ ফজর ও আসরের নামাজ।” (মুসলিম)

এই কথা দ্বারা বোঝা যায় ফজর ও আসরের নামাজের গুরুত্ব কতো বেশি।এর কারণ হলো

ফজরের সময় মানুষ ঘুমে মগ্ন থাকে আর আসরের সময়ে কাজ, খেলা ও চিত্তবিনোদনে ব্যাস্ত থাকে।এসব বাদ দিয়ে যে একাগ্রতার সাথে আল্লাহর দরবারে নামাজে দাঁড়িয়ে যায় সেই প্রকৃত মুমিন।

  • দিন ও রাতের ফেরেশতাগণ পালাবদলের সময় নামাজ আদায়কারীকে আসরের নামাজ আদায়রত অবস্থায় দেখলে তারা আল্লাহর দরবারে গিয়ে তার কথা বলে যে অমুক বান্দা নামাজরত অবস্থায় ছিলো।
  • হজরত আবদুল্লাহ ইবনে ওমর (রা.) হতে বর্ণিত,রাসুল (সা.) বলেছেন, যদি কোনো ব্যক্তির আসরের নামাজ ছুটে যায়, তাহলে যেন তার পরিবার-পরিজন ও মাল-সম্পদ সবকিছুই ধ্বংস হয়ে গেল।(বুখারি :৫৫২)
  • আসরের নামাজ আদায়কারী ব্যক্তি আল্লাহর নিকট অধিক প্রিয়।
  • আসরের নামাজ জামাতের সাথে আদায় করলে অনেক বেশি নেকি লাভ করা যায়।
  • নিয়মিত আসরের নামাজ আদায়কারীর ঘরে রহমত ও বরকত বর্ষিত হয়।
  • তাকে সকল প্রকার বিপদ-আপদ থেকে আল্লাহ তায়ালা রক্ষা করেন।
  • মোটকথা, আসরের নামাজ আদায়কারী ব্যক্তি আল্লাহ তায়ালার নিকট অধিক পছন্দনীয় বান্দা।

পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের মধ্যে আসরের নামাজও অধিক গুরুত্ব বহন করে। এর ফজিলত সম্পর্কে বলে শেষ করা যাবে না। এর ফলে দুনিয়া ও আখেরাতের কল্যাণ নিশ্চিত করা সম্ভব হয়। একজন মুসলিমের ঈমানের পরিপূর্ণতার জন্য আসরের নামাজ অনেক গুরুত্বপূর্ণ।

এ নামাজ অবশ্যই  একজনের মুমিনের জন্য কল্যানকর।তাই এ তাৎপর্যপূর্ণ নামাজ যেন আমরা সবাই আদায় করতে পারি আল্লাহ তায়ালা আমাদের সেই তৌফিক দান করুন। রিলেটেডঃ ফজরের নামাজের নিয়ম, নিয়ত, দোয়া ও ফজীলত

বিঃদ্রঃ  এই ব্লগের প্রত্যেকটা ব্লগ পোস্ট Sylhetism ব্লগের নিজস্ব ডিজিটাল সম্পদ। কেউ ব্লগের কোন পোস্ট কিংবা আংশিক অংশ ব্লগের কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া কপি পেস্ট করে অন্য কোথাও প্রকাশ করলে ব্লগ কর্তৃপক্ষ ডিজিটাল সিকিউরিটি আইনে মামলা করার অধিকার রাখে। এবং অবশ্যই কপিরাইট ক্লাইম করে যে মাধ্যমে এই ব্লগের পোস্ট প্রকাশ করা হবে সেখানেও কমপ্লেইন করা হবে।

এই ব্লগের কোন লেখায় তথ্যগত কোন ভুল থাকলে আমাদের Contact পেইজে সরাসরি যোগাযোগ করুন, আমরা যত তাড়াতাড়ি সম্ভব তথ্য যাচাই করে লেখা আপডেট করে দিবো।

এই ব্লগের কোন স্বাস্থ বিষয়ক পোস্টের পরামর্শ নিজের বাস্তব জীবনে প্রয়োগ করার আগে অবশ্যই বিশেষজ্ঞদের মতামত নিবেন, আমরা স্বাস্থ বিষয়ে কোন বিশেষজ্ঞ না, আমাদের উদ্দেশ্য ও লক্ষ হচ্ছে সঠিক তথ্য পরিবেশন করা। সুতারাং কোন অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার দায়ভার অবশ্যই আমরা নিবো না।

ধন্যবাদ, ব্লগ কর্তৃপক্ষ।

Author

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top