আগে বেশিরভাগ ছাত্ররা বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে গিয়ে অ্যাসাইনমেন্ট শব্দটার সাথে পরিচিত হত। কিংবা বড় স্কুল-কলেজের শিক্ষানবিশরা জানত। এখন করোনা অতিমারির জন্য প্রত্যন্ত স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীরাও এ শব্দটার সাথে পরিচিত। আপনারা যারা অ্যাসাইনমেন্ট লেখার নিয়ম নিয়ে ভাবছেন কিংবা অ্যাসাইনমেন্ট লেখার পদ্ধতি খোঁজতেছেন, অ্যাসাইনমেন্ট নিয়ে চিন্তিত, তাদের জন্যই এই লেখা। এই আর্টিকেলে আমরা স্টেপ বাই স্টেপ সহজে সুন্দরভাবে এসাইনমেন্ট লেখার নিয়ম তুলে ধরবো।
রিলেটেডঃ অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার স্টেপ বাই স্টেপ গাইড
অ্যাসাইনমেন্ট
অ্যাসাইনমেন্ট হল পড়াশোনার একটি অংশ যা শিক্ষার্থীদের শ্রেণীকক্ষের বাইরে করতে দেওয়া হয়। পাঠদানের অতিরিক্ত কাজ হিসেবে এটি দেওয়া হয়। এটি লিখিত, ব্যবহারিক বা মাঠ পর্যায়ে ও হতে পারে। একজন শিক্ষার্থীকে স্বতন্ত্রভাবে যাচাই বা মূল্যায়ন করার জন্য শিক্ষক অ্যাসাইনমেন্ট দিয়ে থাকেন।
মাধ্যমিক বা উচ্চ-মাধ্যমিক পর্যায়ে অপেক্ষাকৃত সহজ বিষয় দেওয়া হয়। আর বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে একটু জটিল, সূক্ষ্ম, সৃজনশীল বিষয় দেওয়া হয়।কর্মজীবনেও কিন্তু অনেক সময় অ্যাসাইনমেন্ট দেওয়া হয়।

অ্যাসাইনমেন্টের গুরুত্ব
অনেক শিক্ষার্থীর কাছে অ্যাসাইনমেন্ট শব্দটা বিভীষিকাময় । আবার কারো কাছে বিরক্তিকর ও সময়ের অপচয় মনে হয়। কিন্তু এর গুরুত্ব রয়েছে।
- একটা অ্যাসাইনমেন্ট এর প্রশ্ন সমাধান বা বিষয়টি বুঝার জন্য শিক্ষার্থীকে এ সম্পর্কিত অনেক কিছু পড়তে হয় ,অনেক উৎস থেকে তথ্য সংগ্রহ করতে হয়। পাঠ্যপুস্তকের বাইরে রেফারেন্স বই ঘাটতে হয়। যা তাদের জ্ঞানের পরিধি বাড়ায় ।
- প্রয়োজনে শ্রেণি কক্ষের পড়াগুলো আবার ঝালাই করতে হয়।এটা একাডেমিক পড়াশোনায় তাদের মনোযোগ বাড়ায়। পড়ার বিষয়গুলো গভীরভাবে চিন্তা করতে শেখায়।
- প্রশ্ন সমাধান করতে গিয়ে দৈনন্দিন জীবনের প্রবলেম সলভিং দক্ষতাও গড়ে উঠে।
- শিক্ষার্থীদের মধ্যে রিসার্চ বা গবেষণা করার মানসিকতা এর মধ্য দিয়ে গড়ে উঠে । এর সুদূরপ্রসারী প্রভাব রয়েছে।
- একটা ডেডলাইনে শেষ করতে হয় যা তাদের সঠিক সময়ে কাজ শেষ করার শিক্ষা দেয়।
- কর্মজীবনে প্রয়োজনীয়তা আর ও ব্যাপক।ঊর্ধতন কর্মকর্তারা এর মাধ্যমে শিক্ষানবিশ কর্মীদের যাচাই করেন।
রিলেটেডঃ যেভাবে সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হবেন
অ্যাসাইনমেন্ট লিখতে যা দরকার
- A4 সাইজ কাগজ
- কলম
- পেন্সিল
- নীল রঙের কলম
- স্কেল
- প্রয়োজনীয় তথ্য
গাইডলাইন
এই লেখায় আমরা স্টেপ বাই স্টেপ অ্যাসাইনমেন্ট লেখার গাইডলাইন তুলে ধরছি, নিচের নিয়ম কানুনগুলি অনুসরন করলে আশা করি সকল সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে। অ্যাসাইনমেন্ট লেখার জন্য প্রথমেই মাথায় রাখতে হবে এই কাজটা জরুরি। লেখাটা আমার দ্বারা নিজেই লেখা সম্ভব। তাই অন্যের দেখে কপি করার মানসিকতা পরিহার করতে হবে। এরপরেই নিচের স্টেপ গুলা অনুসরণ করা যেতে পারে-
