মৈত্রী এক্সপ্রেস ভাড়া, বন্ধন এক্সপ্রেসের ভাড়া, সময়সূচির বিস্তারিত ২০২৪

বন্ধন এক্সপ্রেস ভাড়া

Last Updated on 7th April 2024 by Mijanur Rahman

ট্রেনে কলকাতা যাওয়ার কথা ভাবছেন? অথবা কলকাতা থেকে ঢাকায় ট্রেনে ভ্রমণের চিন্তা? হ্যাঁ আপনার জন্যই এই লেখা। ২০০৮ সালের পহেলা বৈশাখ সর্ব প্রথম ঢাকা এবং কলকাতার মধ্যে ট্রেন চলাচল শুরু হয়। বর্তমানে বাংলাদেশ থেকে কলকাতাতে দুইটি শীততাপ নিয়ন্ত্রিত ট্রেন যাওয়া আসে করে। ট্রেন দুটি হল।

  • মৈত্রী এক্সপ্রেস
  • বন্ধন এক্সপ্রেস

এই লেখাতে পাবেন ঢাকা থেকে কলকাতা মৈত্রী এক্সপ্রেস ভাড়া, ও বন্ধন এক্সপ্রেস ট্রেনের ভাড়া এবং সময়সূচি। তাহলে চলুন দেরী না করে জেনে নেওয়া যাক এক্স এক্স এক্সপ্রেস ভাড়া এর তালিকাটি।

মৈত্রী এক্সপ্রেস ভাড়া

ডলারের দাম উঠানাম করার ফলে বাংলাদেশ থেকে এসি ট্রেনে কলকাতা যাওয়ার ভাড়া প্রায়ই পরিবর্তন করা হয়ে থাকে। বাংলাদেশ রেলওয়ের সর্বশেষ দেওয়া প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী নিচের ভাড়াটি ২১ মার্চ ২০২০ হতে কার্যকর।

মৈত্রী এক্সপ্রেস ভাড়া
মৈত্রী এক্সপ্রেস ভাড়া
সিট
ভাড়া
কাস্টম ফি
সর্বমোট
এসি সিট
৩০০৫/=
৫০০/=
৩৫০৫/=
এসি চেয়ার
২০০৫/=
৫০০/=
২৫০৫/=

বন্ধন এক্সপ্রেসের ভাড়া

সিট
ভাড়া
কাস্টম ফি
সর্বমোট
এসি সিট
১৫০৫/=
৫০০/=
২৫০৫/=
এসি চেয়ার
১০০৫/=
৫০০/=
১৫০৫/=

মৈত্রী ও বন্ধন এক্সপ্রেসের সময়সূচি

বর্তমানে সপ্তাহে ৪দিন মৈত্রী ও বন্ধন এক্সপ্রেসের ট্রেনগুলো বাংলাদেশ ও কলকাতার মধ্যে চলাচল করে, মঙ্গলবার, বুধবার, শনিবার ও রবিবার । বাংলাদেশ সরকারি রেল কর্তৃপক্ষের সর্বশেষ প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী মৈত্রী এবং বন্ধন এক্সপ্রেসের সময়সূচি হলঃ

মৈত্রী এক্সপ্রেস

স্টেশন
ট্রেন নাম্বার / ৩১০৭-৩১১০
স্টেশন
ট্রেন নাম্বার  ৩১০৮/৩১০৯
ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট
৮.১৫ (বিএসটি)
কলকাতা
০৭.১০(আইএসটি)
দর্শনা
১৩.৪০-১৪.০০ (বিএসটি)
প্রেট্রোপোল
৮.৫৫-৯.০০ (আইএসটি)
গেদে
১৩.৪০-১৩.৪৫ (বিএসটি)
দর্শনা
১০.১০-১০.৩০ (আইএসটি)
কলকাতা
১৬.০০ (আইএসটি)
ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট
১৬.০৫ (বিএসটি)

বন্ধন এক্সপ্রেস

স্টেশন
ট্রেন নাম্বার ৩১৩০
স্টেশন
ট্রেন নাম্বার ৩১২৯
খুলনা
১৩.৩০ (বিএসটি)
কলকাতা
৭.১০ (আইএসটি)
বেনাপোল
১৫.৩০-১৬.৩০ (বিএসটি)
পেট্রোপোল
৮.৫৫-৯.০৫ (আইএসটি)
প্রেট্রোপোল
১৬.১০-১৬.২০ (আইএসটি)
বেনাপোল
৯.৪৫-১০.৪৫ (বিএসটি)
কলকাতা
১৮-১০ (আইএসটি)
খুলনা
১২.৩০ (বিএসটি)

মৈত্রী এবং বন্ধন এক্সপ্রেস টিকেট

এই দুই ট্রেনের টিকেট কাটার জন্য আপনাকে অবশ্যই ট্রেনের নির্ধারিত স্টেশনে যেতে হবে, এছাড়া এই দুই দেশের ট্রেনের টিকেট পাওয়ার সম্ভাবনা নাই, সুতারাং আপনারা যে যেখানে আছেন টিকেটের জন্য সেই স্টেশনে যোগাযোগ করতে পারেন। মৈত্রী এবং বন্ধন এক্সপ্রেস ট্রেনের টিকেট অগ্রিম ক্রয় করার সুযোগ রয়েছে।

টিকেট ফ্রম

ট্রেন দুটির টিকেট কাটার জন্য নির্ধারিত ফর্ম রয়েছে, ফর্মটি ডাউনলোড অথবা প্রিণ্ট করতে এই লিংকে যান। ফর্মে যেসব তথ্য চাওয়া হয়েছে সেগুলো সুন্দরভাবে পূরণ করে টিকেটের জন্য আবেদন করতে হবে, এছাড়া টিকেট ফর্ম স্টেশনেও পাওয়ার কথা।

ওজন ও মালামাল

ট্রেন দুটি ভ্রমণের সময় একজন পূর্ণ বয়ষ্ক ব্যাক্তি সর্বোচ্ছ ৩০ কেজি বহন করতে পারবে, ৩০ কেজির উপরে হলে প্রতি কেজিতে ২ ডলার হিসাবে ফি দিতে হবে। সাথে বাচ্চা থাকলে সে সর্বোচচ্ছ ২০ কেজি মালামাল বহন করতে পারবে।

কোন কারণে মালামাল ৫০ কেজি অতিক্রম করলে ২ ডলারের পরিবর্তে ১০ ডলার ফি প্রধান করতে হবে।

তথ্যসুত্রঃ বাংলাদেশ রেলওয়ে ওয়েবসাইট

বিঃদ্রঃ  এই ব্লগের প্রত্যেকটা ব্লগ পোস্ট Sylhetism ব্লগের নিজস্ব ডিজিটাল সম্পদ। কেউ ব্লগের কোন পোস্ট কিংবা আংশিক অংশ ব্লগের কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া কপি পেস্ট করে অন্য কোথাও প্রকাশ করলে ব্লগ কর্তৃপক্ষ ডিজিটাল সিকিউরিটি আইনে মামলা করার অধিকার রাখে। এবং অবশ্যই কপিরাইট ক্লাইম করে যে মাধ্যমে এই ব্লগের পোস্ট প্রকাশ করা হবে সেখানেও কমপ্লেইন করা হবে।

এই ব্লগের কোন লেখায় তথ্যগত কোন ভুল থাকলে আমাদের Contact পেইজে সরাসরি যোগাযোগ করুন, আমরা যত তাড়াতাড়ি সম্ভব তথ্য যাচাই করে লেখা আপডেট করে দিবো।

Author

Leave a Comment

Scroll to Top