১। কভার পেজ তৈরি করা
কভার পেজ তৈরি করা অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটা কাজ। তাই অনেকে এসাইনমেন্ট কভার পেজ লেখার নিয়ম নিয়ে বেশ চিন্তিত হয়ে পড়েন। নিচে কিভাবে একটি সুন্দর এসাইনমেন্ট কভার পেজ লেখতে হবে ও কি কি নিয়ম অনুসরণ করতে হবে তা তুলে ধরা হল।
প্রবাদ আছে,
“আগে দর্শনধারি পরে গুণবিচারি”
এই দর্শনের প্রয়োজন এই যুগে এসেও ফুরিয়ে যায় নি। বরং বেড়েছে।
আপনার অ্যাসাইনমেন্টের কভার পেজ হল সেই অংশ যা আপনার শিক্ষক বা সুপারভাইজার সবার আগে দেখবেন। কাজেই এটি সুন্দর না হলে বা ভুল হলে তার মনে আপনার সমন্ধে একটা বাজে ধারণা তৈরি হবে।তিনি ভাববেন আপনি কাজটাতে গুরুত্ব কম দিয়েছেন । কিংবা দায়সারা ভাবে করেছেন। যেহেতু এটি স্বতন্ত একটা কাজ ,অ্যাসাইনমেন্ট জমাদানের আগে যে কোন ও পর্যায়ে করতে পারেন। তবে আগে করলে ভাল। নিচে
কভার পেজ কী
মূল অ্যাসাইনমেন্ট শুরুর আগে প্রথমে যে কাগজটিতে নিজের নাম,পরিচয় ,বিষয় উল্লেখ করা হয় সেটিই কভার পেজ। কভার পেজ তৈরির জন্য কোন ও বাঁধাধরা নিয়ম নেই। কভার পেজে যা অবশ্যই উল্লেখ থাকবে তা হল –
- স্কুল/কলেজ/বিশ্ববিদ্যালয় এর নাম।
- অ্যাসাইনমেন্টের শিরোনাম
- নিজের নাম, রোল, শ্রেণি/বর্ষ/সেমিস্টার
- জমাদানের তারিখ
- জমাদানকারি শিক্ষকের নাম দেওয়া যেতে পারে।
- অন্যান্য (শিক্ষকের নির্দেশ মত )
এখন এ প্রয়োজনীয় তথ্যগুলো সুন্দর করে লিখলেই তৈরি হল কভার পেজ। শিরোনাম নীল কালারের কালি দিয়ে লিখতে পারেন।
তবে স্কুল বা কলেজ লেভেলের শিক্ষার্থীদের এত চিন্তার দরকার নেই এ বিষয়ে চিন্তার খুব একটা দরকার নেই। তাদের প্রতিষ্ঠান বা বোর্ড এটি দিয়ে দেয়। যা প্রিন্ট বা ফটোকপি করে নিলেই হল। আবার অনেক বিশ্ববিদ্যালয় তাদের নিজস্ব প্যাড দেয় এ জন্য। না দিলে নিয়ম ত থাকলই।
কভার পেইজ ডিজাইন
এসাইনমেন্ট কভার পেজ ডিজাইনের সুনির্দিষ্ট কোন নিয়ম নেই, অতিরিক্ত ডিজাইন করারও প্রয়োজন নেই। বাংলাদেশ মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর থেকে এস এস সি শিক্ষার্থীদের জন্য যে কভার পেইজ ডিজাইন বা ফরম দেওয়া হয়েছে তা নিচের ফটোতে দেখানো হল।

নিচে আরেকটি কাভার পেইজের ডিজাইন দেওয়া হল, নিচের ফটোটি নেওয়া হয়েছে https://www.khansworkstation.tech/ থেকে

২। টপিক বোঝা
আসাইনমেন্ট শুরু করার আগে প্রশ্ন বা টপিকটা কয়েকবার পড়তে হবে।বিষয়টা কী বুঝার চেষ্টা করতে হবে।বুঝতে সমস্যা মনে হলে এর সাথে রিলেটেড লেকচার বা বইয়ের টপিক পড়ে নিতে হবে। প্রয়োজনে ইন্টারনেটে সার্চ করে বিষয়টা পড়ে নিতে হবে।ইউটিউব ও দেখা যেতে পারে । তবে ইউটিউব এখনও গুগলের মত এত সমৃদ্ধ হয় নি।তবে অনেক বিষয়ের ভিডিয়ো আছে। যারা এ বিষয়ে দক্ষ তাদের সাহায্য নেওয়া যেতে পারে। বিষয়টি সমন্ধে পরিস্কার ধারণা হলে পরবর্তী কাজগুলো করা সহজ হবে।
৩। তথ্য সংগ্রহ
বিভিন্ন উৎস যেমন – পাঠ্যপুস্তক, রেফারেন্স বই,ইন্টারনেট প্রভৃতি থেকে তথ্য সংগ্রহের সময় দরকারি তথ্যগুলো মার্ক করতে হবে বা নোট করে নিতে হবে। এতে লেখাটা দ্রুত হবে ও গোছানো হবে।
৪। শুরু করা
এরপরে লেখা শুরু করার পরিকল্পনা করা উচিত। প্রয়োজনে খসড়া তৈরি করে নিতে হবে। পুরো বিষয়টা একেবারে মাথায় নাও আসতে পারে। তাই কাজটা কয়েকটি ভাগে ভাগ করে করা যেতে পারে।
এভাবে যখন খসড়াটা কিছুটা পছন্দনীয় মনে হবে তখন ফাইনালি লেখা শুরু করা যেতে পারে।
৫। রিভিসন
একটি প্যারা বা অংশ লেখা হলে পুনরায় পড়তে হবে। এভাবে শেষ হওয়া পর্যন্ত কয়েকবার রিভিসন দিতে হবে। এতে দরকারি তথ্যগুলো বাদ পড়বে না। লেখাটা সুসংহত হবে।
৬। ডেডলাইন
ছাত্রজীবন হোক আর কর্পোরেট জীবন হোক ডেটলাইন শব্দটার অনেক গুরুত্ব অনেক ।তাই নিজে থেকেও একটা সময় ঠিক করে নিতে হবে যাতে নির্ধারিত সময় বা ডেটলাইনের আগেই কাজটা করা যায়। প্রয়োজনে কাজটা কয়েকটি ভাগে করে নিতে হবে। ভার্সিটি লাইফে সাধারণত ক্লাস চলার সময়ে অ্যাসাইনমেন্ট করতে হয়। তখন ক্লাস পরীক্ষা, এক্সট্রা ক্লাস , প্রেজেন্টেশন সহ আরও অনেক চাপ থাকে। এগুলোর ক্ষতি না করেই আসাইনমেন্ট করতে হয়।তাই আপনি কতটুকু সময় দিতে চান বা সর্বোচ্চ কত সময় দিতে পারবেন সেটা বের করাও জরুরি।
৭। হতাশ না হওয়া
প্রথমদিকের অ্যাসাইনমেন্টগুলো হয়ত মন মত হবে না। তারপরেও চেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে। ক্রমান্বয়ে অ্যাসাইনমেন্ট লেখা সমৃদ্ধ ও নিখুঁত হবে। তাই অ্যাসাইনমেন্ট কিভাবে লিখতে হয় তা নিয়ে হতাশ না হয়ে চেষ্টা করতে হবে। ইংরেজীতে একটা প্রবাদ আছে “Practice makes a man perfect” তার মানে অনুশীলন একটি মানুষকে নিখুঁত করে তোলে।
রিলেটেডঃ শাহাজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় সম্পর্কে যা যা জানা দরকার
যা পরিহার করা উচিত
একটি সুন্দর অ্যাসাইনমেন্ট লেখার সময় যা যা পরিহার করা উচিত তা নিচে দেওয়াঃ
- অসৎ উপায় অবলম্বন করা –যেমন কারো দেখে নকল করা, স্কুল/কলেজের শিক্ষার্থীরা অনেক সময় অন্য আরেক জন দিয়ে করে নেয়। ভুল হওয়ার সম্ভাবনা থাকলেও নিজে করতে হবে। এই ভুল হওয়াটা তার একাডেমিক পড়াশোনা করার আগ্রহ বৃদ্ধি করবে।ভুল থেকে আমরা যা শিখি তা অনেক সময় দীর্ঘস্থায়ী হয়। মনে রাখতে হবে , অন্যের দেখে লেখা বা করা আপনার সৃজনশীলতা নষ্ট করে।
- প্রয়োজনীয় তথ্য সংগ্রহ না করা
- দায়সারা ভাবে করা ।
- লেখায় প্রচুর কাটাকাটি।
অ্যাসাইনমেন্ট লেখার নিয়ম বা অ্যাসাইনমেন্ট লেখার পদ্ধতি আরো ভালোভাবে জানতে উপরের ভিডিওটি দেখা যেতে পারে।
অ্যাসাইনমেন্ট লেখার নিয়ম
একটি গ্রণযোগ্য ও সুন্দর অ্যাসাইনমেন্ট লেখার জন্য আপনাকে অবশ্যই অ্যাসাইনমেন্ট লেখার নিয়ম বা অ্যাসাইনমেন্ট লেখার পদ্ধতি অনুসরণ করতে হবে। আপাতত নিচের নিয়মগুলি অনুসরন করলে আপনার অ্যাসাইনমেন্ট স্যারদের কাছে গ্রহণযোগ হবে।
১) সাধারণত A4 সাইজ পেপারে অ্যাসাইনমেন্ট লেখা হয় ।
২) সবার প্রথমে কভার পেজ দিতে হয়। স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীদের জন্য অনেক সময় বোর্ডে কভার পেজের ডিজাইন দেওয়া থাকে। না থাকলে নিজে বানিয়ে নিতে হবে। কভার পেজে নিজের নাম, রোল,শ্রেণী /বর্ষ/সেমিস্টার ,বিষয় ইত্যাদি থাকবে।
৩) প্রতি পৃষ্ঠায় স্কেলের সাহায্যে মার্জিন দিতে হবে। এক্ষেত্রে পেন্সিল ব্যবহার করাটা ভাল। চাইলে নীল/ কালো কালার ব্যবহার করা যেতে পারে। সবুজ রঙ অনেক সময় স্যারেরা খাতা কাটার জন্য ব্যাবহার করে। তাই লালের পাশাপাশি এ রংটাও ব্যবহার না করাই ভাল।
৪) দ্বিতীয় পৃষ্ঠায় প্রথমে নীল কালি দিয়ে আসাইনমেন্টের প্রশ্ন লেখা উচিত। এরপরে বল পয়েন্ট দিয়ে উত্তর লেখা শুরু করতে হবে। পৃষ্ঠার এক পাশে লেখা উত্তম। উভয় দিক পরিহার করা উচিত।
৫) লেখা সুন্দর করার দিকে বিশেষ নজর দিতে হবে। লেখায় কাটাকাটি করা থেকে বিরত থাকতে হবে।
৬) প্রয়োজনে চিত্র, ছক দিতে হবে। চিত্রে যেন ঘষামাজা না হয়।
৭) পয়েন্ট বা কোটেশন নীল কালি দিয়ে লেখা যেতে পারে। এতে সহজেই শিক্ষকের দৃষ্টিগোচর হবে।
৮) টাইপ করে জমা দিতে হলে লেখায় হেডিং, বডিতে একই ফন্ট ব্যবহার করা উচিত।
৯) মনোযোগ দিয়ে কাজটা শেষ করে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে জমা দিতে হবে।
অ্যাসাইনমেন্ট সাধারণত শিক্ষার্থীদের মান উন্নয়নের জন্য দেওয়া হয়। তাই এটিকে ঝামেলা বা সময়ের অপচয় মনে করা উচিত না। বরং এটি চ্যালেঞ্জ মনে করে ভালোবেসে কাজটা করা উচিত। পাশাপাশি অসৎ উপায় পরিহার করা উচিত। ত বন্ধুরা অ্যাসাইনমেন্ট লেখার নিয়ম, অ্যাসাইনমেন্ট লেখার পদ্ধতি ও গাইডলাইন লেখাটি আজকের মতো এখানেই শেষ। যদি আপনাদের ভালো লেগে থাকে তাহলে কমেন্ট করে জানাতে ভুলবেন না।
বিঃদ্রঃ এই ব্লগের প্রত্যেকটা ব্লগ পোস্ট Sylhetism ব্লগের নিজস্ব ডিজিটাল সম্পদ। কেউ ব্লগের কোন পোস্ট কিংবা আংশিক অংশ ব্লগের কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া কপি পেস্ট করে অন্য কোথাও প্রকাশ করলে ব্লগ কর্তৃপক্ষ ডিজিটাল সিকিউরিটি আইনে মামলা করার অধিকার রাখে। এবং অবশ্যই কপিরাইট ক্লাইম করে যে মাধ্যমে এই ব্লগের পোস্ট প্রকাশ করা হবে সেখানেও কমপ্লেইন করা হবে।
এই ব্লগের কোন লেখায় তথ্যগত কোন ভুল থাকলে আমাদের Contact পেইজে সরাসরি যোগাযোগ করুন, আমরা যত তাড়াতাড়ি সম্ভব তথ্য যাচাই করে লেখা আপডেট করে দিবো।
এই ব্লগের কোন স্বাস্থ বিষয়ক পোস্টের পরামর্শ নিজের বাস্তব জীবনে প্রয়োগ করার আগে অবশ্যই বিশেষজ্ঞদের মতামত নিবেন, আমরা স্বাস্থ বিষয়ে কোন বিশেষজ্ঞ না, আমাদের উদ্দেশ্য ও লক্ষ হচ্ছে সঠিক তথ্য পরিবেশন করা। সুতারাং কোন অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার দায়ভার অবশ্যই আমরা নিবো না।
ধন্যবাদ, ব্লগ কর্তৃপক্ষ।